Last Updated on March 17, 2025 by Science Master
উত্তরসহ ২০২৫ সালের মাধ্যমিক ভৌত বিজ্ঞান প্রশ্নপত্র (2025 Madhyamik physical Science Solved paper): মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের কাছে বিগত বছরের প্রশ্নপত্র অতি গুরুত্বপূর্ণ। তার মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের কথা মাথায় রেখে আজকের প্রতিবেদনে নিয়ে চলে এসেছি 2025 সালের মাধ্যমিকের ভৌত বিজ্ঞান বিষয়ক সমস্ত ধরনের প্রশ্নের সঠিক এবং পুঙ্খানুপুঙ্খ উত্তর। অভিজ্ঞ শিক্ষক মন্ডলীদ্বারা দ্বারা এই উত্তর তৈরি করা হয়েছে (West Bengal Madhyamik 2025 physical Science Solved paper) । যে সমস্ত ছাত্র-ছাত্রী আগামী বছর মাধ্যমিক পরীক্ষা দেবে তারা তাদের পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য এই প্রশ্ন উত্তর অনুসরণ করতে পারো।
WBBSE 2025 Madhyamik physical Science Solved paper
2025
PHYSICAL SCIENCE
(For Regular and External Candidates)
Time-Three Hours Fifteen Minutes
(First FIFTEEN minutes for reading the question paper only)
Full Marks
90-For Regular Candidates
100-For External Candidates
Special credit will be given for answers which are Brief and to the point.
Marks will he deducted for spelling mistakes, untidiness and bad handwriting
কেবলমাত্র বহিরাগত পরীক্ষার্থীদের ‘ঙ’ বিভাগের প্রশ্নগুলির উত্তর দিতে হবে।
প্রান্তিক সংখ্যাগুলি প্রশ্নের পূর্ণমান নির্দেশ করছে।
বিভাগ -ক
১। বহু বিকল্প ভিত্তিক প্রশ্ন। প্রতিটি প্রশ্নের নীচে চারটি করে বিকল্প উত্তর দেওয়া আছে। যেটি ঠিক সেটি লেখো: ১ ×১৫=১৫
১.১ তাপ পরিবাহিতাঙ্ক নির্ভর করে-
(a) পরিবাহীর দুই প্রান্তের তাপমাত্রার পার্থক্যের উপর
(b) পরিবাহীর উপাদানের প্রকৃতির উপর
(c) পরিবাহীর দৈর্ঘ্যের উপর
(d) পরিবাহীর প্রস্থছেদের ক্ষেত্রফলের উপর
Ans:- (b) পরিবাহীর উপাদানের প্রকৃতির উপর
১.২ আলোর প্রতিসরণের সময় নীচের কোন রাশিটি অপরিবর্তিত থাকে?
(a) গতিবেগ
(b) বিস্তরি
(c) কম্পাঙ্ক
(d) তরঙ্গদৈর্ঘ্য
Ans:- (c) কম্পাঙ্ক
১.৩ কোন প্রকার দর্পণে অসদ, ছোট এবং সমশীর্ষ প্রতিবিম্ব গঠিত হয়।
(a) সমতল দর্পণ
(b) অবতল দর্পণ
(c) উত্তল দর্পণ
(d) অধিবৃত্তাকার দর্পণ
Ans:- (c) উত্তল দর্পণ
১.৪ নীচের কোন্ এককটি তড়িৎশক্তির একক?
(a) ওয়াট
(b) ওহম
(c) কিলোওয়াট- ঘণ্টা
(d) ভোল্ট
Ans:- (c) কিলোওয়াট- ঘণ্টা
১.৫ নীচের কোন্ রশ্মিটির গ্যাসকে আয়নিত করার ক্ষমতা সর্বাধিক?
(a) α- রশ্মি
(b) y-রশ্মি
(c) β- রশ্মি
(d) আলোকরশ্মি
Ans:- (a) α- রশ্মি
১.৬ ফিউজ তারের বৈশিষ্ট্য হল-
(a) উচ্চরোধ, নিম্নগলনাঙ্ক
(b) নিম্নরোধ, উচ্চগলনাঙ্ক
(c) নিম্নরোধ, নিম্নগলনাঙ্ক
(d) উচ্চরোধ, উচ্চগলনাঙ্ক
Ans:- (a) উচ্চরোধ, নিম্নগলনাঙ্ক
১.৭ আধুনিক দীর্ঘ পর্যায় সারণিতে কয়টি শ্রেণি রয়েছে?
(a) 7
(b) 17
(c) 15
(d) 18
Ans:- 18
১.৮ নীচের কোন্ যৌগটির সম্পূর্ণ অণু হিসাবে পৃথক অস্তিত্ব নেই
(a) H2S
(b) CHCI3
(c) NO2
(d) NaCl
Ans:- (d) NaCl
১.৯ নীচের কোন্ অ্যাসিডটি মৃদু তড়িৎবিশ্লেষ্য?
(a) CH3COOH
(b) H2SO4
(c) HNO3
(d) HCI
Ans:- (a) CH3COOH
১.১০ লঘু সালফিউরিক অ্যাসিড মিশ্রিত পটাসিয়াম ডাইক্লোমেট দ্রবণে H2S চালনা করলে কী রঙ উৎপন্ন হয়?
(a) কমলা
(b) বেগুনি
(c) সবুজ
(d) গাঢ় নীল
Ans:- (c) সবুজ
১.১১ নীচের কোন্ আকরিকটি অ্যালুমিনিয়ামের আকরিক?
(a) হেমাটাইট
(b) বক্সাইট
(c) ম্যালাকাইট
(d) চ্যালকোসাইট
Ans:- (b) বক্সাইট
১.১২ ত্রিবন্ধনীযুক্ত অসম্পৃক্ত হাইড্রোকার্বনটিকে সনাক্ত করো-
(a) CH4
(b) C2H6
(c) C2H4
(d) C2H2
Ans:- (d) C2H2
১.১৩ গ্রীনহাউস গ্যাসটি শনাক্ত করো:
(a) অক্সিজেন
(b) হাইড্রোজেন
(c) জলীয় বাষ্প
(d) নাইট্রোজেন
Ans:- (c) জলীয় বাষ্প
১.১৪ S.T.P. তে 22 গ্রাম CO2 -এর আয়তন হল [ C = 12 O = 16 ]
(a) 22.4 লিটার
(b) 11.2 লিটার
(c) 2.24 লিটার
(d) 1.12 লিটার
Ans:- (b) 11.2 লিটার
১.১৫ 10 গ্রাম ক্যালসিয়াম কার্বোনেটকে তীব্র উত্তপ্ত করলে, কত গ্রাম ক্যালসিয়াম অক্সাইড পাওয়া যাবে? ধরে নাও সকল ক্যালসিয়াম কার্বনেট সম্পূর্ণ বিয়োজিত হয়েছে। [ Ca = 40 , C = 12, O = 16 ]
(a) 4.4-গ্রাম
(b) 5.6 গ্রাম
(c) 10 গ্রাম
(d) 100 গ্রাম
Ans:- (b) 5.6 গ্রাম
বিভাগ- খ
২। নিম্নলিখিত প্রশ্নগুলির উত্তর দাও (বিকল্প প্রশ্নগুলি লক্ষণীয়):
২.১ S.T.P তে 16 গ্রাম অক্সিজেন গ্যাসে উপস্থিত অণুর সংখ্যা কত?
Ans:- 3.011 × 10²³
২.২ নীচের বিবৃতিটি সত্য না মিথ্যা লেখো:
লোহার দৈর্ঘ্য প্রসারণ গুণাঙ্ক 1.2 × 10-5/°C হলে, লোহার আয়তন প্রসারণ গুণাঙ্ক 3.6×10-5/°C হবে। ১
Ans:- সত্য।
অথবা
Wm-1K-1 এটি কোন ভৌতরাশির একক?
Ans:- তাপ পরিবাহিতাঙ্ক (K)
২.৩ বিবর্ধক কাচ রূপে কোন্ ধরণের লেন্স ব্যবহৃত হয়?
Ans:- উত্তল লেন্স।
২.৪ আলোকরশ্মির প্রতিসরণের সময় আপতন কোণের কোন্ মানের জন্য স্নেলের সূত্রটি প্রযোজ্য নয়? ১
Ans:- আপতন কোণের 0o এর জন্য স্নেলের সূত্রটি প্রযোজ্য নয়।
২.৫ বর্তমানে তড়িৎ-বর্তনীতে ফিউজ তারের পরিবর্তে কী ব্যবহার করা হয়?
Ans:- MCB (Miniature Circuit Breaker)
২.৬ 220 V 100 W বাল্বের রোধ কত?
Ans:- W=V2/R , R= V2/W, R= (220 x 220)/100, R= 484 ওহম।
২.৭ তেজস্ক্রিয়তার S.I. এককটি লেখো।
Ans:- বেকারেল।
অথবা
92U235 থেকে একটি β কণা নির্গত হলে, পারমাণবিক সংখ্যার কী পরিবর্তন ঘটবে?
Ans:- একটি β কণা নির্গত হলে, পারমাণবিক সংখ্যা এক একক বৃদ্ধি পায়। অতএব, নতুন মৌলটির পারমানবিক সংখ্যা হবে 93 (93X235)
২.৮ বাম স্তম্ভের সঙ্গে ডান স্তম্ভের সামঞ্জস্য বিধান করো: ১×৪=৪
বামস্তম্ভ | ডানস্তম্ভ |
---|---|
২.৮.১ জার্মান সিলভারে উপস্থিত ধাতু | (a) Li |
২.৮.২ ইউরেনিয়ামোত্তর মৌল | (b) Zn |
২.৮.৩ ক্যালামাইন থেকে নিষ্কাশিত ধাতু | (c) Pu |
২.৮.৪ পর্যায়সারণির দ্বিতীয় পর্যায়ে অবস্থিত ক্ষারীয় ধাতু | (d) Ni |
Ans:- ২.৮.১ ⇒ (d) , ২.৮.২ ⇒ (c), ২.৮.৩ ⇒ (b) , ২.৮.৪ ⇒ (a)
২.৯ নীচের বিবৃতিটি সত্য না মিথ্যা লেখো: তড়িৎ বিশ্লেষণ সর্বদা জারণ-বিজারণের মাধ্যমে ঘটে। ১
Ans:- সত্য।
২.১০ অ্যাসিড মিশ্রিত জল তড়িৎ বিশ্লেষণের ফলে ক্যাথোডে কোন্ গ্যাস উৎপন্ন হয়? ১
Ans:- হাইড্রোজেন।
অথবা
নীচের কোনটি তড়িৎ বিশ্লেষ্য- চিনির জলীয় দ্রবণ, ইথানল এবং অ্যাসিটিক অ্যাসিড?
Ans:- চিনির জলীয় দ্রবণ
২.১১ কি ঘটবে যদি লোহার চামচকে অ্যাসিড মিশ্রিত কপার সালফেট দ্রবণে ডোবানো হয়?
Ans:- লোহার চামচকে অ্যাসিড মিশ্রিত কপার সালফেট দ্রবণে ডোবানো হলে লোহার ওপর লালচে বাদামি রঙের আস্তরণ পড়ে।
Fe + CuSO4 → FeSO4 + Cu
২.১২ হেবার পদ্ধতিতে অ্যামোনিয়া প্রস্তুতির জন্য কোন্ ধাতুটি অনুঘটক হিসাবে ব্যবহার করা হয়। ১
Ans:- উত্তপ্ত লোহার চূর্ণ।
অথবা
শূন্যস্থান পূরণ করো: CaC2 + N2 → ____+ C
Ans:- CaC2 + N2 → CaNCN (নাইট্রোলিম) + C
২.১৩ থার্মিট পদ্ধতিতে কোন্ ধাতু নিষ্কাশিত হয়?
Ans:- লোহা (Fe)।
২.১৪ নীচের জৈব যৌগটির IUPAC নাম লেখো।
CH3-CHBr – CH3
Ans:- 2-ব্রোমো প্রোপেন।
অথবা
অবস্থানগত আইসোমেরিজম বা সমাবয়বতার উদাহরণ দাও। ১
Ans:- CH3-CH(OH)-CH3 এবং CH3-CH2-CH2-OH
২.১৫ রান্নার পাত্রে আঠাবিহীন প্রলেপ বা ননস্টিক প্রলেপ দেওয়ার জন্য ব্যবহৃত পলিমারের মনোমারটির নাম লেখো। ১
Ans:- টেফলন বা পলিটেট্রাফ্লোরোইথিলিন
২.১৬ বায়ুমণ্ডলের কোন্ স্তরে ঝড়-বৃষ্টি ঘটা সম্ভব? ১
Ans:- ট্রপোস্ফিয়ার।
অথবা
ওজনস্তরের গাঢ়ত্ব কোন্ এককে প্রকাশ করা হয়?
Ans:- ডবসন।
২.১৭ রেফ্রিজারেটর থেকে নির্গত গ্রিনহাউস গ্যাসটির নাম লেখো।
Ans:- CFC (ক্লোরোফ্লোরোকার্বন)
২.১৮ নীচের বিবৃতিটি সত্য না মিথ্যা লেখো: ১
চার্লসের সূত্রানুযায়ী, (-)273°C তাপমাত্রায় যে কোনো গ্যাসের আয়তন অসীম হয়।
Ans:- মিথ্যা।
বিভাগ গ
৩। নিম্নলিখিত প্রশ্নগুলির উত্তর দাও (বিকল্প প্রশ্নগুলি লক্ষণীয়):
৩.১ 4 ওহম রোধবিশিষ্ট একটি পাতলা তারকে বৃত্তে পরিবর্তিত করা হলে, বৃত্তটির যে কোনো ব্যাস বরাবর রোধ নির্ণয় করো।
Ans:- ধাপ 1: বৃত্তাকার তারের রোধ নির্ণয়:
ধরা যাক, তারটির রোধ R = 4 ওহম
তারটিকে বৃত্তে পরিণত করা হলে, এর পরিধি অপরিবর্তিত থাকবে।
সুতরাং, বৃত্তের পরিধি = তারের দৈর্ঘ্য
এখন, বৃত্তের পরিধি = 2πr (যেখানে r হল বৃত্তের ব্যাসার্ধ)
সুতরাং, তারের দৈর্ঘ্য = 2πr
ধাপ 2: তারের অর্ধেক অংশের রোধ নির্ণয়:
বৃত্তের ব্যাস বরাবর তারটিকে দুটি সমান অংশে ভাগ করা হয়েছে।
সুতরাং, প্রতিটি অংশের দৈর্ঘ্য = তারের দৈর্ঘ্যের অর্ধেক = 2πr/2 = πr
এখন, রোধ (R) দৈর্ঘ্যের (L) সমানুপাতিক।
R ∝ L
সুতরাং, অর্ধেক অংশের রোধ = তারের রোধের অর্ধেক = 4 ওহম / 2 = 2 ওহম
ধাপ 3: সমান্তরাল সমবায়ে রোধ নির্ণয়:
বৃত্তের ব্যাস বরাবর দুটি অর্ধেক অংশ সমান্তরাল সমবায়ে যুক্ত।
সুতরাং, তুল্য রোধ (R) নির্ণয় করতে, আমরা নিম্নলিখিত সূত্রটি ব্যবহার করতে পারি:
1/R = 1/R1 + 1/R2
যেখানে, R1 এবং R2 হল অর্ধেক অংশগুলির রোধ।
এখানে, R1 = R2 = 2 ওহম
সুতরাং, 1/R = 1/2 + 1/2 = 1
R = 1 ওহম
সুতরাং, বৃত্তটির যে কোনো ব্যাস বরাবর রোধ 1 ওহম।
৩.২ ক্যালসিয়াম অক্সাইডের ইলেকট্রন ডট গঠনটি এঁকে দেখাও, [Ca এবং O-এর পারমাণবিক সংখ্যা যথাক্রমে 20 এবং ৪ হয়।]
Ans:-

অথবা
সোডিয়াম ক্লোরাইডের গলনাঙ্ক গ্লুকোজের গলনাঙ্ক থেকে অনেকটা বেশি কেন ব্যাখ্যা করো। ২
Ans:- সোডিয়াম ক্লোরাইড আয়নীয় যৌগ তাই এর গলনাঙ্ক বেশি হয় এবং গ্লূকোজ সমযোজী যৌগ হওয়ায় এর গলনাঙ্ক কম হয়।
৩.৩ নিচের যৌগগুলির মধ্যে তড়িৎযোজী সমযোজী যৌগ সনাক্ত করো LiH, NH3, KCI, C2H6 ২
Ans:-
তড়িৎযোজী | সমযোজী |
---|---|
LiH | NH3 |
KCl | C2H6 |
৩.৪ উত্তপ্ত সোডিয়ামের ওপর দিয়ে শুষ্ক অ্যামোনিয়া গ্যাস চালনা করলে কি ঘটবে, শমিত রাসায়নিক সমীকরণ সহ লেখো। ২
Ans:- উত্তপ্ত সোডিয়ামের ওপর দিয়ে শুষ্ক অ্যামোনিয়া গ্যাস চালনা করলে সাদা কঠিন সোডামাইড উৎপন্ন হয়।
2Na + 2NH3 = 2NaNH2 + H2
৩.৫ এমন দুটি সংকর ধাতুর নাম লেখো, যেখানে কপার উপস্থিত। প্রত্যেকটি সংকর ধাতুর একটি করে ব্যবহার লেখো। ১+১
Ans:- কপার (Cu, Zn) : গৃহস্থলীর বাসনপত্র, জলের কল, মূর্তি, তালা, বিভিন্ন যন্ত্রাংশ নির্মাণে ব্যবহৃত হয়।
জার্মান সিলভার (Cu, Zn, Ni): বাসনপত্র, ফটো ফ্রেম, ফুলদানি ও বিভিন্ন সৌখিন দ্রব্য নির্মাণে ব্যবহৃত হয়।
অথবা
খনিজ এবং আকরিকের মধ্যে পার্থক্য বুঝিয়ে-লেখো।
Ans:- খনিজ: ভূগর্ভে বা ভূপৃষ্ঠের শিলা রূপে প্রাপ্ত প্রাকৃতিক অজৈব পদার্থ সমূহ যার মধ্যে ধাতু গুলি মুক্ত অবস্থায় বা যৌগ রূপে অন্যান্য অশুদ্ধির সঙ্গে মিশ্রিত অবস্থায় থাকে তাদের খনিজ বলা হয়।
আকরিক: যেসব খনিজ থেকে অপেক্ষাকৃত সহজ পদ্ধতিতে এবং স্বল্প ব্যয় লাভজনক বাণিজ্যিক উপায়ে উচ্চমানের ধাতু নিষ্কাশন করা যায় তাদের আকরিক বলা হয়।
৩.৬ কিভাবে নীচের পরিবর্তনটি সম্পন্ন করা যায়?

Ans:- Ni / H2, 200-300⁰C
অথবা
দুটি জৈবভঙ্গুর (বায়োডিগ্রেডেবল) পলিমারের নাম লেখো।
Ans:- পলিল্যাকটিক অ্যাসিড, পলিইথিলিন অ্যাডিপেট।
৩.৭ ওজনস্তরকে প্রাকৃতিক সৌরপর্দা বলা হয়-কেন ব্যাখ্যা করো।
Ans:- উত্তর বায়ুমণ্ডলের স্ট্র্যাটোস্ফিয়ারের অন্তর্গত ওজোন স্তরকে ওজোন ছত্র বা প্রাকৃতিক সৌরপর্দা বলে। সূর্য থেকে আগত ক্ষতিকর অতিবেগুনি রশ্মির বেশিরভাগ অংশই ওজোন স্তরে শোষিত হয়ে যায়। ওজোন স্তর না থাকলে এই ক্ষতিকর অতিবেগুনি রশ্মি সরাসরি ভূপৃষ্ঠে এসে পড়ত। ছাতা বা পর্দা যেমন সূর্যালোকের সরাসরি সংস্পর্শ থেকে আমাদের রক্ষা করে, ওজোন স্তর তেমন সূর্য থেকে আগত ক্ষতিকারক অতিবেগুনি রশ্মির পৃথিবীতে আগমনকে প্রতিরোধ করে। তাই ওজোন স্তরকে ‘ওজোন ছত্র’ বা ‘প্রাকৃতিক সৌরপর্দা’ বলা হয়।
অথবা
বিশ্বউয়ায়ণ এবং গ্রিনহাউস এফেক্ট কিভাবে সম্পর্কযুক্ত?
Ans:- সূর্য থেকে আসা ক্ষুদ্র তরঙ্গ দৈর্ঘ্য বিশিষ্ট তাপীয় বিকিরণ পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের মধ্যে দিয়ে গিয়ে উত্তপ্ত করে। ভূপৃষ্ঠ থেকে নির্গত দীর্ঘ তরঙ্গ দৈর্ঘ্য বিশিষ্ট ইনফারেড রশ্মি বায়ুমন্ডলে উপস্থিত গ্রীনহাউস গ্যাস যেমন কার্বন ডাই অক্সাইড, নাইট্রাস অক্সাইড, জলীয় বাষ্প, মিথেন, CFC প্রভৃতি দ্বারা শোষিত হয়। এর ফলে পৃথিবীপৃষ্ঠ কর্তৃক বিকীর্ণ ইনফারেড রশ্মি বায়ুমন্ডলে বেশি পরিমাণে শোষিত হচ্ছে। তাই পৃথিবীর গড় উষ্ণতা প্রতিবছর প্রায় 0.05 ডিগ্রী সেন্টিগ্রেড করে বৃদ্ধি পাচ্ছে। আর এর ফলে সৃষ্টি হচ্ছে বিশ্ব উষ্ণায়ন বা গ্লোবাল ওয়ার্মিং।
৩.৮ 76 সেমি পারদস্তন্তচাপে এবং 27°C তাপমাত্রায় নির্দিষ্ট পরিমাণ গ্যাসের আয়তন 200 c.c.। যদি গ্যাসটির চাপ 38 সেমি পারদস্তম্ভ এবং তাপমাত্রা 127°C-এ পরিবর্তিত হয়, তবে গ্যাসটির আয়তন নির্ধারণ করো। ২
Ans:- প্রাথমিক চাপ (P1) = 76 সেমি পারদস্তম্ভ
প্রাথমিক তাপমাত্রা (T1) = 27°C = 300 K
প্রাথমিক আয়তন (V1) = 200 cc
চূড়ান্ত চাপ (P2) = 38 সেমি পারদস্তম্ভ
চূড়ান্ত তাপমাত্রা (T2) = 127°C = 400 K
চূড়ান্ত আয়তন (V2) = ?
আমরা জানি, (P1V1)/T1 = (P2V2)/T2
সুতরাং, V2 = (P1V1T2)/(P2T1)
মানগুলি বসিয়ে পাই, V2 = (76 x 200 x 400)/(38 x 300) = 533.33 cc (প্রায়)
অতএব, গ্যাসটির চূড়ান্ত আয়তন প্রায় 533.33 cc।
অথবা
227°C তাপমাত্রায় এবং 83.14 সেমি পারদস্তম্ভ চাপে 14 গ্রাম নাইট্রোজেন গ্যাসের আয়তন নির্ণয় করো, [R = 8.314 জুল মোল¹ K-1] ২
Ans:- তাপমাত্রা (T) = 227°C = 227 + 273 = 500 K
চাপ (P) = 83.14 সেমি পারদস্তম্ভ
নাইট্রোজেনের ভর (m) = 14 গ্রাম
R = 8.314 জুল /মোল/ K
নাইট্রোজেনের মোলের সংখ্যা (n)= 0.5
আমরা আদর্শ গ্যাস সমীকরণ ব্যবহার করে গ্যাসের আয়তন নির্ণয় করতে পারি:
PV = nRT
V = nRT/P
V = (0.5 × 8.314 × 500)/83.14 cc
V= 25 cc
নাইট্রোজেন গ্যাসের আয়তন = 25 cc
৩.৯ অবতল লেন্স দ্বারা প্রতিবিম্ব গঠন প্রক্রিয়াটি উপযুক্ত রেখাচিত্র অঙ্কন করে ব্যাখ্যা করো।
Ans:- অবতল লেন্সের সাহায্যে প্রতিবিম্ব গঠন (অসদ এবং সমশীর্ষ প্রতিবিম্ব গঠন):

বস্তুর অবস্থান লেন্সের সামনে: একটি বস্তু PQ অবতল লেন্স L-এর সামনে প্রধান অক্ষের উপর খাড়াভাবে রয়েছে। P বিন্দু থেকে নির্গত আলোকরশ্মি প্রধান অক্ষের সমান্তরালে PR পথে এসে লেন্সে প্রতিসরণের পরে ফোকাস বিন্দু F
থেকে অপসৃত হচ্ছে বলে মনে হয় এবং RS পথে যায়। P বিন্দু থেকে চোখ নির্গত আর-একটি আলোকরশ্মি POT পথে সোজা চলে যায়। প্রতিসৃত রশ্মি দুটি RS এবং POT অপসারী হয়ে দর্শকের চোখে পৌঁছায় এবং মনে হয় P₁ বিন্দু থেকে অপসৃত হচ্ছে। এর ফলে P বিন্দুটি P₁-এ রয়েছে বলে মনে হয়। P₁ থেকে প্রধান অক্ষের উপর লম্ব P₁Q₁ টানা হয়। P₁Q₁ হল PQ বস্তুর অসদ প্রতিবিম্ব।
প্রতিবিম্বটির অবস্থান: লেন্সের যে দিকে বস্তু রয়েছে সেই দিকে লেন্সের ফোকাস দূরত্বের মধ্যে।
প্রতিবিম্বটির প্রকৃতি: অসদ্বিম্ব এবং সমশীর্ষ।
প্রতিবিম্বটির আকার: বস্তুর চেয়ে ছোটো।
ব্যবহার: হ্রস্বদৃষ্টি বা মায়োপিয়া ত্রুটি দূর করতে চশমায় ব্যবহার করা হয়।
অথবা
আকাশকে নীল দেখায় কেন একটি চিত্রসহ ব্যাখ্যা করো।
Ans:- সূর্যরশ্মি যখন বায়ুমণ্ডলের ভেতর দিয়ে আসে তখন ওই রশ্মি বাতাসের সূক্ষ্ম ধূলিকণার উপর পড়ে চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ে। একে আলোকের বিক্ষেপ (Scattering of Light) বলে।
• দিনের বেলায় আকাশকে নীল দেখায় দিনের বেলায় যখন
সূর্যরশ্মি বায়ুমণ্ডলের ভেতর দিয়ে আসে, নীল বর্ণের আলোকরশ্মির তরঙ্গদৈর্ঘ্য কম হওয়ায় বায়ুর মধ্যে থাকা কণাগুলি নীল বর্ণের আলোকে বিক্ষিপ্ত করে চারদিকে ছড়িয়ে দেয়। এই বিক্ষিপ্ত আলোকরশ্মি আমাদের চোখে পৌঁছায়, তাই আমরা আকাশকে নীল দেখি।

বিভাগ- ঘ
৪। নিম্নলিখিত প্রশ্নগুলির উত্তর দাও (বিকল্প প্রশ্নগুলি লক্ষণীয়):
৪.১ প্রমাণ করো, আয়তাকার কাচের ফলকে আপতিত আলোক রশ্মি এবং ফলক থেকে নির্গত আলোক রশ্মি পরস্পরের সমান্তরাল হবে। ৩
Ans:-

EFGH একটি সমান্তরাল কাচের স্ল্যাব। এটি বায়ুতে রাখা হয়েছে। আলোকরশ্মি AO বায়ুর মধ্য দিয়ে এসে স্ল্যাবের EF তলে O বিন্দুতে প্রতিসরণের পরে OB পথে স্ল্যাবের মধ্যে প্রবেশ করেছে এবং স্ল্যাবের HG তলের ৪ বিন্দুতে প্রতিসৃত হয়ে বায়ুতে BC পথে নির্গত হয়েছে। AO হল আপতিত রশ্মি, OB প্রতিসৃত রশ্মি, i₁ হল O বিন্দুতে আপতন কোণ, r₁ হল O বিন্দুতে প্রতিসরণ কোণ, r₂ হল B বিন্দুতে আপতন কোণ, i₂ হল নির্গমণ কোণ, BC হল নির্গত রশ্মি এবং বায়ুসাপেক্ষে কাচের প্রতিসরাঙ্ক হল aμg।
O বিন্দুতে স্নেলের সূত্র থেকে পাওয়া যায় Sini1/ Sinr1 = aμg
B বিন্দুতে আপতন কোণ r2, প্রতিসরণ কোণ i2 এবং কাচসাপেক্ষে বায়ুর প্রতিসরাঙ্ক gμa হলে, স্নেলের সূত্র থেকে পাওয়া যায় Sinr2/ Sini2= gμa এখন aμg = 1/ aμg হওয়ায় Sini1/ Sinr1= Sini2/Sinr2
EF এবং HG পরস্পরের সমান্তরাল হওয়ায় r1 = r2 হয়,
sinr₁ = sinr₂ হয়,
sini₁ = sini₂ হয়, অতএব i1 = i2 হয়।
EF এবং HG পরস্পরের সমান্তরাল এবং NON¹, EF-এর উপর লম্ব এবং N₁BN1′, HG-এর উপর লম্ব হওয়ায় এবং i₁ = i2 হওয়ায় AO এবং BC পরস্পরের সমান্তরাল হয়।
সুতরাং, কোনো আলোকরশ্মি সমান্তরাল কাচের স্ল্যাবের মধ্যে প্রতিসৃত হলে আপতিত রশ্মি এবং নির্গত বশ্মি পরস্পর সমান্তরাল হয়।
অথবা
একটি প্রিজমের প্রতিসরাঙ্ক M, এবং প্রতিসারক কোণ A। প্রিজমের একটি প্রতিসারক তলে আলোকরশ্মি লম্বভাবে আপতিত হল। আলোকরশ্মির চ্যুতিকোণ D হলে, M, A এবং D-এর মধ্যে সম্পর্ক প্রতিষ্ঠা করো। ৩
Ans:- ধরা যাক, ABC হল একটি প্রিজম যার প্রতিসরাঙ্ক M এবং প্রতিসারক কোণ A। প্রিজমের AB তলে আলোকরশ্মি লম্বভাবে আপতিত হল।
আলোকরশ্মি AB তলে লম্বভাবে আপতিত হলে, প্রতিসরণ কোণ শূন্য হবে। আলোকরশ্মি প্রিজমের অভ্যন্তরে অপরিবর্তিত পথে BC তলে আপতিত হবে।
BC তলে আপতিত কোণ হল A (প্রতিসারক কোণ)।
BC তলে প্রতিসরণের পর আলোকরশ্মি প্রিজম থেকে নির্গত হবে এবং চ্যুতি ঘটবে।
ধরা যাক, নির্গত রশ্মি BC তলের সাথে r কোণে প্রতিসৃত হয়েছে।
স্নেলের সূত্রানুসারে,
M = sin(r) / sin(A)
যেহেতু আলোকরশ্মি AB তলে লম্বভাবে আপতিত হয়েছে, তাই AB তলে চ্যুতি শূন্য। BC তলে চ্যুতি হল (r – A)।
প্রিজমের মোট চ্যুতি, D = r – A
r = D + A
স্নেলের সূত্রানুসারে,
M = sin(D + A) / sin(A)
এটিই M, A এবং D-এর মধ্যে সম্পর্ক।
৪.২ দীর্ঘদৃষ্টি বা হাইপারমেট্রোপিয়া কি? এর প্রতিকারে কোন ধরণের লেন্স ব্যবহার করবে? ২+১
Ans:- দীর্ঘদৃষ্টি বা হাইপারমেট্রোপিয়া: যদি চোখ দূরের বস্তুকে স্পষ্ট দেখতে পাই কিন্তু কাছের বস্তুকে স্পষ্ট দেখতে না পায় তাহলে চোখের দৃষ্টি জনিত ত্রুটিকে দীর্ঘদৃষ্টি বলে। এর প্রতিকারের জন্য উপযুক্ত ফোকাস দূরত্বের উত্তর লেন্স ব্যবহার করা হয়ে থাকে
৪.৩ তিনটি 20 ওহম রোধকে শ্রেণি সমবায়ে যুক্ত করে, সমবায়টি 30 ওহম রোধের সঙ্গে সমান্তরাল সমবায়ে যুক্ত করা হল, অন্তিম সমবায়ের তুল্যরোধ নির্ণয় করো। ৩
Ans:- ধাপ ১: শ্রেণী সমবায়ে তিনটি রোধের তুল্যরোধ নির্ণয়:
শ্রেণী সমবায়ে তুল্যরোধ, Rs = R1 + R2 + R3
এখানে, R1 = 20 ওহম, R2 = 20 ওহম, R3 = 20 ওহম
সুতরাং, Rs = (20 + 20 + 20) = 60 ওহম
ধাপ ২: সমান্তরাল সমবায়ে তুল্যরোধ নির্ণয়
সমান্তরাল সমবায়ে তুল্যরোধ, 1/R = 1/Rs + 1/R4
এখানে, Rs = 60 ওহম, R4 = 30 ওহম
সুতরাং, 1/R = (1/60 + 1/30) = (1 + 2)/60 = 3/60 = 1/20
অতএব, R = 20 ওহম
সুতরাং, অন্তিম সমবায়ের তুল্যরোধ 20 ওহম।
অথবা
একই মানের তিনটি রোধকে শ্রেণি সমবায়ে যুক্ত করে ওদের দু-প্রান্তে একটি তড়িৎচালক বলের উৎস যোগ করা হলে 10 W ক্ষমতা ব্যয়িত হয়। রোধ তিনটিকে সমান্তরাল সমবায়ে যুক্ত করে একই তড়িৎচালক বল প্রয়োগ করলে কত Watt ক্ষমতা ব্যয়িত হবে? ৩
Ans:- ধরা যাক, প্রতিটি রোধের মান R এবং তড়িৎচালক বলের উৎসের মান V।
শ্রেণি সমবায়ে রোধের তুল্য রোধ:
শ্রেণি সমবায়ে রোধের তুল্য রোধ হবে: [Rs = R + R + R = 3R]
\text{শ্রেণি সমবায়ে ব্যয়িত ক্ষমতা,} [P_s = \frac{V^2}{R_s} = \frac{V^2}{3R}]\\ দেওয়া \;আছে, [P_s = 10 \text{ W}] \\\frac{V^2}{3R} = 10 \text{ W}\\ V^2 = 30R
সমান্তরাল সমবায়ে রোধের তুল্য রোধ:
\text{সমান্তরাল সমবায়ে রোধের তুল্য রোধ হবে:} [\frac{1}{R_p} = \frac{1}{R} + \frac{1}{R} + \frac{1}{R} = \frac{3}{R}] [R_p = \frac{R}{3}]\\\text{সমান্তরাল সমবায়ে ব্যয়িত ক্ষমতা, }\\P_p = \frac{V^2}{R_p} = \frac{V^2}{\frac{R}{3}} = \frac{3V^2}{R} \\V^2 = 30R \;বসিয়ে \;পাই, \\P_p = \frac{3 \times 30R}{R} = 90 \text{ W}\\ \text{সুতরাং, রোধ তিনটিকে সমান্তরাল সমবায়ে যুক্ত করে }\\\text{একই তড়িৎচালক বল প্রয়োগ করলে 90 Watt ক্ষমতা ব্যয়িত হবে।}
৪.৪ লেঞ্জের সূত্রটি লেখো। লেঞ্জের সূত্রটি শক্তির সংরক্ষণ সূত্র মেনে চলে -যুক্তি দাও। ১+২
Ans:- লেঞ্জের সূত্রটি হল:
“কোনো বদ্ধ বর্তনীতে আবিষ্ট তড়িচ্চালক বল বা আবিষ্ট তড়িৎপ্রবাহের অভিমুখ এমন হয় যে, তা সেই কারণকেই বাধা দেয়, যা ওই আবিষ্ট তড়িচ্চালক বল বা আবিষ্ট তড়িৎপ্রবাহ সৃষ্টি করে।”
লেঞ্জের সূত্র শক্তির সংরক্ষণ সূত্র মেনে চলে:
শক্তির রূপান্তর: লেঞ্জের সূত্র অনুযায়ী, যখন কোনো পরিবাহীতে চৌম্বক ক্ষেত্রের পরিবর্তন ঘটে, তখন পরিবাহীতে একটি আবিষ্ট তড়িৎপ্রবাহ উৎপন্ন হয়। এই আবিষ্ট তড়িৎপ্রবাহের ফলে পরিবাহীতে তাপ উৎপন্ন হয়। এখানে, চৌম্বক ক্ষেত্রের পরিবর্তন থেকে তড়িৎ শক্তি এবং তড়িৎ শক্তি থেকে তাপ শক্তিতে রূপান্তর ঘটে।
শক্তির সংরক্ষণ: যদি আবিষ্ট তড়িৎপ্রবাহের অভিমুখ এমন না হতো যে, তা চৌম্বক ক্ষেত্রের পরিবর্তনের কারণকে বাধা দেয়, তাহলে পরিবাহীতে উৎপন্ন তাপ শক্তির পরিমাণ ক্রমাগত বৃদ্ধি পেত। অর্থাৎ, বিনা কারণে শক্তির সৃষ্টি হতো, যা শক্তির সংরক্ষণ সূত্রের বিরোধী।
বাধা প্রদান: লেঞ্জের সূত্র অনুযায়ী, আবিষ্ট তড়িৎপ্রবাহের অভিমুখ এমন হয় যে, তা চৌম্বক ক্ষেত্রের পরিবর্তনের কারণকে বাধা দেয়। এর ফলে, পরিবাহীতে উৎপন্ন তাপ শক্তির পরিমাণ একটি নির্দিষ্ট সীমার মধ্যে থাকে। অর্থাৎ, শক্তির সংরক্ষণ সূত্র মেনে চলা হয়।
উদাহরণস্বরূপ, একটি চুম্বককে যখন একটি কুণ্ডলীর দিকে আনা হয়, তখন কুণ্ডলীতে একটি আবিষ্ট তড়িৎপ্রবাহ উৎপন্ন হয়। এই তড়িৎপ্রবাহের অভিমুখ এমন হয় যে, তা চুম্বকের গতিকে বাধা দেয়। এর ফলে, চুম্বককে কুণ্ডলীর দিকে আনতে বাহ্যিক বল প্রয়োগ করতে হয়। এই বাহ্যিক বলের দ্বারা কৃতকার্যই কুণ্ডলীতে তাপ শক্তি হিসেবে উৎপন্ন হয়।
৪.৫ ভর বিচ্যুতি বলতে কি বোঝ? হিলিয়াম নিউক্লিয়াসের (2He4) ভর বিচ্যুতি কত হবে যদি প্রোটন, নিউট্রন এবং হিলিয়াম নিউক্লিয়াসের ভর যথাক্রমে 1.00728, 1.00867 এবং 4.0015 amu হয়? ১+২
Ans:- হিলিয়াম নিউক্লিয়াসের ভর বিচ্যুতি নির্ণয় করার জন্য নিম্নলিখিত পদ্ধতি অনুসরণ করা যেতে পারে:
১. প্রোটন ও নিউট্রনের মোট ভর নির্ণয়:
প্রোটনের ভর = 1.00728 amu
নিউট্রনের ভর = 1.00867 amu
হিলিয়াম নিউক্লিয়াসে 2টি প্রোটন ও 2টি নিউট্রন থাকে।
অতএব, প্রোটন ও নিউট্রনের মোট ভর = (2 x 1.00728) + (2 x 1.00867) = 4.0319 amu
২. ভর বিচ্যুতি নির্ণয়:
ভর বিচ্যুতি (Δm) = প্রোটন ও নিউট্রনের মোট ভর – হিলিয়াম নিউক্লিয়াসের ভর
Δm = 4.0319 amu – 4.0015 amu = 0.0304 amu
অতএব, হিলিয়াম নিউক্লিয়াসের ভর বিচ্যুতি হলো 0.0304 amu।
৪.৬ আধুনিক পর্যায় সূত্রটি লেখো। শ্রেণি 1 থেকে 2 এবং শ্রেণি 13 থেকে 17 পর্যায় বরাবর মৌলগুলির পারমাণবিক ব্যাসার্ধের প্রবণতা আলোচনা করো। ১+২
Ans:- মৌলসমূহের ভৌত ও রাসায়নিক ধর্মাবলি মৌল গুলির ক্রমবর্ধমান পরমাণু ক্রমাঙ্কের সঙ্গে পর্যায়ক্রমে পুনরাবৃত্ত হয়।
শ্রেণি 1 থেকে 2 এবং শ্রেণি 13 থেকে 17 অর্থাৎ যেকোনো পর্যায় সারণির পর্যায় বরাবর বাম দিক থেকে ডান দিকে গেলে পারমাণবিক ব্যাসার্ধ ক্রমশ হ্রাস পায়। যেকোনো পর্যায় সারণির শ্রেণী বরাবর উপর দিক থেকে নিচের দিকে গেলে পারমাণবিক ব্যাসার্ধ ক্রমশ বৃদ্ধি পায়।
অথবা
আধুনিক পর্যায় সারণীতে হাইড্রোজেনের অবস্থান ব্যাখ্যা করো। পর্যায় সারণির কোন্ শ্রেণিতে কঠিন, তরল এবং গ্যাসীয় মৌল অবস্থান করে? ২+১
Ans:- পর্যায় সারণিতে হাইড্রোজেনের অবস্থান একটি বিতর্কিত বিষয়। গ্রুপ-1 ক্ষার ধাতু এবং গ্রুপ-17 এর হ্যালোজেন মৌলের সাথে হাইড্রোজেনের ধর্মের যেমন সাদৃশ্য দেখা যায় তেমনি বৈসাদৃশ্য ও দেখা যায়।
ক্ষারধাতুর সঙ্গে সাদৃশ্য: (1) হাইড্রোজেন ক্ষারধাতুর মতো যোগ্যতা কক্ষের 1 টি ইলেকট্রন বর্জন করে তড়িৎ -ধনাত্মক H+ আয়ন উৎপন্ন করে। (2) ক্ষারধাতুর মতো হাইড্রোজেনের যোজ্যতা 1। (3) হাইড্রোজেন ক্ষারধাতুর মতো বিজারক দ্রব্য এবং উভয়ই অধাতুর সঙ্গে বিক্রিয়া করে যৌগ গঠন করে। যেমন- NaCl, HCI, Na2O, H₂O ইত্যাদি।
ক্ষারধাতুর সঙ্গে পার্থক্য: (1) ক্ষারধাতুগুলি তীব্র তড়িৎ-ধনাত্মক ধাতু কিন্তু হাইড্রোজেন অধাতু । (2) ক্ষারধাতুগুলি সাধারণ উষ্ণতায় কঠিন পদার্থ এবং একপরমাণুক। কিন্তু হাইড্রোজেন সাধারণ উষ্ণতায় গ্যাসীয় পদার্থ দ্বি-পরমাণুক।
হ্যালোজেনের সঙ্গে সাদৃশ্য: (1) হ্যালোজেন মৌল ফুওরিন এবং ক্লোরিন গ্যাসীয় অধাতু এবং দ্বি-পরমাণুক। হাইড্রোজেনও গ্যাসীয় অধাতু এবং দ্বি-পরমাণুক। (2) ক্ষারধাতুগুলির সঙ্গে হ্যালোজেন মৌলগুলির বিক্রিয়ায় NaCl, NaBr প্রভৃতি হ্যালাইড যৌগ উৎপন্ন হয়। ক্ষারধাতুগুলির সঙ্গে হাইড্রোজেনের বিক্রিয়ায়ও NaH, KH প্রভৃতি যৌগ উৎপন্ন হয়। NaCl এবং NaH যৌগে ক্লোরিন এবং হাইড্রোজেন উভয়ই ঋণাত্মক তড়িৎধর্মী।
হ্যালোজেনের সঙ্গে পার্থক্য: (1) হাইড্রোজেনের একমাত্র কক্ষপথ K-তে 1টি ইলেকট্রন থাকে কিন্তু প্রত্যেকটি হ্যালোজেনের শেষ কক্ষে 7 ইলেকট্রন থাকে। (2) হাইড্রোজেন তীব্র বিজারক পদার্থ কিন্তু হ্যালোজেন গুলির তীব্র জারক পদার্থ।
সুতরাং হাইড্রোজেনকে গ্রুপ-1 বা গ্রুপ-17 এর কোন একটিতে বসানো যুক্তিযুক্ত নয়। এই আচরণের জন্য মেন্ডেলিভ হাইড্রোজেনকে দুষ্ট মৌল নামে অভিহিত করেন। এই জন্য পর্যায় সারণিতে হাইড্রোজেনের অবস্থান সুনির্দিষ্ট নয়।
৪.৭ পিতলের চামচে নিকেলের তড়িৎ লেপনের জন্য ক্যাথোড, অ্যানোড এবং তড়িবিশ্লেষ্য হিসাবে কী কী পদার্থ ব্যবহৃত হয়? ৩
Ans:- পিতলের চামচে নিকেলের তড়িৎ লেপনের জন্য ক্যাথোড, অ্যানোড এবং তড়িবিশ্লেষ্য হিসাবে নিম্নলিখিত পদার্থগুলি ব্যবহৃত হয়:
ক্যাথোড: যে বস্তুর উপর তড়িৎ লেপন করা হবে, অর্থাৎ পিতলের চামচটি ক্যাথোড হিসাবে কাজ করবে।
অ্যানোড: অ্যানোড হিসাবে বিশুদ্ধ নিকেলের একটি পাত ব্যবহার করা হয়।
তড়িবিশ্লেষ্য: তড়িবিশ্লেষ্য হিসাবে নিকেল সালফেট (NiSO4) -এর দ্রবণ ব্যবহার করা হয়।
৪.৮ লেড নাইট্রেটের জলীয় দ্রবণে হাইড্রোজেন সালফাইড পাঠালে, কি ঘটবে শমিত রাসায়নিক সমীকরণসহ লেখো। ৩
Ans:- লেড নাইট্রেটের জলীয় দ্রবণে হাইড্রোজেন সালফাইড গ্যাস চালনা করলে, লেড সালফাইডের কালো অধঃক্ষেপ তৈরি হয়।
শমিত রাসায়নিক সমীকরণটি নিচে দেওয়া হলো:
Pb(NO3)2(aq) + H2S(g) → PbS(s) + 2HNO3(aq)
এই বিক্রিয়ায়, লেড নাইট্রেট এবং হাইড্রোজেন সালফাইড পরস্পর বিক্রিয়া করে লেড সালফাইডের কালো অধঃক্ষেপ এবং নাইট্রিক অ্যাসিড তৈরি করে।
৪.৯ 1, 2 ডাইব্রোমোইথেন এবং 1, 1, 2, 2 টেট্রাব্রোমো ইথেনের গঠন সংকেত লেখো। ইথাইল অ্যালকোহলের সঙ্গে গাঢ় সালফিউরিক অ্যাসিড মিশিয়ে উত্তপ্ত করলে, যে জৈবযৌগটি উৎপন্ন হয়, তার নাম লেখো। ২+১
Ans:- 1, 2 ডাইব্রোমোইথেন এর গঠন সংকেত

1, 1, 2, 2 টেট্রাব্রোমো ইথেনের এর গঠন সংকেত

ইথাইল অ্যালকোহলের সঙ্গে গাঢ় সালফিউরিক অ্যাসিড মিশিয়ে উত্তপ্ত করলে, ডাইইথাইল ইথার উৎপন্ন হয়।
2CH_3-CH_2-OH \xrightarrow[]{conc.H_2SO_4} C_2H_5-O-C_2H_5 + H_2O
অথবা
সি এন জি (CNG)-এর একটি ব্যবহার লেখো। মিথানল এবং ইথানলের একটি করে ক্ষতিকর প্রভাব আলোচনা করো। ১+২
Ans:- CNG জ্বালানি হিসেবে ব্যবহৃত হয়। সিলিন্ডারে ভরতি করে অথবা পাইপের সাহায্যে বড়ো বড়ো শহরে এটি জ্বালানি হিসেবে সরবরাহ করা হয়।
মিথানলের ক্ষতিকর প্রভাব: মিথানল একটি তীব্র বিষাক্ত তরল পদার্থ। এটি চোখের পক্ষে মারাত্মক ক্ষতিকর। এর দ্বারা চোখের অপটিক নার্ভ পক্ষাঘাতগ্রস্ত হয়, হরিনামে অন্ধত্বের সম্ভাবনা। কাজের মিথানল সাবধানে ব্যবহার করা উচিত।
ইথানলের ক্ষতিকর প্রভাব: বিভিন্ন পানীয়ের সঙ্গে শরীরের মধ্যে ইথানল প্রবেশ করলে কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রের উপর ক্রিয়া করে আচ্ছন্ন করে। এর জন্য মানুষ নেশাগ্রস্থ হয়ে পড়ে। এর ফলে লিভার মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তাই এইসব পানীয় থেকে দূরে থাকা উচিত
৪.১০ অ্যাভোগ্যাড্রো সূত্রটি লেখো। শুষ্কবায়ুর চেয়ে আর্দ্রবায়ু হালকা হয় সাধারণ গাণিতিক হিসাব করে দেখাও। ১+২
Ans:- স্থির উষ্ণতা ও চাপে কোন গ্যাসের আয়তন গ্যাসটির মোল অণুসংখ্যার সঙ্গে সমানুপাতিক।
শুষ্ক বায়ুর চেয়ে আর্দ্র বায়ু হালকা হয়: স্থির উষ্ণতায় বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ বাড়লে বাতাসের ঘনত্ব হ্রাস পায়। এর কারণ, নিম্নলিখিতভাবে ব্যাখ্যা করা যায়। বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ বাড়লে একক আয়তনের বাতাসে নাইট্রোজেন ও অক্সিজেনের পরিমাণ কমে যায় কারণ জলীয়বাষ্প বাতাসে উপস্থিত গ্যাসগুলিকে প্রতিস্থাপিত করে। অক্সিজেনের আণবিক ভর = 16 × 2 = 32 u, নাইট্রোজেনের আণবিক ভর = 14 × 2= 28 u, এবং জলীয় বাষ্পের আণবিক ভর = (2+16) u = 18 u । সুতরাং জলীয়বাষ্প ও অক্সিজেন এবং নাইট্রোজেনের থেকে হালকা। তাই ফের উষ্ণতায় বাতাসে যত বেশি জলীয় বাষ্প অন্য গ্যসগুলিকে প্রতিস্থাপিত করে বাতাসের ঘনত্ব তত কমে। সুতরাং একই উষ্ণতায় শুষ্ক বায়ুর চেয়ে আর্দ্র বায়ু হালকা হয়।
৪.১১ একটি আবদ্ধ পাত্রে 1 গ্রাম ম্যাগনেসিয়াম, 0.5 গ্রাম অক্সিজেনের উপস্থিতিতে পোড়ানো হলে, কোন্ বিক্রিয়কটি উদ্বৃত্ত থাকবে? উদ্বৃত্ত বিক্রিয়কটির পরিমাণ নির্ণয় করো। [Mg 24, O = 16 ]
Ans:- ম্যাগনেসিয়াম (Mg) এবং অক্সিজেন (O2) এর মধ্যে বিক্রিয়াটি নিম্নরূপ:
2Mg + O2 → 2MgO
ম্যাগনেসিয়ামের পারমাণবিক ভর = 24 গ্রাম/মোল
অক্সিজেনের পারমাণবিক ভর = 16 গ্রাম/মোল
বিক্রিয়া অনুসারে, 2 মোল ম্যাগনেসিয়াম (2×24 = 48 গ্রাম) 1 মোল অক্সিজেন (2×16 = 32 গ্রাম) এর সাথে বিক্রিয়া করে।
প্রদত্ত তথ্যানুসারে, 1 গ্রাম ম্যাগনেসিয়াম এবং 0.5 গ্রাম অক্সিজেন উপস্থিত আছে।
ম্যাগনেসিয়ামের মোল সংখ্যা = 1 গ্রাম / 24 গ্রাম/মোল = 0.04167 মোল
অক্সিজেনের মোল সংখ্যা = 0.5 গ্রাম / 32 গ্রাম/মোল = 0.015625 মোল
বিক্রিয়ার সমীকরণ থেকে দেখা যায়, 2 মোল ম্যাগনেসিয়ামের জন্য 1 মোল অক্সিজেন প্রয়োজন।
তাই, 0.04167 মোল ম্যাগনেসিয়ামের জন্য প্রয়োজনীয় অক্সিজেনের মোল সংখ্যা = 0.04167 / 2 = 0.020835 মোল।
কিন্তু, আমাদের কাছে অক্সিজেনের মোল সংখ্যা 0.015625 মোল, যা 0.020835 মোলের চেয়ে কম।
তাই, অক্সিজেন লিমিটিং বিক্রিয়ক এবং ম্যাগনেসিয়াম উদ্বৃত্ত থাকবে।
এখন, 0.015625 মোল অক্সিজেনের সাথে বিক্রিয়া করার জন্য প্রয়োজনীয় ম্যাগনেসিয়ামের মোল সংখ্যা = 0.015625 x 2 = 0.03125 মোল।
ব্যবহৃত ম্যাগনেসিয়ামের ভর = 0.03125 মোল x 24 গ্রাম/মোল = 0.75 গ্রাম।
উদ্বৃত্ত ম্যাগনেসিয়ামের ভর = 1 গ্রাম – 0.75 গ্রাম = 0.25 গ্রাম।
সুতরাং, ম্যাগনেসিয়াম উদ্বৃত্ত থাকবে এবং উদ্বৃত্ত ম্যাগনেসিয়ামের পরিমাণ 0.25 গ্রাম।
অথবা
কত গ্রাম CaCO₃-এর সঙ্গে অতিরিক্ত লঘু HCI বিক্রিয়া করে 66 গ্রাম CO2 উৎপন্ন করবে? [ Ca = 40 , C = 12 Q = 16 ] ৩
Ans:- CaCO₃-এর সাথে অতিরিক্ত লঘু HCI-এর বিক্রিয়াটি হল:
CaCO₃ + 2HCl → CaCl₂ + CO₂ + H₂O
এই বিক্রিয়া থেকে দেখা যায় যে, 1 মোল CaCO₃ থেকে 1 মোল CO₂ উৎপন্ন হয়।
CaCO₃-এর আণবিক ভর = 40 + 12 + (3 × 16) = 100 গ্রাম/মোল
CO₂-এর আণবিক ভর = 12 + (2 × 16) = 44 গ্রাম/মোল
সুতরাং, 100 গ্রাম CaCO₃ থেকে 44 গ্রাম CO₂ উৎপন্ন হয়।
এখন, 44 গ্রাম CO₂ উৎপন্ন করতে প্রয়োজন 100 গ্রাম CaCO₃।
সুতরাং, 1 গ্রাম CO₂ উৎপন্ন করতে প্রয়োজন (100/44) গ্রাম CaCO₃।
সুতরাং, 66 গ্রাম CO₂ উৎপন্ন করতে প্রয়োজন (100/44) × 66 গ্রাম CaCO₃।
গণনা করে পাই, (100/44) × 66 = 150 গ্রাম।
অতএব, 150 গ্রাম CaCO₃-এর সাথে অতিরিক্ত লঘু HCI বিক্রিয়া করে 66 গ্রাম CO₂ উৎপন্ন করবে।
৪.১২ একটি রেল লাইনের পরপর দুই পাতের মধ্যে নির্দিষ্ট ব্যবধানে ফাঁক রাখা হয় কেন? দৈর্ঘ্য প্রসারণ গুণাঙ্ক (a), ক্ষেত্রপ্রসারণ গুণাঙ্ক (3) এবং আয়তন প্রসারণ গুণাঙ্ক (১)-এর মধ্যে সম্পর্কটি লেখো। ২+১
Ans:- রেললাইনের মাঝে মাঝে ফাঁক রাখা হয় কারণ তাপমাত্রার পরিবর্তনের কারণে রেললাইন প্রসারিত বা সংকুচিত হতে পারে। যদি রেললাইনের মাঝে ফাঁকা না রাখা হয়, তবে তাপমাত্রা বৃদ্ধির সময় রেললাইন প্রসারিত হয়ে বেঁকে যেতে পারে। তাপমাত্রার পরিবর্তনের কারণে বস্তু প্রসারিত বা সংকুচিত হয়।
অথবা
10⁰ C তাপমাত্রায় একটি লোহার রডের দৈর্ঘ্য 20 সেমি হলে, 110⁰ C তাপমাত্রায় রডটির দৈর্ঘ্য কত হবে নির্ণয় করো। (লোহার আয়তন প্রসারণ গুণাঙ্ক =36×10°C] ৩
Ans:- ধরি,
লোহার রডের প্রাথমিক দৈর্ঘ্য l1 = 20 সেমি
প্রাথমিক তাপমাত্রা t1 = 10⁰ C
চূড়ান্ত তাপমাত্রা t2 = 110⁰ C
তাপমাত্রার পরিবর্তন Δt = t2 – t1 = 110 – 10 = 100⁰ C
লোহার আয়তন প্রসারণ গুণাঙ্ক γ = 36×10⁻⁶/⁰C
লোহার দৈর্ঘ্য প্রসারণ গুণাঙ্ক α = γ/3 = 12×10⁻⁶/⁰C
চূড়ান্ত দৈর্ঘ্য l2 = ?
আমরা জানি,
l2 = l1 (1 + αΔt)
= 20 [1 + (12×10⁻⁶)×100]
= 20 [1 + 0.0012]
= 20 [1.0012]
= 20.024 সেমি
সুতরাং, 110⁰ C তাপমাত্রায় রডটির দৈর্ঘ্য হবে 20.024 সেমি।
(বিভাগ -ঙ)
(কেবল বহিরাগত পরীক্ষার্থীদের জন্য) ১×৪=৪
৫। নিম্নলিখিত প্রশ্নগুলির উত্তর দাও (যে কোনো চারটি):
3 ৫.১ রোধাঙ্কের S.I. এককটি লেখো।
Ans:- ওহমমিটার ।
৫.২ S.T.P. তে এক মোল অক্সিজেন গ্যাসের আয়তন কত?
Ans:- 22.4 লিটার।
৫.৩ তেজস্ক্রিয় রশ্মিগুলির মধ্যে কোনটি তড়িৎচুম্বকীয় তরঙ্গ?
Ans:- গামা রশ্মি।
৫.৪ ফল পাকাতে যে গ্যাসীয় হাইড্রোকার্বনটি ব্যবহৃত হয় তার নাম লেখো।
Ans:- ইথিলিন।
৫.৫ অতিবেগুনি রশ্মির একটি ক্ষতিকারক প্রভাব লেখো।
Ans:- অতিবেগুনি রশ্মির প্রভাবে চামড়ায় ক্যানসার হতে পারে।
৬। নিম্নলিখিত প্রশ্নগুলির উত্তর দাও (যে কোনো তিনটি): ২x৩=৬
৬.১ বিপদ সংকেতের জন্য লাল আলো ব্যবহার করা হয় কেন?
Ans:- লাল আলোর তরঙ্গ দৈর্ঘ্য অনেক বেশি। ফলে অনেক দূর থেকে লাল আলো দেখা যায় । তাই বিপদ সংকেত হিসেবে লাল আলো ব্যবহার করা হয়।
৬.২ H2S-এর বিজারণ ধর্মের একটি উদাহরণ দাও।
Ans:- লঘু সালফিউরিক অ্যাসিড মিশ্রিত কমলা বর্ণের পটাশিয়াম ডাইক্রোমেট দ্রবণে হাইড্রোজেন সালফাইড গ্যাস পাঠালে পটাশিয়াম সালফেট, সবুজ রঙের ক্রমিক সালফেট এবং জল উৎপন্ন হয় এবং হলুদ রঙের সালফার সালফার অধক্ষিপ্ত হয়। এই বিক্রিয়ায় হাইড্রোজেন সালফাইড পটাশিয়াম ডাইক্রোমেটকে ক্রমিক সালফেট এর বিজারিত করে এবং নিজে সালফার জারিত হয়।
K2Cr2O7 + 4 H2SO4 + 3H2S = K2SO4 + Cr2(SO4)3 + 7H2O + 3S
৬.৩ CH3COOH একটি জৈব যৌগ কিন্তু NaHCO3 জৈব যৌগ নয় কেন কারণ লেখো।
Ans:- CH3COOH একটি অ্যাসিড, এর মধ্যে কার্বন, হাইড্রোজেন এবং অক্সিজেন আছে। এই যৌগে কার্বন এবং হাইড্রোজেন সরাসরি যুক্ত রয়েছে। তাই এটি জৈব যৌগ।
অন্যদিকে, NaHCO3 একটি লবণ, যেখানে সোডিয়াম, হাইড্রোজেন, কার্বন এবং অক্সিজেন রয়েছে। কিন্তু এতে কার্বন এবং হাইড্রোজেনের মধ্যে সরাসরি বন্ধন নেই, বরং সোডিয়াম এবং কার্বনেটের মধ্যে আয়নিক বন্ধন রয়েছে। তাই এটি একটি অজৈব যৌগ।
৬.৪ ফ্লেমিং-এর বামহস্ত নিয়মটি লেখো।
Ans:- ফ্লেমিং এর বামহস্ত নিয়ম: বামহস্তের বৃদ্ধাঙ্গুলি, মধ্যমা এবং তর্জনীকে পরস্পরের সঙ্গে সমকোণে রেখে প্রসারিত করলে যদি তর্জনী চৌম্বক ক্ষেত্রের দিক এবং মধ্যমা তড়িৎ প্রবাহের দিক নির্দেশ করে, তবে বৃদ্ধাঙ্গুলী পরিবাহীর গতির অভিমুখ নির্দেশ করবে।
আমাদের পোস্টের গুরুত্বপূর্ণ আপডেট পেতে আমাদের Facebook Page ফলো করুন এবং Telegram Channel ও Whatsapp Channel জয়েন করুন।
Latest Posts:-
- অণুজীবের জগৎ- অষ্টম শ্রেণীর পরিবেশ বিজ্ঞান প্রশ্নউত্তর | Class 8 Poribesh Bigyan Chapter 7
- কয়েকটি গ্যাসের পরিচিতি-অষ্টম শ্রেণীর পরিবেশ বিজ্ঞান | Class 8 Poribesh O Bigyan Chapter 3
- উত্তরসহ মাধ্যমিক ২০২৫ ভৌত বিজ্ঞান প্রশ্নপত্র | 2025 Madhyamik physical Science Solved paper
- মানুষের খাদ্য (পঞ্চম অধ্যায়): সপ্তম শ্রেণীর পরিবেশ ও বিজ্ঞান প্রশ্ম উত্তর | Class 7 Poribesh O Bigyan Chapter 5
- দশম শ্রেণীর ভৌত বিজ্ঞান প্রশ্নউত্তর | Class 10 Physical Science Question Answer