পরিবেশবান্ধব শক্তি (Class 7 Poribesh Bigyan chapter 1.5)
পরিবেশবান্ধব শক্তি- সপ্তম শ্রেণীর পরিবেশ বিজ্ঞান অধ্যায় ১.৫ (Class 7 Poribesh Bigyan chapter 1.5) থেকে সমস্ত রকম গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্মউত্তর দেওয়া হলো। সপ্তম শ্রেণীতে পাঠরত ছাত্র-ছাত্রীরা তাদের পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য এই প্রশ্মউত্তর গুলি প্র্যাকটিস করে নিতে পারে।
পরিবেশবান্ধব শক্তি অধ্যায়- সঠিক উত্তর নির্বাচন করে লেখ। (Class 7 Poribesh Bigyan chapter 1.5)
(1) যেটি জীবাশ্ম জ্বালানি নয়, সেটি হল- কয়লা / পেট্রোল / ডিজেল / গোবর গ্যাস।
উঃ – গোবর গ্যাস।
(2) যেটি পরিবেশবান্ধব শক্তির উৎস নয়’ সেটি হল- সূর্য / বায়ু প্রবাহ / জীবাশ্ম জ্বালানি / জৈব গ্যাস।
উঃ – জীবাশ্ম জ্বালানি।
(3) প্রদত্ত বিকল্পগুলির মধ্যে কোনটি জীবাশ্ম জ্বালানি- বায়ু শক্তি / সৌরশক্তি / পেট্রোলিয়াম / পারমাণবিক শক্তি।
উঃ – পেট্রোলিয়াম।
(4) অপ্রচলিত শক্তির উৎস হল- কয়লা / প্রাকৃতিক গ্যাস / সৌরশক্তি / কেরোসিন।
উঃ – সৌরশক্তি।
(5) প্রদত্ত কোনটি অপ্রচলিত শক্তির উদাহরণ- রাসায়নিক শক্তি / জোয়ার ভাটার শক্তি / শব্দ শক্তি / তড়িৎ শক্তি।
উঃ – জোয়ার ভাটার শক্তি।
(6) জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে পাওয়া যায় না- পেট্রোল / ডিজেল / গোবর গ্যাস / আলকাতরা।
উঃ – গোবর গ্যাস।
(7) পরিবেশ বান্ধব শক্তি হলো- বায়ু শক্তি / খনিজ তেল / প্রাকৃতিক গ্যাস / কয়লা।
উঃ – বায়ু শক্তি।
(8) পরিবেশ বান্ধব শক্তির উৎস হল- কয়লা / পেট্রোল / সৌরশক্তি / ডিজেল।
উঃ – সৌরশক্তি।
(9) একটি প্রচলিত শক্তির উৎস হল- সৌরশক্তি / কয়লা / জৈবশক্তি / জোয়ার ভাটা শক্তি।
উঃ – কয়লা।
তড়িৎ- সপ্তম শ্রেণীর পরিবেশ বিজ্ঞান প্রশ্নউত্তর | Class 7 Poribesh Bigyan chapter 1
পরিবেশবান্ধব শক্তি অধ্যায়- নিচের প্রশ্নগুলির সংক্ষিপ্ত উত্তর দাও। (Class 7 Poribesh Bigyan chapter 1.5)
(1) পরিবেশবান্ধব শক্তির প্রয়োজনীয়তা কি? শক্তির চাহিদা দিনে দিনে বেড়ে চলেছে এর প্রধান তিনটি কারণ লেখ।
উঃ – পরিবেশবান্ধব শক্তির প্রয়োজনীয়তা হল, এটি পরিবেশের উপর ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে না এবং পরিবেশ সংরক্ষণে সাহায্য করে। এটি দূষণ কমায়, জীবাশ্ম জ্বালানির উপর নির্ভরতা হ্রাস করে এবং নবায়নযোগ্য শক্তির ব্যবহার বৃদ্ধি করে।
শক্তির চাহিদা বাড়ার তিনটি কারণ হল- জনসংখ্যা বৃদ্ধি, শিল্প-কারখানা, প্রযুক্তিগত উন্নয়ন।
(2) একটি তরল জীবাশ্ম জ্বালানির উদাহরণ দাও।
উঃ – একটি তরল জীবাশ্ম জ্বালানি হল পেট্রোল।
(3) বায়ু শক্তি কি? এর একটি সুবিধা লেখ।
বায়ুপ্রবাহের শক্তিকে কাজে লাগিয়ে বিদ্যুৎ শক্তি উৎপন্ন করা হয়, একেই বায়ু শক্তি বলে। বায়ুর কোনো অভাব নেই, একবার বায়ুকল বসালে দীর্ঘদিন চলবে।
(4) সৌরশক্তি ব্যবহারের একটি সুবিধা ও একটি অসুবিধা লেখ।
উঃ – সৌরশক্তি ব্যবহারের একটি সুবিধা হলো এটি একটি পুনর্নবীকরনযোগ্য এবং পরিবেশ-বান্ধব শক্তির উৎস, যা পরিবেশ দূষণ কমায়। অন্যদিকে, একটি অসুবিধা হলো সৌর প্যানেলের প্রাথমিক খরচ বেশি এবং এটি আবহাওয়ার উপর নির্ভরশীল।
(5) অপ্রচলিত শক্তির উৎস বলতে কী বোঝায়? উদাহরণ দাও।
উঃ – অপ্রচলিত শক্তি (Non-conventional Energy) বলতে সেই শক্তিকে বোঝায় যা প্রাকৃতিকভাবে পুনর্নবীকরণযোগ্য এবং প্রচলিত শক্তির তুলনায় পরিবেশের উপর কম প্রভাব ফেলে। যেমন জোয়ার ভাটা শক্তি, বায়ু শক্তি, জৈব শক্তি।
(6) পরিবেশবান্ধব শক্তি বলতে কী বোঝায়? আমাদের পরিবেশ বান্ধব শক্তির ব্যবহার বাড়ানো উচিত কেন?
উঃ – পরিবেশবান্ধব শক্তি বলতে এমন শক্তিকে বোঝায় যা পরিবেশের কোন ক্ষতি করে না বরং পরিবেশকে বিভিন্ন ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করে। জীবাশ্ম জ্বালানি যেমন কয়লা, পেট্রোল, ডিজেল প্রভৃতি ব্যবহারের ফলে পরিবেশ দূষণ প্রচুর পরিমাণে বেড়ে যায়। কিন্তু বিভিন্ন পরিবেশবান্ধব শক্তি যেমন সৌরশক্তি, জোয়ার ভাটা শক্তি, বায়ু শক্তি প্রভৃতির ব্যবহারে পরিবেশ দূষণ অপেক্ষাকৃত কম হয়, যার ফলে পরিবেশ আমাদের বসবাসের উপযুক্ত থাকে।
(7) দুটি পরিবেশ বান্ধব শক্তির নাম লেখ। ও তাদের ব্যবহার লেখ।
উঃ- বায়ু শক্তি – বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হয়। জৈব শক্তি- রান্নার কাজে ব্যবহার করা হয়।
(8) সৌরশক্তি জীবদেহে কি রূপে আবদ্ধ থাকে?
উঃ – সৌরশক্তি জীবদেহে শক্তি রূপে আবদ্ধ থাকে।
(9) কোন জীবাশ্ম জ্বালানি ব্যবহার করে তাপবিদ্যুৎ উৎপন্ন করা হয়? এর বিকল্প একটি শক্তির উৎসের নাম লেখ।
উঃ – কয়লা ব্যবহার করে তাপবিদ্যুৎ উৎপন্ন করা হয়। একটি বিকল্প শক্তির উৎস হল সৌরশক্তি।
(10) পরিবেশবান্ধব শক্তি হিসেবে বায়ু শক্তি ব্যবহারের সুবিধা গুলি কি কি?
উঃ – পরিবেশবান্ধব শক্তি হিসেবে বায়ু শক্তি ব্যবহারের সুবিধা-
- বায়ুর কোন অভাব নেই।
- একবার বায়ুকল বসালে দীর্ঘদিন চলবে।
- যে সমস্ত জায়গায় দূর থেকে তার সংযোগ করে বিদ্যুৎ আনা সম্ভব নয় সেখানে বায়ু শক্তির ওপর নির্ভর করা যেতে পারে।
- বায়ু প্রবাহ শক্তি ব্যবহারের ফলে পরিবেশ দূষণ কম হয়।
(11) জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার কমানো দরকার কেন?
উঃ – পৃথিবীতে দিন দিন জীবাশ্ম জ্বালানির পরিমাণ কমে আসছে। এখনকার মতই যদি জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার চলতে থাকে তাহলে হয়তো আর ৪০ থেকে ৫০ বছর চলবে অবশেষে জ্বালানি দিয়ে। তারপর জীবাশ্ম জ্বালানি ফুরিয়ে যাবে। আর জীবাশ্ম জ্বালানি তৈরি হতে কোটি কোটি বছর সময় লাগে। তাই জীবাশ্ম জ্বালানি ব্যবহার কমানো দরকার।
(12) একটি অপ্রচলিত শক্তি ও একটি জীবাশ্ম জ্বালানোর উদাহরণ দাও।
উঃ – একটি অপ্রচলিত শক্তির উদাহরণ হল জোয়ার ভাটা শক্তি। আর একটা জীবাশ্ম জ্বালানির উদাহরণ হল পেট্রোলিয়াম।
(13) সৌরশক্তি ব্যবহারের দুটি সুবিধা লেখ। দুটি প্রচলিত শক্তির উৎস উল্লেখ্য করো।
উঃ – সৌরশক্তি ব্যবহারের দুটি সুবিধা-
(১) সৌরশক্তি ফুরিয়ে যাওয়ার কোন সম্ভাবনা থাকে না। (২) সৌরশক্তির ব্যবহারে পরিবেশ দূষণ কম হয়।
দুটি প্রচলিত শক্তির উৎস হল জীবাশ্ম জ্বালানি ও প্রাকৃতিক গ্যাস।
(14) কোথায় প্রথম পেট্রোলিয়াম উৎপাদন শুরু হয়?
উঃ – আমেরিকা মহাদেশে, ১৮৫৯ সালে।
আমাদের পোস্টের গুরুত্বপূর্ণ আপডেট পেতে আমাদের Facebook Page ফলো করুন এবং Telegram Channel ও Whatsapp Channel জয়েন করুন।
Latest Posts:
- অন্তঃক্ষরা গ্রন্থি ও বয়ঃসন্ধি (নবম অধ্যায়)-অষ্টম শ্রেণীর পরিবেশ বিজ্ঞান প্রশ্ন উত্তর | Class 8 Poribesh Bigyan Chapter 9
- ANM GNM Exam 2025: অনলাইন আবেদন, যোগ্যতা, শেষ তারিখ
- p-Block Elements MCQ | ক্লাস 11 রসায়ন প্রশ্ম-উত্তর
- s-Block Elements MCQ | s-ব্লক মৌলসমূহ | একাদশ শ্রেণী | রসায়ন
- WB NMMSE Scholarship 2025 | স্কলারশিপ ১২০০০ টাকা! আবেদন পদ্ধতি, ডকুমেন্টস, সিলেবাস