Class 7 Science Chapter 8: সপ্তম শ্রেণীর পরিবেশ বিজ্ঞান বিষয়ের অষ্টম অধ্যায় ‘পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্য’ (Class 7 Science Chapter 8) থেকে সমস্ত রকম গুরুত্বপূর্ণ বহু বিকল্প ভিত্তিক প্রশ্ন অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন এবং সংক্ষিপ্ত উত্তর ধর্মীয় প্রশ্ন দেওয়া হল। যে সমস্ত ছাত্র-ছাত্রী সপ্তম শ্রেণীতে পাঠরত তারা তাদের পরীক্ষা প্রস্তুতির জন্য পরিবেশ বিজ্ঞান বিষয়ের অষ্টম অধ্যায়ের (Class 7 Poribesh Bigyan Chapter 8) এই গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন উত্তর গুলো প্র্যাকটিস করে নিতে পারো। এই গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নগুলির বিভিন্ন প্রশ্ন বিচিত্রা থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে
পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্য- সপ্তম শ্রেণীর পরিবেশ বিজ্ঞান (Class 7 Science Chapter 8)
সঠিক উত্তর নির্বাচন করে লেখ।
(1) প্রদত্ত কোনটি সংক্রামক রোগ?
(a) অ্যানিমিয়া (b) ডায়বেটিস (c) উচ্চ রক্তচাপ (d) যক্ষ্মা
উঃ – (d) যক্ষ্মা।
(2) কালাজ্বরের বাহক হল-
(a) মশা (b) ইঁদুর (c) কালো মাছি (d) বালি মাছি।
উঃ – (d) বালি মাছি।
(3) একটি ভাইরাস ঘটিত রোগ হলো-
(a) পোলিও (b) কলেরা (c) টাইফয়েড (d) ম্যালেরিয়া।
উঃ – (a) পোলিও।
(4) চিকুনগুনিয়া রোগ ছড়ায়-
(a) বালি মাছি (b) এডিস মশা (c) কালো মাছি (d) কিউলেক্স মশা।
উঃ – (b) এডিস মশা।
(5) ‘ব্ল্যাক ডেথ’ নামে পরিচিত রোগটি হল-
(a) যক্ষ্মা (b) বসন্ত (c) প্লেগ (d) ডায়ারিয়া।
উঃ – (c) প্লেগ।
(6) ফাইলেরিয়া রোগ ছড়ায় কোন মশা?
(a) অ্যানোফিলিস (b) এডিস (c) কিউলেক্স (d) ইজিপ্টি
উঃ – (c) কিউলেক্স।
(7) প্রদত্ত কোন রোগটি মাছি ছড়ায়-
(a) ডেঙ্গু (b) চিকুনগুনিয়া (c) প্লেগ (d) ডায়ারিয়া।
উঃ – (d) ডায়ারিয়া।
(8) মশার লার্ভা খায় এমন মাছ হল-
(a) রুই (b) কাতলা (c) ভেটকি (d) তেচোখা।
উঃ – (d) তেচোখা।
(9) মানসিক অসুস্থতার লক্ষণ হল-
(a) কলেরা (b) ডিপ্রেশন (c) প্লেগ (d) টাইফয়েড
উঃ – (b) ডিপ্রেশন।
(10) পৃথিবীর বুক থেকে হারিয়ে যেতে পারে-
(a) গঙ্গার শুশুক (b) ছাগল (c) ময়ূর (d) মশা
উঃ – (a) গঙ্গার শুশুক।
(11) ভেজাল সর্ষের তেল খেলে যে রোগ হয় তা হল-
(a) পোলিও (b) ড্রপসি (c) মিনামাটা (d) প্লেগ
উঃ – (b) ড্রপসি।
(12) মিনামাটা রোগের জন্য দায়ী ধাতু হল-
(a) অ্যালুমিনিয়াম (b) পারদ (c) তামা (d) লোহা
উঃ – (b) পারদ।
(13) কলেরা কি ঘটিত রোগ?
(a) ব্যাকটেরিয়া (b) ভাইরাস (c) আদ্যপ্রাণী (d) ছত্রাক।
উঃ – (a) ব্যাকটেরিয়া।
(14) কালাজ্বর রোগের বাহক পতঙ্গের নাম কি?
(a) সাধারণ মাছি (b) রেট ফ্লি (c) বালি মাছি (d) কালো মাছি।
উঃ – (c) বালি মাছি।
(15) ব্ল্যাক ফুট রোগের কারণ হল-
(a) পারদ (b) ফ্লুওরাইড (c) আর্সেনিক (d) তেজস্ক্রিয় পদার্থ।
উঃ – (c) আর্সেনিক।
(16) একটি জলবাহিত রোগ হল-
(a) যক্ষ্মা (b) সর্দি কাশি (c) পোলিও (d) ক্যান্সার
উঃ – (c) পোলিও।
(17) যারা চা পাতা তোলার কাজ করেন তাদের যে রোগটি বেশি হয় তা হল-
(a) বমি বমি ভাব (b) বেশি খিদে পাওয়া (c) দৃষ্টিশক্তি কমে যাওয়া (d) আঙুলের ডগায় পচন
উঃ – (d) আঙুলের ডগায় পচন ।
(18) পড়া বুঝতে আর লিখতে অসুবিধা হওয়া কোন রোগের লক্ষণ?
(a) অটিজম (b) মানসিক প্রতিবন্ধকতা (c) ডিসলেক্সিয়া (d) সবগুলোই
উঃ – (c) ডিসলেক্সিয়া।
(19) মানসিক অবসাদ বা ডিপ্রেশনের একটি লক্ষণ হল-
(a) পড়াশোনায় পিছিয়ে পড়া (b) ক্রমাগত উদ্বেগে ভোগা (c) সমাজে মানিয়ে চলতে না পাড়া (d) মন খারাপ করে একা একা বসে থাকা
উঃ – (d) মন খারাপ করে একা একা বসে থাকা
(20) সাধারণ মাছি ছড়ায় এমন একটি রোগ হল-
(a) কালাজ্বর (b) অঙ্কসারকিয়াসিস (c) টাইফয়েড (d) চিকুনগুনিয়া
উঃ – (c) টাইফয়েড।
(21) ইনফ্লুয়েঞ্জা হল একটি –
(a) বায়ুবাহিত রোগ (b) মশাবাহিত রোগ (c) মাছিবাহিত রোগ (d) জলবাহিত রোগ
উঃ – (a) বায়ুবাহিত রোগ।
(22) বালি মাছি বাহিত একটি রোগের নাম হল-
(a) কালাজ্বর (b) টাইফয়েড (c) ডায়ারিয়া (d) চিকুনগুনিয়া
উঃ – (a) কালাজ্বর।
(23) পোলিও রোগের জন্য দায়ী জীবাণুটির নাম হল-
(a) ব্যাকটেরিয়া (b) ভাইরাস (c) ছত্রাক (d) প্রোটোজোয়া
উঃ – (b) ভাইরাস।
(24) WHO এর হেডকোয়ার্টার কোথায় অবস্থিত?
(a) কলকাতায় (b) আমেরিকায় (c) রাশিয়ায় (d) সুইজারল্যান্ডে
উঃ – (d) সুইজারল্যান্ডে।
(25) যক্ষা রোগ সৃষ্টিকারী জীবাণুটি হল-
(a) ব্যাকটেরিয়া (b) ভাইরাস (c) ছত্রাক (d) আদ্যপ্রাণী
উঃ – (a) ব্যাকটেরিয়া।
(26) যে মাছ মশার লার্ভা ভক্ষণ করে মশার বংশবৃদ্ধি প্রতিরোধ করে তা হল-
(a) তেচোখা (b) পাবদা (c) কই (d) ভোলা
উঃ – (a) তেচোখা।
(27) ভেজাল সর্ষের তেল খেলে যে রোগটি হয় সেটি হল-
(a) ল্যাথারিজম (b) ক্যান্সার (c) ড্রপসি (d) পোলিও
উঃ – (c) ড্রপসি
আরও দেখুনঃ সপ্তম শ্রেণীর পরিবেশ বিজ্ঞান বিষয়ের সমস্ত অধ্যায়ের প্রশ্ম-উত্তর পেতে এখানে ক্লিক করুন।
অতি সংক্ষিপ্ত উত্তর দাও। (Class 7 Science Chapter 8)
(1) WHO এর পুরো নাম লেখো।
উঃ – World Health Organization
(2) UNICEF এর পুরো নাম লেখো।
উঃ – United Nations International Children’s Emergency Fund
(3) কোন রোগ ‘বিসূচিকা’ নামে পরিচিত?
উঃ – কলেরা।
(4) এমন একটি ছত্রাকের নাম লেখ যা খাবারে বাসা বাঁধে?
উঃ – পেনিসিলিয়াম।
(5) অ্যালার্জি সৃষ্টিকারী পদার্থকে ____ বলে।
উঃ – অ্যালার্জেন।
(6) ____ নামে একসময় পরিচিত ছিল যক্ষা রোগ।
উঃ – হোয়াইট ডেথ।
(7) ম্যালেরিয়া রোগের জীবাণুর নাম লেখ।
উঃ – Plasmodium vivax
(8) কোন রোগকে ‘ব্লাক ডেথ’ বলা হয়?
উঃ – প্লেগ।
(9) ভেজাল সরষের তেল খেলে কোন রোগ হয়?
উঃ – ড্রপসি রোগ।
(10) যেসব বস্তু দেহে অ্যালার্জি সৃষ্টি করে তাদের কি বলে?
উঃ – অ্যালার্জেন।
(11) ছত্রাকরা সাধারণত কোন জাতীয় খাবারে বেশি জন্মায়?
উঃ – কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবারে।
(12) ডেঙ্গি রোগ ছড়ায় ____ মশা।
উঃ – এডিস।
(13) পোলিও রোগ ছড়ায় ____ প্রকৃতির জীবাণু।
উঃ – ভাইরাস।
(14) রোগাক্রান্ত বিভিন্ন অঙ্গের ছবি তুলতে ____ রশ্মি ব্যবহার করা হয়।
উঃ – এক্স রশ্মি।
(15) জলে ____ নামক রাসায়নিক পদার্থ মিশ্রিত থাকার জন্য ব্ল্যাক ফুড ডিজিজ হয়।
উঃ – আর্সেনিক।
(16) ____ রোগে থুতুর সঙ্গে রক্ত পড়ে।
উঃ – যক্ষ্মা।
(17) পুরুষ মশার প্রোবোসিসটি ____।
উঃ – ভোঁতা।
(18) পাস্তুরাইজেশন পদ্ধতি কে আবিষ্কার করেন?
উঃ – লুইপাস্তুর।
(19) কলেরা ও টাইফয়েড একটি ____ বাহিত রোগ।
উঃ – জল।
(20) H5N1 কী?
উঃ – পাখিদের একধরনের ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাস।
(21) পুরুষ মশা রক্ত পান করতে পারে না কেন?
উঃ – পুরুষ মশার প্রোবোসিসটি ভোঁতা হয়।
(22) স্যার রোনাল্ড রস কিসের জন্য নোবেল পুরস্কার পান?
উঃ – ১৮৯৭ সালের ২০ আগস্ট সেকেন্দ্রাবাদে স্ত্রী এনোফিলিস মশার পাকস্থলীতে ম্যালেরিয়া জীবাণুর সন্ধান পান।
(23) বালি মাছি ____ রোগের জীবাণু ছড়ায়।
উঃ – কালাজ্বর।
(24) যে বস্তু দেহে অ্যালার্জি সৃষ্টি করে, তাদের ____ বলে।
উঃ – অ্যালার্জেন।
(25) মশা ____ নামক মুখ উপাঙ্গের মাধ্যমে চামড়া ফুটো করে।
উঃ – প্রোবিসিস।
(26) শুধুমাত্র টিকাকরণের মাধ্যমে ১৯৭৭ সালের মধ্যে পৃথিবীর বুক থেকে ____ নামক মারণ রোগকে পুরোপুরি নির্মূল করা সম্ভব হয়েছিল।
উঃ – গুটি বসন্ত (Small Pox)
(27) অড়োহড় ডালের সঙ্গে কোন কম দামি ডাল মেশানো হয়?
উঃ – খেসারির ডাল।
সংক্ষিপ্ত উত্তর দাও। (Class 7 Science Chapter 8)
(1) দুটি তেজস্ক্রিয় পদার্থের নাম লেখ।
উঃ – ইউরেনিয়াম, প্লুটোনিয়াম।
(2) মশা নিয়ন্ত্রণের উপায় গুলি লেখ।
উঃ – মশা নিয়ন্ত্রণের উপায়- (১) চৌবাচ্চা, বালতি, ফুলদানি ইত্যাদি জায়গার জল 2-3 দিন অন্তর পাল্টাতে হবে। (২) মশার লার্ভা খাই এমন মাছ (যেমন শোল, ল্যাটা) জমা জলে ছাড়তে হবে। (৩) নালা নর্দমার বন্ধ নোংরা জলে পোড়া মোবিল, কেরোসিন, ডিজেল ছড়িয়ে দেওয়া যেতে পারে। এমনকি ব্লিচিং পাউডারও ছড়িয়ে দেওয়া যেতে পারে।
(3) এডিস মশা চেনার উপায় গুলি লেখ।
উঃ – এডিস মশা চেনার উপায়- (১) পেটে আর পায়ে সাদাকালো ডোরা থাকে। (২) বিশ্রামের সময় সমতলের সঙ্গে প্রায় সমান্তরাল ভাবে বসে। (৩) ওর বার সময় ডানায় শব্দ হয় না। (৪) দিনের বেলায় বাইরে বের হয়। (৫) পরিষ্কার জলে ডিম পারে।
(4) কলেরা রোগের লক্ষণ গুলি লেখ। কলেরা রোগের প্রতিকার।
উঃ – কলেরা রোগের লক্ষণ গুলি হল- (১) বারে বারে পাতলা জলের মতো মলত্যাগ; মলের রং চাল ধোয়া জলের মতো। (২) বমি। (৩) হাত ও পায়ে সূচ ফোটানোর মতো অনুভূতি।
কলেরা রোগের প্রতিকার:- (১) জল পান করে শরীর থেকে বেরিয়ে যাওয়া জলের ঘাটতি পূরণ করা। ORS (Oral Rehydration Solution) পান করানো। (২) বিশুদ্ধ বা ফোটানো জল পান করা।
(5) ল্যাথিরিজম কী এবং কেন হয়?
উঃ – অনেক সময় অড়হর ডালের সঙ্গে খেসারির ডাল (Lathyrus sativus) মিশিয়ে দেওয়া হয় বা বেসনের সঙ্গে খেসারির ডাল গুঁড়ো করে মেশানো হয়। অন্যান্য ডালের চেয়ে খেসারির ডালের দাম অনেকটাই কম। একটানা দু-তিন মাস ধরে যথেষ্ট পরিমাণে এই ডাল খেলে পায়ে আস্তে আস্তে পক্ষাঘাত দেখা দিতে পারে (progressive spastic paralysis)। এটাই ল্যাথারিজম। বাংলাদেশ ভারতবর্ষ এবং আফগানিস্তানে এই রোগের আত্মপ্রকাশ ঘটেছে।
(6) সাধারণ মাছি কিভাবে রোগ ছড়ায়?
উঃ – সাধারণ মাঝে তিন ভাবে রোগ ছড়ায়।
(১) সাধারণ মাছি যখন মল, মূত্র, পুঁজ, থুতু ইত্যাদি জিনিসে বসে, তখন ওইসব জিনিসের ছোটো ছোটো কণা মাছির পায়ে, শুঁড়ে লেগে যায়। ওই কণাগুলির ভেতরে থাকে অসংখ্য রোগজীবাণু। ওই মাছি যখন রান্না করা খাবার, মিষ্টি, কাটা ফল ইত্যাদির ওপর বসে তখন রোগজীবাণু ওই খাবারে মিশে যায় আর রোগ সংক্রমণ ঘটায়।
(২) মল, পুঁজ, থুতু ইত্যাদি জিনিসে থাকা রোগজীবাণুগুলো সাধারণ মাছির পৌষ্টিকতন্ত্রে এসে জমে। মাছি আবার কঠিন খাবার খেতে পারে না। তাই মাছি কঠিন খাবারের ওপরে বমি করে। ফলে খাবারের কিছু অংশ তরল হয় আর মাছি তার প্রোবোসিসের সাহায্যে ওই খাবার গ্রহণ করে। ওই বমির সঙ্গে মাছির দেহের রোগজীবাণু আমাদের খাবারে এসে মিশে সংক্রমণ ঘটায়।
(৩) সাধারণ মাছি সারাদিন ধরে প্রায় 5 মিনিট অন্তর অন্তর যেখানে বসে, সেখানে মলত্যাগ করে। মাছির মলেও অনেক জীবাণু থাকে। আমাদের খাবারের ওপরে মাছি মলত্যাগ করলে ওইসব রোগজীবাণু আমাদের খাবারে এসে মেশে।
(7) মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখতে আমাদের কি করা দরকার?
উঃ – মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখতে আমাদের যা যা করা দরকার।
1. ব্যবহারিক পরিবর্তন (কু-অভ্যাস শনাক্তকরণ ও দূরীকরণ)
2. মনোবল বৃদ্ধি (কোনো কুঅভ্যাস ছাড়ার জন্য মনের জোরকে বাড়িয়ে তোলা)
3. মনের কথা খুলে বলা।
4. বিতর্কিত ব্যাপারে খোলাখুলি আলোচনা করা।
5. ধ্যান ও একাগ্রতা বৃদ্ধি।
6. পাঠক্রম-বহির্ভূত ব্যাপারে চর্চা ছবি আঁকা, গান, খেলাধুলা ইত্যাদি।
(8) অ্যানোফিলিস ও কিউলেক্স মশার তিনটি পার্থক্য লেখ।
উঃ – অ্যানোফিলিস:
(১) ডানায় কালো ছোপ থাকে।
(২) বিশ্রামের সময় সমতলের সঙ্গে সূক্ষ্মকোণ করে বসে।
(৩) ওড়বার সময় ডানায় শব্দ হয়।
(৪) সন্ধ্যার সময় বাইরে বেরোয়।
(৫) পরিষ্কার জলে ডিম পাড়ে।
(৬) এরা ম্যালেরিয়া রোগ ছড়ায়।
কিউলেক্স:
(১) ডানায় কোনো ছোপ থাকে না।
(২) বিশ্রামের সময় সমতলের সঙ্গে সমান্তরালভাবে বসে।
(৩) ওরবার সময় ডানায় শব্দ হয় না।
(৪) রাত্রে বাইরে বের হয়।
(৫) এরা নোংরা ও ময়লা জলে ডিম পাড়ে।
(৬) এরা ফাইলেরিয়া রোগ ছড়ায়।
(9) প্লেগ রোগের বাহকের নাম লেখো। প্লেগ রোগ কিভাবে সংক্রমিত হয় লখো।
উঃ – প্লেগ রোগের বাহকের নাম ইঁদুর। প্লেগ রোগের জীবাণুগুলো খুব তাড়াতাড়ি সংখ্যায় বেড়ে ইঁদুরের উকুনের (Rat flea) পাকস্থলীর রাস্তা বন্ধ করে দেয়। ফলে উকুনটা অনাহারে, খিদের জ্বালায় থাকে সামনে পায়, তাকেই কামড়ায়। আর সেই ক্ষতস্থানে প্লেগের জীবাণু বমি করে দেয়। সেই ক্ষতস্থান থেকে প্লেগের সংক্রমণ ঘটে। ইঁদুরের উকুন ইঁদুরকে কামড়ালে ইঁদুরে, আর মানুষকে কামড়ালে মানুষে প্লেগের সংক্রমণ হয়। বস্তাবন্দি চাল, গম, আলুর সঙ্গে প্লেগের মেঠো ইঁদুর গ্রাম থেকে পৌঁছোয় শহরে। আর বন্দর থেকে জাহাজে করে দূরদূরান্তের দেশে পাড়ি দেয়। আর ইঁদুরের এই দেশ থেকে দেশান্তরে পাড়ি দেওয়ার পথ ধরেই ছড়িয়েছে প্লেগ।
(10) মশার মুখ উপাঙ্গের চিত্র অঙ্কন করে চিহ্নিত করো।
উঃ –

(11) জৈব বাহক কাকে বলে? উদাহরণ দাও। যান্ত্রিক বাহক কাকে বলে? উদাহরণ দাও।
উঃ – যান্ত্রিক বাহক: যে সব পোকামাকড় বা প্রাণী রোগজীবাণুকে শরীরের ভেতরে বৃদ্ধি না করে শুধুমাত্র এক স্থান থেকে অন্য স্থানে বহন করে ছড়িয়ে দেয়, তাদেরকে যান্ত্রিক বাহক (Mechanical Vector) বলে। যেমন- মাছি।
জৈব বাহক: যে সব প্রাণীর দেহের ভিতরে রোগজীবাণু বৃদ্ধি পায় বা জীবনচক্রের একটি অংশ সম্পন্ন করে, এবং পরে সেই জীবাণু মানুষের দেহে প্রবেশ করে রোগ সৃষ্টি করে, তাদেরকে জৈব বাহক (Biological Vector) বলে। যেমন – মশা।
(12) এলার্জির দুটি লক্ষণ লেখ। কালো মাছি দিনের কোন সময় সবচেয়ে বেশি সক্রিয় হয় এবং এরা কি রোগ ছড়ায়?
উঃ – (১) গায়ে লাল লাল দাগ, (২) চোখ নাক জ্বালা করা।
কালো মাছি সবচেয়ে সক্রিয় হয় ভোরে আর সন্ধের একটু আগে। এরা অঙ্কোসারকিয়াসিস রোগ ছড়ায়।
(13) মশার বিভিন্ন উপাঙ্গগুলি মশাকে কিভাবে রক্তপানে সাহায্য করে তা লেখ।
উঃ –

(14) যক্ষ্মা বা TB রোগের দুটি লক্ষণ লেখো।
উঃ – একনাগাড়ে জ্বর, কাশি, থুতুর সঙ্গে রক্ত পড়া।
(15) ব্যাকটেরিয়ার তিনটি উপকারী ভূমিকা লেখ।
উঃ – ব্যাকটেরিয়ার তিনটি উপকারী ভূমিকা।
(১) দই এবং বিভিন্ন দুগ্ধজাত খাবার তৈরিতে আমরা ল্যাকটোব্যাসিলাস ব্যাকটেরিয়ার সাহায্য নিই। (২) স্ট্রেপটোমাইসেস ব্যাকটেরিয়ার কয়েকটি প্রজাতি থেকে জীবনদায়ী নানারকম ওষুধ আমরা পাই। (৩) গবাদি পশুদের পাকস্থলীতে কিছু ব্যাকটেরিয়া বাস করে যারা সেলুলোজ জাতীয় খাদ্য পরিপাক করতে সাহায্য করে। (৪) মানুষের শরীরের অন্ত্রে বাস করে কিছু ব্যাকটেরিয়া যারা ভিটামিন B12 তৈরি করতে সাহায্য করে।
(16) মানবদেহে আর্সেনিক ও ফ্লুওরাইড দূষণের ফলে কি কি রোগ দেখা যায়? তাদের দুটি করে লক্ষণ লেখ।
উঃ – মানবদেহে আর্সেনিক ও ফ্লুওরাইড দূষণের ফলে রোগ ও লক্ষণসমূহ:
(১) আর্সেনিক দূষণ:
রোগ: আর্সেনিকোসিস (Arsenicosis), ত্বকের ক্যান্সার, ব্ল্যাক ফুট ডিজিজ।
লক্ষণ: ত্বকে দাগ, কালচে বা সাদা দাগের সৃষ্টি। হাত-পায়ে অসাড়তা বা জ্বালাপোড়া অনুভূতি।
(২) ফ্লুওরাইড দূষণ:
রোগ: ডেন্টাল ফ্লুরোসিস (Dental Fluorosis), স্কেলেটাল ফ্লুরোসিস (Skeletal Fluorosis)
লক্ষণ: দাঁতে বাদামি দাগ বা দাগযুক্ত এনামেল। হাড় শক্ত ও বিকৃত হয়ে যাওয়া, জয়েন্টে ব্যথা।
(17) বায়ুবাহিত রোগ কাকে বলে? উদাহরণ দাও।
উঃ – বায়ুবাহিত রোগ কাকে বলে:
যে সমস্ত রোগ বাতাসের মাধ্যমে জীবাণু ছড়িয়ে এক ব্যক্তি থেকে অন্য ব্যক্তির দেহে সংক্রমিত হয়, তাদের বায়ুবাহিত রোগ বলে।
উদাহরণ:
১. যক্ষা (Tuberculosis)
২. হামের রোগ (Measles)
(18) মানুষের অটিজম সমস্যার চারটি বৈশিষ্ট্য লেখ।
উঃ –
- একই কাজ বারবার করা।
- আত্মীয় পরিজনদের থেকে নিজেকে গুটিয়ে নেওয়া।
- সামান্য উত্তেজনাতেও অতিরিক্ত সংবেদনশীল।
- অনেক সময় বেশি উত্তেজনাতে ও সাড়া দেয় না।
- অচেনা পরিবেশের মানিয়ে নিতে পারে না।
(19) পোলিও রোগের লক্ষণ গুলি লেখ।
উঃ – (১) হাত পায়ের মাংসপেশির অস্বাভাবিক শীতলতা সমেত পক্ষঘাত (Flaccid Paralysis)। (২) ঘাড় শক্ত হয়ে যাওয়া। (৩) উচ্চ তাপমাত্রায় জ্বর।
(20) জীবনকুশলতা শিক্ষা বলতে কী বোঝায়? কোন রোগকে ‘ব্ল্যাক ডেথ’ বলা হয়?
উঃ – জীবনের বিভিন্ন সময়ে নানা সমস্যার মুখোমুখি হতে হয় এবং তার মোকাবিলা করতে হয়। এছাড়াও নানাসময়ে আমাদের অনেক সিদ্ধান্ত নিতে হয়, সামাজিক সম্পর্ক তৈরি করতে হয়, আবেগ নিয়ন্ত্রণ করতে হয়। এসবের মধ্য দিয়েই সংবেদনশীল ও সামাজমনস্ক মানুষ হিসেবে গড়ে ওঠার শিক্ষা হলো জীবনকুশলতা শিক্ষা।
প্লেগ রোগকে ‘ব্ল্যাক ডেথ’ বলা হয়।
(21) ইনফ্লুয়েঞ্জা রোগের লক্ষণ গুলি কী কী?
উঃ – ইনফ্লুয়েঞ্জা (Influenza) বা ফ্লু একটি ভাইরাসজনিত শ্বাসযন্ত্রের রোগ। এর প্রধান লক্ষণগুলি হলো –
1. জ্বর (সাধারণত হঠাৎ জ্বর আসে)
2. গলা ব্যথা
3. কাশি (শুকনো কাশি বেশি দেখা যায়)
4. মাথাব্যথা
5. শরীর ব্যথা ও দুর্বলতা
6. নাক দিয়ে জল পড়া বা বন্ধ থাকা
7. হাঁচি
8. ক্ষুধামন্দা
9. শিশুদের ক্ষেত্রে বমি বা ডায়রিয়া দেখা দিতে পারে
(22) সবজি রং করার জন্য কী ব্যবহার করা হয়? এতে কি ক্ষতি হয়?
উঃ – সবজি রং করার জন্য ম্যালাকাইট গ্রিন (Malachite Green) নামক রাসায়নিক ব্যবহার করা হয়। এই রাসায়নিক অনেকদিন ধরে শরীরে প্রবেশ করলে ক্যানসার হতে পারে।
(23) দুধকে কীভাবে পাস্তুরাইজ করা হয়?
উঃ – পাস্তুরাইজ করার জন্য দুধকে 15-40 সেকেন্ডের জন্য 72-75 ডিগ্রি সেলসিয়াস বা 2 সেকেণ্ডের জন্য 138 ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় গরম করা হয়। দুধ ওই নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় পৌঁছানোর পর প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই দুধের তাপমাত্রা 3 ডিগ্রি সেলসিয়াসের নীচে নামিয়ে আনা হয়।
(24) মাছি নিয়ন্ত্রণের উপায়গুলি লেখো।
উঃ – মাছি নিয়ন্ত্রণের উপায়গুলি:
1. পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা – ঘর, রান্নাঘর ও আশপাশের পরিবেশ সব সময় পরিষ্কার রাখতে হবে।
2. আবর্জনা ঢেকে রাখা – ময়লা বা খাবারের বর্জ্য ঢেকে রাখা এবং নিয়মিত ফেলা উচিত।
3. নোংরা জল জমতে না দেওয়া – মাছি ও অন্যান্য পোকামাকড় নোংরা ও স্থির জলে জন্মায়।
4. জালযুক্ত দরজা ও জানালা ব্যবহার – মাছির প্রবেশ রোধ করা যায়।
5. মাছি মারার ওষুধ বা ফাঁদ ব্যবহার – স্প্রে, কয়েল বা মাছি ধরার ফাঁদ ব্যবহার করা যায়।
6. পচা জিনিস দ্রুত সরিয়ে ফেলা – পচা ফল, মাংস বা বর্জ্য মাছি আকর্ষণ করে।
(25) কোন রোগের দেহে এক সরস্বতী যদি বারবার ব্যবহার করা হয় তাহলে তার কি অসুবিধা হতে পারে?
উঃ – রোগীর শরীরের ভেতর আঘাতপ্রাপ্ত বা রোগাক্রান্ত বিভিন্ন অঙ্গের ছবি তুলতে এক রশ্মি ব্যবহার করা হয়। এই রশ্মি বেশি এবং বারবার সরাসরি কোশের সংস্পর্শে এলে কোশের ক্রিয়া অস্বাভাবিক করে দিতে পারে। এমনকি কোশ ধ্বংস করে দিতে পারে।
আমাদের পোস্টের গুরুত্বপূর্ণ আপডেট পেতে আমাদের Facebook Page ফলো করুন এবং Telegram Channel ও Whatsapp Channel জয়েন করুন।
Latest Posts:
- অভিব্যক্তি ও অভিযোজন- মাধ্যমিক জীবন বিজ্ঞান | Madhyamik Life Science Chapter 4
- পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্য- সপ্তম শ্রেণীর পরিবেশ বিজ্ঞান | Class 7 Science Chapter 8
- পরিবেশের সংকট, উদ্ভিদ ও পরিবেশের সংরক্ষণ-সপ্তম শ্রেণীর বিজ্ঞান | Class 7 Poribesh Chapter 7
- পরিবেশ গঠনে পদার্থের ভূমিকা (চতুর্থ অধ্যায়)- সপ্তম শ্রেণীর বিজ্ঞান | Class 7 Science Chapter 4
- সময় ও গতি (দ্বিতীয় অধ্যায়) সপ্তম শ্রেণীর বিজ্ঞান প্রশ্ম উত্তর | Class 7 Science Chapter 2




