আমাদের চারপাশের পরিবেশ ও উদ্ভিদজগৎ-অষ্টম শ্রেণীর বিজ্ঞান| Poribesh Bigyan Class 8 Chapter 11

Blinking Buttons WhatsApp Telegram

‘আমাদের চারপাশের পরিবেশ ও উদ্ভিদজগৎ (Poribesh Bigyan Class 8 Chapter 11)’ অষ্টম শ্রেণীর পরিবেশ ও বিজ্ঞান বিষয়ের একাদশ অধ্যায়। অষ্টম শ্রেণীতে পাঠরত ছাত্র-ছাত্রীরা তাদের পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য এই গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ম-উত্তরগুলি প্র্যাকটিস করে নিতে পারো। পরিবেশ বিজ্ঞান বিষয়ের একাদশ অধ্যায়ের ‘আমাদের চারপাশের পরিবেশ ও উদ্ভিদজগৎ (Poribesh Bigyan Class 8 Chapter 11)’ গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ম-উত্তরগুলি প্রশ্মবিচিত্রা থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে।

সঠিক উত্তর নির্বাচন করে লেখ।

(1) আমলকী ফলে প্রচুর পরিমাণে থাকে –

(a) ভিটামিন -A (b) ভিটামিন -B (c) ভিটামিন -C (d) কোনোটিই নয়।

উঃ – (c) ভিটামিন -C

(2) হলুদে যে যৌগটি থাকে তা হল-

(a) অ্যালিসিন (b) কারকিউমিন (c) রৌবেসিন (d) ভিনক্রিস্টিন।

উঃ – (b) কারকিউমিন

(3) রসুনের ব্যবহার্য অংশটি হল উদ্ভিদের-

(a) মূল (b) কাণ্ড (c) পাতা (d) ফল

উঃ – (b) কাণ্ড

(4) ত্রিফলাতে যা থাকে না সেটি হল- 

(a) নিম (b) বহেড়া (c) আমলকী (d) হরিতকি।

উঃ – (a) নিম

(5) ভিনব্লাস্টিন পাওয়া যায় –

(a) পুদিনা (b) নয়নতারা (c) ঘৃতকুমারী (d) সবকটি থেকে।

উঃ –  (b) নয়নতারা

(6) তবাশির (Tabashir) পাওয়া যায় যে গাছ থেকে, সেটি হল-

(a) শাল (b) বাঁশ (c) সুন্দরী (d) কচুরিপানা

উঃ – (b) বাঁশ

(7) জাফরান হল-

(a) গাছের ছাল (b) ফুলের অংশ (c) মুকুল (d) ফলের অংশ

উঃ – (b) ফুলের অংশ

অতি সংক্ষিপ্ত উত্তরধর্মী প্রশ্ন।

(1) ত্রিফলাতে উপস্থিত ফল গুলির নাম লেখ।

উঃ – ‘ত্রিফলা’ কথাটার মানে তিনটে ফল। ত্রিফলায় থাকে সমপরিমাণে আমলকি, হরিতকি আর বহেড়া (বীজ ছাড়া)।

(2) আমলকিতে কোন ভিটামিন থাকে?

উঃ – ভিটামিন সি।

(3) গরম মশলায় উপস্থিত বস্তু গুলির নাম লেখ।

উঃ – লবঙ্গ, এলাচ, দারচিনি, গোলমরিচ, জৈত্রী আর জায়ফল একসঙ্গে মিশিয়ে গরম মসলা তৈরি করা হয়। নানারকম তরকারি, মাছ, মাংস ইত্যাদি রান্নায় স্বাদ আর গন্ধ আনতে গরম মশলা ব্যবহার করা হয়।

আরও দেখুন: পরিবেশের সংকট ও বিপন্ন প্রাণী সংরক্ষণ প্রশ্ম উত্তর | Poribesh Bigyan Class 8 Chapter 10

সংক্ষিপ্ত উত্তরধর্মী প্রশ্ন।

(1) নয়নতারা উদ্ভিদে প্রাপ্ত দুটি উপক্ষারের নাম লেখো যা ব্লাড ক্যান্সার নিরাময়ে সাহায্য করে?

উঃ – ভিনক্রিস্টিন (Vincristine) আর ভিনব্লাস্টিন (Vinblastine) ।

(2) কী কী প্রয়োজনে শাল গাছ ব্যবহার করা হয়?

উঃ – শাল একটি বহুবর্ষজীবী কাষ্ঠল, দ্বিবীজপত্রী ও বৃক্ষ জাতীয় উদ্ভিদ। এটি একটি বর্ণমোচী জাতীয় গাছ যা পরিণত হতে প্রায় ২৫ থেকে ৩০ বছর সময় নেয়। শাল গাছের বিভিন্ন অংশের ব্যবহার নিচে আলোচনা করা হলো।

(ⅰ) কাঠ:- খুঁটি, আসবাবপত্র, জানালা-দরজার কাঠের ফ্রেম, পাটাতন, নৌকা, জাহাজের জেটি, সেতু প্রভৃতি তৈরি করার জন্য শক্ত ও টেকসই কাঠ পাওয়া যায় শালগাছ থেকে। গাছ থেকে কাটার সময় কাঠের রং হালকা, আর কাঠ কেটে ফেলে রাখলে গাঢ় বাদামি রঙের হয়ে যায়। নির্মাণকাজে এই কাঠের চাহিদা আছে। কিন্তু এই কাঠ পালিশ করার উপযোগী নয়।

(ii) পাতা:- উত্তর আর পূর্ব ভারতে শালগাছের শুকনো পাতা দিয়ে থালা-বাটি, ঠোঙা তৈরি করা হয়। আর গ্রামাঞ্চলে জ্বালানি হিসেবে এর ব্যবহার হয়। ব্যবহৃত শালপাতা বা শালপাতার থালা গোরু-ছাগলের খাবার।

(iii) আঠা:- শালগাছের আঠা থেকে সুগন্ধযুক্ত লাল ধুনো পাওয়া যায় যা ধূপ তৈরিতে, কাঠের জোড়ের স্থানে প্রলেপ দেওয়ার কাজে, জুতো পালিশ ও অন্যান্য কাজে লাগে।

(iv) রজন:- গুঁড়ি থেকে প্রাপ্ত রজন স্পিরিট ও বার্নিশ তৈরির কাজে লাগে।

(v) ট্যানিন:- ছাল থেকে প্রাপ্ত ট্যানিন চর্মশিল্পে ব্যবহৃত হয়।

(vi) শালবীজ:- বীজ থেকে নিষ্কাশিত তেল প্রদীপ জ্বালাতে রান্নার কাজে ও চকোলেট প্রস্তুত করার কাজে লাগে।

আরও দেখুন:  WB NMMSE Scholarship 2025 | স্কলারশিপ ১২০০০ টাকা! আবেদন পদ্ধতি, ডকুমেন্টস, সিলেবাস

(3) কী কী প্রয়োজনে নিম গাছ ব্যবহার করা হয়? অথবা, নিম গাছের কোন কোন অংশে ঔষধি গুণ রয়েছে? নিমের দুটি ব্যবহার লেখ।

উঃ – নিম একটা মাঝারি ধরনের বৃক্ষ জাতীয় উদ্ভিদ। এই চিরহরিৎ উদ্ভিদ খুব তাড়াতাড়ি বাড়ে। নিম গাছের বিভিন্ন অংশের ব্যবহার নিচে দেওয়া হল।

(i) বহুমূত্র রোগের ক্ষেত্রে নিমপাতার রস খুবই উপকারী।

(ii) ভাইরাসজনিত মহামারি আর বাতে নিম বীজ কাজে লাগে।

(iii) কানের ব্যথায়, দাঁত আর দাঁতের মাড়ির ব্যথায় নিমতেল ব্যবহার করা হয়।

(iv) নিম গাছের মূল বা কাণ্ডের ছাল (বাকল) আর পাতা থেকে তেঁতো স্বাদের যে ওষুধ তৈরি হয়, সেটি বারে বারে ফিরে আসা জ্বর (যেমন ম্যালেরিয়া) সারাতে কাজে লাগে। নানারকম চর্মরোগ সারাতেও এটি ব্যবহার করা হয়।

(v) বর্তমানে বহু প্রসাধনী জিনিসে (সাবান, শ্যাম্পু, দাঁতের মাজন, পাউডার) নিমজাত পদার্থ ব্যবহার করা হয়।

(vi) কীটনাশক ওষুধ হিসাবেও নিমতেলের ব্যবহার আছে।

(vii) নিমগাছের পাতা আর মূলের অ্যান্টিবায়োটিক অর্থাৎ জীবাণুনাশক ক্ষমতা স্বীকৃত।

(viii) নিমের তেল চুলের স্বাস্থ্য বজায় রাখতে, যকৃতের কাজ করার ক্ষমতা বাড়াতে, রক্তকে পরিষ্কার রাখতে ব্যবহার করা হয়।

(ix) এছাড়া নিমজাত দ্রব্যের ব্যাকটেরিয়া, ছত্রাক আর পরজীবী কৃমি প্রতিরোধী গুণ আছে।

আরও দেখুন: অন্তঃক্ষরা গ্রন্থি ও বয়ঃসন্ধি (নবম অধ্যায়)-অষ্টম শ্রেণীর পরিবেশ বিজ্ঞান প্রশ্ন উত্তর | Class 8 Poribesh Bigyan Chapter 9

(4) বেল, নিম ও ঘৃতকুমারীর দুটি করে ঔষধি গুণ সম্বন্ধে লেখ। রান্নার কাজে মসলা হিসেবে ব্যবহৃত হওয়া ছাড়াও গোলমরিচ আর কিভাবে কাজে লাগে?

উঃ – বেলের দুটি ঔষধি গুণ: (১) বেলে থাকে মিউসিলেজ আর পেকটিন যা কোষ্ঠকাঠিন্যের অব্যর্থ ওষুধ। (২) কাঁচা বা আধ-কাঁচা ফল খিদে ও হজম ক্ষমতা বাড়ায়।

নিমের দুটি ঔষধি গুণ: (১) বহুমূত্র রোগের ক্ষেত্রে নিম পাতার রস খুবই উপকারী। (২) কানের ব্যথায়, দাঁত আর দাঁতের মাড়ির ব্যথায় নিম তেল ব্যবহার করা হয়। (৩) নিমের পাতা ও মূলের অ্যান্টিবায়োটিক গুন আছে।

ঘৃতকুমারীর দুটি ঔষধি গুণ: (১) গ্যাস্ট্রিক ক্ষত, কোষ্ঠকাঠিন্য, তেজস্ক্রিয় বিকিরণজনিত চামড়ার ক্ষতে ঘৃকুমারীর পাতার নির্যাস ব্যবহার করা হয়। (২) অ্যাসিডের অধিক্য, রক্তের ঘন হয়ে যাওয়ার প্রবণতা, দূষণজনিত চাপ ও অস্থিসন্ধির প্রদাহ কমাতে ঘৃতকুমারীর পাতা নির্যাস ব্যবহার করা হয়। (৩) মানসিক চাপ ও উদ্বেগ কমাতে ঘৃতকুমারীর পাতা নির্যাস ব্যবহার করা হয়।

আরও দেখুন:  Taruner Swapna 2025 | তরুণের স্বপ্ন প্রকল্পে ছাত্র-ছাত্রীরা পাবে 10000 টাকা। দেখে নিন কি কি তথ্য লাগবে?

রান্নার কাজে মসলা হিসেবে ব্যবহৃত হওয়া ছাড়াও গোলমরিচ কাশি, দাঁতের ব্যথা, মাড়ি থেকে রক্ত পড়ায়, মাড়ির ব্যথায়, ডায়ারিয়া, বদহজম ও গ্যাসের সমস্যায় গোলমরিচ কাজে লাগে। মাংস এবং অন্যান্য খাবার যা তাড়াতাড়ি নষ্ট হয়ে যায় এই ধরনের খাবারের ক্ষেত্রে গোলমরিচ সংরক্ষকের কাজ করে।

(6) কি কি প্রয়োজনে সুন্দরী গাছ ব্যবহার করা হয়?

উঃ – সুন্দরীগাছের কাঠ আসবাব, বাড়ি ও খুঁটি তৈরিতে কাজে লাগে। এছাড়া জ্বালানি হিসেবে এই কাঠ খুবই ব্যবহার করা হয়। গাছের ছালে থাকে প্রচুর ট্যানিন। যা চামড়া ও রং শিল্পে ব্যবহার করা হয়।

(7) নিমগাছ ও ঘৃতকুমারী গাছের দুটি করে ওষধি গুণ লেখো।

উঃ – নিমগাছের ওষধি গুণ – (১) বহুমূত্র রোগের ক্ষেত্রে নিম পাতা রস খুবই উপকারী। (২) কানের ব্যথায় দাঁত আর দাঁতের মাড়ির ব্যথায় নিম তেল ব্যবহার করা হয়। (৩) নিম গাছের পাতা আর মূলের অ্যান্টিবায়োটিক বা জীবাণুনাশক ক্ষমতা আছে।

ঘৃতকুমারী গাছের ওষধি গুণ – (১) অ্যাসিডের আধিক্য, রক্তের ঘন হয়ে যাওয়ার প্রবণতা, দূষণজনিত চাপ ও অস্থিসন্ধির প্রদাহ কমাতে ঘৃতকুমারী পাতার নির্যাস ব্যবহার করা হয়। (২) গ্যাস্ট্রিক ক্ষত, কোষ্ঠকাঠিন্য, তেজস্ক্রিয় বিকিরণজনিত চামড়ার ক্ষতে ঘৃতকুমারী পাতার নির্যাস ব্যবহার করা হয়। (৩) ঘৃতকুমারী নির্যাসে অ্যান্টিপাইরেটিক উপাদান থাকায় জ্বর হলে তাপমাত্রা কমাতে ব্যবহার হয়।

(8) ঔষধি গাছ কাকে বলে? দুটি ঔষধি গাছের নাম লেখ।

উঃ – যেসমস্ত গাছের মধ্যে ঔষধি গুণাগুণ রয়েছে তাদের ঔষধি গাছ বলে। দুটি ঔষধি গাছের নাম হল নিম, ঘৃতকুমারী।

(9) আদা ও রসুনের মধ্যে দুটি পার্থক্য লেখ।

উঃ – আদা: (১) এটি বহুবর্ষজীবী বীরুৎজাতীয় উদ্ভিদ। (২) এদের কাণ্ড গ্রন্থিকাণ্ড প্রকৃতির। (৩) আদা গাছের গ্রন্থি কান্ডটায় শুকিয়ে নিয়ে আধা হিসেবে ব্যবহার করা হয়।

রসুন: (১) এটি বহুবর্ষজীবী উদ্ভিদ। (২) এদের কাণ্ড কন্দ জাতীয়। (৩) রসুন গাছের কন্দটাই রসুন হিসেবে ব্যবহার করা হয়।

(10) গোলমরিচ কি জাতীয় উদ্ভিদ? এটি কোন মসলার পরিবর্তে রান্নায় ব্যবহৃত হয়?

উঃ – গোলমরিচ একটি বহুবর্ষজীবী লতাজাতীয় উদ্ভিদ। যারা রান্নায় লঙ্কা খেতে চান না, তারা রান্নায় ঝাল স্বাদ আনতে গোলমরিচ ব্যবহার করেন। গোলমরিচ গোটা অবস্থায় বা গুঁড়ো করে রান্নায় ব্যবহার করা হয়।

(11) মসলা আমাদের কি কি কাজে লাগে?

উঃ – মসলা আমাদের কি কি কাজে লাগে তাই নীচে দেওয়া হল। (i) জোলো খাবারে স্বাদ আনতে সাহায্য করে।

(ii) সংরক্ষকরূপে (আচার, চাটনি ইত্যাদিতে) কাজ করে।

(iii) লালারসের ক্ষরণ বাড়িয়ে হজমে সাহায্য করে।

(iv) মুখগহ্বরকে ক্ষতিকারক জীবাণুমুক্ত রাখতে সাহায্য করে।

(12) কচুরিপানা কিভাবে জলকে দূষণমুক্ত করে?

উঃ –  ভারী ধাতুর শোধনক্ষমতা বেশি হওয়ায় বের হওয়া নোংরা দূষিত জল থেকে ক্যাডমিয়াম, ক্রোমিয়াম, কোবাল্ট, নিকেল, লেড ও মার্কারির মতো ক্ষতিকারক ধাতুকে শোধন করতে পারে। ফলে জল দূষণমুক্ত ও ব্যবহার উপযোগী হয়। সোনার খনি অঞ্চলে জলে নির্গত সায়ানাইড শোষণ করে জলকে বিষমুক্ত করে। আর্সেনিক যৌগ সমৃদ্ধ পানীয় জল থেকে কচুরিপানা আর্সেনিককে অপসারিত করে। 

আরও দেখুন:  পরিবেশের সংকট ও বিপন্ন প্রাণী সংরক্ষণ | Poribesh Bigyan Class 8 Chapter 10

(13) বাঁশ গাছে ফুল ফোটার সঙ্গে দুর্ভিক্ষ বা মহামারী দেখা দেওয়ার সম্পর্ক কি? যুক্তিসহ উত্তর দাও।

উঃ – অধিকাংশ বাঁশে অনিয়মিতভাবে ফুল আসে। অনেক বাঁশগাছে 65 বা 120 বছর অন্তর অন্তর ফুল ফোটে। বাঁশগাছে ফুল ফোটা নিয়ে বিজ্ঞানীদের মধ্যে নানা মত চালু আছে। কেউ কেউ বলেন যে পরিবেশগত প্রভাবে বাঁশগাছে যখন বিপদ ঘন্টা বাজতে থাকে, তখন বাঁশগাছ তার অঙ্গজ বৃদ্ধি বন্ধ করে জননগত বৃদ্ধিতে মনোনিবেশ করে। তখন তার দেহের সমস্ত শক্তিকে ফুল ফোটানোর কাজে ব্যবহার করে। ফুল ফোটার পরই বাঁশগাছের মৃত্যু হয়। বাঁশ গাছে যখন Mass flowering ও ফল হওয়ার ঘটনা ঘটে তখন সেই অঞ্চলে ইঁদুর জাতীয় প্রাণীদের অত্যধিক হারে সংখ্যাবৃদ্ধি ঘটতে থাকে। তারা তখন শস্যক্ষেত্রের, ও গুদামের শস্য খেয়ে ও শস্যহানি ঘটিয়ে দুর্ভিক্ষের সম্ভাবনা সৃষ্টি করে। আর টাইফাস, প্লেগ ও অন্যান্য ইঁদুরবাহিত রোগের সম্ভাবনাও বেড়ে যায় এবং এর থেকে মহামারি পর্যন্ত হতে পারে। অন্যদিকে প্রচুরসংখ্যক বাঁশের একসঙ্গে মৃত্যু ঘটার ফলে নতুন বাঁশ তৈরি না হওয়া পর্যন্ত স্থানীয় মানুষ আর এক সমস্যার মুখোমুখি হয়। ঘরবাড়ি তৈরির উপকরণ না পেয়ে বহু মানুষ গৃহহীন হয়ে পড়ে।

(14) ত্রিফলা কি? এর দুটি গুরুত্ব আলোচনা কর।

উঃ – ত্রিফলা হলো একধরনের আয়ুর্বেদিক ওষুধ। ‘ত্রিফলা’ কথাটার মানে তিনটে ফল। ত্রিফলায় থাকে সমপরিমাণে আমলকী, হরিতকি আর বহেড়া (বীজ ছাড়া)। ত্রিফলাচূর্ণ জোলাপের কাজ করে, যা আমাদের শরীরের পরিপাকনালীকে পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে। ত্রিফলা রক্ত-পরিষ্কারক হিসেবেও ব্যবহৃত হয়। এছাড়াও ত্রিফলায় খুব বেশি পরিমাণে ভিটামিন C থাকে। তাই ত্রিফলাকে অনেকসময় সহযোগী খাদ্য হিসেবেও ব্যবহার করা হয়।

(15) সুন্দরী গাছের অস্তিত্ব রক্ষায় শ্বাসমূল কিভাবে সাহায্য করে?

উঃ – সুন্দরবনের লবণাক্ত অঞ্চলে মিষ্টি জলের সুন্দরী কাজ জন্মায়। সুন্দরী গাছের শ্বাসমূল গুলো বাতাস থেকে অক্সিজেন নিয়ে সুন্দরী গাছকে বাঁচিয়ে রাখে।

আমাদের পোস্টের গুরুত্বপূর্ণ আপডেট পেতে আমাদের Facebook Page ফলো করুন এবং Telegram ChannelWhatsapp Channel জয়েন করুন

Latest Posts:

WhatsApp Channel Follow
Telegram Channel Join Now
Facebook Page Follow

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

WhatsApp Telegram
Scroll to Top