Class 7 Science Chapter 4: পশ্চিমবঙ্গ বোর্ডের সপ্তম শ্রেণীর পরিবেশ বিদ্যা বিষয়ের চতুর্থ অধ্যায় ‘ পরিবেশ গঠনে পদার্থের ভূমিকা (Class 7 Science Chapter 4)’। থেকে সমস্ত রকম গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন উত্তর করা হলো। যে সমস্ত ছাত্র-ছাত্রী সপ্তম শ্রেণীতে পাঠরত তারা তাদের পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য পরিবেশ বিজ্ঞান বিষয়ের চতুর্থ অধ্যায়ের (Class 7 Science Chapter 4) এই প্রশ্ন উত্তরগুলি প্র্যাকটিস করে নিতে পারো। এই অধ্যায় থেকে বহু বিকল্প উত্তরভিত্তিক প্রশ্ন, অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন, সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন, সমস্ত প্রশ্নের যথাযথ এবং পুঙ্খানুপুঙ্খ উত্তর করে দেওয়া হয়েছে।
পরিবেশ গঠনে পদার্থের ভূমিকা (চতুর্থ অধ্যায়) (Class 7 Science Chapter 4)
সঠিক উত্তর বেছে নিয়ে লেখ।
(1) রক্তের pH এর মান-
(a) 4.0-8.0 (b) 6.02-7.05 (c) 7.35-7.45 (d) 8.0-8.60
উঃ – (c) 7.35-7.45
(2) চুনজল হল এক প্রকার- (a) আম্লিক দ্রবণ (b) ক্ষারীয় দ্রবণ (c) প্রশম দ্রবণ (d) কোনোটিই নয়।
উঃ – (b) ক্ষারীয় দ্রবণ।
(3) আম্লিক দ্রবণের pH কোনটি হতে পারে? (a) 7 (b) 8 (c) 14 (d) 6
উঃ – (d) 6
(4) লিটমাস একটি- (a) নির্দেশক (b) লবণ (c) ক্ষার (d) অ্যাসিড।
উঃ – (a) নির্দেশক।
(5) ভিনিগারে থাকে- (a) ম্যালিক অ্যাসিড (b) অ্যাসিটিক অ্যাসিড (c) ল্যাকটিক অ্যাসিড (d) অক্সালিক অ্যাসিড।
উঃ – (b) অ্যাসিটিক অ্যাসিড।
(6) আমাদের প্রতিদিনের খাবারের কত শতাংশ আম্লিক হওয়া প্রয়োজন? (a) 10% (b) 20% (c) 40% (d) 80%
উঃ – (b) 20%
(7) একটি বিকারের সামান্য কস্টিক সোডা দ্রবণে দু ফোঁটা ফেনলপথ্যালিন দিলে দ্রবণটি হবে-
(a) বর্ণহীন (b) লাল (c) হলুদ (d) গোলাপি
উঃ – (d) গোলাপি।
(8) খাদ্য লবণের প্রধান উপাদানের সংকেত হল-
(a) CaCl2 (b) MgCl2 (c) HCl (d) NaCl
উঃ – (d) NaCl
(9) রক্তের হিমোগ্লোবিন তৈরি করতে অত্যন্ত প্রয়োজনীয় মৌলটি হল- (a) ক্যালশিয়াম (b) সোডিয়াম (c) পটাশিয়াম (d) আয়রন
উঃ – (d) আয়রন
(10) 25⁰ C উষ্ণতায় বিশুদ্ধ জলের pH এর মান- (a) 1.5 (b) 0 (c) 7 (d) 10
উঃ – (c) 7
(11) কোন পলিমারটি বায়ো-ডিগ্রেডেবল-
(a) পলিথিন (b) পলিভিনাইল ক্লোরাইড (c) মাংসপেশির প্রোটিন (d) PET
উঃ – (c) মাংসপেশির প্রোটিন।
(12) অ্যাসিডের স্বাদ হল- (a) নোনতা (b) টক (c) তেঁতো (d) মিষ্টি
উঃ – (b) টক
(13) ভিনিগারের রাসায়নিক নাম হল-
(a) সাইট্রিক অ্যাসিড (b) টারটারিক অ্যাসিড (c) অ্যাসিটিক অ্যাসিড (d) ম্যালিক অ্যাসিড।
উঃ – (c) অ্যাসিটিক অ্যাসিড ।
(14) একটি দ্রবণের pH=4, দ্রবণের প্রকৃতি কি হবে?
(a) আম্লিক (b) ক্ষারীয় (c) প্রশম (d) উভধর্মী
উঃ – (a) আম্লিক
(15) তেতুলের মধ্যে থাকে- (a) ম্যালিক অ্যাসিড (b) টারটারিক অ্যাসিড (c) ল্যাকটিক অ্যাসিড (d) অ্যাসিটিক অ্যাসিড।
উঃ- (b) টারটারিক অ্যাসিড।
(16) পলিথিন কি জাতীয় যৌগ- (a) মনোমার (b) পলিমার (c) অজৈব যৌগ (d) কোনোটিই নয়।
উঃ – (b) পলিমার।
(17) একটি দ্রবণের pH= 8.3 হলে, দ্রবণটি হবে- (a) আম্লিক (b) ক্ষারীয় (c) প্রশম (d) কোনটিই নয়।
উঃ – (b) ক্ষারীয়
(18) সাবান তৈরিতে তেল বা চর্বির সঙ্গে কী যোগ করা হয়-
(a) ক্ষার (b) অ্যাসিড (c) লবণ (d) কোনোটিই নয়।
উঃ – (a) ক্ষার
(19) ভিনিগারের মধ্যে কিছুটা খাবার সোডা মেশানো হল, এর ফলে ভিনিগারের – (a) আম্লিক ধর্ম বৃদ্ধি পাবে (b) ক্ষার ধর্ম বৃদ্ধি পাবে (c) আম্লিক ধর্ম হ্রাস পাবে (d) ক্ষার ধর্ম হ্রাস পাবে
উঃ – (c) আম্লিক ধর্ম হ্রাস পাবে।
(20) মানুষের পাকস্থলীতে পাওয়া যায় –
(a) ল্যাকটিক অ্যাসিড (b) হাইড্রোক্লোরিক অ্যাসিড (c) নাইট্রিক অ্যাসিড (d) সাইট্রিক অ্যাসিড
উঃ – (b) হাইড্রোক্লোরিক অ্যাসিড
(21) একটি জৈব ভঙ্গুর পলিমার হল-
(a) টেফলন (b) সেলুলোজ (c) পলিথিন (d) PVC
উঃ – (b) সেলুলোজ
আরও দেখুন: সপ্তম শ্রেণীর পরিবেশ বিজ্ঞান বিষয়ের সমস্ত অধ্যায়ের প্রশ্ম-উত্তর একসঙ্গে পেতে এখানে ক্লিক করুন।
অতি সংক্ষিপ্ত উত্তর দাও।
(1) ক্ষার দ্রবণে লিটমাস কাগজের বর্ণ কীভাবে পরিবর্তিত হয়?
উঃ – ক্ষার দ্রবণে লাল লিটমাস কাগজের বর্ণ নীল হয়।
(2) মিউরিয়েটিক অ্যাসিডের সংকেত লেখ।
উঃ – HCl
(3) ইথিলিনের পলিমারের নাম লেখ।
উঃ – ইথিলিনের পলিমারের নাম হল পলিথিন।
(4) মানুষের কোন অসুখে অ্যান্টিসেপটিক ব্যবহার করা হয়?
উঃ – কেটে গেলে জীবানু সংক্রমণ আটকাতে।
(5) মানুষের কোন অসুখে অ্যান্টাসিড ব্যবহার করা হয়?
উঃ – অম্বল বা অ্যাসিডিটি হলে।
(6) একটি কীটনাশক পদার্থের নাম লেখ।
উঃ – মিথাইল প্যারাথিয়ন।
(7) মানুষের পাকস্থলীতে কোন অ্যাসিড থাকে?
উঃ – হাইড্রোক্লোরিক অ্যাসিড।
(8) অম্বল হলে খেতে হয় পেনকিলার ওষুধ। [সত্য / মিথ্যা লেখো]
উঃ – মিথ্যা।
(9) সাবানের জলীয় দ্রবণে ফেনলপথ্যালিনের রং কি হয়?
উঃ – সাবানের জলীয় দ্রবণ ক্ষারীয় প্রকৃতির হয়। সাবানের জলীয় দ্রবণে ফেনলপথ্যালিনের রং গোলাপি (Pink) হয়।
(10) দই এ থাকে ____ অ্যাসিড।
উঃ – ল্যাকটিক।
(11) অ্যাসিড দ্রবণের লিটমাসের রং হয়____।
উঃ – লাল।
(12) পলিথিন পলিমারটি অনেক ____ অণু জুড়ে তৈরি হয়।
উঃ – ইথিলিন।
(13) দই এর মধ্যে কোন অ্যাসিড থাকে?
উঃ – ল্যাকটিক অ্যাসিড।
(14) পলিথিন পলিমার যে অণু দিয়ে তৈরি তার সংকেত লেখ?
উঃ – C2H4
(15) কোন দ্রবণের pH= 10 হলে তাকে ____ প্রকৃতির বলা যেতে পারে।
উঃ – ক্ষারীয়।
(16) হলুদের জলে অ্যাসিড যুক্ত করলে দ্রবণের বর্ণ কি হবে?
উঃ – হলুদের জলে অ্যাসিড যুক্ত করলে দ্রবণের বর্ণে কোনো পরিবর্তন হয় না, অর্থাৎ দ্রবণ হলুদই থাকে।
কারণ: হলুদ (turmeric) অ্যাসিডিক অবস্থায় রঙ পরিবর্তন করে না — এটি শুধু ক্ষার (base) এর সংস্পর্শে লালচে হয়ে যায়।
(17) উচ্চ রক্তচাপ থাকলে ____ কম খেতে হয়।
উঃ – নুন।
(18) তেতুলে কোন অ্যাসিড থাকে?
উঃ – টারটারিক অ্যাসিড।
(19) কলিচুন এর সংকেত লেখ?
উঃ – Ca(OH)2
(20) ক্ষার জলীয় দ্রবণে দ্রবীভূত হয়ে উৎপন্ন করে ____ আয়ন।
উঃ – হাইড্রক্সিল (OH–)।
(21) পলিথিনের মনোমারটি লেখ?
উঃ – ইথিলিন।
(22) পলিথিনের সংকেত কি?
উঃ – (C2H4)n
(23) ____অ্যাসিড মানুষের পাকস্থলীতে খাবার হজম করতে সাহায্য করে।
উঃ – হাইড্রোক্লোরিক।
(24) মাটির অম্লত্ব কমানোর জন্য মাটিতে ____ মেশানো হয়।
উঃ – চুন (CaO)।
(25) পিঁপড়ের দেহে ____ অ্যাসিড থাকে।
উঃ – ফর্মিক।
(26) অ্যাসিড ও ক্ষারের বিক্রিয়াতে জল ও ____ উৎপন্ন হয়।
উঃ – লবণ।
(27) ক্ষারীয় দ্রবণ লাল ____ নীল করে দেয়।
উঃ – লিটমাসকে।
(28) নরম প্রকৃতির প্লাস্টিক, যাকে তাপ দিয়ে বা অন্যভাবে বিভিন্ন আকৃতি প্রদান করা যায়, তাকে ____ বলে।
উঃ – থার্মোপ্লাস্টিক।
(29) খাদ্য লবণের রাসায়নিক নাম ও সংকেত লেখ।
উঃ- খাদ্য লবণের রাসায়নিক নাম সোডিয়াম ক্লোরাইড এবং সংকেত NaCl
(30) আপেলে____ অ্যাসিড থাকে।
উঃ – ম্যালিক অ্যাসিড।
(31) মস্তিষ্কের বিকাশে ____ সাহায্য করে।
উঃ – আয়োডিন।
(32) PVC এর একটি ব্যবহার লেখো।
উঃ – জলের পাইপ তৈরিতে ব্যবহৃত হয়।
(33) খাদ্য লবণে উপস্থিত আয়োডিনের যৌগটি হল কী?
উঃ – পটাশিয়াম আয়োডেট (KIO3) ।
(34) সাবান ও ডিটারজেন্টের মধ্যে কোনটি জামাকাপড় ভালো পরিস্কার করে?
উঃ – সাবান সবরকম উৎসের জলে সমানভাবে কার্যকরী হয় না, কিন্তু ডিটারজেন্ট যে কোনো জলেই সমান কার্যকর। তাই ডিটারজেন্ট জামাকাপড় ভালো পরিস্কার করে।
(35) খাদ্য লবনের মধ্যে উপস্থিত কোন উপাদান বাতাস থেকে জলীয়বাষ্প শোষন করতে পারে?
উঃ – ম্যাগনেসিয়াম ক্লোরাইড ও ক্যালসিয়াম ক্লোরাইড ।
সংক্ষিপ্ত উত্তর দাও। (Class 7 Science Chapter 4)
(1) আমরা খাওয়ার জন্য কত রকম লবণ ব্যবহার করে থাকি ও কি কি?
উঃ – আমরা খাবার জন্য তিন রকমের লবণ ব্যবহার করে থাকি। (১) সৈন্ধব বা সামুদ্রিক লবণ (২) বিট লবণ বা রক সল্ট (৩) খাবার নুন বা টেবিল সল্ট।
(2) বর্ষাকালে নুন ভিজে যায় কেন?
উঃ – বর্ষাকালে নুনের ভিজে যাওয়ার জন্য নুনের মধ্যে থাকা দুটো যৌগ ম্যাগনেসিয়াম ক্লোরাইড ও ক্যালসিয়াম ক্লোরাইড দায়ী। এই দুটো যৌগ বাতাস থেকে জলীয় বাষ্প শোষণ করে। এই কারণে বর্ষাকালে নুন ভিজে যায়।
(3) অ্যাসিড কাকে বলে? কোন অ্যাসিডকে মিউরিয়েটিক অ্যাসিড বলে?
উঃ- হাইড্রোজেন যুক্ত যেসব যৌগ স্বাদে টক এবং ক্ষারের সঙ্গে বিক্রিয়ায় লবণ ও জল উৎপন্ন করে তাদের অ্যাসিড বলে। হাইড্রোক্লোরিক অ্যাসিডকে মিউরিয়েটিক অ্যাসিড বলা হয়।
(4) অ্যাসিড ও ক্ষারের ধর্মের তুলনা করো।
অ্যাসিড: (১) অ্যাসিড স্বাদে অম্ল। (২) অ্যাসিড লাল লিটমাসকে নীল করে। (৩) অ্যাসিড ক্ষারের সঙ্গে বিক্রিয়ায় লবণ এবং জল উৎপন্ন করে।
ক্ষার: (১) ক্ষার হলো স্বাদে কষা। (২) ক্ষার নীল লিটমাসকে লাল করে। (৩) ক্ষার অ্যসিডের সঙ্গে বিক্রিয়ায় লবণ এবং জল উৎপন্ন করে।
(5) বিশুদ্ধ জলকে প্রশম প্রকৃতির দ্রাবক বলা হয় কেন?
উঃ – বিশুদ্ধ জলের মধ্যে H+ ও OH– আয়নের পরিমাণ এতই কম যে কোনো নির্দেশক দিয়েই জলের আম্লিক বা ক্ষারীয় ধর্ম ধরা যায় না। তাই জলকে প্রাথমিকভাবে প্রশম প্রকৃতির দ্রাবক বলা হয়।
(6) সাবান কী?
উঃ – সাবান হল কিছু জৈব অ্যাসিডের সোডিয়াম বা পটাশিয়াম যৌগ, যা তৈরি হয় চর্বি বা উদ্ভিজ্জ তেলের সঙ্গে কস্টিক ক্ষারের (NaOH , KOH) বিক্রিয়ায়।
(7) পলিমার কি?
উঃ – পলিমার হল এমন একটি বৃহদায়তন অণু (macromolecule), যা অনেকগুলি ছোট ছোট একক অণু বা মনোমার একত্রে যুক্ত হয়ে গঠিত হয়।
উদাহরণ:
পলিথিন → মনোমার: ইথিন (C2H4)

(8) থার্মোপ্লাস্টিক কাকে বলে? উদাহরণ দাও।
যে ধরনের প্লাস্টিক নরম; তাপ দিয়ে তাদের আকৃতি পাল্টানো যায়, গলানো যায়, বাঁকানো যায়। সেই ধরনের প্লাস্টিককে থার্মোপ্লাস্টিক বলা হয়। যেমন – PVC
(9) থার্মোসেটিং প্লাস্টিক বলতে কী বোঝায়?
উঃ – যে ধরনের প্লাস্টিক একবার শক্ত হয়ে গেলে তাপ দিয়েও তাদের আকৃতি আর পাল্টানো যায় না। সেই ধরনের প্লাস্টিককে থার্মোসেটিং প্লাস্টিক বলা হয়। যেমন- PET
(10) প্রেসারের রোগীকে নুন কম খেতে বলা হয় কেন?
উঃ – রক্তে একটা পরিণত পরিমাণ নুন থাকে। কিন্তু রক্তে নুনের পরিমাণ কোন কারণে পেরে গেলে রক্ত কোষ কলা থেকে জল টেনে নেয়। ফলের রক্তের মধ্যে থাকা জলের পরিমাণ বেড়ে যায়। তখন রক্তের পরিমাণ স্বাভাবিকের চেয়ে বেড়ে যায়। এর ফলে দেহে রক্তের চাপ স্বাভাবিকের চেয়ে বেড়ে যায়। তাই উচ্চ রক্তচাপ যুক্ত রোগীকে বা প্রেসারের রোগীকে নুন কম খেতে বলা হয়।
(11) সিমেন্ট ও বালি দিয়ে ঢালাই করার পরদিন থেকে ঢালাইতে জল দেওয়া হয় কেন?
উঃ – সিমেন্ট ও বালি দিয়ে ইট গাঁথা বা ঢালাই করার পর তাতে বেশ কয়েকদিন জল দেওয়া হয়। জলের সংস্পর্শে সিমেন্টের মধ্যে থাকা ক্যালসিয়াম অক্সাইড, হাইড্রোক্সাইডে পরিণত হয় এবং বিভিন্ন সিলিকেট যৌগের সঙ্গে জল যুক্ত হয়। এইসব রাসায়নিক বিক্রিয়াগুলোতে তাপ উৎপন্ন হয় বলে সিমেন্ট ফেটে যায়। তাই ঢালাইয়ের পরদিন থেকেই তার গায়ে জল দেওয়া হয়।
(12) মানবদেহে আয়রন, সোডিয়াম ও পটাশিয়াম ধাতুর কাজ কি লেখ?
উঃ – আয়রন: মানুষ সহ বিভিন্ন প্রাণীর রক্তের হিমোগ্লোবিন তৈরি করতে আয়রন খুব প্রয়োজন। রক্তের লোহিত কণিকার হিমোগ্লোবিন ফেরাস আয়ন ছাড়া গঠিত হতে পারে না।
সোডিয়াম ও পটাশিয়াম: পিঁপড়ে কামড়ালে বা সুরসুরি দিলে সেই অনুভূতি তৎক্ষণাৎ সরু সুতোর মতো স্নায়ুর মধ্যে দিয়ে সুষুম্না কাণ্ডে পৌঁছে যায়। এই যে স্নায়ুর মধ্য দিয়ে সংকেত যাওয়া আসা এসব ঠিকঠাকভাবে হতে হবে। শরীরে ঠিকঠাক মাত্রায় সোডিয়াম আর পটাশিয়াম আয়ন না থাকলে সে কাজ হবে না। তখন মানুষ হাঁটতে গিয়ে পড়ে যেতে পারে, অজ্ঞানও হয়ে যেতে পারে।
(13) মানবদেহে অ্যাসিড ও ক্ষারের ভারসাম্য প্রধানত কোন কোন বিষয়ের উপর নির্ভর করে?
উঃ – মানবদেহে অ্যাসিড ও ক্ষারের ভারসাম্য প্রধানত দুটি বিষয়ের উপর নির্ভর করে। (১) নিঃশ্বাস প্রক্রিয়ায় কার্বন-ডাই-অক্সাইড কতটা বেরোয় তার ওপর। (২) দেহে ঘটে চলা নানা রাসায়নিক বিক্রিয়ার পরিবর্তনের ওপর।
(14) মানবদেহে ক্যালসিয়ামের দুটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ লেখ।
উঃ – মানবদেহে ক্যালসিয়ামের দুটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ হলো-
1. অস্থি ও দাঁত মজবুত করা — ক্যালসিয়াম অস্থি (হাড়) ও দাঁতের গঠন ও দৃঢ়তার জন্য অপরিহার্য।
2. রক্ত জমাট বাঁধায় সাহায্য করা — ক্যালসিয়াম রক্ত জমাট বাঁধার (blood clotting) প্রক্রিয়ায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
(15) নির্দেশক কাকে বলে? উদাহরণ দাও।
উঃ – যে সমস্ত জৈব যৌগ নিজেদের বর্ণ পরিবর্তনের মাধ্যমে অ্যাসিড ও ক্ষারের প্রশমনক্ষন নির্দেশ করে তাকে নির্দেশক বলে। যেমন ফেনলপথ্যালিন, মিথাইল অরেঞ্জ।
(16) অ্যাসিড ও ক্ষারের মধ্যে পার্থক্য লেখো।
উঃ –
| অ্যাসিড | ক্ষার |
|---|---|
| যে সমস্ত যৌগ স্বাদে টক এবং ক্ষারের সঙ্গে বিক্রিয়ায় লবণ ও জল উৎপন্ন করে তাদের অ্যাসিড বলে। | যে সমস্ত যৌগ স্বাদে কষা এবং অ্যাসিডের সঙ্গে বিক্রিয়ায় লবণ ও জল উৎপন্ন করে তাদের ক্ষার বলে। |
| সাধারণভাবে অ্যাসিডের স্বাদ টক। | সাধারণভাবে ক্ষারের স্বাদ টক। |
| অ্যাসিড জলে ভেজানো নীল লিটমাসকে লাল করে। | ক্ষার জলে ভেজানো লাল লিটমাসকে নীল করে। |
| অ্যাসিড জলীয় দ্রবণে H+ উৎপন্ন করে। | ক্ষার জলীয় দ্রবণে OH– উৎপন্ন করে। |
| অ্যাসিডের উদাহরণ- HCl, H2SO4, HNO3 | ক্ষারের উদাহরণ- NaOH, KOH |
(17) ক্ষারক ও ক্ষারের মধ্যে পার্থক্য লেখো।
ক্ষারক:-
১. সংজ্ঞা যে পদার্থ জলে দ্রবীভূত হয়ে হাইড্রক্সিল (OH⁻) আয়ন উৎপন্ন করে তাকে ক্ষারক বলে। ২. সব ক্ষারক জলে দ্রবীভূত নয়। ৩. উদাহরণ: ক্ষারক: ক্যালসিয়াম অক্সাইড (CaO)
ক্ষার:-
(১) যে ক্ষারক জলে দ্রবণীয় তাকে ক্ষার বলে। (২) ক্ষার সবসময় জলে দ্রবণীয়। (৩) উদাহরণ: ক্ষার: সোডিয়াম হাইড্রক্সাইড (NaOH)
(18) প্রাকৃতিক পলিমার ও কৃত্রিম পলিমারের তিনটি পার্থক্য লেখো
উঃ – প্রাকৃতিক পলিমার ও কৃত্রিম পলিমারের মধ্যে সংক্ষিপ্ত তিনটি পার্থক্য হলো —
1. প্রাকৃতিক পলিমার প্রকৃতি থেকে পাওয়া যায়, আর কৃত্রিম পলিমার মানুষ তৈরি করে।
2. প্রাকৃতিক পলিমারের উদাহরণ সেলুলোজ ও রাবার; কৃত্রিম পলিমারের উদাহরণ নাইলন ও প্লাস্টিক।
3. প্রাকৃতিক পলিমার পরিবেশবান্ধব, কিন্তু কৃত্রিম পলিমার অনেক সময় পরিবেশ দূষণ করে।
(19) কতগুলি তরলের নাম ও তার pH এর মান নিচে দেওয়া হল।

আমাদের পোস্টের গুরুত্বপূর্ণ আপডেট পেতে আমাদের Facebook Page ফলো করুন এবং Telegram Channel ও Whatsapp Channel জয়েন করুন।
Latest Posts:
- পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্য- সপ্তম শ্রেণীর পরিবেশ বিজ্ঞান | Class 7 Science Chapter 8
- পরিবেশের সংকট, উদ্ভিদ ও পরিবেশের সংরক্ষণ-সপ্তম শ্রেণীর বিজ্ঞান | Class 7 Poribesh Chapter 7
- পরিবেশ গঠনে পদার্থের ভূমিকা (চতুর্থ অধ্যায়)- সপ্তম শ্রেণীর বিজ্ঞান | Class 7 Science Chapter 4
- সময় ও গতি (দ্বিতীয় অধ্যায়) সপ্তম শ্রেণীর বিজ্ঞান প্রশ্ম উত্তর | Class 7 Science Chapter 2
- আমাদের চারপাশের পরিবেশ ও উদ্ভিদজগৎ-অষ্টম শ্রেণীর বিজ্ঞান| Poribesh Bigyan Class 8 Chapter 11




