মাধ্যমিকের জীবন বিজ্ঞান বিষয়ের মক টেস্ট দিন | Madhyamik Life Science Mock Test

svmcm 2024-25 Swami Vivekananda Scholarship

SVMCM 2024-25 | স্বামী বিবেকানন্দ স্কলারশিপ ২০২৪-২৫

Madhyamik 2023 Life Science Solved Paper

উত্তরসহ মাধ্যমিক ২০২৩ জীবন বিজ্ঞান প্রশ্মপত্র | Madhyamik 2023 Life Science Solved Paper

Last Updated on November 27, 2024 by Science Master

উত্তরসহ মাধ্যমিক ২০২৩ জীবন বিজ্ঞান প্রশ্মপত্র (WB Madhyamik 2023 Life Science Solved Paper): পশ্চিমবঙ্গ মধ্যশিক্ষা পর্ষদের মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের সুবিধার জন্য ২০২৩ সালের মাধ্যমিক পরীক্ষার জীবন বিজ্ঞান বিষয়ের প্রশ্মপত্রের (Life Science Solved Paper) সমস্ত প্রশ্মের পুঙ্খানুপুঙ্খ উত্তর করে দেওয়া হলো। মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের তাদের পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য বিগত বছরের প্রশ্মপত্রগুলি খুবই গুরুত্বপূর্ণ তাই তাদের সুবিধার জন্য ২০২৩ সালের মাধ্যমিক পরীক্ষার জীবন বিজ্ঞান (Life Science Solved Paper) বিষয়ের প্রশ্মপত্রের সমস্ত প্রশ্মের উত্তর করে দেওয়া হলো।

SUBJECT-LIFE SCIENCE

(নতুন পাঠ্যক্রম)

Time: 3 hours 15 minutes Full Marks: 90

বিভাগ- ‘ক’

(সমস্ত প্রশ্নের উত্তর করা আবশ্যিক)

১। প্রতিটি প্রশ্নের সঠিক উত্তরটি নির্বাচন করে তার ক্রমিক সংখ্যাসহ লেখো।   ১ x ১৫ = ১৫

১.১ নীচের কোনটি অ্যাক্সনের গঠনসংক্রান্ত বৈশিষ্ট্য নয়?     

(ক) র‍্যানভিয়ারের পর্ব

(গ) নিজল দানা

(খ) মায়েলিন সিদ্‌

(ঘ) সোয়ান কোশ

উত্তরঃ- (গ) নিজল দানা

১.২ নীচের কোনটি ADH হরমোনের কাজ?

(ক) উপধমনীকে সংকুচিত করে রক্তচাপ বাড়ায়

(খ) পরিণত বয়সে শুক্রাণু ও ডিম্বাণু উৎপাদনে সাহায্য করে

(গ) যকৃত ও পেশিকোশে গ্লুকোজকে গ্লাইকোজেনে রূপান্তরিত করে সঞ্চিত রাখে

(ঘ) স্নায়ুতন্ত্রের বিকাশ ঘটায় ও স্বাভাবিক ক্রিয়া বজায় রাখে

উত্তরঃ- (ক) উপধমনীকে সংকুচিত করে রক্তচাপ বাড়ায়

১.৩ কর্নিয়া, কোরয়েড, লেন্স, অ্যাকুয়াস হিউমর, আইরিস, ভিট্রিয়াস হিউমর-অক্ষিগোলকের এই অংশগুলোর মধ্যে কয়টি অক্ষিগোলকের প্রতিসারক মাধ্যম?

(ক) 3

(গ) 5

(খ) 4

(ঘ) 6

উত্তরঃ- (খ) 4

১.৪ নিউক্লিওটাইডের রাসায়নিক উপাদান সংক্রান্ত নীচের কোনটি সঠিক?

(ক) 5-C যুক্ত শর্করা ফসফরিক অ্যাসিড নিউক্লিওটাইড

(খ) N, যুক্ত ক্ষারক ফসফরিক অ্যাসিড নিউক্লিওটাইড

(গ) 5-C যুক্ত শর্করা N, যুক্ত ক্ষারক নিউক্লিওটাইড

(ঘ) S-C যুক্ত শর্করা+ N, যুক্ত ক্ষারক ফসফরিক অ্যাসিড নিউক্লিওটাইড

উত্তরঃ- (ঘ) 5-C যুক্ত শর্করা+N, যুক্ত ক্ষারক ফসফরিক অ্যাসিড নিউক্লিওটাইড

১.৫ ইতরপরাগযোগের পদ্ধতির ক্ষেত্রে নীচের কোন জোড়টি সঠিক?

পরাগযোগের পদ্ধতিউদ্ভিদের নাম
(ক) বায়ুপরাগীআম
(খ) জলপরাগীধান
(গ) পতঙ্গপরাগীহাইড্রিলা
(ঘ) পক্ষিপরাগীপলাশ

উত্তরঃ- (ঘ) পক্ষিপরাগী – পলাশ

১.৬ ফার্ণের জনুক্রমে নীচের কোন দশাটি রেণুধর জনুর অন্তর্গত নয়।

(ক) প্রোথ্যালাস

(খ) সোরাস

(গ) রেণুস্থলী

(ঘ) রেণুমাতৃকোশ

উত্তরঃ- (ক) প্রোথ্যালাস

১.৭ গিনিপিগের ক্ষেত্রে দ্বিসংকর জননের F, জনুতে উৎপন্ন BbRr ও BBRR জিনোটাইপ দুটির সংখ্যার অনুপাতটি কী?

(ক) 2 : 1

(গ) 1 : 2

(খ) 4 : 1

উত্তরঃ- (খ) 4:1

১.৮ নীচের কোন দুটি জিনোটাইপ হলুদ বর্ণ ও কুষ্ণিত আকৃতির বীজযুক্ত মটরগাছের জিনোটাইপ প্রদর্শন করে?

(ক) ҮYrr , Үyrr

(খ) YYRr, YyRR

(গ) yyRR, yyRr

(ঘ) YYRR, yуrr

উত্তরঃ- (ক) YYrr, Yуrr

১.৯ অসম্পূর্ণ প্রকটতার ক্ষেত্রে সঙ্কর জননের F, জনুতে জিনোটাইপ ও ফিনোটাইপ অনুপাত কোনটি?

(ক) 2 : 1 : 1

(খ) 1 : 1 : 1

(গ) 1 : 2 : 1

(ঘ) 1 : 2 : 2

উত্তরঃ- (গ) 1 : 2 : 1

১.১০ নীচের কোনটি ডারউইন মতবাদের বক্তব্য নয়?

(ক) অর্জিত বৈশিষ্ট্যুর বংশানুসরণ

(খ) জীবনসংগ্রাম

(গ) প্রকরণ

(ঘ) প্রাকৃতিক নির্বাচন

উত্তরঃ- (ক) অর্জিত বৈশিষ্ট্যর বংশানুসরণ

১.১১ সমসংস্থ অংগের বৈশিষ্ট্য শনাক্ত করো-

(ক) গঠনগতভাবে ভিন্ন কিন্তু উৎপত্তি আর কার্যগতভাবে অভিন্ন

(খ) উৎপত্তি আর কার্যগতভাবে ভিন্ন হলেও গঠনগতভাবে অভিন্ন

(গ) গঠনগত ও কার্যগতভাবে অভিন্ন হলেও উৎপত্তিগতভাবে ভিন্ন

(ঘ) উৎপত্তি ও গঠনগতভাবে অভিন্ন হলেও কার্যগতভাবে ভিন্ন

উত্তরঃ- (ঘ) উৎপত্তি ও গঠনগতভাবে অভিন্ন হলেও কার্যগতভাবে ভিন্ন

১.১২ জীবনের রাসায়নিক উৎপত্তি-সংক্রান্ত মিলার ও উরের পরীক্ষায় ব্যবহৃত বিকারগুলো কী কী?

(ক) অক্সিজেন, মিথেন, নাইট্রোজেন ডাইঅক্সাইড

(খ) জল, মিথেন, অ্যামোনিয়া, হাইড্রোজেন

(গ) মিথেন, হাইড্রোজেন সালফাইড, কার্বন মনোক্সাইড

(ঘ) নাইট্রাস অক্সাইড, মিথেন, কার্বন ডাইঅক্সাইড

উত্তরঃ- (খ) জল, মিথেন, অ্যামোনিয়া, হাইড্রোজেন

১.১৩ নাইট্রোজেন চক্রের সঠিক ক্রমটি শনাক্ত করো

(ক) নাইট্রোজেন স্থিতিকরণ ডিনাইট্রিফিকেশন অ্যামোনিফিকেশন নাইট্রিফিকেশন

(খ) অ্যামোনিফিকেশন নাইট্রিফিকেশন নাইট্রোজেন স্থিতিকরণ ডিনাইট্রিফিকেশন

(গ) নাইট্রোজেন স্থিতিকরণ অ্যামোনিফিকেশন নাইট্রিফিকেশন ডিনাইট্রিফিকেশন

(ঘ) নাইট্রিফিকেশন নাইট্রোজেন স্থিতিকরণ ডিনাইট্রিফিকেশন অ্যামোনিফিকেশন

উত্তরঃ- (গ) নাইট্রোজেন স্থিতিকরণ অ্যামোনিফিকেশন নাইট্রিফিকেশন ডিনাইট্রিফিকেশন

১.১৪ জীববৈচিত্র্য হ্রাসের ক্ষেত্রে নীচের হ্রাসের কারণ ও ক্ষতিগ্রস্ত প্রজাতির কোন জোড়টি সঠিক?

(ক) বহিরাগত প্রজাতির অনুপ্রবেশ একশৃঙ্গ গণ্ডার

(খ) দূষণ রয়‍্যাল বেঙ্গল টাইগার

(গ) বিশ্ব উষ্ণায়ন এবং জলবায়ুর পরিবর্তন মেরুভল্লুক

(ঘ) শিকার এবং চোরাশিকার শকুন

উত্তরঃ- (গ) বিশ্ব উষ্ণায়ন এবং জলবায়ুর পরিবর্তন মেরুভল্লুক

১.১৫ কোনো একটি খাদ্যশৃঙ্খলে ক্লোরিনযুক্ত কীটনাশক প্রবেশ করলে নীচের কোন ঘটনাটি ঘটে?

(ক) জীববিবর্ধন

(গ) বিশ্ব উষ্ণায়ন

(খ) ইউট্রফিকেশন

(ঘ) বধিরত্ব

উত্তরঃ- (ক) জীববিবর্ধন

বিভাগ ‘ খ’

২। নীচের ২৬টি প্রশ্ন থেকে ২১টি প্রশ্নের উত্তর নির্দেশ অনুসারে লেখো। ১ x ২১ = ২১

নীচের বাক্যগুলোর শূন্যস্থানগুলোতে উপযুক্ত শব্দ বসাও (যেকোনো পাঁচটি)। ১ x ৫ = ৫

২.১ ন্যাস্টিক চলন বহিঃস্থ উদ্দীপকের ____ দ্বারা প্রভাবিত ও নিয়ন্ত্রিত হয়।

উত্তরঃ- তীব্রতা।

২.২ ____ কোশবিভাজন প্রজাতির ক্রোমোজোম সংখ্যা ধ্রুবক রাখে।

উত্তরঃ- মিয়োসিস।

২.৩ বীজের কুঞ্চিত আকার একটি ____ বৈশিষ্ট্য।

উত্তরঃ- প্রচ্ছন্ন।

২.৪ উটের রক্তের RBC এর আকৃতি ____ হওয়ায় এটি অধিক মাত্রায় জলক্ষয় সহন করতে পারে।

উত্তরঃ- ডিম্বাকার।

২.৫ বায়ুদূষণের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট একটি ব্যাধি হলো ____।

উত্তরঃ- অ্যাজমা / ব্রঙ্কাইটিস / লাং ক্যানসার / হাঁপানি।

২.৬ নীলগিরি ও ____ উভয়ই হলো বায়োস্ফিয়ার রিজার্ভ।

উত্তরঃ- সুন্দরবন / মানস / সিমিলিপাল

নীচের বাক্যগুলো সত্য অথবা মিথ্যা নিরূপণ করো (যেকোনো পাঁচটি): ১x৫=৫

২.৭ অক্সিন হরমোন অগ্রমুকুলের বৃদ্ধি রোধ করে এবং কাক্ষিক মুকুলের বৃদ্ধি ঘটায়।

উত্তরঃ- মিথ্যা।

২.৮ চেক পয়েন্টগুলোর কাজ বিঘ্নিত হলে কোশবিভাজন অনিয়ন্ত্রিত হয়।

উত্তরঃ- সত্য।

২.৯ YyRr জিনোটাইপযুক্ত মটরগাছ থেকে কেবলমাত্র এক ধরনের গ্যামেট উৎপন্ন হয়।

উত্তরঃ- মিথ্যা।

২.১০ একটি বনে বিভিন্ন ধরনের বাঘেদের মধ্যে অন্তঃপ্রজাতি ও আন্তঃপ্রজাতি সংগ্রাম উভয়ই পরিলক্ষিত হতে পারে।

উত্তরঃ- সত্য।

২.১১ নাইট্রাস অক্সাইড একটি গ্রিনহাউস গ্যাস।

উত্তরঃ- সত্য।

২.১২ ট্রাইসেপস একটি ফ্লেক্সর পেশি।

উত্তরঃ- মিথ্যা।

A-স্তম্ভে দেওয়া শব্দের সঙ্গে B-স্তন্তে দেওয়া সর্বাপেক্ষা উপযুক্ত শব্দটির সমতা বিধান করে উভয় স্তম্ভের ক্রমিক নং উল্লেখসহ সঠিক জোড়টি পুনরায় লেখো (যে-কোনো পাঁচটি): ১x৫=৫

‘A’-স্তম্ভ‘B’-স্তন্ত
২.১৩ মেনিনজেস(ক) পায়ের আঙুলের সংখ্যা হ্রাস
২.১৪ যৌন জনন(খ) দ্বীপভূমির নিমজ্জন
২.১৫ রোলার জিভ(গ) সেন্ট্রোমিয়ার
২.১৬ ঘোড়ার বিবর্তন(ঘ) টেলোমিয়ার
২.১৭ সুন্দরবনের পরিবেশগত সমস্যা(ঙ) মস্তিষ্ক ও সুষুম্নাকান্ডকে যান্ত্রিক আঘাত থেকে রক্ষা করে
২.১৮ ক্রোমোজোমকে বেমতত্ত্বর সঙ্গে যুক্ত করে( চ) অটোজোম দ্বারা নিয়ন্ত্রিত

( ছ) গ্যামেট উৎপাদন ও গ্যামেটের মিলমের মাধ্যমে ঘটে

উত্তরঃ- ২.১৩ মেনিনজেস (ঙ) মস্তিষ্ক ও সুষুম্নাকান্ডকে যান্ত্রিক আঘাত থেকে রক্ষা করে

২.১৪ যৌন জনন (ছ) গ্যামেট উৎপাদন ও গ্যামেটের মিলমের মাধ্যমে ঘটে

২.১৫ রোলার জিভ (চ) অটোজোম দ্বারা নিয়ন্ত্রিত

২.১৬ ঘোড়ার বিবর্তন- (ক) পায়ের আঙুলের সংখ্যা হ্রাস

২.১৭ সুন্দরবনের পরিবেশগত সমস্যা (খ) দ্বীপভূমির নিমজ্জন

২.১৮ ক্রোমোজোমকে বেমতস্তুর সঙ্গে যুক্ত করে (ঘ) সেন্ট্রোমিয়ার

আরও দেখুন:  মাধ্যমিক ভৌতবিজ্ঞান সাজেশন ২০২৫ঃ অজৈব রসায়ন | Physical Science Suggestion 2025 Chapter 8.4

একটি শব্দে বা একটি বাক্যে উত্তর দাও (যে-কোনো ছ’টি): ১x৬=৬

২.১৯ বিসদৃশ শব্দটি বেছে লেখো। টেস্টোস্টেরন, ইনসুলিন, প্রোজেস্টেরন, ইস্ট্রোজেন

উত্তরঃ- ইনসুলিন

২.২০ চোখের উপযোজনের সঙ্গে লেন্সের সম্পর্ক কী?

উঃ বিভিন্ন দূরত্বে অবস্থিত দ্রষ্টব্য বস্তুর রেটিনায় স্পষ্ট প্রতিবিম্ব সৃষ্টির জন্য সিলিয়ারি পেশীর সংকোচন প্রসারণের মাধ্যমে। লেন্সের বক্রতা ব্যাসার্ধের পরিবর্তনই চোখের উপযোজন ঘটায়।

২.২১ নীচের প্রথম শব্দজোড়টির সম্পর্ক বুঝে দ্বিতীয় শব্দজোড়টির শূন্যস্থানে উপযুক্ত শব্দ বসাও মাইটোসিস : সমবিভাজন :: ____ হ্রাস বিভাজন

উত্তরঃ- মিয়োসিস।

২.২২ একটি জীব একটি চরিত্রের জন্য বিশুদ্ধ হলেও আর একটি চরিত্রের জন্য অন্য কী হতে পারে?

উত্তরঃ- বিশুদ্ধ বা সংকর হতে পারে।

২.২৩ বর্ণান্ধতার জন্য দায়ি জিনটির একটি বৈশিষ্টা লেখো।

উত্তরঃ- জিনটি X ক্রোমোজোমে বর্তমান এবং প্রচ্ছন্ন প্রকৃতির

২.২৪ বিভিন্ন মেরুদন্ডী প্রাণীর ভূণের তুলনামূলক আলোচনা থেকে কোন তত্ত্বে পৌঁছানো সম্ভব?

উত্তরঃ- জীবজনি জাতিজনির পুনরাবৃত্তি ঘটায়।

২.২৫ নীচের চারটি বিষয়ের মধ্যে কোনো তিনটি অপর বিষয়টির অন্তর্গত। সেই বিষয়টি খুঁজে বার করো এবং লেখো-

কৃষিজমির হ্রাস, মিষ্টি জলের অভাব, ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার সমস্যা, অরণ্য ধ্বংস

উত্তরঃ- ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার সমস্যা।

২.২৬ জীববৈচিত্র্যের হটস্পটের একটি বৈশিষ্ট্য লেখো।

উত্তরঃ- পৃথিবীর যে সব অঞ্চলে অন্তত ১৫০০ প্রজাতির এনডেমিক নালিকা বান্ডিলযুক্ত উদ্ভিদ থাকবে এবং যে অঞ্চলে শতকরা সত্তর ভাগ প্রাথমিক উদ্ভিদ বিনষ্ট হয়েছে।

বিভাগ- ‘গ’

নীচের ১৭টি প্রশ্ন থেকে যে-কোনো ১২টি প্রশ্নের উত্তর দুই-তিনটি বাক্যে লেখো। ২ x ১২ = ২৪

৩.১ হাঁচি ও কাশি প্রতিবর্ত দুইটি বিপদ এড়াতে সাহায্য করে- বক্তব্যটির যথার্থতা বিচার করো।

উত্তরঃ-

  • হাঁচি বাহ্যিক অনভিপ্রেত বস্তুকণা যেমন ফুলের পরাগরেণু, ধোঁয়া, ধূলো প্রভৃতি নাকে প্রবেশ করলে হাঁচি হয়। হাঁচির সময় বাতাসের সঙ্গে বহিরাগত বস্তু নাক থেকে বেরিয়ে যায়।
  • কাশি: শ্বাসনালীতে কোনো বস্তু হঠাৎ প্রবেশ করলে তৎক্ষণাৎ কাশি হয়। দ্রুত কাশির ফলে বলপূর্বক ফুসফুসীয় বায়ু ও ওই বস্তুর নির্গমন ঘটে।

৩.২ জিব্বেরেলিন হরমোন কীভাবে বীজের অঙ্কুরোদ্গম ঘটায় ও উদ্ভিদের দৈর্ঘ্য বৃদ্ধি করে?

উত্তরঃ-

  • জিব্বেরেলিন বীজমধ্যস্থ বিভিন্ন উৎসেচকের সক্রিয়তা বৃদ্ধি করে। এর প্রভাবে বীজে সঞ্চিত খাদ্য ভ্রুণে সঞ্চারিত হয় এবং ভ্রুণমূল ও ভ্রুণমুকুলে কোশ বিভাজন শুরু হয়, বীজের সুপ্তাবস্থা দূর হয় ও অঙ্কুরোদগম ঘটে।
  • জিব্বেরেলিন মূলত পর্বমধ্যে নিবেশিত ভাজক কলাকোশের বিভাজন ও আয়তন বৃদ্ধির দ্বারা উদ্ভিদের দৈর্ঘ্য বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।

৩.৩ হৃৎপিন্ড ও লোহিত রক্তকণিকার ওপর থাইরক্সিন হরমোনের একটি প্রভাব লেখো।

উত্তরঃ-

  • থাইরক্সিনের প্রভাবে হৃৎস্পন্দনের হার বেড়ে যায়, ফলে রক্তচাপ ও শ্বসনের হারও বৃদ্ধি করে।
  • থাইরক্সিন লোহিত রক্তকণিকার ক্রম পরিনতিতে সাহায্য করে।

৩.৪ নীচের শব্দ দুটি ব্যাখ্যা করো

  • গ্যাংলিয়া
  • সাইন্যাপস

উত্তরঃ- ⬕ গ্যাংলিয়াঃ মূলত প্রান্তীয় স্নায়ুতন্ত্রের অন্তর্গত স্নায়ু সংলগ্ন নিউরোনের কোশদেহগুলি যোগকলা দ্বারা আবৃত হয়ে যে স্ফীতগ্রন্থি তৈরি করে, তাকে স্নায়ুগ্রন্থি বা গ্যাংলিয়া (বহুবচনে) বলে। এগুলি সাধারণত কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রের বাইরে অবস্থান করে এবং গ্রাসনালী, পাচকগ্রন্থি, অশ্রুগ্রন্থি ইত্যাদির কাজ নিয়ন্ত্রণ করে।

সাইন্যাপসঃ দৃটি স্নায়ুকোশের যে সংযোগস্থলে একটি নিউরোন থেকে রাসায়নিক বা বৈদ্যুতিক তথ্য পরবর্তী নিউরোন প্রবাহিত হয়, তাকে সাইন্যাপস বলে।

৩.৫ অ্যামাইটোসিস কোশবিভাজনের দুটি বৈশিষ্টা লেখো।

উত্তরঃ-

  • অ্যামাইটোসিস কোশবিভাজনে বেমতত্ত্ব গঠন ব্যতিরেকে নিউক্লিয়াস ও সাইটোপ্লাজম সরাসরি বিভাজিত হয়।
  • নিম্ন শ্রেণির জীবেরা যেমন- ব্যাকটেরিয়া, ইস্ট, অ্যামিবা ইত্যাদি অ্যামাইটোসিস কোশ বিভাজন পদ্ধতিতে সংখ্যা বৃদ্ধি ঘটায়।

৩.৬ ইন্টারফেজের G, দশার দুটি ঘটনা উল্লেখ করো।

উত্তরঃ-

  • কোশের আকার বৃদ্ধি ঘটে এবং কোশীয় অঙ্গাণুর দ্বিতকরণ ঘটে।
  • DNA সংশ্লেষের উপাদান যেমন RNA ও প্রোটিনের সংশ্লেষণ ঘটে।

৩.৭ উদ্ভিদের একটি উপযুক্ত উদাহরণের সাহায্যে খন্ডীভবন প্রক্রিয়াটি ব্যাখ্যা করো।

উত্তরঃ- স্পাইরোগাইরা নামক শৈবালের সূত্রাকার দেহটি জলস্রোতের প্রভাবে বা আঘাতজনিত কারণে খণ্ডিত হয়ে প্রতিটি দেহাংশ নতুন অপত্য সৃষ্টি করে এবং মাইটোসিস কোশ বিভাজন পদ্ধতি দ্বারা বৃদ্ধিপ্রাপ্ত হয়ে অপত্যজীব সৃষ্টি করে।

৩.৮ বিবাহ সম্পর্ক স্থাপনের ক্ষেত্রে জেনেটিক কাউন্সেলিং-এর গুরুত্ব কী?

উত্তরঃ- বিবাহের পূর্বে পুরুষ ও স্ত্রী থ্যালাসেমিয়া বা অন্য কোনো জিনগত রোগের বাহক কিনা তা নির্ণয়ের সময়ে, পুরুষ ও স্ত্রী পার্টনার থ্যালাসেমিয়ার বাহক হলে বিবাহ না করা, অথবা বিবাহ হলেও সন্তান থ্যালাসেমিক কিনা তা নির্ণয় করা এবং থ্যালাসেমিক হলে ভ্রুণ বিনষ্ট করার পরামর্শ জেনেটিক কাউন্সেলিং-এর মাধ্যমে পাওয়া সম্ভব। জেনেটিক কাউন্সেলিং-এর দ্বারা ভবিষ্যত সন্তান যাতে জিনগত রোগবিহীন হয়, তা সুনিশ্চিত করা যায়।

৩.৯ বংশগতি সংক্রান্ত পরীক্ষা নিরীক্ষার জন্য মেন্ডেলের মটরগাছ নির্বাচনের দুটি কারণ লেখো।

উত্তরঃ-

  • মটরগাছ সহজে চাষযোগ্য, দ্রুত প্রজননক্ষম, উভলিঙ্গ ফুলবিশিষ্ট, স্বপরাগযোগ ও ইতরপরাগযোগের ক্ষমতাসম্পন্ন।
  • মটরগাছ অনেকগুলি বিপরীতধর্মী চারিত্রিক বৈশিষ্টসম্পন্ন।

৩.১০ বাবা বর্ণান্ধ এবং মাতা সম্পূর্ণ স্বাভাবিক হলে তাদের ছেলেমেয়েদের মধ্যে কত শতাংশ বর্ণান্ধ হতে পারে তার সম্ভাবনা যুক্তিসহ বিচার করে লেখো।

উত্তরঃ- বাবা বর্ণান্ধ হলে জিনোটাইপ হবে XcY

মাতা সম্পূর্ণ স্বাভাবিক হলে জিনোটাইপ হবে XX

2023 life Science Solved
2023 life Science Solved

সুতরাং বর্ণান্ধ বাবা এবং সম্পূর্ণ স্বাভাবিক মাতার ছেলেমেয়েদের মধ্যে বর্ণান্ধ হওয়ার সম্ভাবনা শূন্য শতাংশ।

৩.১১ জীবের একটি সহজাত বৈশিষ্ট্য হলো অত্যধিক হারে বংশবৃদ্ধি করা। এর ফলে জীবের সংখ্যা জ্যামিতিক হারে বৃদ্ধি পায়- দুটি উদাহরণের সাহায্যে বক্তব্যটির যথার্থতা প্রমাণ করো।

উত্তরঃ- ডারউইনের মতে অত্যধিক হারে বংশবৃদ্ধি করা হল জীবের সহজাত বৈশিষ্ট্য। এর ফলে জ্যামিতিক হারে জীবের সংখ্যা বৃদ্ধি ঘটে। উদাহরণস্বরূপ, একটি স্ত্রী সালমন মাছ প্রজনন ঋতুতে প্রায় ৩ কোটি ডিম পাড়ে, একটি ঝিনুক একবারে প্রায় ১২ কোটি ডিম্বানু উৎপাদন করে।

৩.১২ কর্মী মৌমাছিরা খাদ্যের কোনো উৎসের সন্ধান পেলে কীভাবে মৌচাকের অন্যান্য কর্মী মৌমাছিদের কাছে সেই বার্তা আদান-প্রদান করে?

উত্তরঃ- শ্রমিক মৌমাছিরা খাবারের সন্ধানে দূর-দূরান্তে উড়ে বেড়ায়। খাবারের খোঁজ পেলে মৌচাকে ফিরে এসে বিশেষ ধরনের নৃত্য পরিবেশন করে। এই নৃত্যের মহড়া দেখতে অনেকটা ইংরেজি’ ৪’ অক্ষরের মতো দেখায়। এদের ওয়াগটেল নৃত্য বলে। এই সময় তাদের উদরও আন্দোলিত হয়। মৌমাছিটি কীভাবে নাচছে এবং কতক্ষণ ধরে নাচছে তার ওপর ভিত্তি করে অন্যান্য মৌমাছিরা মৌচাক ছেড়ে বেরিয়ে পড়ে এবং দ্রুত খাবারের উৎস স্থানে পৌঁছে যায়। যদি খাবারের উৎস ১০০ মিটারের মধ্যে হয়, তাহলে তারা চক্রাকার নৃত্য প্রদর্শন করে।

৩.১৩ প্রাকৃতিক নির্বাচন বলতে কী বোঝ?

উত্তরঃ- যে প্রাকৃতিক প্রক্রিয়ায় অনুকূল ভেদ বা অভিযোজনমূলক ভেদ সমন্বিত জীবেরা অন্যদের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় অধিক সুযোগ-সুবিধা ভোগ করে তাকে প্রাকৃতিক নির্বাচন বলে। অনুকূল ভেদ সমন্বিত জীবেরা প্রকৃতি দ্বারা নির্বাচিত হলে অধিক সংখ্যায় বেঁচে থাকে এবং অধিক হারে বংশবৃদ্ধি করে, অপরপক্ষে, প্রতিকূল ভেদ সমন্বিত জীবেরা প্রকৃতি দ্বারা নির্বাচিত হয় না বলে ধীরে ধীরে পৃথিবী থেকে অবলুপ্ত হয়।

৩.১৪ ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার একটি সমস্যা হলো জলাভূমি ধ্বংস- এর ফলে যে যে ঘটনা ঘটতে পারে তার দুটি উল্লেখ করো।

আরও দেখুন:  মাধ্যমিক ভৌতবিজ্ঞান সাজেশন ২০২৫ঃ পর্যায় সারণি | Physical Science Suggestion 2025 Chapter 8.1

উত্তরঃ-

  • জলচর প্রাণীর সংখ্যা হ্রাস ও বিলুপ্তি
  • মিষ্টি / পানীয় জলের পরিমাণ হ্রাস

৩.১৫ বহিরাগত প্রজাতির অনুপ্রবেশের ফলে জীববৈচিত্র্যের হ্রাস ঘটে- ভারতের ক্ষেত্রে এই বক্তব্যের যথার্থতা দুটি উদাহরণসহ প্রমাণ করো।

উত্তরঃ- (১) কচুরিপানা দক্ষিণ আমেরিকা থেকে ভারতসহ সমগ্র এশিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে। সুন্দর ফুলের জন্য প্রথমে সমাদৃত হলেও তা স্টোলন দ্বারা দ্রুত বংশবৃদ্ধির জন্য অন্য প্রজাতিগুলির বিলুপ্তি ঘটাচ্ছে।

(২) ল্যান্টানা কামারা একপ্রকারের কাঁটা জাতীয় গুল্ম প্রাকৃতির গাছ। ১৮০৯ খ্রিস্টাব্দে মেক্সিকো থেকে আমাদের দেশে প্রবেশ করে। এই গুল্মের বিস্তার আমাদের দেশীয় গুল্মগুলিকে বিপন্নতার দিকে ঠেলে দিচ্ছে।

৩.১৬ পূর্ব হিমালয় হটস্পটের একটি বিলুপ্তপ্রায় উদ্ভিদ ও একটি বিলুপ্তপ্রায় স্তন্যপায়ী প্রাণীর নাম লেখো।

উত্তরঃ- পূর্ব হিমালয় হটস্পটের একটি বিলুপ্তপ্রায় উদ্ভিদ হলো- রোডোডেনড্রন এবং একটি বিলুপ্তপ্রায় স্তন্যপায়ী প্রাণী হলো- রেড পান্ডা।

৩.১৭ জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণে জয়েন্ট ফরেস্ট ম্যানেজমেন্ট (JFM) এবং পিপলস্ বায়োডাইভারসিটি রেজিস্টার (PBR)-এর একটি করে ভূমিকা লেখো।

উত্তরঃ- (১) JFM-এর মাধ্যমে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ, বনজ সম্পদের সঠিক ব্যবস্থাপনা, ধ্বংসপ্রাপ্ত অরণ্যের পুনরুদ্ধার এবং বাণিজ্যিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ উদ্ভিদের অরণ্য সৃষ্টি ও সুরক্ষার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

(২) PBR স্থানীয় জীববৈচিত্র্য সম্পর্কে সঠিক ধারণা দেয়, তার ওপর নির্ভর করে বিপন্ন জীবগুলির সংরক্ষণে ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব হয়। তাছাড়া স্থানীয় মানুষকে জীববৈচিত্র্যের সংরক্ষণের ব্যাপারে সজাগ করে সংরক্ষণে অংশীদার করে এবং জীববৈচিত্র্যের অর্থনৈতিক কারণে সুস্থায়ী ব্যবহার সম্ভবপর হয়।

বিভাগ ‘ঘ’

(দীর্ঘ উত্তরধর্মী প্রশ্ন)

নীচের ছয়টি বা তার বিকল্প প্রশ্নের উত্তর লেখো। দৃষ্টিহীন পরীক্ষার্থীদের ৪.১ নং প্রশ্নের পরিবর্তে ৪.১(A) নং প্রশ্নের উত্তর করতে হবে। প্রতিটি প্রশ্নের মান ৫ (প্রশ্নের মান বিভাজন ৩+২, ২+৩ বা ৫ হতে পারে):

৪.১ মানুষের অক্ষিগোলকের লম্বচ্ছেদের একটি বিজ্ঞানসম্মত চিত্র অঙ্কন করো এবং নিম্নলিখিত অংশগুলো চিহ্নিত করো-

(ক) কোরয়েড

(খ) লেন্স

(গ) কর্নিয়া

(ঘ) ভিট্রিয়াস হিউমর

উত্তরঃ-

অথবা

প্রাণীকোশের মাইটোসিস কোশবিভাজনের অ্যানাফেজ দশায় একটি বিজ্ঞানসম্মত চিত্র অঙ্কন করে নিম্নলিখিত অংশগুলো চিহ্নিত করো ৩+২=৫

(ক) সেন্ট্রোমিয়ার

(গ) মেরু অঞ্চল

(খ) অপত্য ক্রোমোজোম

(ঘ) বেমতত্ত্ব

উত্তরঃ-

৪.২ কোশবিভাজনের নিম্নলিখিত তিনটি তাৎপর্য ব্যাখ্যা করো-

বৃদ্ধি , ক্ষয়পূরণ , প্রজনন

জীবজগতে মিয়োসিস কোশবিভাজনের সংঘটনস্থানগুলো সারণির সাহায্যে লেখো। ৩+২=৫

উত্তরঃ- বৃদ্ধি: কোশ বিভাজনের ফলে কোশের সংখ্যার বৃদ্ধি ঘটে, যা জীবদেহের সামগ্রিকভাবে বৃদ্ধি ঘটায়। যেমন- কোশ বিভাজনের মাধ্যমেই এককোশী জাইগোট থেকে বহুকোশী ভূণের পরিস্ফুরণ ঘটে।

ক্ষয়পূরণ: জীবদেহে ক্ষতস্থান নিরাময় ও কলা বা অঙ্গের পুনরুৎপত্তিতে কোশ বিভাজন একটি আবশ্যিক পদ্ধতি। যেমন- কেটে যাওয়া টিকটিকির ল্যাজ থেকে পূর্ণ ল্যাজ তৈরি হওয়া, কাঁকড়ার বিনষ্ট পদের স্থানে নতুন পদের সৃষ্টি প্রভৃতি।

প্রজনন: কোশ বিভাজনের ফলে জনন কোশ উৎপন্ন হয়, যা উন্নত জীবে যৌন জনন প্রক্রিয়ায় সাহায্য করে। এছাড়া অযৌন জনন ও অঙ্গজ জননের মাধ্যমে জীবের সংখ্যা বৃদ্ধিতে কোশ বিভাজনের গুরুত্ব অপরিসীম।

জীবজগতে মিয়োসিস কোশবিভাজনের সংঘটনস্থান-

(১) প্রাণীদের ক্ষেত্রে জননমাতৃকোশ থেকে জননকোশ (ডিম্বানু এবং শুক্রানু) তৈরির সময় মিয়োসিস ঘটে।

(২) সপুষ্পক উদ্ভিদের ক্ষেত্রে জননমাতৃকোশ থেকে মিয়োসিস প্রক্রিয়ায় (যথাক্রমে মাইক্রোস্পোরোজেনেসিস ও মেগাস্পোরোজেনেসিস পদ্ধতিতে) পরাগরেণু ও ডিম্বানু তৈরি হয়।

(৩) মস, ফার্ণ প্রভৃতিতে রেণুমাতৃকোশ মিয়োসিস পদ্ধতিতে বিভাজিত হয়ে রেণু সৃষ্টি করে।

(৪) ছত্রাকের ক্ষেত্রে ডিপ্লয়েড ভ্রুণরেণু বা জাইগোস্পোরের অঙ্কুরোদগমের সময় মিয়োসিস ঘটে।

অথবা

মাইক্রোপ্রপাগেশন পদ্ধতিটি ব্যাখ্যা করো। অযৌন ও যৌন জননের মধ্যে নিম্নলিখিত তিনটি বিষয়ে পার্থক্য নিরূপণ করো

জনিত্ব জীবের সংখ্যা , কোশ বিভাজন , ভেদ বা প্রকরণের উৎপত্তি

উত্তরঃ- মাইক্রোপ্রোপাগেশন পদ্ধতিঃ

  • উদ্ভিদ দেহাংশ বা এক্সপ্ল্যান্ট সংগ্রহ করে তাকে ছোটো ছোটো টুকরো করে কর্ষণ মাধ্যমে স্থাপন করা হয়।
  • এই কর্ষণ মাধ্যমে শক্তির উৎসরূপে সুক্রোজ ব্যবহৃত হয়। এছাড়া বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রক রূপে কৃত্রিম অক্সিন, সাইটোকাইনিন এবং বিভিন্ন পরিপোষক ব্যবহৃত হয়।
  • প্রথমে উদ্ভিদ দেহাংশ থেকে একগুচ্ছ অবিভেদিত কোশ বা ক্যালাস সৃষ্টি হয়। এটি পরে বিভেদিত হয়ে বিভিন্ন কলা সৃষ্টির মাধ্যমে অসংখ্য এমব্রয়েড গঠন করে এবং ক্রমে বিভেদিত হয়ে অপত্য ক্ষুদ্র উদ্ভিদ বা প্লান্টলেট সৃষ্টি করে।
বিষয়অযৌন জননযৌন জনন
জনিতৃ জীবের সংখ্যাএকটিদুটি
কোশ বিভাজনমাইটোসিস, কিছুক্ষেত্রে অ্যামাইটোসিসের ওপর নির্ভরশীলএই প্রকার জননে গ্যামেট উৎপাদনকালে মিয়োসিস এবং জাইগোট থেকে অপত্য জীব উৎপাদনকালে মাইটোসিস কোশ বিভাজন ঘটে।
ভেদ বা প্রকরণের উৎপত্তিঅপত্য জনুর কোনো প্রকরণ ঘটে না বলে তা জনিতৃ জীবের অনুরূপ হয়।প্রকরণ সৃষ্টি হয় বলে, অপত্য জীব জিনগতভাবে জনিতৃ জীব অপেক্ষা ভিন্ন প্রকৃতির হয়।

৪.৩ বিশুদ্ধ কালো বর্ণ ও অমসৃণ লোমযুক্ত একটি গিনিপিগের সঙ্গে বিশুদ্ধ সাদা বর্ণ ও মসৃণ লোমযুক্ত একটি গিনিপিগের সংকরায়ণ ঘটালে দ্বিতীয় অপত্য বংশে সৃষ্ট অপত্যগুলোর ফিনোটাইপ অনুপাত চেকারবোর্ডের সাহায্যে দেখাও। ‘সন্তানের লিঙ্গ নির্ধারণে বাবার ভূমিকাই মুখ্য’- একটি চেকারবোর্ডের সাহায্যে বক্তব্যটির সত্যতা যাচাই করো।

উত্তরঃ-

Madhyamik 2023 Life Science Solved Paper

F2 জনুর চেকারবোর্ড



BRBrbRbr
BRBBRR
বিশৃদ্ধ কালো বর্ণ ও অমসৃণ লোমযুক্ত গিনিপিগ
BBRr
সংকর কালো বর্ণ ও অমসৃণ লোমযুক্ত গিনিপিগ
BbRR
সংকর কালো ও অমসৃণ লোমযুক্ত গিনিপিগ
BbRr
সংকর কালো বর্ণ ও অমসৃণ লোমযুক্ত গিনিপিগ
BrBBRr
সংকর কালো বর্ণ ও অমসৃণ লোমযুক্ত গিনিপিগ
BBrr
সংকর কালো বর্ণ ও মসৃণ লোমযুক্ত গিনিপিগ
BbRr
সংকর কালো বর্ণ ও অমসৃণ লোমযুক্ত গিনিপিগ
Bbrr
সংকর কালো বর্ণ ও মসৃণ লোমযুক্ত গিনিপিগ
bRBbRR
সংকর কালো বর্ণ ও অমসৃণ লোমযুক্ত গিনিপিগ
BbRr
সংকর কালো বর্ণ ও অমসৃণ লোমযুক্ত গিনিপিগ
bbRR
সংকর সাদা বর্ণ ও অমসৃণ লোমযুক্ত গিনিপিগ
bbRr
সংকর সাদা বর্ণ ও অমসৃণ লোমযুক্ত গিনিপিগ
brBbRr
সংকর কালো বর্ণ ও অমসৃণ লোমযুক্ত গিনিপিগ
Bbrr
সংকর কালো বর্ণ ও মসৃণ লোমযুক্ত গিনিপিগ
bbRr
সংকর সাদা বর্ণ ও অমসৃণ লোমযুক্ত গিনিপিগ
bbrr
সংকর সাদা বর্ণ ও মসৃণ লোমযুক্ত গিনিপিগ

F2 জনুতে প্রাপ্ত গিনিপিগের ফিনোটাইপিক বৈশিষ্টা:

কালো বর্ণ ও অমসৃণ লোমযুক্ত 9

কালো বর্ণ ও মসৃণ লোমযুক্ত 3

সাদা বর্ণ ও অমসৃণ লোমযুক্ত 3

সাদা বর্ণ ও মসৃণ লোমযুক্ত।

সুতরাং প্রাপ্ত ফিনোটাইপ অনুপাত হলো 9:3:3:1

bbrr সংকর সাদা বর্ণ ও মসৃণ লোমযুক্ত গিনিপিগ

  • বাবার দেহকোশে দুই প্রকার সেক্স ক্রোমোজোম X এবং Y থাকে। তাই শুক্রাণু দুই প্রকারের হয় X বহনকারী গাইনোস্পার্ম ও Y বহনকারী অ্যান্ড্রোস্পার্ম। ডিম্বাণু (X) কোন প্রকৃতির শুক্রাণু দ্বারা নিষিক্ত হচ্ছে, সেটিই প্রকৃতপক্ষে সম্মানের লিঙ্গ নির্ধারণ করে দেয়। শুক্রাণুর প্রকৃতি অনুযায়ী এক্ষেত্রে যথাক্রমে পুত্র (XY) ও কন্যা (XX) সন্তান সৃষ্টি হয় । অর্থাৎ মানুষের ক্ষেত্রে সন্তানের লিঙ্গ। নির্ধারণে বাবার ভূমিকা সক্রিয় এবং প্রধান হয়।
Madhyamik 2023 Life Science Solved Paper

F1 জনুর চেকারবোর্ড



22A + X22A+Y
22A+Y44A + XX কন্যা সন্তান44A + XY পুত্র সন্তান
22A+Y44A + XX কন্যা সন্তান44A + XY পুত্র সন্তান

অথবা

মেন্ডেলের সাফল্যের তিনটি কারণ লেখো। উপযুক্ত উদাহরণসহ ফিনোটাইপ ও জিনোটাইপের মধ্যে সম্পর্ক প্রতিষ্ঠা করো।

আরও দেখুন:  মাধ্যমিক ভৌতবিজ্ঞান সাজেশন ২০২৫ঃ তড়িৎ প্রবাহ | Physical Science Suggestion 2025 Chapter 8.3

উত্তরঃ- মেন্ডেলের সাফল্যের কারণ-

(১) মটরগাছ সহজে চাষযোগ্য, দ্রুত প্রজননক্ষম, উভলিঙ্গা ফুলবিশিষ্ট, স্বপরাগযোগ ও ইতর পরাগযোগের ক্ষমতাসম্পন্ন এবং অনেকগুলি বিপরীত চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন হওয়ায় মেন্ডেলের পরীক্ষা সম্পন্ন করতে সুবিধা হয়।

(২) মেন্ডেল দ্বারা নির্বাচিত সাত জোড়া বিপরীতধর্মী চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য নিয়ন্ত্রণকারী জিনগুলি পৃথক পৃথক ক্রোমোজোমে বিন্যস্ত ছিল। সেকারণে তিনি স্বাধীন বিন্যাসের সঠিক অনুপাত পেতে সক্ষম হন।

(৩) মেন্ডেল তাঁর পরীক্ষায় নির্দিষ্ট চরিত্রের খাঁটি মটরগাছ নির্বাচন করেছিলেন, যা তিনি দুই বছর ধরে অনবরত মটরগাড় চাষ ও নির্বাচন দ্বারা তৈরি করেন।

কোনো জীবের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যকে বাহ্যিক প্রকাশকে বলে ফিনোটাইপ। যেমন এক সংকর জনন পরীক্ষায় বিশৃঙ্খ বেগুনি ফুলযুক্ত ও বিশুদ্ধ সাদা ফুলযুক্ত মটরগাছের ক্রসে ফুলের বর্ণ দুটি হল দুই প্রকার ফিনোটাইপ। আবার কোনো একটি জীবের একটি চরিত্রের জিনগত গঠনকে অ্যালিল সমন্বয় দ্বারা প্রকাশ করলে তাকে জিনোটাইপ বলে। যেমন- এক সংকর জনন পরীক্ষায় বিশুদ্ধ বেগুনি ফুলযুক্ত ও বিশুদ্ধ সাদা ফুলযুক্ত মটরগাছের ক্রসে রঙের সাপেক্ষে ফুলের গাছদুটির জিনোটাইপ হল যথাক্রমে VV এবং vv ।

৪.৪ জিরাফের গলা লম্বা হওয়ার ক্ষেত্রে ডারউইন-এর মতবাদ ব্যাখ্যা করো। ‘হট ডাইলিউট স্যুপ’ কী?

উত্তরঃ- ডারউইনের মতে প্রাচীন পৃথিবীতে একটি জিরাফের পপুলেশনের মধ্যে বিভিন্ন জিরাফের গলার উচ্চতা বিভিন্ন ছিল প্রকরণে ফলে। এর মধ্যে যেগুলির গলা যথেষ্ট লম্বা ছিল না তারা উঁচু গাছের পাতার নাগাল পেতো না। ফলে তারা গাছের পাতা যথেষ্ট খেতে না পেয়ে মারা গেল অথবা প্রজনন করতে সক্ষম হল না। এরা ক্রমশ অবলুপ্ত হয়ে গেল। অন্যদিকে লম্বা গলা প্রকরণযুক্ত জিরাফগুলি যথেষ্ট খেতে পেয়ে অনেক সংখ্যক অপত্য সৃষ্টি করান।। এভাবেই সুঅভিযোজিত, যোগ্যতম লম্বা গলাযুক্ত জিরাফ প্রকৃতি দ্বারা নির্বাচিত হলো ও ভৌগোলিক সময়কালে নতুন লম্বা গলাবিশিষ্ট জিরাফ প্রজাতি সৃষ্টি করল। এইভাবে প্রাকৃতিক নির্বাচন দ্বারা আধুনিক যুগের লম্বা গলাযুক্ত জিরাফের সৃষ্টি হয়েছে। প্রাচীন পৃথিবীতে প্রাণ

উৎপত্তির পূর্বে, প্রথম প্রাণকণা সৃষ্টির জন্য প্রয়োজনীয় বিভিন্ন রাসায়নিক উপাদানগুলি সমুদ্রের উঃ উত্তপ্ত জলে অবস্থান করত। বিজ্ঞানী হ্যালডেনের মতে এইসব জৈব যৌগগুলি সমুদ্রের জলে মিশে হট ডাইলিউট সাপ বা তপ্ত লঘু স্যুপ নামক উত্তপ্ত তরল হিসেবে অবস্থান করত।

অথবা

একটি রেখাচিত্রের সাহায্যে জৈব অভিব্যক্তির মুখ্য ঘটনাবলির ক্রমটি নির্মাণ করো। শিম্পাঞ্জির সমস্যা সমাধান দক্ষতার দুটি উদাহরণ দাও। ৩+২=৫

উত্তরঃ- পৃথিবীর সৃষ্টি → জীবনের উৎপত্তি → এককোশী জীবের উৎপত্তি → সালোকসংশ্লেষকারী ব্যাকটেরিয়ার পরিবেশে অক্সিজেন ত্যাগের সূচনা → বহুকোশী জীবের উৎপত্তি → মাছের মতো মেরুদন্ডী প্রাণীর উৎপত্তি এবং তাদের বিবর্তন → ডাঙার উদ্ভিদের বিবর্তন (বীরুৎ, গুল্ম, বৃক্ষ) → পৃথিবীতে নতুন বাসস্থানের উদ্ভব → চারপেয়ে উভচর শ্রেণির ডাঙায় ওঠা মেরুদন্ডী প্রাণীর উদ্ভব → সরীসৃপ → পক্ষী

→ স্তন্যপায়ী প্রাণীর উদ্ভব ।

শিম্পাঞ্জির সমস্যা সমাধান –

উইপোকা শিকার- শিম্পাঞ্জিরা সোজা ও সরু গাছের ডাল ভেঙে নিয়ে সেই ডালের পাতাগুলি ছিড়ে ফেলে। সেই ডালটি উইয়ের ঢিপিতে ঢুকিয়ে গর্ব করে। এই ডালটিকে ‘ফিশিং টুল’ বলা হয়। এই সরু ডালটির গা বেয়ে উইপোকাগুলি সারিবদ্ধভাবে বাইরে বেরিয়ে এলে শিম্পাঞ্জিরা তাদের খাদ্য হিসাবে ভক্ষণ করে থাকে।

বাদামের খোলা ভাঙা – শিম্পাঞ্জিরা হাতুড়ি ও নেহাই প্রভৃতির ব্যবহার করে বাদামের খোলা ভাঙে। নেহাই হল শস্ত্র পাথরের পাটাতন বিশেষ, যাতে বাদাম রেখে শক্ত গাছের ডাল বা পাথরের হাতুড়ির মতো চালিয়ে তারা এ কাজ করে।

৪.৫ ভাসমান ক্ষুদ্র কণা প্রশ্বাসের মাধ্যমে শ্বাসনালীতে প্রবেশ করলে সৃষ্টি হতে পারে এমন দুটি ব্যাধির একটি করে উপসর্গ লেখো। কৃষিক্ষেত্রের বর্জ্য জলাশয়ে মিশলে যে যে ঘটনাগুলো ঘটে তার ক্রম নির্মাণ করো। ৩+২= ৫

উত্তরঃ- (১) অ্যাজমা বা হাঁপানি এই রোগে শ্বাসনালী, প্রদাহজনিত কারণে স্ফীত হয়ে বায়ু চলাচলের পথ রুদ্ধ করে ও শ্বাসকষ্টসহ অন্যান্য সমস্যার সৃষ্টি হয়।

(২) ব্রঙ্কাইটিস এই রোগে ফুসফুসের ব্রংকাস ও ব্রংকিওলগুলির শ্লেষ্মাপর্দায় প্রদাহ ঘটে ফলে প্রবল কাশি ও কাশির সঙ্গেঙ্গ কফের নির্গমন, দমবন্ধভাব, শ্বাসে ঘড়ঘড় শব্দ, নাক ও সাইনাস অবরুদ্ধ হয়।

কৃষিক্ষেত্রের বর্জ্য জলাশয়ে মিশলে-

  • জলাশয়ে অজৈব পরিপোষক যেমন ফসফেটের মাত্রা বৃদ্ধি পেলে ইউট্রফিকেশন ঘটে।
  • জলজ উদ্ভিদ বিশেষ করে শৈবালদের ব্যাপক বৃদ্ধি ঘটে এবং অক্সিজেনের পরিমাণ কমে যায়, ফলে শৈবালের পচন ঘটে এবং জল দূষিত হয়। একে শৈবাল ব্লুম বলে।
  • BOD বেড়ে গেলে জলজ প্রাণীর যেমন মৃত্যু হয় তেমনি গবাদি পশুও ওই জল পান করে অসুস্থ হয়ে পড়ে এবং তাদের মৃত্যুও হতে পারে।
  • ফসলের পেস্ট দমনের জন্য ব্যবহৃত DDT জাতীয় কীটনাশক জলে দ্রবীভূত হলে খাদ্যশৃঙ্খলের মাধ্যমে পুষ্টিস্তরে এর জীববিবর্ধন ঘটে। ফলে মানুষ সহজেই ক্যান্সারে আক্রান্ত হতে পারে। তাছাড়া কিডনির সমস্যা, যকৃতের সমস্যা। শ্বাসক্রিয়া সংক্রান্ত ত্রুটি এবং জন্মগত ত্রুটি পরিলক্ষিত হয়।

অথবা

জীববৈচিত্র্য হ্রাসের একটি অন্যতম কারণ হলো চোরাশিকার- এর ফলে যে সকল বন্যপ্রাণী আজ বিলুপ্তির পথে তাদের যে কোনো তিনটির একটি তালিকা তৈরি করো। জীববৈচিত্র্যের সংরক্ষণ পদ্ধতিগুলো একটি সারণির সাহায্যে দেখাও।

উত্তরঃ- চোরাশিকারের ফলে যে সকল বন্যপ্রাণী আজ বিলুপ্তির পথে তারা হল। একশৃঙ্গ গণ্ডার , রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার , মাউন্টেন গোরিলা

জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ পদ্ধতি-

ইন সিটু সংরক্ষণ- এই পদ্ধতিতে কোনো জীবকে তার স্বাভাবিক প্রাকৃতিক বাসস্থানে সংরক্ষিত করা হয়। যেমন- • জাতীয় উদ্যান, অভয়ারণ্য, সংরক্ষিত বন, বায়োস্ফিয়ার রিজার্ভ ইত্যাদি।

এক্স সিটু সংরক্ষণ- কোনো বিপন্ন জীবকে তার স্বাভাবিক বাসস্থান থেকে সরিয়ে নিয়ে কৃত্রিম উপায়ে বিশেষ প্রতিরক্ষা ও বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে সংরক্ষণ করা হয়। যেমন- চিড়িয়াখানা, বোটানিক্যাল গার্ডেন, ক্রায়োসংরক্ষণ ইত্যাদি।

৪.৬ সুন্দরবনের তিনটি পরিবেশগত সমস্যা হলো-

  • খাদ্য-খাদকের সংখ্যার ভারসাম্যে ব্যাঘাত
  • সমুদ্র জলের উচ্চতা বৃদ্ধি সমস্যা তিনটির
  • নগরায়নের জন্য লবণাম্বু উদ্ভিদ ধ্বংস

সম্ভাব্য ফলাফল বিশ্লেষণ করো। ভারত ও ভারতের বাইরে ভৌগোলিক অঞ্চলে ব্যাপ্ত এমন একটি জীববৈচিত্র্য হটস্পটের অবস্থান ও ওই হটস্পটের একটি বিপন্ন জীবের নাম লেখো। ৩+২=৫

উত্তরঃ- খাদ্য-খাদকের সংখ্যার ভারসাম্যে ব্যাঘাত – সুন্দরবনের বাস্তুতন্ত্রে স্বাদু জলের অভাব ও লবণাক্ততা বৃদ্ধির জন্য তৃণভূমি অনেকাংশে বিনষ্ট হয়েছে। ফলে বিভিন্ন প্রাণী যেমন- বুনো মহিষ, চিতল হরিণ, গণ্ডার প্রভৃতি প্রাণী এই অঞ্চলে বিলুপ্ত হয়েছে। এছাড়া জলদূষণের কারণে এবং পর্যাপ্ত খাদ্যের জোগান হ্রাস পাওয়ায় জলচর প্রাণীর বৈচিত্র্য ও সংখ্যা উভয়েই যথেষ্ট হ্রাস পেয়েছে।

নগরায়নের জন্য লবণাম্বু উদ্ভিদ ধ্বংস- মানুষের বিবেচনাহীন কর্মকাণ্ডে সুন্দরবনের তীরবর্তী অঞ্চলে অতিরিক্ত হারে বসতি স্থাপন, নগরায়ন প্রভৃতি কারণে লবণাম্বু উদ্ভিদের সংখ্যা ক্রমাগতভাবে হ্রাস পাচ্ছে। এছাড়া সাইক্লোন, সমুদ্রজলের উচ্চতা বৃদ্ধি, মাটির অতিরিক্ত লবণাক্ত অবস্থা সুন্দরবনের ম্যানগ্রোভ ধ্বংসের অন্যতম কারণ।

সমুদ্রজলের উচ্চতা বৃদ্ধি- বিশ্ব উন্নায়নের জন্য পৃথিবীর তাপমাত্রা গত শতকে প্রায় 1.1°C বৃদ্ধি পেয়েছে। এই কারণে মেরু বরফ গলে উপকূলবর্তী অঞ্চল ক্রমশ জলে নিমজ্জিত হয়ে যাচ্ছে। এর ফলে বিগত 25 বছরে সুন্দরবন অঞ্চলে 3.6 mm সমুদ্রের জলতল বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলস্বরূপ প্রায় 5.5 km’ দীপাঞ্চল প্রতিবছর সমুদ্রের নীচে চলে যাচ্ছে বলে অনুমান করা হয়েছে ।

ভারত ও ভারতের বাইরে ভৌগোলিক অঞ্চলে ব্যাপ্ত জীববৈচিত্র্যের হটস্পট-

অবস্থান- সুন্দাল্যান্ড , বিপন্ন প্রাণী- ওরাং ওটাং

অথবা

শব্দচিত্রের মাধ্যমে নাইট্রোজেন চক্রটি বর্ণনা করো। নাইট্রোজেন চক্রটি ব্যাহত হলে যে যে সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে তার দুটি বিশ্লেষণ করো। ৩+২-৫

উত্তরঃ- নাইট্রাস অক্সাইড (N2O)-এর ঘনত্ব বৃদ্ধি:পরিবেশের N2O বৃদ্ধির 20% হল মনুষ্যসৃষ্ট। মূলত জীবাশ্ম-জ্বালানির দহন ও নাইট্রোজেন ঘটিত সার এর প্রধান উৎস। এটি একটি তাপগ্রাহী গ্রিনহাউস গ্যাস, যা বায়ুর উন্নতা বৃদ্ধি করে বিশ্ব উন্নায়ন ঘটায়। এছাড়া এই গ্যাস বায়ুমন্ডলের ওজোন স্তরকে ধ্বংস করে।

নাইট্রিক অক্সাইডের (NO) ঘনত্ব বৃদ্ধি পরিবেশের NO বৃদ্ধির 80% মনুষ্যসৃষ্ট। এই গ্যাসটি অক্সিজেন ও গাড়ি থেকে নির্গত হাইড্রোকার্বনের সঙ্গে বিক্রিয়া করে আলোক রাসায়নিক ধোঁয়াশা তৈরি করে যা প্রাণীর শ্বাসতন্ত্রের ক্ষতি করে। ধোঁয়াশায় PAN নামক গৌণ দূষক থাকে। NO, অন্যান্য নাইট্রোজেনযুক্ত অক্সাইড ও SO2 সঙ্গে মিলে অ্যাসিড বৃষ্টি ঘটায়। অ্যাসিড বৃষ্টি বিভিন্ন অঞ্চলে জলের অগ্নীকরণ ঘটায় ও বাস্তুতন্ত্রের ক্ষতিসাধন করে।

nath আমাদের পোস্টের গুরুত্বপূর্ণ আপডেট পেতে আমাদের Facebook Page ফলো করুন এবং Telegram ChannelWhatsapp Channel জয়েন করুন

WhatsApp Channel Follow
Telegram Channel Join Now
Facebook Page Follow

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top