Last Updated on September 8, 2023 by Science Master
স্বামী বিবেকানন্দ মেরিট-কাম-মিন্স স্কলারশিপ সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ন নির্দেশ (SVMCM Important Updates 2023):- সমাজে অর্থনৈতিকভাবে পিছিয়ে থাকা শ্রেণীর মেধাবী ছাত্রছাত্রীদের উচ্চস্তরের শিক্ষার জন্য রাজ্য সরকারের একটি উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ হল ‘স্বামী বিবেকানন্দ মেরিট-কাম-মিন্স স্কলারশিপ’। মাধ্যমিক/সমতুল পরীক্ষায় পাশ করার পর উচ্চমাধ্যমিক স্তর থেকে শুরু করে স্নাতক স্নাতকোত্তর তথা গবেষণা স্তরের মেধাবী ছাত্র ছাত্রীদের পঠন-পাঠনের সাহায্যার্থে এই স্কলারশিপ প্রদান করা হয়ে থাকে।
পশ্চিমবঙ্গ মধ্যশিক্ষা পর্ষদ ও পশ্চিমবঙ্গ মাদ্রাসা শিক্ষা পর্ষদ গৃহীত মাধ্যমিক/সমতুল পরীক্ষায় ৬০% বা তার অধিক নম্বর পেয়ে উত্তীর্ণ ছাত্রছাত্রী (অ-সংখ্যালঘু), যাদের বাৎসরিক পারিবারিক আয় অনধিক ২,৫০,০০০ টাকা তারা উচ্চমাধ্যমিক স্তরে এই স্কলারশিপের জন্য আবেদনযোগ্য। এক্ষেত্রে স্কলারশিপের পরিমাণ প্রতিমাসে ১,০০০ টাকা অথ একবছরে মোট ১২,০০০ টাকা। স্কলারশিপের এই হাজার টাকা উপভোক্তার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে সরাসরি জমা হয়।
বিগত কয়েকবছরের অভিজ্ঞতা থেকে দেখা যাচ্ছে যে, প্রতি বছরেই স্কলারশিপ প্রাপক ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে তবুও কিছু যোগ্য ছাত্রছাত্রী এই সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে প্রধানত তিনটি কারণে। যথা-১. ছাত্রছাত্রীরা এই স্কলারশিপটি সম্পর্কে যথাযথভাবে অবগত নয়।
২. অনলাইনে সঠিকভাবে ফর্ম পূরণ না করা।
৩. পারিবারিক আয়ের যথাযথ শংসাপত্র দাখিল না করা।
৪. ব্যাঙ্ক সংক্রান্ত নানাবিধ সমস্যা থাকা।
এই সমস্যার সমাধানে নিম্নলিখিত বিষয়গুলির উপর গুরুত্ব সহকারে নজর দিতে বলা হচ্ছে।
⬕ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশিকা (SVMCM Important Updates 2023)
১) অনেক ছাত্রছাত্রী রেজিস্ট্রেশন করিয়ে আইডি নম্বর পেয়ে ফর্মটি পূরণ করলেও ‘Final Submission’ করে না। ফর্মটি অসম্পূর্ণ থাকে। এক্ষেত্রে তার দরখাস্তটি আদৌও জমা পড়ে না এবং বিদ্যালয় বা রাজ্যস্তরে তা দেখা যায়না। এরকম অনেকেই অনলাইনে ফর্ম পূরণ করে তার প্রিন্ট বার করে মনে করে তার আবেদন পত্র জমা হয়ে গেছে। কিন্তু মনে রাখতে হবে যে, ফর্ম ফিলাপের পর ‘Final Submission’ না করলে সেটি আবেদন না করারই সামিল।
২) অনেকেই আয়ের শংসাপত্র হিসাবে পঞ্চায়েত প্রধান বা পৌরসভার কাউন্সিলর/ চেয়ারম্যানের দেওয়া পারিবারিক আয়ের শংসাপত্র দাখিল করে। কিন্তু বর্তমান নিয়ম অনুযায়ী এগুলি গ্রাহ্য হবে না।
৩) আবেদনকারীর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট নম্বর, মোবাইল নম্বর ও ই-মেইল আইডি অনেকেরই সবসময় সক্রিয় থাকে না। টাকা না যাওয়া পর্যন্ত এগুলিকে সবসময় সক্রিয় রাখতে হবে এবং পরিবর্তন করা যাবেনা। অন্যথায় প্রয়োজনে যোগাযোগ করতে, টাকা পেতে ও পরবর্তীকালে রিনিউয়াল (Renewal) করতে সমস্যা হবে।
৪) ফর্ম পূরণ করার সময় ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট নম্বর ও ব্যাঙ্কের IFS কোড লিখতে ভুল হয়। IFSC লেখার সময় ইংরাজী বর্ন ‘ও’ (O) এবং সংখ্যা ‘শূন্য’ (0) এর মধ্যে বিভ্রান্তি হয়। অনুরূপে, ইংরাজী বর্ন ‘আই’ (I) এবং সংখ্যা ‘এক’ (1) -এর মধ্যে বিভ্রান্তি হয়। এছাড়াও ইংরাজী বর্ন ‘ডি’ (D) এবং সংখ্যা ‘শূন্য’ (0) এর মধ্যে বিভ্রান্তি হয়। এগুলি সম্পূর্ সঠিকভাবে লিখতে হবে। মনে রাখতে হবে IFS কোডের পঞ্চম ক্যারেকটারটি কখনই ইংরাজী বর্ন’ ‘ও’ (O) হবে না, এটি সর্বদা সংখ্যা ‘শূন্য’ (0) হবে। ব্যাংকের IFSC সাধারণত ১১ ডিজিটের হয়।
৫) প্রায় বেশিরভাগ আবেদনকারীর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট মাইনর থাকে, যার সর্বোচ্চ সীমা (লিমিট) ৫০ হাজার টাকা। তাই ফর্ম ফিলাপ করার সময় খেয়াল রাখতে হবে যাতে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে স্কলারশিপের টাকা জমা হওয়ার পর তার পরিমাণ সর্বোচ্চ ৫০ হাজারের মধ্যে হয়। অন্যথায় টাকা জমা (ক্রেডিট) হবেনা।
৬) রেজিস্ট্রেশনের সময় যাতে বিদ্যালয়ের নাম সঠিকভাবে নির্বাচিত হয় সে ব্যাপারে আবেদনকারীকে সতর্ক থাকতে হবে। অনেক আবেদনকারী যে স্কুল থেকে মাধ্যমিক পরীক্ষা পাশ করে সেখান থেকে বিদ্যালয় পরিবর্তন করে অন্য বিদ্যালয়ে XI – এ ভর্তি হয়। কিন্তু রেজিস্ট্রেশনের সময় পুরনো স্কুলের নাম দিয়ে ফেলে।
৭) আবেদনকারী অনেক সময় নিজের রেজিস্ট্রেশন আইডি এবং তার পাসওয়ার্ড ভুলে যায়। প্রত্যেক আবেদনকারীকে গুরুত্ব সহকারে ও সঠিকভাবে তার রেজিস্ট্রেশন আইডি ও তার পাসওয়ার্ড লিখে রাখতে হবে, যাতে পরবর্তীকালে কোনো সমস্যা না হয়। প্রয়োজনে পাসওয়ার্ড পরিবর্তন করে নিতে পারে। কারণ বর্তমানে দেখা যাচ্ছে সাইবার ক্যাফে আবেদনকারীর অজান্তে তার আইডি এবং পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে আবেদনকারীর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট পরিবর্তন করে তার নিজের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট নম্বর দিয়ে রিনিউয়াল ফর্ম ফিলআপ করছে এবং স্কলারশিপের টাকা থেকে আবেদনকারী বঞ্চিত হচ্ছে।
৮) রিনিউয়াল ফর্ম ফিলাপের সময় XI এর পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বরের শতকরা হিসাব যেন সঠিক ভাবে হয়। অনেক ক্ষেত্রে মোট নম্বর ৫০০ এর পরিবর্তে ৬০০ ধরে হিসাব করার ফলে প্রাপ্ত নম্বর ৬০% এর কম হয়ে যায়। এক্ষেত্রে আবেদন বাতিল হয়ে যায়।
৯) পারিবারিক বাৎসরিক আয়ের শংসাপত্র জোগাড়ের ক্ষেত্রে বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।
আয়ের শংসাপত্র:-
ক) সরকারি কর্মচারী বা সরকার অধীনস্থ/ আধা সরকারি সংস্থায় কর্মরত ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে নিয়োগকর্তা/সংশ্লিষ্ট অফিস বা সংস্থার প্রধানের (Head of Office) প্রদেয় হতে হবে।
খ) বেসরকারি সংস্থায় কর্মরত ও অন্যান্য সকল ক্ষেত্রে আবেদনকারী পঞ্চায়েতের বাসিন্দা হলে জয়েন্ট বি.ডি.ও বা তদুর্দ্ধ পদমর্যাদার আধিকারিক, পৌরসভার বাসিন্দা হলে নির্বাহী আধিকারিক (Executive Officer), অর্থ নিয়ামক (Controller of Finance) ও পৌরনিগমের (কর্পোরেশন) বাসিন্দা হলে স্পেশাল মিউনিসিপ্যাল কমিশনার, সচিব (Secretary) বা তদুৰ্দ্ধ পদমর্যাদার আধিকারিক কর্তৃক প্রদেয় হতে হবে।
স্কলারশিপ সংক্রান্ত এই রকম গুরুত্বপূর্ণ খবরের আপডেট পেতে আমাদের Facebook Page ফলো করুন এবং Telegram চ্যানেল জয়েন করুন।
- পরিবেশ, তার সম্পদ এবং তাদের সংরক্ষণ-মাধ্যমিক জীবন বিজ্ঞান প্রশ্ম-উত্তর | Madhyamik Life Science Chapter 5 Question Answer
- সপ্তম শ্রেণীর পরিবেশ বিজ্ঞান – তাপ (প্রথম অধ্যায়) প্রশ্ন উত্তর | Class 7 Poribesh O Bigyan Heat Chapter
- বংশগতি এবং কয়েকটি সাধারণ জিনগত রোগ-মাধ্যমিক জীবন বিজ্ঞান | Life Science Chapter 3
- মাধ্যমিক পরীক্ষার রুটিন ২০২৫ | Madhyamik Exam Routine 2025 pdf Download
- মাধ্যমিক জীবন বিজ্ঞান-জীবনের প্রবাহমানতা প্রশ্ম-উত্তর | Madhyamik Life Science Chapter 2
- {pdf} WBBSE Holiday List 2025 | মধ্যশিক্ষা পর্ষদের ছুটির তালিকা ২০২৫