WBBME Holiday List 2025 | মাদ্রাসা শিক্ষা পর্ষদের ছুটির তালিকা ২০২৫

wbbpe Holiday List 2025

WBBPE Holiday List 2025 | প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের ছুটির তালিকা ২০২৫

Poribesh o Bigyan Chapter 6

অষ্টম শ্রেণীর পরিবেশ বিজ্ঞান- জীবদেহের গঠন | Class 8 Poribesh o Bigyan Chapter 6

Last Updated on April 13, 2024 by Science Master

পরিবেশ বিজ্ঞান- জীবদেহের গঠন (Poribesh o Bigyan Chapter 6)

অষ্টম শ্রেণীর পরিবেশ ও বিজ্ঞান বিষয়ের ষষ্ঠ অধ্যায় “জীবদেহের গঠন” (Poribesh o Bigyan Chapter 6) থেকে সমস্ত রকম প্রশ্মের যেমন সঠিক উত্তর নির্বাচন, শূন্যস্থান পূরণ, অতিসংক্ষিপ্ত এবং সংক্ষিপ্ত উত্তর করে দেওয়া হলো। এই গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্মগুলি বিভিন্ন প্রশ্মবিচিত্রা থেকে সংগ্রহ করে তার উত্তর করা হয়েছে। যে সমস্ত ছাত্র-ছাত্রী অষ্টম শ্রেণীতে পাঠরত তারা এই প্রশ্ম- উত্তরগুলি প্র্যাকটিস করে নিতে পারো।

সঠিক উত্তরটি নির্বাচন করে লেখ (Poribesh o Bigyan Chapter 6 MCQ)

(১) যে কোষীয় অঙ্গানু খাদ্য থেকে শক্তি মুক্ত করতে সাহায্য করে তা হল-

(ক) নিউক্লিয়াস

(খ) গলগিবস্তু

(গ) মাইটোকনড্রিয়া

(ঘ) লাইসোজোম

(২) একটি ব্যবচ্ছেদিত জবা ফুলের বিভিন্ন অংশ ভালোভাবে দেখার জন্য তুমি কোনটি ব্যবহার করবে-

(ক) সরল অণুবীক্ষণ যন্ত্র

(খ) যৌগিক অণুবীক্ষণ যন্ত্র

(গ) ম্যাগনিফাইং গ্লাস

(ঘ) ইলেকট্রন অণুবীক্ষণ যন্ত্র

(৩) যে কোষীয় অঙ্গাণু প্রোটিন তৈরি করতে সাহায্য করে সেটি হল-

(ক) গোলগি বস্তু

(খ) সাইটোপ্লাজম

(গ) লাইসোজোম

(ঘ) রাইবোজোম

(৪) কোষের শক্তিঘর নামে পরিচিত যে অঙ্গাণু সেটি হল-

(ক) গলগি বস্তু

(খ) মাইট্রোকনড্রিয়া

(গ) সেন্ট্রোজোম

(ঘ) রাইবোজোম

(৫) যে কোশীয় অঙ্গানুর মধ্যে পুরনো জীর্ণ কোষকে ধ্বংস করার জন্য নানা ধরনের উৎসেচক থাকে তা হল-

(ক) মাইটোকনড্রিয়া

(খ) রাইবোজোম

(গ) নিউক্লিয়াস

(ঘ) লাইসোজোম

(৬) যে কোষীয় অঙ্গাণুটি প্রাণী কোষে উপস্থিত কিন্তু উদ্ভিদ কোষে অনুপস্থিত-

(ক) প্লাস্টিড

(খ) লাইসোজোম

(গ) রাইবোজোম

(ঘ) সেন্ট্রোজোম

(৭) যে কোষীয় অঙ্গাণুটি প্রাণী কোষের বিভাজনে অংশগ্রহণ করে-

(ক) প্লাস্টিড

(খ) লাইসোজোম

(গ) সেন্ট্রোজোম

(ঘ) রাইবোজোম

(৮) উদ্দীপনা পরিবহন করা যে কলার কাজ সেটি হল-

(ক) আবরণী কলা

(খ) যোগ কলা

(গ) পেশি কলা

(ঘ) স্নায়ু কলা

(৯) ক্রিস্টি দেখা যায়-

(ক) মাইটোকনড্রিয়ায়

(খ) লাইসোজোমে

(গ) গলগি বস্তুতে

(ঘ) রাইবোজোমে

(১০) প্রদত্ত যে অঙ্গানুটি চুল এবং নখের বৃদ্ধিতে অংশগ্রহণ করে তা হল-

(ক) সেন্ট্রোজোম

(খ) মাইটোকন্ডিয়া

(গ) গলগি বডি

(ঘ) রাইবোজোম

(১১) প্রাণী কোষের পর্দাবিহীন কোশ অঙ্গাণু হলো-

(ক) মাইটোকন্ডিয়া

(খ) লাইসোজোম

(গ) সেন্ট্রোজোম

(ঘ) রাইবোজোম

(১২) ” আত্মঘাতী থলি ” বলা হয়-

(ক) গলগি বস্তুকে

(খ) লাইসোজোমকে

(গ) রাইবোজোমকে

(ঘ) সেন্ট্রোজোমকে

(১৩) উদ্ভিদের পাতায় থাকা সবুজ রঞ্জকটি হল-

(ক) ক্লোরোপ্লাস্টিড

(খ) ক্রমোপ্লাস্টিড

(গ) লিউকোপ্লাস্টিড

(ঘ) এদের কোনোটিই নয়

(১৪) এন্ডোপ্লাজমীয় জালিকা উৎপন্ন হয়-

(ক) নিউক্লিয় পর্দা থেকে

(খ) প্লাজমা পর্দা থেকে

(গ) গলগি বস্তু থেকে

(ঘ) লাইসোজোম থেকে

(১৫) একটি পর্দা বিহীন কোশীয় অঙ্গাণু হল-

(ক) লাইসোজোম

(খ) মাইটোকন্ডিয়া

(গ) প্লাস্টিড

(ঘ) রাইবোজোম

(১৬) চোখের রেটিনাই উজ্জ্বল আলো ও বর্ণ শোষণে সক্ষম কোশটি হল-

(ক) রড কোশ

(খ) কোণ কোশ

(গ) চর্বি কোশ

(ঘ) অনুচক্রিকা

(১৭) অত্যন্ত ঠান্ডা ও শুকনো পরিবেশের প্রাণীদের দেহে থাকে-

(ক) মিউসিলেজ

(খ) আন্টিফ্রিজ প্রোটিন

(গ) এরেনকিইমা

(ঘ) ক্লোরাইড কোশ

(১৮) রক্তকে দেহের দূরতম প্রান্তে পৌঁছে দেওয়ার জন্য প্রয়োজন-

(ক) ফুসফুস

(খ) বৃক্ক

(গ) হৃৎপিণ্ড

(ঘ) মস্তিষ্ক

(১৯) লাইসোজোম কোন অঙ্গাণুটি থেকে উৎপন্ন হয়?

(ক) সেন্ট্রোজোম

(খ) গলগি বস্তু

(গ) এন্ডোপ্লাজমীয় জালিকা

(ঘ) মাইটোকন্ডিয়া

(২০) কোশের প্রোটিন ফ্যাক্টরি হল-

(ক) গলগি বস্তু

(খ) প্লাস্টিড

(গ) রাইবোজোম

(ঘ) মাইটোকনডিয়া

(২১) অমসৃণ এন্ডোপ্লাজমীয় জালিকায় থাকে-

(ক) প্রোটোপ্লাজমীয় অংশ

(খ) লাইসোজোম

(গ) রাইবোজোম

(ঘ) মেসোজোম

(২২) পেশি সংকোচন ঘটানো কোন কলার কাজ-

(ক) পেশি কলা

(খ) যোগ কলা

(গ) স্নায়ু কলা

(ঘ) আবরণী কলা

আরও দেখুন:  প্রাকৃতিক ঘটনা ও তার বিশ্লেষণঃ অষ্টম শ্রেণীর পরিবেশবিদ্যা | Poribesh O Bigyan Chapter 5

(২৩) লাইসোজোম কয়টি একক পর্দা দ্বারা বেষ্টিত-

(ক) একটি

(খ) দুটি

(গ) তিনটি

(ঘ) চারটি

(২৪) প্রাণী কোশের কোন অঙ্গাণুটির প্রধান কাজ প্রোটিন সংশ্লেষ করা-

(ক) মাইটোকন্ডিয়া

(খ) রাইবোজোম

(গ) লাইসোজোম

(ঘ) গালগি বস্তু

(২৫) সাইটোপ্লাজম থেকে নিউক্লিয়াস গুলি পৃথক করে রাখে-

(ক) কোশপর্দা

(খ) নিউক্লিওলাস

(গ) নিউক্লীয় পর্দা

(ঘ) কোষ প্রাচীর

শূন্যস্থান পূরণ করো (Poribesh O Bigyan Chapter 6)

(১) রাইবোজোম হলো কোষের ____ ফ্যাক্টরি।

(২) লাইসোজোমকে ____ থলি বলা হয়।

(৩) পিতা মাতা থেকে সন্তানদের মধ্যে বংশগত বৈশিষ্ট্য _____ মাধ্যমে বাহিত হয়।

(৪) প্রত্যেকটি কলা আসলে, একই রকম কাজ করতে পারে এমন _______ সমষ্টি।

(৫) _____থেকে গলগি বস্তুর সৃষ্টি হয়।

(৬) ব্যাকটেরিয়ার শ্বসনে সাহায্য করে_______।

(৭) ক্যাকটাস : মিউসিলেজ :: মেরু অঞ্চলের প্রাণী:_______।

(৮) জীবাণু আক্রান্ত কোশকে ধ্বংস করতে পারে ______ অঙ্গানু।

(১০) অ্যমিবার চলাফেরা সাহায্য করে______।

(১১) পিতা-মাতা থেকে বংশগত বৈশিষ্ট্য তাদের সন্তানের মধ্যে বহন করে_______।

(১২) _____ কোষ অঙ্গানুর সক্রিয়তায় বৃদ্ধি পেলে ক্যান্সার হওয়া সম্ভাবনা বৃদ্ধি পায়।

(১৩) অধিক উচ্চতায় বসবাসের জন্য প্রাণীদের রক্তে _______  সংখ্যা বেশি হয়।

আরও দেখুনঃ অষ্টম শ্রেণীর পরিবেশ বিজ্ঞানঃ পদার্থের গঠন প্রশ্ম উত্তর | Poribesh o Bigyan Class 8 Chapter 2.2

ঠিক বা ভুল নির্বাচন করো (Poribesh O Bigyan)

(১) এন্ডোপ্লাজমীয়া জালিকার বাইরের দিক মসৃণ বা অমুসরিন নির্ভর করে রাইবোজোমের উপস্থিতি বা অনুপস্থিতির ওপর।

(২) কোশের পর্দা বিহীন অঙ্গাণু ভ্যাকুওল।

(৩) মাইটোকনড্রিয়ার অন্তঃপর্দার গায়ে পার্সোনের অধ:একক দেখা যায়।

(৪) রাইবোজোম একটি অধ:একক নিয়ে গঠিত ।

(৫) একজন স্বাভাবিক মানুষের দেহকোশের নিউক্লিয়াসে ক্রোমোজোম সংখ্যা 50 টি।

(৬) কমলালেবুর খোসায় ক্রোমোপ্লাস্টিড থাকে।

(৭)

দু একটি শব্দে উত্তর দাও (Poribesh O Bigyan Chapter 6 VSAQ)

(১) এককোশি প্রাণী দেখার জন্য তুমি কোন অণুবীক্ষণ যন্ত্র ব্যবহার করবে?

(২) কোন বিজ্ঞানী কোশ আবিষ্কার করেন?

(৩) ইলেকট্রন অণুবীক্ষণ যন্ত্রে কাচের লেন্সের পরিবর্তে কি ব্যবহার করা হয়?

(৪) একটি পর্দাবিহীন কোষ অঙ্গাণুর নাম উল্লেখ কর।

(৫) একটি কোশে যদি সব রাইবোজোম ক্ষতিগ্রস্ত হয় তাহলে কোশটির কোন কাজ ব্যাহত হবে?

(৬) চোখের রেটিনাই উপস্থিত কোন কোশ মৃদু আলোয় দর্শনে সাহায্য করে?

(৭) উদ্ভিদের দেহে কি কি ধরনের কলা দেখা যায়?

(৮) উজ্জ্বল আলোয় বর্ণ দর্শনের সাহায্য করে কোন কোষ?

(৯) আমি একটি পর্দা ঘেরা অঙ্গানু যার মধ্যে পুরনো জীর্ণ কোশকে ধ্বংস করার জন্য নানা ধরনের উৎসেচক থাকে, আমার নাম কি?

(১০) কোন কোশ অঙ্গাণু ‘কোশের মস্তিষ্ক ‘ নামে পরিচিত?

(১১) ক্রোমোপ্লাস্টিড এর কাজ কি?

(১২) লবণাক্ত পরিবেশে বসবাসকারী প্রাণীদের ফুলকায় অবস্থিত কোশের নাম কি?

(১৩) মাইক্রোস্কোপের নিচে পেঁয়াজের কোশ পর্যবেক্ষণ করার সময় যে ফাঁকা গঠনটি চোখে পড়ে সেটি কী?

(১৪) ব্যাকটেরিয়ার শ্বসন অঙ্গটির নাম কি?

(১৫) পেশি কোশের রক্ত কণিকার নাম কি?

(১৬) জীব দেহের গঠনের ধাপগুলি রেখাচিত্রের সাহায্যে দেখাও।

(১৭) যৌগিক আলোক অণুবীক্ষণ যন্ত্রের ব্যবহৃত লেন্স গুলির নাম লেখ।

(১৮) কোষের শক্তিঘর কোন কোশ অঙ্গানুকে বলা হয়?

(১৯) DNA এর সম্পূর্ণ নাম লেখ।

(২০) প্রাণী কোষ বিভাজনে কোন অঙ্গানু অংশগ্রহণ করে?

(২১) বর্ণহীন প্লাস্টিডের একটি কাজ লেখ।

আরও দেখুন:  মানুষের খাদ্য ও খাদ্য উৎপাদন-অষ্টম শ্রেণীর পরিবেশ ও বিজ্ঞান | Poribesh O Bigyan Chapter 8 Class 8

(২২) স্নায়ুকলার একটি উল্লেখযোগ্য কাজ লেখ।

(২৩)

সংক্ষিপ্ত উত্তর দাও। (Poribesh O Bigyan Chapter 6)

(১) যৌগিক অণুবীক্ষণ যন্ত্রে ব্যবহৃত লেন্স দুটির নাম কি কি?

উত্তর- যৌগিক আলোক অণুবীক্ষণ যন্ত্রে বস্তুকে অনেকগুণ বড়ো করে দেখানোর জন্য বিবর্ধন ক্ষমতা সম্পন্ন একাধিক লেন্স ব্যবহৃত হয়। যেমন- অকিউলার লেন্স, অবজেকটিভ লেন্স।

(২) কোশপর্দার দুটি কাজ উল্লেখ কর।

উত্তর- কোশপর্দা নিন্মলিখিত কাজগুলি সম্পন্ন করে থাকে- (১) কোশমধ্যস্থ সজীব অংশকে রক্ষা করে। (২) কয়েক প্রকার কোশ অঙ্গানু এবং নিউক্লিয় পর্দা সৃষ্টি করে।

(৩) কোশপর্দার গঠন ব্যাখ্যা কর।

উত্তর- কোশপর্দা তিনটি স্তর নিয়ে গঠিত। বাইরের ও ভিতরের স্তর দুটি প্রোটিন অণুস্তর এবং মাঝের স্তরটি লিপিড অণুস্তর দিয়ে গঠিত।

(৪) প্রাইমরডিয়াল ইউট্রিকল কি?

উত্তর- কোশের গহ্বররের আকার ক্রমশ যখন বাড়তে থাকে, তখন নিউক্লিয়াসসহ সাইটোপ্লাজম কোশপ্রাচীরের ভেতরের দিকে কোশের পরিধির দিকে সরে যায়। গহ্বরকে বেষ্টন করে সাইটোপ্লাজমের এরকম বিন্যাসকে প্রাইমরডিয়াল ইউট্রিকল বলে।

(৫) মানুষের লোহিত রক্ত কণিকার আকার কি রকম এবং এই আকারের জন্য তার কি সুবিধা হয়?

অথবা লোহিত রক্ত কণিকার আকৃতি দুপাশ চ্যাপ্টা এবং চাক্তির মতো এর জন্য লোহিত রক্ত কণিকার কি সুবিধা হয়?

উত্তর- মানুষের লোহিত রক্তকণিকা গোলাকার; দু-পাশ চ্যাপ্টা, চাকতির মতো। এই রকম আকারের ফলে বিভিন্ন ব্যাসের রক্তনালীর মধ্য দিয়ে যাতাযাতে আর বেশি পরিমাণ অক্সিজেন পরিবহনে সুবিধা হয়।

(৬) এন্ডোপ্লাজমিয় জালিকার গঠন উল্লেখ করো।

উত্তর- এণ্ডোপ্লাজমীয় জালিকা প্লাজমা পর্দা থেকে উৎপন্ন হয়ে নিউক্লীয় পর্দা পর্যন্ত বিস্তৃত থাকে। কতকগুলি পর্দাবেষ্টিত নানা আকারের নল নিয়ে এরা গঠিত। এরা সাইটোপ্লাজমকে কতকগুলি অসম্পূর্ণ প্রকোষ্ঠে ভাগ করে। কোনো কোনো পর্দার বাইরের দিকে প্রোটিন সংশ্লেষকারী রাইবোজোম যুক্ত থাকে। তাই এদের অমসৃণ দেখায়। আর কোনো পর্দার বাইরের দিকে রাইবোজোম না থাকায় মসৃণ হয়।

(৭) গলগি বস্তুর গঠন উল্লেখ করো। গলগি বস্তুর কাজ উল্লেখ করো

উত্তর- গিলগি বস্তু নিউক্লিয়াসের কাছে থাকা চ্যাপ্টা থলি, লম্বা থলি বা ছোটো গহ্বরের মতো গঠনযুক্ত অঙ্গানু। কোশমধ্যস্থ বিভিন্ন বস্তু যেমন হরমোন, উৎসেচক পরিবহণ ও ক্ষরণে এরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

(৮) ভাজক কলা ও স্থায়ী কলার দুটি করে কাজ লেখো।

উত্তর- ভাজক কলার কাজ: নতুন অঙ্গ সৃষ্টি করা, মূল ও কাণ্ডের দৈর্ঘ্য বৃদ্ধি করা, নতুন পাতা, কাক্ষিক মুকুল ও শাখা উৎপন্ন করা।

স্থায়ী কলার কাজ: খাদ্য সংশ্লেষ সঞ্চয় ও পরিবহন করা, বর্জ্র পদার্থ সঞ্চয় করা, ফল ও বীজের বিস্তার করা।

(৯) যৌগিক আলোক অণুবীক্ষণ যন্ত্র কোন কোন ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়?

উত্তর- যৌগিক আলোক অণুবীক্ষণ যন্ত্রের ব্যবহার-

(১) ব্যাকটেরিয়া, শৈবাল, ছত্রাক, বিভিন্ন এককোশী ও বহুকোশী প্রাণীর দেহের বহির্গঠন জানার জন্য।

(২) উদ্ভিদ দেহের বিভিন্ন অংশের যেমন মূল, কাণ্ড ও পাতার অন্তর্গঠন পর্যবেক্ষণের জন্য।

(৩) জীবদেহের বিভিন্ন অঙ্গ ও তার প্রস্থচ্ছেদ করে তার কলার গঠন জানার জন্য।

(৪) কোশের ভেতরের অঙ্গানু ও কোশের বাইরের পর্দার গঠন জানার জন্য।

(১০) কোশপর্দা ও কোশপ্রাচীর এর মধ্যে একটি মিল ও একটি অমিল উল্লেখ করো।

উত্তর- কোশপর্দা ও কোশপ্রাচীরের মধ্যে মিলঃ কোশপর্দা ও কোশপ্রাচীর উভয়ই কোশের বাইরের আবরণ হিসেবে কাজ করে এবং কোশকে বিভিন্ন প্রতিকূল পরিবেশ থেকে রক্ষা করে।

কোশপর্দা ও কোশপ্রাচীরের মধ্যে অমিলঃ কোশপর্দা প্রাণী ও উদ্ভিদ উভয় কোশেই দেখা যায়, কিন্তু কোশপ্রাচীর শুধুমাত্র উদ্ভিদ কোশেই দেখা যায়।

(১১) ইউক্যারিওটিক কোষের দুটি প্রধান বৈশিষ্ট্য উল্লেখ কর।

উত্তর- (১) ইউক্যারিওটিক কোশে নিউক্লিয়াসটি সংগঠিত ও নিউক্লিয় পর্দাবেষ্টিত হয়। (২) এই কোশে পর্দাঘেরা একাধিক কোশ অঙ্গানু থাকে।

(১২) যৌগিক আলোক অণুবীক্ষণ যন্ত্র কাকে বলে?

উত্তর- যে অণুবীক্ষণ যন্ত্রে বস্তুকে অনেকগুণ বড়ো (প্রায় ২ হাজার – ৪ হাজার গুণ) দেখানোর জন্য উচ্চ বিবর্ধন ক্ষমতা সম্পন্ন একাধিক লেন্স ব্যবহার করা হয় এবং বস্তুকে আলোকিত করার জন্য দৃশ্যমান আলো ব্যবহার করা হয় তাকে যৌগিক আলোক অণুবীক্ষণ যন্ত্র বলে।

(১৩) যোগ কলার একটি কাজ লেখ।

উত্তর- বিভিন্ন অঙ্গপ্রত্যঙ্গের মধ্যে সংযোগ রক্ষা করে।

(১৪) প্রাণীদেহের সবচেয়ে দীর্ঘ কোশ কোনটি?

উত্তর- স্নায়ু কোশ হল প্রাণিদেহের সবচেয়ে দীর্ঘ কোশ।

(১৫) ” আত্মঘাতী থলি ” বলতে কী বোঝায়? অথবা, আত্মঘাতী থলি কি? একে আত্মঘাতী থলি বলার কারণ কি?

উত্তর- গলজি বস্তু থেকে উৎপন্ন পর্দা দিয়ে ঘেরা থলির মতো অঙ্গানু হল লাইসোজোম। এর মধ্যে খাদ্যকে হজম করার, জীবাণুদের মেরে ফেলার ও পুরোনো জীর্ণ কোশকে ধ্বংস করার জন্য নানা ধরনের উৎসেচক থাকে। লাইসোজোম যে কোশে থাকে সেই কোশকেই ধ্বংস করতে পারে বলে একে আত্মঘাতী থলি বলে।

আরও দেখুন:  রাসায়নিক বিক্রিয়া- অষ্টম শ্রেণীর পরিবেশ ও বিজ্ঞান | Poribesh O Bigyan Chapter 2.3 (Chemical Reaction)

(১৬) নিউক্লিয়াসের গঠন ও কাজ লেখ।

উত্তর- নিউক্লিয়াস হল কোশের ভেতরের ঘন গোলাকার বস্তু। নিউক্লিয়াসের বাইরে নিউক্লিয় পর্দা থাকে। আর ভিতরে নিওক্লিপ্লাজম নামক তরল থাকে। নিউক্লিয়াসের ভেতরে একধরনের সূক্ষ্ম জালকাকার গঠন দেখা যায় যা সুতোর মতো একে অপরকে পেঁচিয়ে থাকে। এই গঠন গুলো হল DNA এবং প্রোটিন দিয়ে তৈরি ক্রোমাটিন। নিউক্লিয়াস কোশের ভেতরে ঘটে চলা নানা প্রক্রিয়া নিয়ন্ত্রণ করে।

(১৭) মাইটোকন্ডিয়ার গঠন ও কাজ লেখ।

উত্তর- গোলাকার ডিম্বাকার বা রডের মতো দেখতে। এর ধাত্রের মধ্যে নানা ধরনের উৎসেচক, রাইবোজোম ও নিউক্লিক অ্যাসিড (DNA, RNA) থাকে। এরা খাদ্যের পরিপোষককে (গ্লুকোজ, অ্যামিনো অ্যাসিড, ফ্যাটি অ্যাসিড) ভেঙে শক্তি নির্গত করে। এরা দুটি প্লাজমা পর্দা দিয়ে ঘেরা কোষীয় অঙ্গাণু । অন্তঃপর্দা ভাঁজ হয়ে ক্রিস্টি গঠন করে। মাইটোকন্ডিয়া শক্তি নির্গমন প্রক্রিয়ায় অংশ নেয়।

(১৮) উদ্ভিদ দেহে বিভিন্ন ধরনের প্লাস্টিডের ভূমিকা উল্লেখ কর।

উত্তর- উদ্ভিদ কোষের সাইটোকাজনে এক ধরনের রঙিন গঠন ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে এরা হলো প্লাস্টিড। প্লাস্টিড মূলত তিন ধরনের হয়-

ক্লোরোপ্লাস্টিড- যে প্লাস্টিড গুলোর মধ্যে সবুজ রঙের রঞ্জক ক্লোরোফিল থাকে তারা হলো ক্লোরোপ্লাস্টিড। ক্লোরোপ্লাস্টিড এর মধ্যে গ্রানা নামক এক বিশেষ গঠন দেখা যায়। এদের উপস্থিতির জন্য উদ্ভিদের নানা অঙ্গ সবুজ হয়।

ক্রোমোপ্লাস্টিড- দ্বিতীয় ধরনের প্লাস্টিডে কমলা, লাল, হলুদ ও অন্যান্য বর্ণের (সবুজ ব্যতীত) রঞ্জক থাকে। এরা ফুল ও ফলের বর্ণ নিয়ন্ত্রণ করে। এদের ক্রোমোপ্লাস্টিড বলা হয়।

লিউকোপ্লাস্টিড- আর তৃতীয় ধরনের প্লাস্টিড বর্ণহীন। নানা ধরনের খাদ্য সঞ্চয় করে।

(১৯) যৌগিক ও ইলেকট্রন অণুবীক্ষণ যন্ত্রের মধ্যে একটি গঠনগত ও একটি কার্যগত পার্থক্য লেখ।

যৌগিক অণুবীক্ষণ যন্ত্রে উচ্চ বিবর্ধন ক্ষমতা সম্পন্ন একাধিক লেন্স ব্যবহার করা হয়ে থাকে আর এটির ক্ষেত্রে বস্তুকে প্রায় 2000 থেকে 4000 গুণ বড় দেখা সম্ভব।

অন্যদিকে ইলেকট্রন অণুবীক্ষণ যন্ত্রে কাঁচের লেন্সের পরিবর্তে তড়িৎচুম্বক ব্যবহার করা হয়। এটিতে বস্তুকে ৫০০০০ থেকে ৩ লক্ষ গুণ বড় দেখা সম্ভব। এটি সাধারণত ভাইরাস ও অন্যান্য অনুযায়ীকে দেখার জন্য ব্যবহার করা হয়।

(২০) রডকোশ ও কোণকোশ কাকে বলে?

উত্তর- চোখের রেটিনাই মৃদু আলোয় দর্শনে সাহায্যকারী দণ্ডাকার কোশকেকে রডকোশ বলে।

চোখের রেটিনাই উজ্জ্বল আলোয় বর্ণদর্শনে সাহায্যকারী শঙ্কু আকৃতির কোশকেকে কোণ কোশ বলে।

(২১) প্লাস্টিড কয় প্রকার ও কি কি?

উত্তর- উদ্ভিদ কোষের সাইটোপ্লাজম এক ধরনের রঙিন গঠন ছাড়িয়ে ছিটিয়ে আছে এদের প্লাস্টিড বলে। প্লাস্টিড মূলত তিন প্রকার ক্লোরোপ্লাস্টিড, ক্রোমপ্লাস্টিড এবং লেউকোপ্লাস্টিড।

(২২) উদ্ভিদ কোশ ও প্রাণী কোশের দুটি পার্থক্য লেখ।

উত্তর-

উদ্ভিদ কোশপ্রাণী কোশ
উদ্ভিদ কোশে কোশ প্রাচীর থাকে। প্রাণী কোশে কোশ প্রাচীর থাকে না।
এই কোশে দ্বি একক পর্দা বেষ্টির প্লাস্টিড থাকে।এই কোশে সাধারন্ত প্লাস্টিড থাকে না।
উদ্ভিদ কোশে লাইসোজোম থাকে না।প্রাণী কোশে একক পর্দা বেষ্টিত লাইসোজোম উপস্থিত।

(২৩) DNA ও RNA এর পুরো কথাটি কি?

উত্তর- DNA – ডি-অক্সিরাইবোনিউক্লিক অ্যাসিড, RNA- রাইবোনিউক্লিক অ্যাসিড

(২৪) কোশপর্দা কে প্রভেদক ভেদ্যপর্দা বলে কেন?

উত্তর- কোশ পর্দা সজীব কোশের বহিঃ ও অন্তঃমাধ্যমের একটি অভিস্রবণীয় প্রতিবন্ধক রূপে কাজ করে, তাই একে প্রভেদক ভেদ্যপর্দা বলে।

(২৫) দ্বি-একক পর্দা বেষ্টিত একটি কোশীয় অঙ্গানুর নাম ও কাজ লেখো।

উত্তর- দ্বি একক পর্দা বেষ্টিত কোশীয় অঙ্গানুর নাম প্লাস্টিড।

(২৫) একটি আদর্শ প্রাণী কোশের চিত্র।

উত্তর-

Class 8 Poribesh o Bigyan Chapter 6
Class 8 Poribesh o Bigyan Chapter 6

(২৬) একটি আদর্শ উদ্ভিদ কোশের চিত্র।

উত্তর-

Class 8 Poribesh o Bigyan Chapter 6
Class 8 Poribesh o Bigyan Chapter 6

nath আমাদের পোষ্টের লেটেস্ট আপডেট পেতে আমাদের ফেসবুক পেজ জয়েন করুন এবং টেলিগ্রাম চ্যানেল জয়েন করুন।

WhatsApp Channel Follow
Telegram Channel Join Now
Facebook Page Follow

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top