Class 8 Poribesh O Bigyan Chapter 5

প্রাকৃতিক ঘটনা ও তার বিশ্লেষণঃ অষ্টম শ্রেণীর পরিবেশবিদ্যা | Poribesh O Bigyan Chapter 5

Last Updated on August 31, 2024 by Science Master

অষ্টম শ্রেণীর পরিবেশ ও বিজ্ঞান বিষয়ের পঞ্চম অধ্যায় ” প্রাকৃতিক ঘটনা ও তার বিশ্লেষণ ” (Class 8 Poribesh O Bigyan Chapter 5) থেকে সমস্ত রকম প্রশ্ম-উত্তর যেমন সঠিক উত্তর নির্বাচন, সত্য-মিথ্যা নির্বাচন, শূন্যস্থান পূরণ, অতিসংক্ষিপ্ত এবং সংক্ষিপ্ত দেওয়া হলো। যেসমস্ত ছাত্র-ছাত্রী অষ্টম শ্রেণীতে পাঠরত তারা তাদের পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য এই গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ম-উত্তর গুলি অনুসরন করতে পারো।

(1) ডেঙ্গু রোগের জীবানু বহন করে যে প্রাণী সেটি হল- (a) অ্যানোফিলিস মশা (b) কিউলেক্স মশা (c) এডিস মশা (d) বালি মশা

উত্তরঃ- এডিস মশা।

(2) রক্ত সঞ্চালনের মাধ্যমে যে রোগটি সংক্রমিত হয় সেটি হল- (a) ডায়ারিয়া (b) হেপাটাইটিস (c) যক্ষ্মা (d) অ্যামিবায়োসিস

উত্তরঃ- হেপাটাইটিস।

(3) বায়ুর মাধ্যমে সংক্রমিত হয় যে রোগ সেটি স্থির করো- (a) ফাইলেরিয়া (b) কলেরা (c) ডায়ারিয়া (d) ইনফ্লুয়েঞ্জা

উত্তরঃ- ইনফ্লুয়েঞ্জা।

(4) DOTS পদ্ধতিতে যে রোগের চিকিৎসা করা হয় সেটি হল- (a) কালাজ্বর (b) স্মল পক্স (c) হেপাটাইটিস (d) যক্ষ্মা

উত্তরঃ- যক্ষ্মা।

(5) এই মহামারির লক্ষণগুলি হল- জ্বর, গায়ে লাল র‍্যাশ, গাঁটে, মাথায় ও চোখে যন্ত্রনা, অনুচক্রিকার সংখ্যা কমে যাওয়া ও রক্ত ক্ষরণ । মহামারিটি হল- (a) প্লেগ (b) ডেঙ্গি (c) ম্যালেরিয়া (d) যক্ষ্মা

উত্তরঃ- ডেঙ্গি।

(6) HIV অনাক্রম্যতন্ত্রের একটি নির্দিষ্ট ধরনের কোশকে আক্রমণ করে, সেটি হল- (a) RBC (b) T-cell (c) অণুচক্রিকা (d) আবরণী কোশ।

উত্তরঃ- T-cell

(7) প্রদত্ত কোনটি ডেঙ্গি রোগের লক্ষণ – (a) চোখের পিছনে ব্যাথা (b) চর্মে ফুসকুড়ি (c) অণুচক্রিকার সংখ্যা হ্রাস (d) সবকটিই।

উত্তরঃ- অণুচক্রিকার সংখ্যা হ্রাস ।

(8) ম্যালেরিয়া কী ঘটিত রোগ? (a) ছত্রাক (b) ব্যাকটেরিয়া (c) ভাইরাস (d) প্রোটোজোয়া

উত্তরঃ- প্রোটোজোয়া।

(9) বজ্রপাতের সময় – (a) শব্দ ও আলো উভয়ই উৎপন্ন হয় (b) শুধু শব্দ উৎপন্ন হয় (c) শুধু আলো উৎপন্ন হয় (d) কোনোটিই নয়।

উত্তরঃ- শব্দ ও আলো উভয়ই উৎপন্ন হয় ।

(10) বজ্রপাতের সময় নিরাপদ স্থান নয় – (a) ফাঁকা মাঠ (b) মোটর গাড়ি (c) রেলগাড়ি (d) চলন্ত বাস

উত্তরঃ- ফাঁকা মাঠ।

(11) উপরের আকাশ ও ভূপৃষ্ঠের মধ্যে বিভবপার্থক্য হল- (a) 400000 V (b) 4000 V (c) 40000 V (d) 450000 V

উত্তরঃ- 400000 V

(12) একটি অসংক্রামক মহামারি হল- (a) বসন্ত (b) ডায়াবেটিস (c) ম্যালেরিয়া (d) ইনফ্লুয়েঞ্জা।

উত্তরঃ- ডায়াবেটিস।

[ আরও দেখুনঃ তড়িতের রাসায়নিক প্রভাব: অষ্টম শ্রেণীর পরিবেশ ও বিজ্ঞান | Poribesh O Bigyan Class 8 Chapter 2.4 ]

(1) ____কম্পনই বজ্রপাতের সময় শব্দ উৎপন্ন করে।

উত্তরঃ- বায়ুর।

(2) কলেরা রোগের জন্য দায়ী জীবাণুটির নাম____।

উত্তরঃ- ভিব্রিও কলেরি।

(3) DOTS এর মাধ্যমে চিকিৎসা করা হয় ____রোগের।

উত্তরঃ- যক্ষ্মা।

(4) মোটামুটি পঞ্চাশ কিলোমিটার উপরের আকাশ ও ভূপৃষ্ঠের মধ্যে বিভবপার্থক্য প্রায় ____ভোল্ট।

উত্তরঃ-প্রায় চার লক্ষ ভোল্ট (400000 V)।

(5) কালাজ্বরের অপর নাম ____ জ্বর।

উত্তরঃ- দমদম জ্বর।

(6) ডেঙ্গি রোগের জীবাণু ____ নামে পরিচিত।

উত্তরঃ- ফ্ল্যাভিভাইরাস।

(7) মেঘের নীচের দিকটা সাধারণত ____তড়িৎগ্রস্থ হয়।

উত্তরঃ- ঋণাত্মক।

[ আরও দেখুনঃ অষ্টম শ্রেণীর পরিবেশ বিজ্ঞান- জীবদেহের গঠন | Class 8 Poribesh o Bigyan Chapter 6 ]

(1) বজ্রপাতের সময় উঁচু গাছের নীচে থাকা উচিৎ।

আরও দেখুন:  রাসায়নিক বিক্রিয়া- অষ্টম শ্রেণীর পরিবেশ ও বিজ্ঞান | Poribesh O Bigyan Chapter 2.3 (Chemical Reaction)

উত্তরঃ- মিথ্যা।

(2) বজ্রপাতের সময় দরজা জানালা বন্ধ করা মোটরগাড়ি নিরাপদ।

উত্তরঃ- সত্য।

(3) বজ্রপাতের সময় রাস্তায় মাথার ওপর ছাতা ধরে চলা উচিৎ।

উত্তরঃ- মিথ্যা।

(4) বজ্রপাতের সময় উঁচু গাছের তলায় আশ্রয় নেওয়া মোটেও নিরাপদ নয়।

উত্তরঃ- সত্য।

(5) “ম্যালেরিয়া” কথাটির অর্থ হল খারাপ বায়ু।

উত্তরঃ- সত্য।

(6) ডেঙ্গি রোগের জীবাণু বহন করে যে প্রাণী সেটি হল অ্যানোফিলিস মশা।

উত্তরঃ- মিথ্যা।

(1) বায়ুর মধ্য দিয়ে তড়িৎ চলাচল ঘটা সম্ভব কীসের জন্য?

উত্তরঃ- বায়ুতে অবস্থিত বিভিন্ন আহিত কণার জন্য।

(2) একটি প্রাকৃতিক তড়িৎকোশের নাম লেখো।

উত্তরঃ- বজ্রপাত।

(3) এমন একটি রোগের নাম লেখো যার জন্য ফ্ল্যাভি ভাইরাস দায়ী?

উত্তরঃ- ডেঙ্গি।

(4) বজ্র নিরোধক কী?

উত্তরঃ- বজ্র নিরোধক হল এমন এক ব্যবস্থা যা বজ্রপাত থেকে বাড়ি এবং বাড়ির মধ্যের বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম রক্ষা করে।

(5) কালাজ্বরের জন্য দায়ী জীবাণুটির বিজ্ঞানসম্মত নাম লেখো।

উত্তরঃ- লিসমানিয়া ডোনোভানি (Leishmania donovani)।

(6) AIDS ও HIV এর সম্পূর্ণ নাম লেখো।

উত্তরঃ- Acquired Immuno Deficiency Syndrome.

(7) কোন দিনটি ” বিশ্ব হেপাটাইটিস দিবস ” হিসেবে পালন করা হয়?

উত্তরঃ- 24 জুলাই ” বিশ্ব হেপাটাইটিস দিবস ” হিসেবে পালিত হয়।

(8) কালাজ্বরের অপর নাম কী?

উত্তরঃ- কালাজ্বরের অপর নাম ‘ দমদম জ্রর ‘ ।

(9) একটি অসংক্রামক মহামারির নাম লেখো।

উত্তরঃ- ফুসফুসের ক্যানসার।

(10) বজ্রপাত কেন হয়?

উত্তরঃ- মেঘ ও মাটির বিভব পার্থক্য খুবই বেশি হলে অত্যন্ত বড়ো স্ফুলিঙ্গের আকারে ঋণাত্মক তড়িৎ আধান মেঘ থেকে মাটিতে চলে আসে। এর ফলে ক্ষণস্থায়ী কিন্তু প্রবল তড়িৎ প্রবাহ হয়, যাকে আমরা বজ্রপাত বলি।

(11) বিশ্ব ম্যালেরিয়া দিবস কবে পালন করা হয়?

উত্তরঃ- 25 এপ্রিল বিশ্ব ম্যালেরিয়া দিবস হিসেবে পালন করা হয়।

(1) ইনফ্লুয়েঞ্জা রোগের কী কী লক্ষণ দেখা যায়?

উত্তরঃ- ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসঘটিত ভয়াবহ রোগ। ভীষণ ছোঁয়াচে রোগ, হাঁচি, কাশি, কফের মাধ্যমে সংক্রমিত হয়। ভয়াবহ জ্বর, ঘাম, কাঁপুনি, মাথার যন্ত্রনা, গাঁটে গাঁটে ব্যথা, অত্যধিক দুর্বলতা, বমি, ডায়ারিয়া হলো ইনফ্লুয়েঞ্জা রোগের লক্ষণ।

(2) যক্ষ্মা রোগের লক্ষণ কী কী?

উত্তরঃ- যক্ষ্মা বা টিবি ব্যাকটেরিয়াঘটিত বায়ুবাহিত মারণরোগ। এই রোগের জন্য দায়ী ব্যাকটেরিয়ার নাম- Mycobacterium tuberculosis । এই ব্যাকটেরিয়া মানুষের ফুসফুসকে আক্রমণ করে। এই রোগের লক্ষণ গুলি হলো ভয়াবহ কাশি ও তার সঙ্গে রক্ত পড়া। রাতের দিকে কষ্ট বাড়ে। প্রচণ্ড ঘাম হয়, ওজন ক্রমশ কমতে থাকে।

(3) ডায়ারিয়া হলে কী কী সমস্যা দেখা দিতে পারে?

উত্তরঃ- ডায়ারিয়া শব্দের অর্থ হলো প্রবাহিত হওয়া। তিনবারের থেকে বেশি পাতলা মলত্যাগ হলেই সাবধান হওয়া দরকার। শরীর থেকে অনেকটা জল বেরিয়ে যায়। শরীরের পাচক রস নষ্ট হয়ে যায়। মল দিয়ে রক্ত পড়ে। শরীরের জলসাম্য, অম্ল- ক্ষারের ভারসাম্য এমনকি লবণের ভারসাম্যও নষ্ট হয়ে যায়।

(4) কলেরা রোগের লক্ষণ কী কী?

উত্তরঃ- সাধারণত দুষিত জল, মাছি-বসা, না-ঢাকা খাবার এবং নোংরা পরিবেশ থেকেই কলেরা রোগের সৃষ্টি হয়। শরীর থেকে সব জল বেরিয়ে যেতে থাকে। প্রচণ্ড বমি হয়। শরীরে অম্ল- ক্ষারের ও লবণের ভারসাম্য নষ্ট হয়। শরীরের চামড়াকে ধোঁয়াটে নীল করে দেয়। এক কথায় কলেরা হলো একটি মারণ রোগ।

আরও দেখুন:  অষ্টম শ্রেণীর পরিবেশ বিজ্ঞানঃ পদার্থের গঠন প্রশ্ম উত্তর | Poribesh o Bigyan Class 8 Chapter 2.2

(5) কলেরা রোগটি কীভাবে ছড়ায়?

উত্তরঃ- সাধারণত দুষিত জল, মাছি-বসা, না-ঢাকা খাবার এবং নোংরা পরিবেশ থেকেই কলেরা রোগ ছড়ায়।

(6) বজ্রপাতের সময় বাড়ির ভিতরে থাকাকালীন কী কী সুরক্ষামূলক ব্যবস্থা ও সাবধানতা অবলম্বন করা উচিৎ?

উত্তরঃ- বাড়িতে যেসব বিদ্যুৎবাহী তার বা ধাতুর তৈরি পাইপ আছে সেগুলো থেকে দূরে থাকতে হবে। ল্যান্ডফোন মোটেই ব্যবহার করা উচিৎ নয়। বিভিন্ন তড়িৎ যন্ত্র যেমন টেলিভিশন, রেফ্রিজারেটর ইত্যাদির তড়িৎ সংযোগ খুলে রাখতে হবে।

(7) বজ্রপাতের সময় কি করা উচিৎ এবং কি করা উচিৎ নয়?

উত্তরঃ- বাড়ির মধ্যে থাকলে ঘরের জানালা-দরজা বন্ধ রাখা উচিৎ। খোলা বারান্দায় না থাকায় ভালো। বাড়িতে যেসব বিদ্যুৎবাহী তার বা ধাতুর তৈরি পাইপ আছে সেগুলো থেকে দূরে থাকা ভালো।

খোলা গাড়ি, মোটরবাইক বা ট্রাক্টর মোটেই নিরাপদ নয়। খোলা মাঠে, উঁচু গাছের কাছে, কোনো খোলা উঁচু জায়গায় থাকা উচিৎ নয়। বজ্রপাতের সময় ছাতা নিয়ে বাইরে বেরোনো মোটেই ঠিক নয়।

(8) ম্যালেরিয়া রোগের দুটি প্রতিরোধ পদ্ধতি লেখো। চিকিৎসাবিজ্ঞানে উপেন্দ্রনাথ ব্রম্ভচারীর ভূমিকা লেখো।

উত্তরঃ- ম্যালেরিয়া একটি মশা বাহিত রোগ। তাই মশা যাতে বংশ বৃদ্ধি করতে না পারে তার জন্য যেখানে সেখানে পচা জল জমতে দেওয়া যাবে না। রাতে ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি ব্যবহার করতে হবে।

ভারতীয় বিজ্ঞানী উপেন্দ্রনাথ ব্রম্ভচারী 1922 সালে কালাজ্বরের ওষুধ আবিস্কার করেন। তার ফলে লক্ষাধিক মানুষকে এই রোগের হাত থেকে রক্ষা করা সম্ভব হয়েছে।

(9) কোন মশা ডেঙ্গি রোগের জীবাণু বহন করে? এই রোগের যে-কোনো দুটি লক্ষণ লেখো।

উত্তরঃ- এডিস মশা ডেঙ্গি রোগের জীবাণু বহন করে। এই রোগের লক্ষণ গুলি হল- (১) ভয়াবহ জ্বর হয়, মাথার যন্ত্রনা হয়, গাঁটে গাঁটে ব্যাথা হয়। (২) শ্বেতরক্তকণিকা ধ্বংস হওয়ায় রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়। (৩) রক্ত ক্ষরণ এই রোগের প্রধান উপসর্গ।

(10) ম্যালেরিয়া রোগ কোন মশা ছড়ায়? এই রোগের দুটি লক্ষণ লেখো।

উত্তরঃ- স্ত্রী অ্যানোফিলিস মশা ম্যালেরিয়া রোগ ছড়ায়। কাঁপুনি দিয়ে জ্বর আসে। মাথার যন্ত্রনা ও গোটা শরীরে ব্যাথা হয়।

(11) প্লেগ রোগের চারটি উপসর্গ লেখো।

উত্তরঃ- প্লেগ রোগ সাধারণত ইঁদুর থেকে মানুষের দেহে সংক্রমিত হয়। Yersinia pestis নামক ব্যাকটেরিয়া এই রোগের জন্য দায়ী। ফুসফুসে সংক্রমণ , রক্তক্ষরণ, লসিকাগ্রন্থি ফুলে গিয়ে ভয়াবহ যন্ত্রনা, মাথার যন্ত্রনা, বমি, কাশির সঙ্গে রক্ত পড়া এইগুলি হলো এই রোগের প্রধান উপসর্গ।

(12) একটি সাধারণ রোগ কী কী অবস্থায় মহামারিতে পরিণত হতে পারে? অথবা, কোনো রোগ মহামারিতে পরিণত হবে কিনা তা কী করে বোঝা সম্ভব?

উত্তরঃ- কোনো মারণরোগের প্রাদুর্ভাবে প্রতি বছর প্রচুর মানুষ যখন একসঙ্গে মারা যান, তখন ওই মারণরোগকে মহামারি বলে ঘোষনা করা হয়।

(১) যদি কোনো রোগের হাত থেকে নিজেকে রক্ষা করা না যায়।

(২) যদি কোনো রোগে প্রচুর মানুষ মারা যান।

(৩) রোগের লক্ষণ, কতটা এলাকা জুড়ে ছড়িয়েছে, কারা কারা আক্রান্ত হয়েছেন তা শনাক্ত করা না যায়।

আরও দেখুন:  অষ্টম শ্রেণীর পরিবেশ বিজ্ঞান- জীবদেহের গঠন | Class 8 Poribesh o Bigyan Chapter 6

(13) দুটি ব্যাকটেরিয়া ঘটিত মহামারির কারণ ও উপসর্গ সারণির সাহায্যে লেখো।

উত্তরঃ-

ব্যাকটেরিয়া ঘটিত মহামারির নাম মহামারির কারণউপসর্গ
কলেরাসাধারণত দুষিত জল, মাছি-মশা, না-ঢাকা খাবার এবং নোংরা পরিবেশ থেকে ছড়ায়।প্রচণ্ড বমি, শরীর থেকে সব জল বেরিয়ে যায়, দেহে অম্ল- ক্ষারের ভারসাম্য নষ্ট হয়।
যক্ষ্মা বা টিবিএই রোগ ভীষণ ছোঁয়াচে এবং বায়ুবাহিত। তাছাড়া কফ, কাশি, থুতু বা লালার মাধ্যমে ছড়ায়।ভয়াবহ কাশি ও তার সঙ্গে রক্ত পড়া। প্রচণ্ড ঘাম হয়, ওজন ক্রমশ কমতে থাকে।

(14) SARS ও AIDS এর সংক্রমণ পদ্ধতি এবং উপসর্গ গুলি লেখো।

উত্তরঃ- SARS এর পুরো নাম Severe Acute Respiratory Syndrome । এই রোগ ভয়াবহ ছোঁয়াচে। প্রবল জ্বর, মাথার যন্ত্রনা, শরীরে ব্যাথা হয়। AIDS এর পুরো নাম Acquired Immuno Deficiency Syndrome । এটি সাধারণত ভাইরাস ঘটিত রোগ। রক্তের মাধ্যমে, দেহরসের মাধ্যমে, লালার মাধ্যমে সংক্রমিত হয়। এই রোগের ফলে দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা সম্পূর্ণরূপে ভেঙে পড়ে।

(15) কালাজ্বরের অপর নাম কী? এই রোগের লক্ষণ গুলি লেখো।

উত্তরঃ- কালাজ্বরের অপর নাম দমদম জ্বর। ধারাবাহিক জ্বর, খিদে কমে যাওয়া, ওজন কমে যাওয়া, প্লীহা বড়ো হয়ে যাওয়া, অ্যানিমিয়া প্রভৃতি এই রোগের লক্ষণ।

(16) বজ্রপাতের সময় বাইরে থাকলে কী কী করা উচিৎ নয়?

উত্তরঃ- খোলা গাড়ি, মোটরবাইক, মোটেই নিরাপদ নয়। খোলা মাঠে, উঁচু গাছের কাছে, কোনো খোলা জায়গায় বা পার্কের ছাউনির নিচে থাকবে না। বজ্রপাতের সময় ছাতা নিয়ে বাইরে বেরোনো মোটেই ঠিক নয়। যদি কোনো কারণে জঙ্গলের গাছপালার মধ্যে থাকতে হয় তাহলে নীচু গাছের আশেপাশে থাকাই ভালো, মোটেই উঁচু গাছের ধারেকাছে নয়।

(17) HIV আক্রান্ত রোগীরা অন্যান্য বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয় কেন?

উত্তরঃ- HIV ভাইরাসের আক্রমণে দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা সম্পূর্ণরূপে ভেঙে পড়ে। যার ফলে অন্যান্য নানা রোগজীবাণুর আক্রমণে রোগী নানা রোগে আক্রান্ত হয়। যক্ষ্মা, ইনফ্লুয়েঞ্জা, ডায়ারিয়া, জ্বর, যন্ত্রনা, গলা ব্যাথা থেকে শুরু করে দ্রুত ওজন হ্রাস পেয়ে মানুষ মৃত্যুর দিকে এগিয়ে যায়।

(18) বজ্র নিরোধক কী? এটি কিভাবে কাজ করে?

উত্তরঃ- বজ্রপাত থেকে বাড়ি এবং বাড়ির মধ্যের বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম রক্ষা করে বজ্র নিরোধক। বাড়ির সবচেয়ে উঁচু স্থানে একটা ধাতুর দণ্ড শক্তভাবে আটকানো হয়। দণ্ডটির সবচেয়ে উঁচুস্থানে খুব সরু কয়েকটা ছোটো ছোটো ধাতব শলাকা লাগানো হয়। মাটির মধ্যে 5-6 ফুট নীচে একটা চওড়া ধাতব পাত পুঁতে রাখা হয়। এরপর একটা সুপরিবাহী মোটা তার দিয়ে ওই দণ্ডটি এবং পাতটি যুক্ত করা হয়। এই ব্যবস্থায় বাড়িকে বজ্রপাতের থেকে বাঁচায়। বজ্রপাতের ফলে যে প্রবল তড়িৎ প্রবাহ হয় তা ওই তারের মাধ্যমে মাটিতে চলে যায়। বাড়িটাতে বজ্রপাত হলেও বাড়িটার কোনো ক্ষতি হয় না।

স্কলারশিপ সংক্রান্ত এই রকম গুরুত্বপূর্ণ খবরের আপডেট পেতে আমাদের Facebook Page ফলো করুন এবং Telegram চ্যানেল জয়েন করুন

WhatsApp Channel Follow
Telegram Channel Join Now
Facebook Page Follow

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top