Poribesh o Bigyan Class 8 Light Chapter

অষ্টম শ্রেণীর পরিবেশ ও বিজ্ঞানঃ আলো অধ্যায়ের প্রশ্ম-উত্তর | Poribesh o Bigyan Class 8 Light Chapter

Blinking Buttons WhatsApp Telegram

Last Updated on April 17, 2025 by Science Master

অষ্টম শ্রেণীর পরিবেশ ও বিজ্ঞান থেকে আলো অধ্যায়ের প্রশ্ম-উত্তর (Poribesh o Bigyan Class 8 Light Chapter) করে দেওয়া হল। যেসমস্ত ছাত্র-ছাত্রী অষ্টম শ্রেণীতে পাঠরত তাদের পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য এই প্রশ্ম-উত্তরগুলি খুবই কাজে লাগবে। অষ্টম শ্রেণীতে পাঠরত ছাত্র-ছাত্রীরা পরিবেশ ও বিজ্ঞান থেকে আলো অধ্যায়ের এই প্রশ্ম-উত্তর গুলি অনুসরণ করতে পারো।

⬕ আলো অধ্যায়ের (Poribesh o Bigyan) সঠিক উত্তর নির্বাচন করো প্রশ্ম-উত্তরঃ

(1) হিরে চকচকে দেখায় আলোর যে ধর্মের জন্য তা হল-

নিয়মিত প্রতিফলন/ আভ্যন্তরীণ পূর্ণ প্রতিফলন/ বিক্ষিপ্ত প্রতিফলন/ বিচ্ছুরণ

উত্তর:- অভ্যন্তরীণ পূর্ণ প্রতিফলন।

(2) দুটি সমতল দর্পণ পরস্পর ৩০ ডিগ্রি কোণ করে আছে । এদের সামনে মাঝামাঝি জায়গায় একটি বস্তু রাখলে কয়টি প্রতিবিম্ব পাওয়া যাবে- 12 টি/ 13 টি/ 11 টি /10 টি

উত্তর:- 11 টি।

(3) প্রতিসরাঙ্কের মান বেশি যে রঙের সেটি হলো- নীল আলো /সবুজ আলো /লাল আলো/ হলুদ আলো।

উত্তর:- নীল আলো।

(4) বায়ু সাপেক্ষে হীরের সংকট কোণ- 2.42 ডিগ্রি/ 24.5° /24.2° /2.45 ডিগ্রি

উত্তর:- 24.5⁰

(5) সমতল দর্পণে গঠিত প্রতিবিম্ব- সর্বদা সদ /সর্বদা অসদ/ সদ ও অসদ /কোনোটিই নয়।

উত্তর:- সর্বদা অসদ।

(6) ঘণমাধ্যমে আপতন কোণ = সংকট কোণ হলে প্রতিসরণ কোণ হবে- 180° / 0 ডিগ্রী/ 90 ডিগ্রি/ 45 ডিগ্রী

উত্তর:- 90 ডিগ্রি।

(7) সমতল দর্পণে লম্বভাবে আপতিত আলোকরশ্মির ক্ষেত্রে প্রতিফলন কোণের মান- 50 ডিগ্রি /90 ডিগ্রি/ 60° /0 ডিগ্রি

উত্তর:- 0 ডিগ্রি।

(8) ক্যালাইডোস্কোপ খুব যন্ত্রের আয়না তিনটির দৈর্ঘ্য : প্রস্থ- 1:4 / 4:1 / 2:4 / 4:2

উত্তর:- 4:1

(9) সিনেমার পর্দা হওয়া উচিত- সাদা ও অমসৃণ/ সাদা ও মসৃণ /রঙিন ও অমসৃণ/ রঙিন ও মসৃণ।

উত্তর:- সাদা ও অমসৃণ।

(10) পেরিস্কোপ যে নীতির উপর প্রতিষ্ঠিত তা হল- প্রতিফলন /প্রতিসরণ /অপবর্তন/ সমবর্তন।

উত্তর:- প্রতিফলন।

(11) আলোর কোন ধর্মকে কাজে লাগিয়ে পেরিস্কোপ তৈরি করা হয় – প্রতিফলন /প্রতিসরণ/অভ্যন্তরীণ পূর্ণ প্রতিফলন/ বিচ্ছুরণ।

উত্তর:- প্রতিফলন।

(12) দুটি আয়নার প্রতিফলক তল দুটিকে পরস্পর 30⁰ কোণে রেখে ওদের মাঝখানে একটি বস্তু রাখলে প্রতিবিম্বের সংখ্যা হবে- 5 টি / 6 টি / 11 টি / অসংখ্য।

উত্তর:- 11 টি।

(13) আলোকরশ্মির সংকট কোণে আপতিত হলে প্রতিসরণ কোণ হয়- 90 ডিগ্রি/ 45 ডিগ্রি/ 30 ডিগ্রি / 60 ডিগ্রি।

উত্তর:- 90 ডিগ্রি।

(14) প্রতিবিম্ব সৃষ্টি হওয়ার অন্যতম একটি কারণ হলো- প্রতিফলন /বিকিরণ/ বিচ্ছুরণ/ বিক্ষেপণ।

উত্তর:- প্রতিফলন।

(15) লঘু মাধ্যমের সাপেক্ষে ঘন মাধ্যমের প্রতিসরাঙ্কের মান বেশি হয়- লাল বর্ণের/ নীল বর্ণের /সবুজ বর্ণের /বেগুনি বর্ণের।

উত্তর:- লাল বর্ণের।

(16) মরুভূমির মরিচিকা ভ্রমের কারণ – প্রতিফলন/ প্রতিসরণ/ অভ্যন্তরীণ পূর্ণ প্রতিফলন /বিচ্ছুরণ।

উত্তর:- অভ্যন্তরীণ পূর্ণ প্রতিফলন।

(17) দুটি আয়নার মধ্যবর্তী কোন 60 ডিগ্রি। আয়না দুটির মাঝখানে একটি বস্তু রাখলে মোট প্রতিবিম্বের সংখ্যা হবে– তিনটি /চারটি /পাঁচটি/ ছয়টি।

উত্তর:- পাঁচটি।

(18) পেরিস্কোপে দর্পণ গুলি বাহুর সঙ্গে- 90 ডিগ্রী/ 45 ডিগ্রি/ 60 ডিগ্রি /30 ডিগ্রি কোণে থাকে।

উত্তর:- 45 ডিগ্রি।

(19) দুটি দর্পণ কে আনত ভাবে রাখা হলো দর্পণ দুটির মাঝখানে একটি বস্তু রাখলে চারটি প্রতিবিম্ব তৈরি হয়, দর্পণ দুটির মাঝের কোণ কত? 72 ডিগ্রি/ 60 ডিগ্রি /90 ডিগ্রি /30 ডিগ্রি।

উত্তর:- 72 ডিগ্রি।

(20) সমতল দর্পণে বস্তুর- অবশির্ষ /সমশীর্ষ /ক্ষুদ্র /বিবর্ধিত প্রতিবিম্ব গঠিত হয়।

উত্তর:- সমশীর্ষ।

[আরও দেখুনঃ তড়িতের রাসায়নিক প্রভাব: অষ্টম শ্রেণীর পরিবেশ ও বিজ্ঞান | Poribesh O Bigyan Class 8 Chapter 2.4]

⬕ আলো অধ্যায়ের অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্ম-উত্তরঃ

(1) অভ্যন্তরীণ পূর্ণ প্রতিফলনের ঘটনা না হলে আমরা কি দেখতে পেতাম না?

আরও দেখুন:  Mathematics Activity Task | অষ্টম শ্রেণীর গণিত মডেল অ্যাকটিভিটি টাক্স জানুয়ারি 2022 এর উত্তর

উত্তর:- মরুভূমির মরীচিকা।

(2) আলোর অভ্যন্তরীণ পূর্ণ প্রতিফলনের একটি প্রাকৃতিক উদাহরণ দাও।

উত্তর:- মরুভূমির মরীচিকা।

(3) আপতন কোণের মান মাধ্যম দুটির সংকট কোণের সমান হলে অভ্যন্তরীণ পূর্ণ প্রতিফলন হয়। সত্য/ মিথ্যা লেখ।

উত্তর:- মিথ্যা।

(4) দুটি সমতল দর্পণের মধ্যবর্তী কোণ 45° হলে গঠিত প্রতিবিম্বের সংখ্যা কটি হবে?

উত্তর:- সাতটি।

(5) দুটি সমান্তরাল আয়নার মাঝে বস্তু রাখলে প্রতিবিম্বের সংখ্যা হবে___________।

উত্তর:- অসংখ্য।

(6) কেলাইডোস্কোপে ব্যবহৃত সমতল আয়ীনাগুলির প্রস্থ ও দৈর্ঘ্যের অনুপাত_______।

উত্তর:- 1:4

(7) যে প্রতিবিম্ব কে পর্দায় ফেলা যায় তাকে অসদ বিম্ব বলে। সত্য /মিথ্যা লেখ।

উত্তর:- মিথ্যা।

(8) সিনেমার পর্দায় কি ধরনের প্রতিবিম্ব গঠিত হয়?

উত্তর:- সদবিম্ব।

(9) অভ্যন্তরীণ পূর্ণ প্রতিফলন কে পূর্ণ প্রতিফলন বলা হয় কেন ?

উত্তর:- কারণ আপতিত আলোর পুরোটাই প্রতিফলিত হয়ে ফিরে আসে।

(10) সংকট কোণের মান কোন কোন বিষয়ের উপর নির্ভর করে?

উত্তর:- দুই মাধ্যমের প্রকৃতি ও আপতিত আলোর বর্ণের ওপর।

(11) সমতল দর্পণ থেকে বস্তুর দূরত্ব ও সমতল দর্পণ থেকে প্রতিবিম্বের দূরত্ব সমান। সত্য/ মিথ্যা লেখ।

উত্তর:- সত্য।

(12) অভ্যন্তরীণ পূর্ণ প্রতিফলনের একটি প্রাকৃতিক দৃষ্টান্ত হলো মরুভূমির_________।

উত্তর;- মরীচিকা।

(13) আয়নার সামনে দাঁড়ালে তোমার যে প্রতিবিম্ব দেখতে পাও তা কী জাতীয়?

উত্তর:- অসদ প্রতিবিম্ব।

(14) সমতল দর্পণে কি জাতীয় প্রতিবিম্ব সৃষ্টি হয়?

উত্তর:- অসদ প্রতিবিম্ব।

(15) কোন বস্তুকে সমতল দর্পণের দিকে দুই ফুট সরালে প্রতিবিম্বের সরণ কত এবং কোন দিকে হবে?

উত্তর:- প্রতিবিম্বের সরণও 2 ফুট হবে এবং সরণ দর্পণের দিকে হবে।

(16) যে প্রতিবিম্ব পর্দায় ফেলে যায় তাকে( সদ বিম্ব/ অসদ বিম্ব )বলে।

উত্তর:- সদ বিম্ব।

(17) মরীচিকায় কি ধরনের প্রতিবিম্ব গঠিত হয়?

উত্তর:- অসদ প্রতিবিম্ব।

(18) বস্তুর প্রতিবিম্ব সৃষ্টির একটি কারণ লেখ।

উত্তর:- আলোর প্রতিফলন।

আরও দেখুনঃ অষ্টম শ্রেণীর পরিবেশ বিজ্ঞান- জীবদেহের গঠন | Class 8 Poribesh o Bigyan Chapter 6

⬕ আলো অধ্যায়ের সংক্ষিপ্ত প্রশ্ম-উত্তরঃ

(1) দুটি সমতল আয়না 45 ডিগ্রি কোণে রেখে তাদের মাঝে একটি বস্তু রাখলে আয়না দুটি দ্বারা বস্তুটির মোট কয়টি প্রতিবিম্ব গঠিত হবে?

উত্তর:-

প্রতিবিম্ব \;সংখ্যা =\frac{360}{দর্পণ\; দুটির \;মাঝে \;কোণের \;মান}-1\\=\frac{360}{45}-1\\=8-1\;টি\\=7\;টি

(2) দুটি সমতল দর্পণকে পরস্পরের সঙ্গে 60 ডিগ্রি কোণে রাখা হলো দর্পণ দুটিতে গঠিত প্রতিবিম্বের সংখ্যা কত হবে , সূত্র অবশই লিখবে।

উত্তরঃ-

প্রতিবিম্ব \;সংখ্যা =\frac{360}{দর্পণ\; দুটির \;মাঝে \;কোণের \;মান}-1\\=\frac{360}{60}-1\\=6-1\;টি\\=5\;টি

(3) দুটি দর্পণকে আনত ভাবে রাখা হলো। দর্পণ দুটির মাঝখানে একটি বস্তু রাখলে পাঁচটি প্রতিবিম্ব তৈরি হয়। দর্পণ দুটির মাঝের কোন কত?

উত্তর:-

প্রতিবিম্ব \;সংখ্যা =\frac{360}{দর্পণ\; দুটির \;মাঝে \;কোণের \;মান}-1\\5=\frac{360}{দর্পণ\; দুটির \;মাঝে \;কোণের \;মান}-1\\\therefore\;দর্পণ\; দুটির \;মাঝে \;কোণের \;মান=60^o

(4) একটি সদ প্রতিবিম্ব ও একটি অসদ প্রতিবিম্বের উদাহরণ দাও এদের মধ্যে কি কি পার্থক্য আছে বলে তোমার মনে হয়।

উত্তর:- সিনেমার পর্দায় সৃষ্ট প্রতিবিম্ব হল সদ প্রতিবিম্ব এবং মরুভূমির মরীচিকা হল অসদ প্রতিবিম্ব।

সদ প্রতিবিম্ব কে পর্দায় ফেলা যায় কিন্তু অসদ প্রতিবিম্ব কে পর্দায় ফেলা যায় না।

(5) প্রতিসরণের দ্বিতীয় সূত্র অর্থাৎ স্নেলের সূত্রটি লেখ।

উত্তর:- প্রতিসরণের দ্বিতীয় সূত্র:- প্রতিসরণের সময়, যদি আলোর রং ও মাধ্যম দুটি একই থাকে তাহলে প্রতিসরাঙ্কের মানও একই থাকবে। অর্থাৎ আপতন কোণ ও প্রতিসরণ কোণের মান পরিবর্তিত হলেও প্রতিসরাঙ্ক এর মান পরিবর্তিত হবে না।

(6) হীরে চকচক করে কেন?

উত্তর:- বায়ু সাপেক্ষে হীরের প্রতিসরাঙ্ক খুব বেশি। ফলে বায়ু সাপেক্ষে হীরের সংকট কোণ খুবই কম, মাত্র 24.5° । এমন কৌশলে হিরে কাটা হয় যাতে হিরে থেকে বায়ু মাধ্যমের যাত্রাকালে সমস্ত আলোকরশ্মির আপতন কোণের মান 24.5° অপেক্ষা বেশি হয় অর্থাৎ সংকট কোণকে ছাপিয়ে যায়, তাদের অভ্যন্তরীণ পূর্ণ প্রতিফলন ঘটে। যার ফলে হীরে চকচকে দেখায়।

(7) অসদবিম্ব বলতে কী বোঝায় । পরম প্রতিসরাঙ্ক এবং সংকট কোণ বলতে কী বোঝায়?

আরও দেখুন:  অষ্টম শ্রেণীর পরিবেশ ও বিজ্ঞানঃ কার্বন ও কার্বনঘটিত যৌগ | Poribesh O Bigyan Class 8 Chapter 4

উত্তর:- অসদবিম্বঃ যে প্রতিবিম্ব কে পর্দায় ফেলা যায় না তাকে অসদবিম্ব বলে।

পরম প্রতিসরাঙ্কঃ যখন আলোকরশ্মি শূন্যস্থান থেকে অন্য মাধ্যমে প্রতিসৃত হয় তখন ওই মাধ্যমের প্রতিসরাঙ্ক কে মাধ্যমটির পরম প্রতিসরাঙ্ক বলে।

সংকট কোণঃ আপতন কোণের যে নির্দিষ্ট মানের জন্য প্রতিসরণ কোণের মান 90o হয়। অর্থাৎ প্রতিসৃত রশ্মিটি মাধ্যম দুটির বিভেদতল ঘেঁষে যায়। আপতন কোণের সেই মানকে ওই মাধ্যম দুটির সংকট কোণ বলে।

(8) কোনো মাধ্যমের প্রতিসরাঙ্ক কোন কোন বিষয়ের উপর নির্ভর করে।

উত্তর:- কোন মাধ্যমের প্রতিসরাঙ্ক সাধারণত আলোর রঙের ও মাধ্যম দুটির প্রকৃতির উপর নির্ভর করে।

(9) সংকট কোণ কাকে বলে চিত্রসহ বুঝিয়ে দাও। মরুভূমির মরীচিকা কোন ধরনের প্রতিবিম্ব?

উত্তর:- আপতন কোণের যে মানের জন্য প্রতিসরণ কোণের মান ৯০ ডিগ্রী হয়। অর্থাৎ প্রতিসৃত রশ্মিটি মাধ্যম দুটির বিভেদতলকে ঘেঁষে চলতে থাকে। আপতন কোণের সেই মানকে ওই মাধ্যম দুটির সংকট কোণ বলা হয়। মরুভূমির মরীচিকা হল অসদ প্রতিবিম্ব ।

আরও দেখুনঃ রাসায়নিক বিক্রিয়া- অষ্টম শ্রেণীর পরিবেশ ও বিজ্ঞান | Poribesh O Bigyan Chapter 2.3 (Chemical Reaction)

(10) সূর্যোদয়ের আগে ও সূর্যাস্তের পরে সূর্যকে দেখা যায় কেন?

উত্তর:- বায়ুমন্ডলে আলোর প্রতিসরণের জন্য সূর্যোদয়ের কিছু আগে এবং সূর্যাস্তের কিছু পরেও সূর্যকে দেখা যায় । স্বাভাবিক অবস্থায় ভূপৃষ্ঠে বায়ুর ঘনত্ব সবচেয়ে বেশি। যত ওপরে ওঠা যায় বায়ুর ঘনত্ব তত কমে ।
সূর্যোদয় এবং সূর্যাস্তের সময় সূর্য দিগন্তরেখার নীচে থাকলেও সূর্য থেকে আগত আলোকরশ্মিগুলি বায়ুর বিভিন্ন স্তরের ঘনতর অংশ থেকে লঘুতর অংশে প্রতিসৃত হয় । ফলে প্রতি স্তরে প্রতিসৃত রশ্মিগুলি অভিলম্বের দিকে বেঁকে যায় এবং একটি বাঁকা পথে ভূপৃষ্ঠে দর্শকের চোখে পৌঁছোয়। দর্শকের চোখ বাঁকা পথ অনুসরণ করতে পারে না। তাই সে রশ্মিগুলিকে সোজা দেখে । ফলে সূর্যের আপাত অবস্থান ওর প্রকৃত অবস্থানের কিছুটা ওপরে হয় । তাই সূর্যোদয়ের কিছুটা আগে এবং সূর্যাস্তের কিছু পরে সূর্য দিগন্তরেখার নীচে থাকলেও সূর্যকে আমরা দেখতে পাই ।

(11) কচু পাতার উপর জল পড়লে জলের ফোটাটি চকচক করে কেন?

উত্তর:- কচুপাতার ওপর জলের যে ফোঁটা নড়াচড়া করে বেড়ায় তার ওপর পড়া আলো বায়ু থেকে জলে প্রবেশ করে। আবার যখন জল থেকে বায়ুতে বেরিয়ে আসতে চাই তখন জল ও বায়ুর বিভেদ তলে ওই মাধ্যম দুটির সংকট কোণের চেয়ে বেশি কোণে আপতিত হয়। ফলে ওই স্থানে আলোকরশ্মির অভ্যন্তরীণ পূর্ণ প্রতিফলন ঘটে । প্রতিফলিত রশ্মি দর্শকের চোখে এসে পৌঁছালে দর্শক ওই স্থান চকচকে দেখে । যার ফলে কচুর পাতার উপরে জলের ফোঁটা চকচকে দেখায়।

(12) জলের ভিতর বুদবুদ চকচকে দেখায় কেন ?

উত্তর:- জলের ফোঁটার ওপর পড়া আলো জল থেকে বায়ুতে প্রবেশ করে। তখন জল ও বায়ুর বিভেদ তলে ওই মাধ্যম দুটির সংকট কোণের চেয়ে বেশি কোণে আপতিত হয়। ফলে ওই স্থানে আলোকরশ্মির অভ্যন্তরীণ পূর্ণ প্রতিফলন ঘটে । প্রতিফলিত রশ্মি দর্শকের চোখে এসে পৌঁছালে দর্শক ওই স্থান চকচকে দেখে । যার ফলে জলের ফোঁটা চকচকে দেখায়।

(13) সদবিম্ব ও অসদ বিম্বের মধ্যে দুটি পার্থক্য লেখ।

উত্তরঃ-

সদবিম্বঅসদবিম্ব
কোনো বিন্দু থাকে আসা আলোকরশ্মিগুচ্ছ প্রতিফলিত বা প্রতিসৃত হওয়ার পর একটা বিন্দুতে মিলিত হলে, দ্বিতীয় বিন্দুকে প্রথম বিন্দুর সদবিম্ব বলে।কোনো বিন্দু থেকে আসা আলোকরশ্মিগুচ্ছ প্রতিফলিত বা প্রতিসৃত হওয়ার পর যদি অন্য কোনো একটি বিন্দু থেকে আসছে বলে মনে হয়, তখন দ্বিতীয় বিন্দুকে প্রথম বিন্দুর অসদবিম্ব বলে।
এই প্রতিবিম্বকে পর্দায় ফেলা যায়।এই প্রতিবিম্বকে পর্দায় ফেলা যায় না।
সিনেমার পর্দায় উৎপন্ন প্রতিবিম্ব সদবিম্ব।মরুভূমির মরীচিকা হল অসদবিম্ব।

(14) অভ্যন্তরীণ পূর্ণ প্রতিফলন কাকে বলে?

উত্তরঃ- যখন কোনো আলোক রশ্মি এক মাধ্যম থেকে এসে অন্য মাধ্যমে আপতিত হওয়ার পর দ্বিতীয় মাধ্যমে প্রবেশ না করে আবার সম্পূর্ণরূপে প্রথম মাধ্যমে ফিরে যায়, তখন সেই ঘটনাকে অভ্যন্তরীণ পূর্ণ প্রতিফলন বলে।

আরও দেখুন:  English Model Activity Task 2021 Class 8

(15) প্রতিসরণ কাকে বলে? লঘু থেকে ঘন এবং ঘন থেকে লঘু মাধ্যমে আলোর প্রতিসরণের চিত্র দাও।

উত্তরঃ- আলোকরশ্মি কোনো মাধ্যম দিয়ে যেতে যেতে যদি অন্য কোনো আলাদা মাধ্যমে প্রবেশ করে, তখন ওই মাধ্যম দুটির বিভেদতল থেকে আলোর গতিপথের পরিবর্তন ঘটে, এই ঘটনাকে আলোর প্রতিসরণ বলে।

prtisrn

(16) সমতল দর্পণে গঠিত প্রতিবিম্বের দুটি বৈশিষ্ট্য লেখ।

উত্তরঃ- সমতল দর্পণে গঠিত প্রতিবিম্বের দুটি বৈশিষ্ট্য হল- (১) সমতল দর্পনে গঠিত প্রতিবম্ব সর্বদা অসদ ও সমশীর্ষ হবে। (২) সমতল দর্পনের ক্ষেত্রে দর্পন থেকে বস্তুর দূরত্ব ও দর্পন থেকে প্রতিবিম্বের দূরত্ব সমান হয়।

(17) চিত্রসহ সংজ্ঞা দাওঃ- সংকট কোণ ও অভ্যন্তরীণ পূর্ণ প্রতিফলন।

উত্তরঃ- সংকট কোণ:-

আপতন কোণের যে মানের জন্য প্রতিসরণ কোণের মান ৯০ ডিগ্রী হয়। অর্থাৎ প্রতিসৃত রশ্মিটি মাধ্যম দুটির বিভেদতলকে ঘেঁষে চলতে থাকে। আপতন কোণের সেই মানকে ওই মাধ্যম দুটির সংকট কোণ বলা হয়।

Poribesh o Bigyan class 8

অভ্যন্তরীণ পূর্ণ প্রতিফলন:-

যখন কোনো আলোক রশ্মি এক মাধ্যম থেকে এসে অন্য মাধ্যমে আপতিত হওয়ার পর দ্বিতীয় মাধ্যমে প্রবেশ না করে আবার সম্পূর্ণরূপে প্রথম মাধ্যমে ফিরে যায়, তখন সেই ঘটনাকে অভ্যন্তরীণ পূর্ণ প্রতিফলন বলে।

Poribesh o Bigyan class 8

(18) সিনেমার পর্দা সাদা ও অমসৃণ হয় কেন?

উত্তরঃ- সাদা রঙ সাতটি রঙের সমষ্টি। সাদা রঙ অন্য কোনো প্রকার রঙ শোষণ করে না। তাই সিনেমার পর্দা সাদা করা হয় যাতে সবরকম রঙের প্রতিফলন হয়। ফলে সাদা রঙের জন্য প্রতিবিম্বের উজ্জল্যতা বাড়ে এবং সিনেমা পরিস্কার দেখা যায়। আর সিনেমার পর্দা অমসৃণ করা হয় কারণ অমসৃণ করলে আলোর বিক্ষিপ্ত প্রতিফলন হয় এবং সিনেমার হলে বসে থাকা সমস্ত দর্শকের চোখে পৌঁছায়।

(19) অভ্যন্তরীণ পূর্ণ প্রতিফলনের দুটি শর্ত উল্লেখ করো।

উত্তরঃ- (১) আলোকরশ্মিকে সংকট কোণের থেকে বেশি কোণে আপতিত হতে হবে। (২) আলোকরশ্মির কোনো অংশই দ্বিতীয় মাধ্যমে প্রতিসৃত হবে না।

(20) আলোর প্রতিসরণের সূত্র দুটি লেখ।

উত্তরঃ- প্রতিসরণের প্রথম সূত্রঃ আপতিত রশ্মি ও দুই মাধ্যমের বিভেদতলে আপতন বিন্দুতে আঁকা অভিলম্ব এবং প্রতিসরণের পর প্রতিসৃত রশ্মি একই সমতলে থাকবে।

প্রতিসরণের দ্বিতীয় সূত্রঃ প্রতিসরণের সময়, যদি আলোর রং ও মাধ্যম দুটি একই থেকে, তাহলে প্রতিসরাঙ্কের মানও একই থাকবে। অর্থাৎ আপতন কোণ ও প্রতিসরণ কোণের মান পরিবর্তিত হলেও প্রতিসরাঙ্কের মান পরিবর্তিত হয় না।

(21) আলোর প্রতিফলনের সূত্র দুটি লেখ। সিনেমায় পর্দায় কি ধরনের প্রতিবিম্ব গঠিত হয়?

উত্তরঃ- প্রতিফলনের প্রথম সূত্রঃ- আপতিত রশ্মি, প্রতিফলিত রশ্মি এবং আপতন বিন্দুতে অঙ্কিত অভিলম্ব একই সমতলে থাকে।

প্রতিফলনের দ্বিতীয় সূত্রঃ- আপতন কোণ ও প্রতিফলন কোণের মান সমান হয়।

সিনেমার পর্দায় গঠিত প্রতিবম্ব হল সদবিম্ব।

(22) পেরিস্কোপের ব্যবহার লেখ।

উত্তরঃ- আগেকার দিনে খেলার মাঠের বাইরের দর্শক পেরিস্কোপের সাহায্যে খেলা দেখতো। এছাড়া পেরিস্কোপ ব্যবহার হতো সাবমেরিন, ট্যাঙ্ক ইত্যাদিতে।

(23) মরীচিকায় সৃষ্ট প্রতিবিম্বের প্রতি মুহূর্তে অবস্থান পরিবর্তন ঘটে কেন?

উত্তরঃ- নীচের অপেক্ষাকৃত উত্তপ্ত স্তরের বায়ু হাল্কা হয়ে উপরে উঠে আসে ও উপরের অপেক্ষাকৃত ঠাণ্ডা স্তরের বায়ু নীচে নেমে আসে। এর ফলে ওই স্তরগুলোর মধ্যে একটি পরিচলন স্রোতের সৃষ্টি হয়। প্রতি মুহুর্তে উষ্ণতার পরিবর্তনের ফলে বায়ুস্তরগুলোর ঘনত্ব ও প্রতিসরাঙ্ক অনবরত পরিবর্তিত হতে থাকে। ওই স্তরগুলোর মধ্য দিয়ে চলতে থাকা আলোকরশ্মিগুচ্ছের গতিপথ বারবার পরিবর্তন হতে থেকে। ফলে গঠিত প্রতিবিম্বের অবস্থানেরও প্রতি মুহুর্তে পরিবর্তন ঘটে।

আমাদের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এই রকম গুরুত্বপূর্ণ পোস্টের সরাসরি আপডেট পেতে আমাদের Facebook Page ফলো করুন এবং Telegram , চ্যানেল জয়েন করুন।


WhatsApp Channel Follow
Telegram Channel Join Now
Facebook Page Follow

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

WhatsApp Telegram