chemical reaction poribesh o bigyan

রাসায়নিক বিক্রিয়া- অষ্টম শ্রেণীর পরিবেশ ও বিজ্ঞান | Poribesh O Bigyan Chapter 2.3 (Chemical Reaction)

Last Updated on July 8, 2024 by Science Master

রাসায়নিক বিক্রিয়া (Chemical Reaction) অধ্যায় 2.3

অষ্টম শ্রেণীর পরিবেশ ও বিজ্ঞান দ্বিতীয় অধ্যায় ” মৌল, যৌগ ও রাসায়নিক বিক্রিয়া ” থেকে ” রাসায়নিক বিক্রিয়া (Chemical Reaction)” অধ্যায়ের সমস্ত রকম প্রশ্ম-উত্তর করা হল। যে সমস্ত ছাত্র-ছাত্রী অষ্টম শ্রেণীতে পাঠরত তারা তাদের পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য এই প্রশ্ম-উত্তর গুলি অনুসরন করতে পারো। বিভিন্ন প্রশ্মবিচিত্রা থেকে পরিবেশ ও বিজ্ঞান বিষয়ের “রাসায়নিক বিক্রিয়া (Chemical Reaction)” থেকে এই খুবই গুরুত্বপুর্ণ প্রশ্মগুলি সংগ্রহ করা হয়েছে। অষ্টম শ্রেণীর পরিবেশ ও বিজ্ঞান (Poribesh O Bigyan Class 8) দ্বিতীয় অধ্যায় ” মৌল, যৌগ ও রাসায়নিক বিক্রিয়া ” থেকে ” রাসায়নিক বিক্রিয়া (Chemical Reaction)” অধ্যায়ের সমস্ত রকম প্রশ্ম-উত্তর নীচে দেওয়া হলো।

(১) কঠিন অনুঘটক সম্বন্ধে কোন বিবৃতিটি ঠিক নয়-

(ক) অনুঘটক বিক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করে

(খ) অনুঘটক বিক্রয় অংশগ্রহণ করে না

(গ) পরীক্ষার ভিত্তিতেই অনুঘটক নির্বাচন করতে হয়

(ঘ) অনুঘটক বড় করে রাখায় বিক্রি আবেগ বেড়ে যায়

উত্তর- অনুঘটক বিক্রিয়া অংশগ্রহণ করে না।

(২) Sn2+ = Sn4+ + 2e এটি একটি –

(ক) দহন বিক্রিয়া

(খ) জারণ বিক্রিয়া

(গ) বিজারণ বিক্রিয়া

(ঘ) জারণ বিজারণ বিক্রিয়া

উত্তর – জারণ বিক্রিয়া।

(৩) কিউপ্রিক নাইট্রেটকে উত্তপ্ত করলে যে বাদামি রঙের গ্যাস নির্গত হয়, তার নাম-

(ক) নাইট্রাস অক্সাইড

(খ) নাইট্রিক অক্সাইড

(গ) নাইট্রোজেন ডাই অক্সাইড

(ঘ) নাইট্রোজেন

উত্তর- নাইট্রোজেন ডাই অক্সাইড ।

(৪) ইউরিয়ার সঙ্গে জলের বিক্রিয়া ঘটিয়ে অ্যামোনিয়া উৎপন্ন করতে কোন অনুঘটক প্রয়োজন?

(ক) MnO2

(খ) ইউরিয়েজ

(গ) ক্যাটালেজ

(ঘ) জল

উত্তর- ইউরিয়েজ ।

(৫) গ্যালভানাইজেশন পদ্ধতিতে লোহার ওপর কোন ধাতুর প্রলেপ দেওয়া হয়-

(ক) Zn

(খ) Au

(গ) Pt

(ঘ) Ni

উত্তর- Zn

(৬) দহন একপ্রকার –

(ক) জারণ প্রক্রিয়া

(খ) বিজারণ প্রক্রিয়া

(গ) জারণ-বিজারণ প্রক্রিয়া

(ঘ) কোনোটিই নয়।

উত্তর- জারণ প্রক্রিয়া

(৭) জৈব অনুঘটক গুলি প্রধানত-

(ক) কার্বোহাইড্রেট জাতীয়

(খ) প্রোটিন জাতীয়

(গ) ফ্যাট জাতীয়

(ঘ) কোনোটিই নয়

উত্তর- প্রোটিন জাতীয়।

(৮) অনুঘটকের সক্রিয়তা বৃদ্ধি পায়-

(ক) আয়তনের ওপর

(খ) ভরের ওপর

(গ) ক্ষেত্রফলের ওপর

(ঘ) ঘনত্বের ওপর

উত্তর- ক্ষেত্রফলের ওপর ।

আরও দেখুন:  অষ্টম শ্রেণীর পরিবেশ বিজ্ঞানঃ পদার্থের গঠন প্রশ্ম উত্তর | Poribesh o Bigyan Class 8 Chapter 2.2

(৯) বিজারণের অর্থ হল-

(ক) অক্সিজেন গ্রহণ

(খ) হাইড্রোজেন বর্জন

(গ) ইলেকট্রন গ্রহণ

(ঘ) ইলেকট্রন বর্জন

ঊত্তর- ইলেকট্রন গ্রহণ।

রাসায়নিক বিক্রিয়া (Chemical Reaction) অধ্যায়ঃ ঠিক ভুল নির্বাচন করো।

(১) অনুঘটক রাসায়নিক বিক্রিয়া অংশগ্রহণ করে না।

উত্তর – ভুল।

(২) জারন ও বিজারণ বিক্রিয়া সবসময় একসঙ্গে ঘটে।

উত্তর -ঠিক।

(৩) অনুঘটক রাসায়নিক বিক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করে।

উত্তর – ঠিক।

(৪) জারক দ্রব্য সর্বদা অন্যকে বিজারিত করে নিজে জারিত হয়।

উত্তর- ভুল।

(১) কোন কঠিন অনুঘটক কে গুঁড়ো করা হলে তার পৃষ্ঠ দলের ক্ষেত্রফল _______।

উত্তর- বেড়ে যায়।

(২) Fe ➝ Fe3+ + 3e হল একটি _____প্রক্রিয়া।

উত্তর- জারণ ।

(৩) যে সমস্ত পদার্থ রাসায়নিক বিক্রিয়ার বেগ বাড়ায় তাকে _____বলে।

উত্তর- অনুঘটক।

(৪) জারণ-বিজারণ বিক্রিয়ায় জারক দ্রব্য নিজে ____হয়।

উত্তর- বিজারিত।

আরও দেখুনঃ অষ্টম শ্রেণীর পরিবেশ বিজ্ঞান- জীবদেহের গঠন | Class 8 Poribesh o Bigyan Chapter 6

(১) আলুর যে এনজাইম হাইড্রোজেন পারঅক্সাইড কে জল ও অক্সিজেনে ভেঙে ফেলে তার নাম কি?

উত্তর- ক্যাটালেজ।

(২) উৎসেচক প্রধানত কোন জাতীয় যৌগ?

উত্তর- প্রোটিন জাতীয় যৌগ।

(৩) NaOH এর দ্রবনে ফেনলপথ্যালিনের বর্ণ লেখো।

উত্তর- NaOH হল ক্ষার তাই এর দ্রবনে ফেনলপথ্যালিনের বর্ণ গোলাপি।

(৪) ওয়েলডিং এর কাজে C2H2 কে দহন করতে কোন গ্যাস লাগে?

উত্তর- অক্সিজেন গ্যাস।

(৫) মরচের রাসায়নিক নাম লেখো।

উত্তর- মরচে হল জলযুক্ত ফেরিক অক্সাইড (Fe2O3. nH2O)

(৬) লোহাতে মরচে পড়া – জারণ না বিজারণ।

উত্তর- জারণ।

(৭) প্রস্রাবগারে তীব্র ঝাঁঝালো গন্ধ কোন গ্যাসের জন্য হয়?

উত্তর- অ্যামোনিয়া গ্যাসের জন্য।

(৮) অড়হর ডাল ও তরমুজের বীজে প্রাপ্ত এনজাইমের নাম লেখো।

উত্তর- ইউরিয়েজ এনজাইম।

(৯) গ্রিল তৈরীর কারখানায় ঝালাইয়ের কাজে ব্যবহৃত গ্যাসটির নাম কী?

উত্তর- অ্যাসিটিলিন গ্যাস।

(১০) Fe + Cu2+ = Fe2+ + Cu বিক্রিয়ায় কোনটি জারক ও কোনটি বিজারক তা উল্লেখ করো।

উত্তর- বিক্রিয়ায় Fe এর জারণ হয়েছে, সুতরাং জারক হল Cu2+। বিক্রিয়ায় Cu2+ এর বিজারণ হয়েছে, সুতরাং বিজারক হল Fe

(১১) একটি জারক ও একটি বিজারক মৌলের উদাহরণ দাও।

উত্তর- জারক মৌল- অক্সিজেন (O2) এবং বিজারক মৌল- হাইড্রোজেন (H2)।

(১২) চুনাপাথর থেকে পোড়াচুন তৈরি তাপগ্রাহী না তাপমোচী পরিবর্তন ?

উত্তর- চুনাপাথর (CaCO3) থেকে পোড়াচুন (CaO) তৈরি তাপগ্রাহী পরিবর্তন।

CaCO_3\xrightarrow{1000^oC} CaO+CO_2-তাপ 

আরও দেখুনঃ অষ্টম শ্রেণীর পরিবেশ বিজ্ঞানঃ পদার্থের গঠন প্রশ্ম উত্তর | Poribesh o Bigyan Class 8 Chapter 2.2

(১) উষ্ণতা বৃদ্ধিতে বেশিরভাগ রাসায়নিক বিক্রিয়ার হার বৃদ্ধি পায় কেন?

আরও দেখুন:  অষ্টম শ্রেণীর পরিবেশ বিজ্ঞান- জীবদেহের গঠন | Class 8 Poribesh o Bigyan Chapter 6

অথবা, উষ্ণতা বৃদ্ধিতে সাধারণত বিক্রিয়ার বেগ বাড়ে কেন তা ব্যাখ্যা কর।

উত্তর- রাসায়নিক বিক্রিয়া শুরু করতে শক্তির প্রয়োজন হয়। উষ্ণতা বাড়ালে অণুদের গতিশক্তি বাড়ে , তখন বেশিরভাগ রাসায়নিক বিক্রিয়া তাড়াতাড়ি ঘটে। সেই কারণে উষ্ণতা বৃদ্ধিতে সাধারণত বিক্রিয়ার বাড়ে।

(২) তড়িতের প্রভাবে রাসায়নিক পরিবর্তন ঘটছে সমীকরণসহ এমন উদাহরণ দাও।

উত্তর- জলে একটু সালফিউরিক অ্যাসিড মিশিয়ে তার মধ্যে ব্যাটারির সাহায্যে তড়িৎ পাঠালে দেখা যাবে দুটো তড়িৎদ্বারেই বুদবুদ আকারে গ্যাস নির্গত হচ্ছে। এর মধ্যে একটি হলো হাইড্রোজেন ও অন্যটা অক্সিজেন।

2H2O = 2H2 + O2

এক্ষেত্রে জল বিয়োজিত হয়ে হাইড্রোজেন ও অক্সিজেন গ্যাস উৎপন্ন করে। এখানে তড়িৎ না পাঠালে কিন্তু গ্যাস তৈরি হয় না। অর্থাৎ তড়িৎ এর প্রভাবেই এই রাসায়নিক পরিবর্তন ঘটছে।

(৩) অনুঘটক কাকে বলে ? উদাহরণ দাও।

উত্তর- যেসব রাসায়নিক পদার্থ রাসায়নিক বিক্রিয়ায় উপস্থিত থেকে বিক্রিয়ার বেগ বাড়িয়ে এবং কমিয়ে বিক্রিয়াটিকে প্রভাবিত করে কিন্তু বিক্রিয়ার শেষে নিজে অপরিবর্তিত থাকে তাদের অনুঘটক বলে।

যেমন- ম্যাঙ্গানিজ ডাই অক্সাইড (MnO2)

(৪) অনুঘটকের দুটি বৈশিষ্ট্য লেখ।

উত্তর- (i) অনুঘটক রাসায়নিক বিক্রিয়া অংশগ্রহণ করে কিন্তু বিক্রিয়ার শেষে নিজে অপরিবর্তিত থাকে।

(ii) কোন বিক্রিয়ায় কোন অনুঘটক উপযোগী হবে তা পরীক্ষা করে বার করতে হয়, বিক্রিয়া সমীকরণ দেখে বলা যায় না।

(iii) এমন কোন অনুঘটক হয় না আজ আর সব বিক্রিয়ার বেগ বাড়াতে পারবে।

(৫) রাসায়নিক কারখানায় কঠিন অনুঘটককে সূক্ষ্ম চূর্ণ অথবা সরু তারজালির আকারে রাখা হয় কেন?

উত্তর- পুরনো ঘটককে গুঁড়ো করলে অনুঘটকের ক্ষেত্রফল বাড়ে, অনুঘটকের কাজও তাড়াতাড়ি ঘটে। তাই রাসায়নিক কারখানায় কঠিন অনুঘটক ব্যবহার করলে তা সূক্ষ্ম গুড়ো বা সরু তারজালির আকারে রাখা হয়।

(৬) মানবদেহে উৎসেচকের গুরুত্ব উল্লেখ করো।

উত্তর- খাবারের বিভিন্ন উপাদান যেমন প্রোটিন, শরকরা, লিপিড প্রভৃতি হজম করতে নানান এনজাইম অপরিহার্য। দেহে খাদ্য থেকে শক্তি তৈরিতে, নতুন নতুন প্রোটিন তৈরি করতে, DNA তৈরিতে, হরমোন, কোশপর্দার নানান প্রয়োজনীয় লিপিড তৈরিতে, কোশের মধ্যে ক্ষতিকারক যৌগকে নষ্ট করতে অনেক রকমের এনজাইম লাগে। এনজাইম ছাড়া কোন কোশেই বাঁচতে পারবে না। তাই এনজাইম মানবদেহে এক অতি প্রয়োজনীয় উপাদান।

(৭) হাইড্রোজেন পারক্সাইডে MnO2 গুঁড়ো মেশালে তাড়াতাড়ি অক্সিজেন বুদবুদ নির্গত হয় কেন?

উত্তর- হাইড্রোজেন পারক্সাইডে MnO2 গুঁড়ো মেশালে, MnO2 অনুঘটক হিসেবে কাজ করে এবং রাসায়নিক বিক্রিয়ার বেগ বাড়িয়ে দেয়। তাছাড়া MnO2 গুঁড়ো আকারে ব্যবহার করলে ক্ষেত্রফল বাড়ে এবং কাজ তাড়াতাড়ি হয়।

(৮) FeO + CO ➝ Fe + CO2 বিক্রিয়াটিতে জারক ও জারিত পদার্থ শনাক্ত করো।

উত্তর- জারক পদার্থ – FeO, জারিত পদার্থ – CO

(৯) গ্যালভানাইজেশন কাকে বলে? লোহায় মরিচা ধরা আটকানোর দুটি উপায় লেখো।

আরও দেখুন:  তড়িতের রাসায়নিক প্রভাব: অষ্টম শ্রেণীর পরিবেশ ও বিজ্ঞান | Poribesh O Bigyan Class 8 Chapter 2.4

উত্তর- লোহার উপরে জিঙ্কের আস্তরণ দিলে জিঙ্ক লোহার মরচে ধরায় বাধা দেয়। লোহার উপর জিঙ্কের প্রলেপ দেওয়ার এই পদ্ধতিকে গ্যালভানাইজেশন বলে।

লোহায় মরিচা ধরা আটকানোর দুটি উপায়- (১) লোহার উপরে তেল রং বা আলকাতরার প্রলেপ দিলে লোহা জল ও বাতাসের সংস্পর্শ আসতে পারে না। ফলে সহজে মরচে ধরে না। (২) লোহার উপর জিঙ্কের আস্তরন দিলে জিঙ্ক লোহার মরচে ধরায় বাধা দেয়।

(১০) তাপমোচী ও তাপগ্রাহী বিক্রিয়া কাকে বলে? CaCO3 = CaO + CO2 – এই বিক্রিয়াটির প্রকৃতি কি?

উত্তর- তাপমোচী বিক্রিয়া- যেসব রাসায়নিক বিক্রিয়ায় তাপ উৎপন্ন হয় তাকে তাপমোচী বিক্রিয়া বলে।

তাপগ্রাহী বিক্রিয়া- যেসব রাসায়নিক বিক্রিয়া ঘটলে পরিবেশ থেকে তাপ শোষিত হয় তাদের তাপগ্রাহী বিক্রিয়া বলে।

CaCO3 = CaO + CO2 বিক্রিয়াটি ঘটতে তাপের প্রয়োজন হয়, তাই এটি তাপগ্রাহী বিক্রিয়া।

(১১) হলুদ রং এর ফেরিক ক্লোরাইড (FeCl3) দ্রবনে বর্ণহীন স্ট্যানাস ক্লোরাইড (SnCl2) যোগ করলে কি হবে?

উত্তর- হলুদ রং এর ফেরিক ক্লোরাইড (FeCl3) দ্রবনে বর্ণহীন স্ট্যানাস ক্লোরাইড (SnCl2) যোগ করলে খুব ফিকে সবুজ রং এর ফেরাস ক্লোরাইড (FeCl2) দ্রবণ উৎপন্ন হয়। একইসঙ্গে স্ট্যানিক ক্লোরাইড (SnCl4) উৎপন্ন হয়।

2FeCl3 + SnCl2 ➝ 2FeCl2 + SnCl4

(১২) তাপমোচী রাসায়নিক বিক্রিয়া কাকে বলে? উদাহরণ দাও। তাপমোচী রাসায়নিক বিক্রিয়ার একটি ব্যবহারিক প্রয়োগ লেখো।

উত্তর- যেসব রাসায়নিক বিক্রিয়া ঘটলে তাপ উৎপন্ন হয় তাদের তাপমোচী রাসায়নিক বিক্রিয়া বলে।

তাপমোচী রাসায়নিক বিক্রিয়ার উদাহরণ-

CH4 +2O2 ➝ CO2 + 2H2O + তাপ

তাপমোচী রাসায়নিক বিক্রিয়ার ব্যবহারিক প্রয়োগ- ওয়েলডিং বা ধাতু ঝালাই করতে একরকমের তাপমোচী রাসায়নিক বিক্রিয়ার প্রয়োগ করা হয়। এখানে অ্যাসিটিলিন গ্যাসকে পুড়িয়ে তাপ পাওয়া যায় এবং এত বেশি উষ্ণতা সৃষ্টি হয় যে লোহা গলে যায়।

nath আমাদের পোষ্টের লেটেস্ট আপডেট পেতে আমাদের পোস্টের লেটেস্ট আপডেট পেতে আমাদের সঙ্গে যুক্ত থাকুন। Facebook Page, Telegram, Whatsapp

WhatsApp Channel Follow
Telegram Channel Join Now
Facebook Page Follow

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top