মাধ্যমিক বিগত বছরের প্রশ্মপত্র | Madhyamik Previous Year Question Paper

WBBSE Madhyamik Exam Routine 2025

২০২৫ সালের মাধ্যমিক পরীক্ষার রুটিন | WBBSE Madhyamik Exam Routine 2025

Class 8 chapter 2 question answer

অষ্টম শ্রেণীর পরিবেশ বিজ্ঞান দ্বিতীয় অধ্যায়: পদার্থের প্রকৃতি | Class 8 Poribesh o Bigyan

Last Updated on February 20, 2024 by Science Master

অষ্টম শ্রেণীর পরিবেশ বিজ্ঞান বিষয়ের দ্বিতীয় অধ্যায়: পদার্থের প্রকৃতি ( Class 8 Poribesh o Bigyan ) থেকে সমস্ত রকম MCQ, VSAQ, SAQ প্রশ্মের উত্তর করা হলো। যেসমস্ত ছাত্র-ছাত্রী অষ্ঠম শ্রেণীতে পাঠরত তাদের পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য খুবই কাজে লাগবে। আমাদের ওয়েবসাইটে এই অধ্যায় ছাড়াও অন্যান্য অধ্যায়ের প্রশ্মউত্তর করে দেওয়া আছে। সেগুলোও অনুসরন করতে পারো। নীচে সমস্ত রকম প্রশ্মের উত্তর দেওয়া আছে।

সঠিক উত্তরটি নির্বাচন করে লেখ: (MCQ Types Question)

1. প্রদত্ত কোন পদার্থটি খোলা হাওয়ায় উর্ধ্বপাতিত হয় -চিনি / মোম / সোডিয়াম ক্লোরাইড / কঠিন কার্বন-ডাই-অক্সাইড।

উত্তর:- কঠিন কার্বন ডাই অক্সাইড।

2. পচা ডিমের গন্ধ যুক্ত গ্যাসটি হলো- CO2 / SO2 / H2S / NO2

উত্তর:- H2S

3. প্রদত্ত কোনটি তাপের সুপরিবাহী কিন্তু তড়িতের কুপরিবাহী – হিরে / গ্রাফাইট / তুলা / কাঠ।

উত্তর:- হিরে।

4. একটি চামচে কিছুটা সাদা গুঁড়োপ অর্থ নিয়ে গরম করা হলে পদার্থটি কালো হয়ে যায়। পদার্থটি কি – নুন / কর্পূর/ চিনি হতে পারে।

উত্তর:- চিনি হতে পারে।

5. উর্ধ্ব পাতিত হয় এমন একটি পদার্থ হল- গন্ধক/ জল /খাদ্য লবণ /কর্পূর।

উত্তর:- কর্পূর।

6. কোনটিকে উত্তপ্ত করলে কালো হয়- কিউপ্রিক নাইট্রেট/ অ্যামোনিয়া/ সালফার /অক্সিজেন।

উত্তর:-

7. নাইট্রোজেন ডাই অক্সাইড গ্যাসের বর্ণ- গাঢ় নীল/ বাদামি /লাল/ সবুজ।

উত্তর:- বাদামি।

8. কঠিন থেকে সরাসরি বাস্পে পরিণত হওয়ার ঘটনাকে বলে- বাষ্পীভবন/ স্ফুটন /ঊর্ধ্বপাতন/ গলন।

উত্তর:- উর্ধ্বপাতন।

9. একটি ধাতুর নাম লেখ যা আমাদের দেশে শীতকালে কঠিন কিন্তু গ্রীষ্মকালে তরল- Fe, Hg, Cs, Ca

উত্তর:- Cs

10. একটি উভধর্মী অক্সাইড এর সংকেত হলো- CO/ mgO / N2O/ ZnO

উত্তর:- ZnO

11. যে-অক্সাইটি উভধর্মী তা হল- CaO / Al2O3 / CO / SO2.

উত্তর:- Al2O3

12. জিংকের গলনাঙ্ক- 420⁰C/  801⁰C / 962⁰C / 659⁰C

উত্তর:- 420⁰C

ঠিক বা ভুল নির্বাচন করো: (Class 8 Poribesh o Bigyan)

1. জিংক ও লোহা উভয়ই লঘু সালফিউরিক এসিড দ্রবণ থেকে হাইড্রোজেন গ্যাস মুক্ত করতে পারে।

উত্তর:- ঠিক।

2. হিরে কাপ ও তড়িৎ এর সুপরিবাহী।

উত্তর:- ভুল।

3. সোনার যে ধর্মের জন্য সোনার খুব সরু তার তৈরি করা যায় সেটি হল তড়িৎ পরিবাহিতা।

উত্তর:- ভুল।

4. হিরে তাপের কুপরিবাহী পদার্থ।

উত্তর:- ভুল।

5. হাইড্রোজেন সালফাইড গ্যাসটি পচা ডিমের গন্ধ যুক্ত।

উত্তর:- ঠিক।

6. অ্যামোনিয়া গ্যাসের গন্ধ পচা ডিমের মতো।

উত্তর:- ভুল।

শূন্যস্থান পূরণ কর: (Class 8 Poribesh o Bigyan)

1. একটি অধাতু যা তাপ ও তড়িৎ এর সুপরিবাহী তা হল_________।

আরও দেখুন:  অষ্টম শ্রেণীর পরিবেশ বিজ্ঞানঃ পদার্থের গঠন প্রশ্ম উত্তর | Poribesh o Bigyan Class 8 Chapter 2.2

উত্তর:- গ্রাফাইট।

2. তাপের সুপরিবাহী ও তড়িতের কুপরিবাহী এমন একটি অধাতু হল________।

উত্তর:- হিরে।

3. লঘু H2SO4 ও লোহার বিক্রিয়ায়_____ গ্যাস মুক্ত হয়।

উত্তর:- হাইড্রোজেন গ্যাস।

4. সাধারণ উষ্ণতায় ব্রোমিন ______ অবস্থায় থাকে।

উত্তর:- তরল।

5. পারদের স্ফুটনাঙ্ক _______ডিগ্রি সেন্টিগ্রেট।

উত্তর:- 357⁰C

আরও দেখুনঃ অষ্টম শ্রেণীর পরিবেশ বিজ্ঞান দ্বিতীয় অধ্যায় প্রশ্ম-উত্তর | Poribesh o Bigyan Class 8 Chapter 2

একটি বা দুটি শব্দে উত্তর দাও (VSAQ Types Question)

1. একটি ধাতুর নাম বা চিহ্ন লেখ যা লঘু H2SO4 দ্রবণ থেকে হাইড্রোজেন গ্যাস মুক্ত করতে পারে না?

উত্তর:- কপার।

2. কার্বন-ডাই-অক্সাইড এবং নাইট্রোজেন ডাই অক্সাইড গ্যাসকে সনাক্ত করা যায়, কোন ভৌত ধর্মের সাহায্যে।

উত্তরঃ- কার্বন ডাই অক্সাইড এবং নাইট্রোজেন ডাই অক্সাইড গ্যাসকে শনাক্ত করা যায় যে ভৌত ধর্মের সাহায্যে তা হল এদের রঙ। কার্বন ডাই অক্সাইড হল বর্ণহীন গ্যাস এবং নাইট্রোজেন ডাই অক্সাইড হল বাদামি বর্ণের।

3. লোহা, সোডিয়াম , তামা -এই তিনটি ধাতুর মধ্যে কোনটি আঘাত করলে শব্দ করে না?

উত্তর:- সোডিয়াম।

4. দুটি গ্যাস জারের একটিতে অ্যামোনিয়া ও অন্যটিতে হাইড্রোজেন সালফাইড আছে । কোন ভৌত ধর্মের সাহায্যে গ্যাস গুলি সনাক্ত করবে।

উত্তর:- অ্যামোনিয়া এবং হাইড্রোজেন সালফাইড গ্যাসকে তাদের গন্ধ দেখে শনাক্ত করা যায় । যেমন অ্যামোনিয়ার গন্ধ ঝাঁঝালো এবং হাইড্রোজেন সালফাইডের গন্ধ পচা ডিমের মতো।

5. একটি অধাতুর নাম লেখ যা তাপ ও তড়িতের সুপরিবাহী।

উত্তর:- গ্রাফাইট।

6. কঠিন পদার্থকে উত্তপ্ত করলে সর্বদাই কি তরল পদার্থে পরিণত হয়? উদাহরণসহ বোঝাও।

উত্তর:- কঠিন পদার্থকে উত্তপ্ত করলে তা সর্বদাই যে তরলে পরিণত হবে এমন কোন কথা নেই যেমন কর্পূরকে উত্তপ্ত করলে সরাসরি কর্পূর কঠিন অবস্থা থেকে বাষ্পীয় অবস্থায় রূপান্তরিত হয়।

7. নাইট্রোজেন ডাই অক্সাইড গ্যাসের বর্ণ কেমন?

উত্তর:- বাদামি।

8. আর্সেনিককে ধাতুকল্প বলা হয় কেন?

উত্তর:- আর্সেনিকের মধ্যে ধাতব এবং অধাতব উভয় ধর্মই উপস্থিত থাকায় আর্সেনিককে ধাতু গল্প বলা হয়।

9. সাধারণ অবস্থায় ব্রমিনের বর্ণ কি?

উত্তরঃ- লালচে বাদামি বর্ণের।

10. চিনির গুড়োকে গরম করলে কি ঘটতে দেখবে

উত্তর:- চিনির গুড়োকে গরম করলে তা আস্তে আস্তে কালো হয়ে যাবে।

11. একটি তরল ধাতুর নাম লেখ। তাপ তড়িতের সুপরিবাহী একটি অধাতুর নাম লেখ।

উত্তর:- একটি তরল ধাতুর নাম হলো পারদ। তাপ ও তড়িৎ এর সুপরিবাহী অধাতু হল গ্রাফাইট।

আরও দেখুন:  অষ্টম শ্রেণীর পরিবেশ বিজ্ঞান দ্বিতীয় অধ্যায় প্রশ্ম-উত্তর | Poribesh o Bigyan Class 8 Chapter 2

12. পচা ডিমের গন্ধ যুক্ত গ্যাসটির নাম কি?

উত্তর :- হাইড্রোজেন সালফাইড।

13. ঝাঁঝালো গন্ধযুক্ত গ্যাসটির নাম কি?

উত্তর:- অ্যামোনিয়া।

সংক্ষিপ্ত উত্তর দাও (SAQ Types Question)

1. ধরো হীরে গ্রাফাইটের চেয়ে সস্তা হয়ে গেছে। তাহলে কি তুমি ব্যাটারির তড়িব্দার তৈরি করতে গ্রাফাইটের বদলে হীরে ব্যবহার করবে? তোমার উত্তরের সাপেক্ষে যুক্তি দাও।

উত্তরঃ- হীরে গ্রাফাইটের চেয়ে সস্তা হয়ে গেলেও ব্যাটারির তড়িব্দার তৈরি করতে কখনোই হীরে ব্যবহার করা যাবে না। কারণ গ্রাফাইট তড়িতের সুপরিবাহী পদার্থ কিন্তু হীরে তড়িতের কুপরিবাহী পদার্থ।

2. লঘু H2SO4 দিয়ে কিভাবে তুমি লোহার গুঁড়ো ও ফেরাস সালফাইড এর পার্থক্য নির্ণয় করবে সমীকরণ লেখ।

উত্তরঃ- লোহার (Fe) গুঁড়োর মধ্যে লঘু H2SO4 যোগ করলে বুদবুদ আকারে বর্ণহীন, গন্ধহীন হাইড্রোজেন গ্যাস নির্গত হয়। যা আগুনের স্পর্শে শব্দসহ নীলাভ শিখায় জ্বলে উঠেই নিভে যায়।

Fe + H2SO4 = FeSO4 + H2

আর ফেরাস সালফাইডের (FeS) সঙ্গে লঘু H2SO4 যোগ করলে বুদবুদ সৃষ্টি করে পচা ডিমের গন্ধযুক্ত হাইড্রোজেন সালফাইড (H2S) গ্যাস উৎপন্ন হয়।

FeS + H2SO4 = FeSO4 + H2S

3. লোহার সঙ্গে লঘু সালফিউরিক অ্যাসিড দ্রবণের বিক্রিয়ায় কি ঘটে সমীকরণসহ লেখ।

উত্তরঃ- লোহার (Fe) গুঁড়োর মধ্যে লঘু H2SO4 যোগ করলে বুদবুদ আকারে বর্ণহীন, গন্ধহীন হাইড্রোজেন গ্যাস নির্গত হয়। যা আগুনের স্পর্শে শব্দসহ নীলাভ শিখায় জ্বলে উঠেই নিভে যায়।

Fe + H2SO4 = FeSO4 + H2

4. কপার সালফেট দ্রবণে লোহার টুকরো যোগ করলে যা ঘটবে রাসায়নিক সমীকরণসহ লেখ।

উত্তরঃ- 5 নম্বর প্রশ্মের উত্তর দেখো।

4. উত্তপ্ত লোহার ওপর স্টিম চালনা করলে কী ঘটবে তা রাসায়নিক সমীকরণসহ লেখ।

উত্তরঃ- উত্তপ্ত লোহার ওপর স্টিম চালনা করলে লোহার সঙ্গে স্টিমের সঙ্গে বিক্রিয়ায় ধাতব অক্সাইড এবং হাইডোজেন উৎপন্ন হয়।

3Fe + 4H2O (স্টিম) = Fe3O4 + 4H2

5. কপার সালফেট দ্রবণে লোহার পেরেক ডোবানো হলে কি ঘটবে সমীকরণসহ লেখ

উত্তরঃ- কপার সালফেট দ্রবনে একটা লোহার পেরেক ডুবিয়ে রাখলে দেখা যাবে যে লোহার পেরেকের গায়ে ধাতব কপারের লালচে বাদামি রঙের একটা আস্তরন পড়ে।

Fe + CuSO4 = FeSO4 + Cu

6. লঘু সালফিউরিক অ্যাসিড দ্রবণে জিংকের গুঁড়ো যোগ করলে কি ঘটবে সমীকরণসহ লেখ।

উত্তরঃ- জিঙ্কের গুঁড়োর সঙ্গে লঘু H2SO4 যোগ করলে বুদবুদ আকারে বর্ণহীন, গন্ধহীন হাইড্রোজেন গ্যাস উৎপন্ন হয়। নির্গত গ্যাসে জ্বলন্ত পাটকাঠি প্রবেশ করালে গ্যাস শব্দসহ নীল শিখায় জ্বলে উঠেই নিভে যায়।

Zn + H2SO4 = ZnSO4 + H2

7. সোডিয়াম ক্লোরাইড সাধারণ অবস্থায় তড়িৎ সুপরিবাহী নয় কিন্তু জলে দ্রবীভূত অবস্থায় তড়িৎ সুপরিবাহী কেন?

আরও দেখুন:  অষ্টম শ্রেণীর পরিবেশ বিজ্ঞান- জীবদেহের গঠন | Class 8 Poribesh o Bigyan Chapter 6

উত্তরঃ- সোডিয়াম ক্লোরাইড সাধারণ অবস্থায় কঠিন পদার্থ। তাই তড়িৎ পরিবহণ করে না। কিন্তু জলে দ্রবিভূত অবস্থায় বিয়োজিত হয়ে আয়ন (Na+ এবং Cl) উৎপন্ন করে। ফলে সোডিয়াম ক্লোরাইড জলে দ্রবিভূত অবস্থায় তড়িৎ পরিবহণ করতে পারে।

8. পদার্থের ধর্ম কাকে বলে । পদার্থের ধর্ম কয় প্রকার ও কি কি?

উত্তর:- প্রত্যেক পদার্থের নিজস্ব কিছু কিছু বিশেষ গুণ বা বৈশিষ্ট্য আছে যার সাহায্যে একটা পদার্থকে অন্য একটা পদার্থ থেকে আলাদা করে চেনা যায় পদার্থের এইসব গুণ বা বৈশিষ্ট্যগুলোকে পদার্থের ধর্ম বলে।

পদার্থের ধর্ম দুই প্রকার ভৌত ধর্ম ও রাসায়নিক ধর্ম।

9. পদার্থের ভৌত ধর্ম কাকে বলে? উদাহরণ দাও

উত্তর:- পদার্থের কিছু বিশেষ বৈশিষ্ট্য বা গুণ যেমন ভৌত অবস্থা বর্ণ গন্ধ স্পর্শ গলনাঙ্ক স্ফুটনাঙ্ক চৌম্বক ধর্ম দ্রাব্যতা প্রভৃতি ধর্ম গুলোর সাহায্যে শুধু পদার্থের বাহ্যিক অবস্থার ও প্রকৃতির পরিচয় পাওয়া যায় কিন্তু অভ্যন্তরীণ অনুর গঠনের পরিচয় পাওয়া যায় না। পদার্থের রাসায়নিক বিক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করবে কি করবে না তা এ ধর্ম দিয়ে বোঝা যায় না। এই ধর্মগুলোকে ভৌত ধর্ম বলে। যেমন-

10. পদার্থের রাসায়নিক ধর্ম কাকে বলে? উদাহরণ দাও।

উত্তর:- যে ধর্ম থেকে কোন পদার্থের অন্য পদার্থের সঙ্গে বিভিন্ন বিক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করার প্রবণতা ও ক্ষমতা বোঝা যায় তাকেই ওই পদার্থের রাসায়নিক ধর্ম বলে। যেমন লঘু সালফিউরিক এসিডের মধ্যে জিংক ধাতুর টুকরো যোগ করলে হাইড্রোজেন গ্যাস উৎপন্ন হয় এটি জিংকের একটি রাসায়নিক ধর্ম।

nath আমাদের পোষ্টের লেটেস্ট আপডেট পেতে আমাদের ফেসবুক পেজ জয়েন করুন এবং টেলিগ্রাম চ্যানেল জয়েন করুন।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top