জুনিয়ার বিজ্ঞানী কন্যা মেধা বৃত্তি ২০২৪ | Junior Bigyani Kanya Medha Britti 2024

NMMS Exam 2024

NMMS exam 2024 | এন এম এম এস পরীক্ষা ২০২৪ এর আবেদন শুরু হল

20211207 230832

দ্বাদশ শ্রেণীর প্রথম অধ্যায় পদার্থের কঠিন অবস্থা | Solid State (Chapter 1) Class 12 Chemistry Question and Answer

Last Updated on February 22, 2024 by Science Master

পদার্থের কঠিন অবস্থা (Solid State)

⏹️ পদার্থের কঠিন অবস্থা অধ্যায়ের কিছু গুরুত্বপূর্ণ সংক্ষিপ্ত উত্তর ধর্মী প্রশ্ম (Some important SAQ on Solid State Chapter)

. কেলাস কী?

উঃ- সুনির্দিষ্ট জ্যামিতিক আকার বিশিষ্ট কঠিন পদার্থ যার গঠনকারী কণাগুলি (অনু,পরমানু , আয়ন) সুষম ভাবে এবং পর্যায়ক্রমে বিন্যাস্ত থাকে, তাকে কেলাস বলে।

. ল্যাটিস বিন্দু কী?

উঃ- কেলাস জালকের মধ্যস্থ যে বিন্দুগুলি কেলাসের গঠনকারী এককের অবস্থান নির্দেশ করে , তাদের ল্যাটিস বলে।

. একক কোশ কাকে বলে? বিভিন্ন প্রকার ত্রিমাত্রিক একক কোশের নাম লেখো।

উঃ- কেলাস জালকের যে ক্ষুদ্রতম অংশটি ত্রিমাত্রিক অঞ্চলে সুষম ভাবে ও পর্যায়ক্রমে বিন্যাস করলে কেলাস জালকটি গঠিত হয়, তাকে একক কোশ বলে।

বিভিন্ন প্রকার ত্রিমাত্রিক একক কোশ ক) সরল একক কোশ, খ) দেহকেন্দ্রিক একক কোশ, গ) পৃষ্ঠকেন্দ্রিক একক কোশ,

. কাচকে অতিশীতলীকৃত সান্দ্র তরল বলা হয় কেন?

উঃ- অনিয়তাকার পদার্থ কাচ তরলের মতো প্রবাহমানতা ধর্ম প্রদর্শন করে বলে কাচকে অতিশীতলীকৃত সান্দ্র তরল বলা হয়।

. বিভিন্ন ধরনের ঘনকাকার একক কোশ গুলিকে কণার সংখ্যা অনুযায়ী সাজাও।

উঃ- সরল একক কোশের কণার সংখ্যা = (1×1/8)=1
দেহকেন্দ্রিক একক কোশের কণার সংখ্যা = (1×1/8 + 1)= 2
পৃষ্ঠকেন্দ্রিক একক কোশের কণার সংখ্যা = (1×1/8 + 6×1/2)=4

. একটি মৌলের পারমানবিক ভর M মৌলটির x গ্রাম পরিমাণে কতগুলি একক কোশ থাকবে, যদি একক কোশটি পৃস্থকেন্দ্রিক ঘনকাকার হয়।

উঃ- পৃষ্ঠকেন্দ্রিক ঘনকাকার কেলাসের একক কোশ = (x. N)/4.M

7. ব্র্যভেস ল্যাটিস কী?

উঃ- ৪ টি বিভিন্ন ধরনের একক কোশ এবং ৭ টি বিভিন্ন শ্রেণীর কেলাসের সমম্বয়ে ১৪ টি বিভিন্ন ল্যাটিস বিন্যাস পাওয়া যায়, এগুলিকে ব্র্যভেস ল্যাটিস বলে।

এতে ৭ টি সরল, ৩ টি দেহকেন্দ্রিক, ২ টি প্রান্তকেন্দ্রিক ও ২ টি পৃষ্ঠকেন্দ্রিক একক কোশ থাকে।

. একক কোশের প্যাকিং দক্ষতা বলতে কি বোঝ।

উঃ- কোনো একক কোশের মোট আয়তনের যত ভগ্নাংশ উক্ত কোশের কণাগুলি দ্বারা অধিকৃত থাকে, তাকে ওই একক কোশের প্যাকিং দক্ষতা বলে।

প্যাকিং \;দক্ষতা = \frac{কণাগুলি \;দ্বারা \;অধিকৃত\; আয়তন}{একক \;কোশের\; মোট\; আয়তন}

. সরল একক কোশের প্যাকিং দক্ষতা এবং একক কোশের ফাঁকা স্থান নির্ণয় করো।

উঃ-

ধরি, \;একটি \;ঘনকাকার \;একক\; কোশের\; কিনারার\; দৈর্ঘ্য = a\\একক \;কোশের\; কৌণিক\; বিন্দুতে \;অবস্থিত \;কণার \;ব্যাসার্ধ = r\\একক\; কোশের \;প্রতিটি \;কণার \;আয়তন = (\frac{4}{3} π r^3)\\আমরা\; জানি,\; সরল \;ঘনকাকার\; একক\; কোশের \;কণার \;সংখ্যা = 1\\সরল\; ঘনকাকার\; একক \;কোশে \;কণা দ্বারা \;অধিকৃত\; আয়তন = 1 x(\frac{4}{3} π r^3) \\একক\; কোশের \;মোট \;আয়তন = a^3
= (2r)^3 [যেখানে\; ব্যাসার্ধ , (r)=a/2 ]\\= 8 r^3\\সরল \;ঘনকাকার \;একক \;কোশের\; প্যাকিং \;দক্ষতা = (\frac{4}{3} π r^3) / (8 r^3)\\= π/6 = 0.524\\সরল\; ঘনকাকার \;একক \;কোশের\; কণাগুলি \;দ্বারা\; অধিকৃত\; আয়তন\; এর \;শতকরা \;পরিমান =\\ 0.524 \times 100 = 52.4 \%\\\therefore\;ফাঁকা \;স্থানের \;পরিমান= (100-52.4)\% =47.6 \%

১০. পৃষ্ঠকেন্দ্রিক একক কোশের প্যাকিং দক্ষতা এবং একক কোশের ফাঁকা স্থান নির্ণয় করো।

উঃ-

ধরি, \;একটি \;পৃষ্ঠকেন্দ্রিক\;ঘনকাকার \;একক\;কোশের \;কিনারার\; দৈর্ঘ্য = a\\

একক \;কোশের \;কৌণিক\; বিন্দুতে\;অবস্থিত\;কণার\;ব্যাসার্ধ = r\\

একক \;কোশের\;প্রতিটি\; কণার\; আয়তন = (\frac{4}{3} π r^3)\\

পৃষ্ঠকেন্দ্রিক\; ঘনকাকার \;একক\; কোশের\;কণার\; সংখ্যা = 4\\

পৃষ্ঠকেন্দ্রিক\; ঘনকাকার \;একক\; কোশে\; কণা\; দ্বারা\; অধিকৃত\;আয়তন = 4x(\frac{4}{3} π r^3)\\

একক \;কোশের\; মোট\;আয়তন = a^3\\

= (2√2r)^3= 16√2 r^3,\\যেখানে\; পৃষ্ঠকেন্দ্রিক\; ঘনকাকার \;একক \;কোশের \;কণার \;ব্যাসার্ধ , (r)= \frac{a}{2√2} \\

পৃষ্ঠকেন্দ্রিক\;ঘনকাকার \;একক\; কোশের\; প্যাকিং\; দক্ষতা = \frac{4x(\frac{4}{3} π r^3)}{ 16√2 r^3}\\= \frac{π}{3√2} ,\\ = 0.74\\

পৃষ্ঠকেন্দ্রিক \;ঘনকাকার \;একক\; কোশের\; কণাগুলি\; দ্বারা \\\;অধিকৃত\;আয়তন\;এর\; শতকরা\; পরিমান \\= 0.74 \times 100 =74 \%,\\\therefore\;ফাঁকা \;স্থানের \;পরিমান= (100-74)\% =26 \%


১১. দেহকেন্দ্রিক একক কোশের প্যাকিং দক্ষতা এবং একক কোশের ফাঁকা স্থান নির্ণয় করো।

উঃ-

ধরি, \;একটি\;দেহকেন্দ্রিক\; ঘনকাকার\;একক \;কোশের\; কিনারার\; দৈর্ঘ্য = a\\
একক \;কোশের\;কৌণিক\; বিন্দুতে\; অবস্থিত\; কণার\; ব্যাসার্ধ = r\\

একক\; কোশের \;প্রতিটি \;কণার \;আয়তন = (\frac{4}{3} π r^3)\\

দেহকেন্দ্রিক \;ঘনকাকার \;একক\; কোশের\; কণার\; সংখ্যা = 2\\

দেহকেন্দ্রিক \;ঘনকাকার\; একক\; কোশে\; কণা\; দ্বারা\; অধিকৃত\; আয়তন = 2x(\frac{4}{3} π r^3)\\
একক \;কোশের\; মোট\; আয়তন = a^3\\
= (\frac{4r}{√3} )^3 = \frac{64. r^3 }{3√3},[ যেখানে , (r)=\frac{√3. a}{4} ]\\
দেহকেন্দ্রিক \;ঘনকাকার\; একক\; কোশের\; প্যাকিং\; দক্ষতা =\frac{ 2x(\frac{4}{3} π r^3)}{ (\frac{64. r^3}{ 3√3}
)}\\= \frac{√3 π }{8} = 0.68\\

\therefore\;দেহকেন্দ্রিক\; ঘনকাকার\; একক\; কোশের \\কণাগুলি\; দ্বারা\; অধিকৃত \;আয়তন \;এর \;শতকরা\; পরিমান = 0.68 \times 100 = 68 \%\\\therefore\;ফাঁকা \;স্থানের পরিমান= (100-68)\% =32\%

১২. সরল, দেহকেন্দ্রিক পৃষ্ঠকেন্দ্রিক ঘনকাকার একক কোশেরগঠনকারী কণার ব্যাসার্ধ যথাক্রমে r1, r2, r3 একক, একক কোশের কিনারার দৈর্ঘ্য a হলে r1, r2, r3 এর অনুপাত নির্ণয় করো।

আরও দেখুন:  উচ্চমাধ্যমিক ২০২৪ এর বাংলা প্রশ্নপত্র pdf| WB HS Exam 2024 Bengali Question Paper

উঃ-

সরল \;(r_1) = \frac{a}{2}\\
দেহকেন্দ্রিক \;(r_2) =\frac{√3a}{4}\\
পৃষ্ঠকেন্দ্রিক \;(r_3) =\frac{a}{2√2}\\

r_1 : r_2: r_3 = \frac{a}{2} : \frac{√3a}{4} : \frac{a}{2√2}

১৩. একটি মৌলের কেলাসের একক কোশে পরমাণুর সংখ্যা Z প্রান্তদৈর্ঘ্য a এবং মৌলটির আণবিক ভর M হলে, কেলাসের ঘনত্ব (þ) নির্ণয় করো।

উঃ- ধরি, ঘনকাকার একক কোশের কিনারার দৈর্ঘ্য= a, কোশে পরমানুর সংখ্যা = Z এবং মৌলিক পদার্থের পারমাণবিক ভর = M। ঘনকাকার একক কোশের আয়তন= a3

\therefore \; প্রতিটি \;পরমানুর \;ভর = \frac{পারমাণবিক\; ভর}{অ্যা ভোগাড্রো \; সংখ্যা}= \frac{M}{N}\\\therefore\; একক \; কোশের \; ভর =কোশে \;পরমানুর\; সংখ্যা  \times \frac{M}{N}=Z\times\frac{M}{N}\\\therefore\; একক \; কোশের\; ঘনত্ব\; (\rho)= \frac{একক\;কোশের\;ভর}{কোশটির \;আয়তন}\\=\frac{Z\times\frac{M}{N}}{a^3}=\frac{Z\times M}{N \times a^3}
কেলাসের\; ঘনত্ব (þ) = \frac{Z.M}{N.a^3}

১৪. বিন্দুঘটিত ত্রূটি কাকে বলে?

উঃ- কেলাস জালকে কেলাসের গঠনকারী কণা যখন তার নিজস্ব জালক বিন্দু থেকে বেরিয়ে যায় বা জালক বিন্দু পরিত্যাগ করে জালকের কোনো অন্তঃস্থানিক স্থানে অবস্থান করে তখন যে ত্রুটির সৃষ্টি হয়, তাকে বিন্দু ঘটিত ত্রুটি বলে।

১৫. স্কটকি ত্রূটি কাকে বলে?

উঃ- আয়নীয় যৌগের কেলাস জালক থেকে সমসংখ্যাক ক্যাটায়ন এবং অ্যানায়ন বেরিয়ে যাওয়ার ফলে যে ত্রুটির সৃষ্টি হয়, তাকে স্কটকি ত্রুটি বলে।
যে সমস্ত আয়নীয় যৌগে ক্যাটায়ন ও অ্যানায়নের আকার প্রায় সমান সেই সমস্ত আয়নীয় যৌগে স্কটকি ত্রুটি দেখা যায়। যেমন NaCl, KCl, CsCl , KBr

১৬. ফ্রেনকেল ত্রূটি কাকে বলে?

উঃ- কোনো আয়নীয় কেলাসে যদি কোনো ক্যাটায়ন তার নিজস্ব স্থান পরিত্যাগ করে একটি অন্তঃস্থানিক স্থানে অবস্থান করে, তবে যে ত্রুটির সৃষ্টি হয়, তাকে ফ্রেনকেল ত্রুটি বলে।
যেসব আয়নীয় যৌগের অ্যানায়নের আকার ক্যাটায়নের চেয়ে বড়ো তাদের কেলাসে এই ত্রুটি লক্ষ্য করা যায়। যেমন AgCl, AgBr, ZnS

1. স্কটকি ত্রূটি ফ্রেনকেল ত্রূটির মধ্যে পার্থক্য লেখো।
উঃ-

স্কটকি ত্রূটি ফ্রেনকেল ত্রূটি
যখন কেলাসের মধ্যে কিছু ল্যাটিস বিন্দু ক্যাটায়ন ও অ্যানায়ন দ্বারা অপূর্ণ থাকে।কেলাসের মধ্যে যখন ক্যাটায়ন ল্যাটিস বিন্দু থেকে অপসারিত হয়ে কেলাসের অন্তঃস্থানিক স্থানে অবস্থান করে।
যেসব কেলাসে ক্যাটায়ন ও অ্যানায়নের আকার সমান তাদের ক্ষেত্রে দেখা যায়।যেসব কেলাসে অ্যানায়নের আকার ক্যাটায়নের আকার অপেক্ষা বড়ো তাদের ক্ষেত্রে দেখা যায়।
স্কটকি ত্রূটি কেলাসের ঘনত্ব হ্রাস করে।ফ্রেনকেল ত্রূটির ফলে কেলাসের ঘনত্বের কোনো পরিবর্তন হয় না।
NaCl, KCl, CsCl , KBr ইত্যাদি কেলাসে স্কটকি ত্রূটি দেখা যায়।AgCl, AgBr, ZnS ইত্যাদি কেলাসে ফ্রেনকেল ত্রূটি দেখা যায়।
Solid State


১৮. ডোপিং কি?

উঃ- যে পদ্ধতিতে বিশুদ্ধ অর্ধপরিবাহির কেলাসে অপদ্রব্য প্রবেশ করিয়ে অপদ্রব্য অর্ধপরিবাহি তৈরী করা হয়, তাকে ডোপিং বলে।

১৯ সোডিয়াম বাষ্পের উপস্থিতিতে NaCl কে উত্তপ্ত করলে NaCl হলুদ বর্ণ ধারন করে কেন?

উঃ- সোডিয়াম বাষ্পের উপস্থিতিতে NaCl কে উত্তপ্ত করার ফলে গঠিত ননস্টয়সিওমেট্রিক NaCl এর Na+ আধিক্যের কারনে F কেন্দ্রের সৃষ্টি হয়। এর ফলে ননস্টয়সিওমেট্রিক NaCl হলুদ বর্ণ ধারন করে।

২০. ZnO কে উত্তপ্ত করলে এর বর্ণ হলুদ হয় কেন?
ZnO কে উত্তপ্ত করলে তড়িৎ পরিবাহিতা বেড়ে যায় কেন?

উঃ- ZnO কে উত্তপ্ত করলে এর থেকে কিছু পরিমান O2 গ্যাস বেরিয়ে যায় এবং ZnO এর বর্ণ হলুদ হয়।
ZnO = Zn2+ +1/2 O2+ 2e
ZnO কেলাস থেকে O2 গ্যাস বেরিয়ে যাওয়ার ফলে উৎপন্ন Zn2+ আয়ন কেলাসের অন্তঃস্থানিক স্থানে অবস্থান করে এবং অক্সাইড আয়ন দ্বারা বর্জিত ইলেকট্রন গুলি অপর অন্তঃস্থানিক স্থানে অবস্থান করে। অ্যানায়নের স্থান অধিগ্রহনকারী ইলেকট্রনগুলি F- কেন্দ্রের সৃষ্টি করে। এগুলি দৃশ্যমান আলো থেকে শক্তি শোষন করে উত্তেজিত শক্তিস্তরে উন্নীত হয় এবং আবার ভূমিস্তরে ফিরে আসার সময় শোষিত শক্তি বর্ণময় আলোকরশ্মি রূপে বিকিরণ করে। এর জন্য ZnO কে উত্তপ্ত করলে হলুদ বর্ণ ধারন করে।

ZnO কে উত্তপ্ত করার ফলে অক্সাইড আয়ন কৃর্তক বর্জিত ইলেকট্রনগুলি অন্তঃস্থানিক স্থানগুলি অধিগ্রহণ করে। এই ইলেকট্রনগুলি তড়িৎ পরিবহণে সক্ষম । তাই ZnO কে উত্তপ্ত করলে তড়িৎ পরিবাহিতা বেড়ে যায়।

২১. সবর্গাঙ্ক সংখ্যা কাকে বলে?

উঃ- কোনো কেলাসের ঘনসন্নিবেশে অবস্থিত কোনো কণা প্রতিবেশি কনাগুলিকে স্পর্শ করে থাকে। একটি কেলাসের মধ্যে কোনো একটি কণা যে কটি প্রতিবেশি কনাকে স্পর্শ করে থাকে, তাকে ওই কণার সবর্গাঙ্ক সংখ্যা বলে।

আরও দেখুন:  WB HS Semester System Syllabus 2024-25 | উচ্চমাধ্যমিক সেমিস্টার সিস্টেম সিলেবাস pdf

২২. fcc কেলাসের সবর্গাঙ্ক সংখ্যা কত?
উঃ- 12

২৩. NaCl কেলাসে 10-3 mol% SrCl2 ডোপিং করার ফলে কেলাসে ক্যাটায়ন শূন্যতার পরিমাণ কত?
উঃ- প্রতিটি Sr2+ আয়ন NaCl এর কেলাসে একটি ক্যাটায়ন শূন্যতার সৃষ্টি করে। সুতরাং কেলাসে ক্যাটায়ণ শূন্যতার গাড়ত্ব SrCl2 এর গাড়ত্বের সমান হবে। অতএব কেলাসে সৃষ্ট ক্যাটায়ন শূন্যতার গাড়ত্ব 10-3mol% ।

২৪. একটি বাইনারি কঠিন পদার্থের (A+B) গঠন জিঙ্ক ব্লেন্ডের অনুরুপ। B আয়ন গুলি ল্যাটিস গঠন করে এবং A আয়ন গুলি চতুস্থলকীয় ফাঁকের 25% পূর্ণ করে। কঠিন পদার্থ টির সংকেত নির্ণয় করো।

উঃ- ধরি, ল্যাটিস গঠনকারী B আয়নের সংখ্যা= 100

সুতরাং চতুস্থলকীয় ফাঁকের সংখ্যা= 200

যেহেতু ফাঁকের 25% A+ আয়নগুলি দ্বারা পূর্ণ হয়,

A+ আয়নের সংখ্যা= 200 X 25/100 =50

A+ : B = 50:100 = 1:2

অতএব, কঠিন পদার্থ টির সংকেত AB2

২৫. MxOy ধাতব অক্সাইডের কেলাসে O2 পরমাণু ঘনকাকার ঘন সন্নিবেশে গঠিত হয়। উক্ত সন্নিবেশে অষ্ঠতলকিয় ফাঁক গুলির 2/3 অংশ M পরমাণু দ্বারা অধিকৃত হয়। তবে x y এর মান নির্ণয় করো।


উঃ- ধরি, O2- আয়নের সংখ্যা = x

সুতরাং অষ্ঠতলকীয় ফাঁকের সংখ্যা = x

অতএব, ধাতব আয়ন গুলি অষ্ঠতলকীয় ফাঁকের পুর্ণ করে = 2/3 x
M : O2- = 2/3 x : x
= 2x: 3 x
=2:3
অতএব, ধাতব অক্সাউডের সংকেত M2O3। x=2 , y = 3

২৬. F কেন্দ্র কী? একে বর্ণ বিন্দু বলা হয় কেন?

উঃ- ধাতব আধিক্যজনিত ত্রুটি বিশিষ্ট আয়নীয় কেলাসে অযুগ্ম ইলেকট্রন দ্বারা অধিকৃত অ্যানায়ন শূন্যতাকে F কেন্দ্র বলে।

F কেন্দ্র গুলিকে বর্ণ বিন্দু বলা হয় কারণ এগুলির উপস্থিতিতে বর্ণহীন কেলাস বর্ণ ধারন করে। কেলাসের উপর পতিত দৃশ্যমান আলোক থেকে F কেন্দ্রের ইলেকট্রন শক্তি শোষণ করে, ফলে উক্ত ইলেকট্রন ভূমিস্তর থেকে উদ্দিপ্ত শক্তিস্তরে উন্নিত হয়। ইলেকট্রনের এইরূপ স্থানান্তরণে বর্ণময় আলোকরশ্মির বিকিরন ঘটে। ফলে বর্ণহীন কেলাস বর্ণপ্রাপ্ত হয়।

২৭. অপদ্রব্য অর্ধ পরিবাহী কাকে বলে?

উঃ- বিশুদ্ধ অর্ধ পরিবাহীতে স্বল্প পরিমান উপযুক্ত অপদ্রব্য মিশ্রিত করার ফলে যে নতুন অপদ্রব্য অর্ধ পরিবাহীর সৃষ্টি হয়, তাকে অপদ্রব্য অর্ধ পরিবাহী বলে।

২৮. n- টাইপ অর্ধ পরিবাহী কাকে বলে?

উঃ- বিশুদ্ধ অর্ধ পরিবাহী (Si, Ge) কেলাসের মধ্যে স্বল্প পরিমান পঞ্চযোজী মৌল (P,As) মিশ্রিত করার ফলে যে অপদ্রব্য অর্ধ পরিবাহী পাওয়া যায়, তাকে n- টাইপ অর্ধ পরিবাহী বলে।
২৯. P – টাইপ অর্ধ পরিবাহী কাকে বলে?

উঃ- বিশুদ্ধ অর্ধ পরিবাহী (Si, Ge) কেলাসের মধ্যে স্বল্প পরিমান ত্রিযোজী মৌল (B, Al) মিশ্রিত করার ফলে যে অপদ্রব্য অর্ধ পরিবাহী পাওয়া যায়, তাকে p- টাইপ অর্ধ পরিবাহী বলে।

৩০. p টাইপ অর্ধ পরিবাহীতে বিশুদ্ধ Si এর সঙ্গে কি মেশানো হয়?

উঃ- ত্রিযোজী মৌল (B, Al)

৩১. কোন কেলাস শ্রেনীতে দেহকেন্দ্রিক ল্যাটিস সম্ভব নয়?

উঃ- মনোক্লিনিক ।

৩২. কোন ধরনের পদার্থ অ্যান্টি ফেরোম্যাগ্নেটিক ধর্ম দেখায়?

উঃ- বিভিন্ন সন্ধিগত মৌলের অক্সাইড।

৩৩. যে সিস্টেমে a b ≠ c এবং β ≠ γ সেটি কোন কেলাস?

উঃ- ট্রাইক্লিনিক ।

৩৪. কোন ক্ষেত্রে ক্যাটায়ন গুলি অন্তঃস্থানিক স্থানে অবস্থান করে?

উঃ- ফ্রেনকেল ত্রুটি।

৩৫. fcc এবং bcc কেলাসে ফাঁকা স্থানের পরিমাণ কত?

উঃ- fcc- 26 % , bcc- 32%

৩৬. fcc এবং bcc একক কোশে কণার সংখ্যা কত?

উঃ- fcc- 4 , bcc- 2

৩৭. বিশুদ্ধ Si এর সঙ্গে সামান্য পরিমাণ As মেশালে কী ধরনের অর্ধ পরিবাহী তৈরী হয়?

উঃ- n – type

৩৮. কোন ধরনের ত্রূটির ফলে কেলাসের ঘনত্বের কোনো পরিবর্তন ঘটে না?

উঃ- ফ্রেনকেল ত্রুটি।

৩৯. স্কটকি ত্রূটি ফ্রেনকেল ত্রূটি উভয় দেখা যায় এমন একটি যোগের নাম লেখো।

উঃ- AgBr

৪০. সরল, দেহকেন্দ্রিক, পৃষ্ঠকেন্দ্রিক ঘনকাকার একক কোশ গুলিকে প্যাকিং দক্ষতা অনুযায়ী সাজাও।

উঃ- সরল=52.4 %, দেহকেন্দ্রিক=68%, পৃষ্ঠকেন্দ্রিক= 74%

৪১. ফেরোম্যাগ্নেটিক প্যারাম্যাগ্নেটিকের মধ্যে কোনটিকে স্থায়ী চুম্বকে পরিণত করা যায়।

উঃ- ফেরোম্যাগ্নেটিক

৪২. স্কটকি ত্রূটি ফ্রেনকেল ত্রূটির মধ্যে কোনটিতে কেলাসের ঘনত্ব হ্রাস পায়?

উঃ- স্কটকি ত্রূটি।

৪৩. Fe0.88O কেলাসে Fe2+ ও Fe3+ আয়নের শতকরা পরিমান নির্ণয় করো।

উঃ- ধরা যাক, Fe0.88O এর প্রতি অণুতে Fe2+ এর সংখ্যা = x ।

সুতরাং, Fe3+ আয়নের সংখ্যা = (0.88 – x) ।

Fe0.88O এর প্রতি অণুতে O পরমানুর সংখ্যা = 1

আরও দেখুন:  {PDF} উচ্চমাধ্যমিক ২০২৪ ইংরেজী প্রশ্মপত্র | WBHS 2024 English Question Paper pdf

Fe0.88O এর প্রতি অণুতে ক্যাটায়নের মোট আধান= 2.x + 3(0.88-x) এবং অ্যানায়নের মোট আধান= -2

যেহেতু Fe0.88O কেলাস তড়িৎ প্রশম, তাই কেলাসে ক্যাটায়নের এবং অ্যানায়নের মোট আধান সমষ্টি শূন্য হয়।

সুতরাং, 2x + 3(0.88-x) – 2 = 0

বা, 2x – 3x + 2.64 – 2 = 0

বা, -x = -0.64 , বা, x= 0.64

সুতরাং, Fe0.88O কেলাসে Fe2+ আয়নের শতকরা পরিমান

= (0.64/0.88) X 100

=72.72%

Fe3+ আয়নের শতকরা পরিমান

= (0.88-0.64)/0.88 X 100

= 27.28%

৪৪. বার্থোলাইড যৌগ কাকে বলে? উদাহরণ দাও।

উঃ- নন-স্টয়সিওমাট্রিক ত্রুটি সম্পন্ন আয়নীয় যৌগ গুলিকে বিজ্ঞানী ” বার্থোলেট ” এর নাম অনুসারে বার্থোলাইড যৌগ বলে। উদাহরণ- Fe0.88O , Fe0.88S

৪৫. কোন ধরনের আয়নীয় যৌগে ফ্রেনকেল ত্রুটি দেখা যায়?

উঃ- যেসব আয়নীয় যৌগে অ্যানায়নের আকার ক্যাটায়ন অপেক্ষা অনেক বড়ো তাদের ক্ষেত্রে ফ্রেনকেল ত্রুটি লক্ষ করা যায়।

৪৬. দেখাও যে, ত্রিমাত্রিক হেক্সাগোনাল বা ঘনকাকার ঘন সন্নিবেশে অষ্টতলকীয় ফাঁকের ব্যাসার্ধ উক্ত সন্নিবেশে গঠনকারী কণার ব্যাসার্ধের 0.414 গুণ।

উঃ- ত্রিমাত্রিক ঘন সন্নিবেশে যে ফাঁক অষ্টতলকীয়ভাবে বিন্যস্ত 6 টি নিকটতম প্রতিবেশী কণা দ্বারা পরিবৃত থাকে, তাকে অষ্টতলকীয় ফাঁক বলে। 6 টি কণার মধ্যে 4 টি কণা একই তলে থাকে এবং অপর দুটি কনার মধ্যে একটি তলের ওপরে এবং একটি তলের নীচে অবস্থান করে।

Solid State chemistry

ধরা যাক, ঘন সন্নিবেশ গঠনকারী কণার ব্যাসার্ধ R এবং অষ্টতলকীয় ফাঁকের ব্যাসার্ধ r। উক্ত অষ্টতলকীয় ফাঁকে r ব্যাসার্ধের একটি কণাকে স্থাপন করা হলো। চিত্র থেকে দেখা যায়-

BC^2 = AB^2+AC^2=(R+r)^2+(R+r)^2 \;এবং \; BC=2R\\\therefore\; (2R)^2=2(R+r)^2\\বা, 2R=\sqrt2 (R+r)\;বা,  \sqrt2R-R=r\;বা, \;\frac{r}{R}=0.0414

সুতরাং, অষ্টতলকীয় ফাঁকের ব্যাসার্ধ (r) = 0.414 X ঘনসন্নিবেশ গঠনকারী কণার ব্যাসার্ধ (R)।

৪৭. সমযোজী নেটওয়ার্কযুক্ত কেলাসের উদাহরণ দাও। হীরকের একক কোশে প্রতি কোশে কতগুলি কার্বন পরমানু উপস্থিত থাকে?

উঃ- সমযোজী নেটওয়ার্কযুক্ত কেলাসের উদাহরণ হল- হীরক, গ্রাফাইট, সিলিকা ইত্যাদি। হীরকের একক কোশে প্রতি কোশে আট টি কার্বন পরমানু উপস্থিত থাকে।

৪৮. সিলিকনের মধ্যে As ডোপ করালে কি ধরনের অর্ধপরিবাহিতা দেখা যাবে তা বুঝিয়ে লেখো।

উঃ- Si এর যোজ্যতা 4 । কেলাসে প্রতিটি Si অপর চারটি Si পরমানুর সঙ্গে সমযোজী বন্ধনে আবদ্ধ থাকে। Si এর কেলাসে পঞ্চযোজী মৌল As ডোপ করলে, পাঁচটি যোজক ইলেকট্রনের মধ্যে চারটি প্রতিবেশি চারটি Si এর সঙ্গে সমযোজী বন্ধন গঠন করে। কিন্তু পঞ্চম ইলেকট্রনটির বন্ধন গঠনের সুযোগ থাকে না। ফলে প্রতিটি As পরমানুর সাপেক্ষে একটি করে অতিরিক্ত ইলেকট্রন থাকে। অতিরিক্ত ইলেকট্রনের উপস্থিতির জন্য As মিশ্রিত কেলাসের পরিবাহিতা বিশুদ্ধ Si কেলাস অপেক্ষা বেশি হয়। যেহেতু এই অর্ধপরিবাহির তড়িৎ পরিবাহিতার বৃদ্ধি নেগেটিভ আধান বাহক ইলেকট্রনের জন্য ঘটে থাকে, তাই এই ধরনের অর্ধপরিবাহিতাকে n- টাইপ অর্ধপরিবাহিতা বলে।

[ আরও দেখুনঃ রসায়ন বিষয়ের দ্রবন অধ্যায়ের প্রশ্ম ও উত্তর ]

৪৯. উদাহরণসহ সংজ্ঞা দাওঃ প্যারাম্যাগনেটিক পদার্থ, ডায়ারাম্যাগনেটিক পদার্থ, ফেরোরাম্যাগনেটিক পদার্থ, অ্যান্টিফেরোম্যাগনেটিক পদার্থ, ফেরিম্যাগনেটিক পদার্থ।

উঃ- প্যারাম্যাগনেটিক পদার্থঃ যেসব পদার্থ চুম্বক দ্বারা আকর্ষিত হয় এবং অসম চৌম্বক ক্ষেত্রের উপস্থিতিতে কম প্রাবল্যের অঞ্চল থেকে বেশি প্রাবল্যের অঞ্চলে অগ্রসর হয়, তাদের প্যারাম্যাগনেটিক পদার্থ বলে। এই সব পদার্থে এক বা একের বেশি সংখ্যাক অযুগ্ম ইলেকট্রন থেকে। যেমন- O2, Na, Al, CuO ইত্যাদি।

ডায়ারাম্যাগনেটিক পদার্থঃ যেসব পদার্থ চুম্বক দ্বারা বিকর্ষিত হয় এবং চৌম্বক ক্ষেত্রের উপস্থিতিতে বেশি প্রাবল্যের অঞ্চল থেকে কম প্রাবল্যের অঞ্চলের সরে যায়, তাদের ডায়াম্যাগনেটিক পদার্থ বলে। এই সব পদার্থের অযুগ্ম ইলেকট্রন থেকে না। যেমন- Cu, Zn, NaCl, KCl, বেঞ্জিন ইত্যাদি।

ফেরোম্যাগনেটিক পদার্থঃ যেসব পদার্থ চুম্বক দ্বারা তীব্রভাবে আকৃষ্ট হয় এবং চৌম্বক ক্ষেত্র প্রত্যাহার করে নিলেও পদার্থগুলির চুম্বকত্ব বজায় থাকে, তাদের ফেরোম্যাগনেটিক পদার্থ বলে। যেমন- Fe, Co, Ni ইত্যাদি।

অ্যান্টিফেরোম্যাগনেটিক পদার্থঃ যেসব পদার্থে অযুগ্ম ইলেকট্রনের উপস্থিতি সত্বেও পদার্থের নীট চৌম্বক-ভ্রামকের মান শুন্য হয়, তাদের অ্যান্টিফেরোম্যাগনেটিক পদার্থ বলে। যেমন- FeO, Fe2O3, MnO, V2O3, Cr2O3 ইত্যাদি।

ফেরিম্যাগনেটিক পদার্থঃ যেসব পদার্থে প্রচুর সংখ্যক ইলেকট্রনের উপস্থিতির সত্বেও পদার্থের নীট চৌম্বক-ভ্রামকের মান অপেক্ষাকৃত কম হয়, তাদের ফেরিম্যাগনেটিক পদার্থ বলে। যেমন- Fe3O4

আরও দেখুনঃ

WhatsApp Channel Follow
Telegram Channel Join Now
Facebook Page Follow

4 thoughts on “দ্বাদশ শ্রেণীর প্রথম অধ্যায় পদার্থের কঠিন অবস্থা | Solid State (Chapter 1) Class 12 Chemistry Question and Answer”

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top