মাধ্যমিক বিগত বছরের প্রশ্মপত্র | Madhyamik Previous Year Question Paper

WBBSE Madhyamik Exam Routine 2025

২০২৫ সালের মাধ্যমিক পরীক্ষার রুটিন | WBBSE Madhyamik Exam Routine 2025

20211207 230101

দ্বাদশ শ্রেণীর রসায়ন বিষয়ের দ্বিতীয় অধ্যায়- দ্রবন | Solution (Chapter 2) Class 12 Chemistry Question and Answer

Last Updated on March 4, 2022 by Science Master

দ্রবন (Solution)

দ্বাদশ শ্রেণীর রসায়ন বিষয়ের ‘ দ্রবন (Solution) ‘ অধ্যায়ের কিছু গুরুত্বপূর্ণ VSAQ এবং SAQ প্রশ্ম ও তার উত্তর দেওয়া হল। এখানে প্রতি বছরের উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার প্রশ্মের Update দেওয়া আছে।

1. হেনরির সূত্রটি লেখো। এই সূত্রটি কোন ধরনের গ্যাসের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়।

উঃ◼️ স্থির উষ্ণতায় কোনো তরল দ্রাবকে কোনো গ্যাসের দ্রাব্যতা দ্রবনের সঙ্গে সাম্যবস্থায় থাকা ওই গ্যাসের চাপের সঙ্গে সমানুপাতিক।

স্থির উষ্ণতায় দ্রবীভূত গ্যাসের মোল ভগ্নাংশ = x

দ্রবনের সঙ্গে সাম্যবস্থায় থাকা ওই গ্যাসের চাপ = p হলে,

x ∝ p বা x = kH. p যেখানে kH = হেনরির ধ্রূবক।

◼️ (i) গ্যাসের চাপ খুব বেশি হলে বা উষ্ণতার মান কম থাকলে প্রযোজ্য নয়।

(ii) তরল দ্রবকে কোনো গ্যাস সংযোজিত বা বিয়োজিত হলে প্রযোজ্য নয়।

(iii) তরল দ্রবকে কোনো গ্যাস অধিক মাত্রায় দ্রবীভূত হলে প্রযোজ্য নয়।

(iv) তরল দ্রাবকের সঙ্গে কোনো গ্যাস বিক্রিয়া করলে প্রযোজ্য নয়।

2. তরলের বাস্পচাপ কাকে বলে ?

উঃস্থির উষ্ণতায় কোনো তরল তার বাষ্পের সঙ্গে সাম্যবস্থায় থাকলে বাষ্প দ্বারা প্রদত্ত চাপকে ওই উষ্ণতায় উক্ত তরলের বাষ্পচাপ বলে।

3. অনুদবায়ী দ্রাবের উপস্থিতিতে কোনো তরলের বাষ্পচাপের পরিবর্তনের প্রকৃতি ব্যাখ্যা করো ? [HS-15]

উঃদ্রাব পদার্থটি অনুদবায়ী হলে দ্রবনের বাষ্পচাপে দ্রাবের কোনো ভূমিকা থাকে না। সুতরাং এধরনের দ্রবনের বাষ্পচাপ প্রকৃতপক্ষে দ্রবনে উপস্থিত দ্রাবকের বাষ্পচাপ। দ্রবনে অনুদবায়ী দ্রাব মিশ্রিত থাকলে দেখা যায় বিশুদ্ধ দ্রাবকের পৃষ্ঠতল অপেক্ষা দ্রবনের পৃষ্ঠতলের প্রতি একক ক্ষেত্রফলে তুলনামূলক ভাবে কম সংখ্যাক দ্রাবকের অনু উপস্থিত আছে। ফলে দ্রবনের পৃষ্ঠতলের উপরে থাকা বাষ্পের পরিমান কম হওয়ায় দ্রবনের বাষ্পচাপ সম- উষ্ণতায় বিশুদ্ধ দ্রাবক অপেক্ষা কম হয়।

4. আদর্শ দ্রবন (Ideal Solution) এর দটি বৈশিষ্ট্য উল্লেখ করো।

উঃ১. উপাদানগুলির যে কোনো সংযুক্তিতে এই ধরনের দ্রবন রাউল্টের সূত্র মেনে চলে।

২. দ্রবণটি প্রস্তুত করার জন্য তরল দুটি মিশ্রণের সময় আয়তনের পরবর্তন হয় না ।

5. আদর্শ দ্রবন (Ideal Solution) কাকে বলে ?

উঃযেসব দ্রবন যেকোনো উষ্ণতা ও গাড়ত্বে রাউল্টের সূত্র মেনে চলে, তাদের আদর্শ দ্রবন বলে। যেমন বেঞ্জিন ও টলুইনের দ্রবন একটি আদর্শ দ্রবন।

6. অনাদর্শ দ্রবন কাকে বলে ?

উঃযেসব দ্রবন রাউল্টের সূত্র মেনে চলে না, তাদের অনাদর্শ দ্রবন বলে।

7. বাস্পচাপের আপেক্ষিক অবনমন কাকে বলে ?

উঃকোনো দ্রাবকে কোনো অনুদবায়ী দ্রাব দ্রবীভূত করলে বাষ্পচাপের যে অবনমন হয়, তা এবং বিশুদ্ধ দ্রাবকের বাষ্পচাপ এই দুই এর অনুপাতকে বাষ্পচাপের আপেক্ষিক অবনমন বলে।

বিশুদ্ধ দ্রাবকের বাষ্পচাপ = p0

দ্রবনের বাষ্পচাপ = p

বাষ্পচাপের অবনমন = (p0– p)

বাষ্পচাপের আপেক্ষিক অবনমন = (p0 – p) / p0

8. বাস্পচাপের আপেক্ষিক অবনমন সংক্রান্ত রাউল্ট এর সূত্রটি লেখো।

উঃ কোনো দ্রাবকে কোনো অনুদবায়ী, তড়িৎ অবিশ্লেষ্য, কঠিন দ্রাব যোগ করলে বাষ্পচাপের যে আপেক্ষিক অবনমন হয়, তা দ্রাব পদার্থটির মোল ভগ্নাংশের সমান।

বাষ্পচাপের আপেক্ষিক অবনমন = (p0 – p) / p0 = x2 ,যেখানে x2 দ্রাব পদার্থটির মোল ভগ্নাংশ।

9. দুটি দ্রবনের মিশ্রণ কখন আদর্শ দ্রবনের মতো ব্যবহার করে ?

উঃযখন ∆H(মিশ্রণ) = 0 এবং ∆V (মিশ্রণ) = 0 তখন ওই মিশ্রণকে আদর্শ দ্রবন বলা যাবে।

10. অ্যাজিওট্রোপিক মিশ্রণ কাকে বলে ? এটিকে আদর্শ দ্রবন রূপে গণ্য করা যায় কী ? [HS-19]

উঃ◼️ যে সকল তরল-মিশ্রণ স্থির উষ্ণতায় ও চাপে অপরিবর্তিত সংযুক্তিতে পাতিত হয় অর্থাৎ উৎপন্ন বাষ্পে ওই সংযুক্তি একই থাকে, সেই তরল মিশ্রণকে অ্যাজিওট্রোপিক মিশ্রণ বলে।

সর্বনিম্ন স্ফুটনাঙ্ক বিশিষ্ট অ্যাজিওট্রোপিক মিশ্রণ – H2O (4.4%) + C2H5OH (95.6%)

সর্বোচ্চ স্ফুটনাঙ্ক বিশিষ্ট অ্যাজিওট্রোপিক মিশ্রণ – H2O (20.3%) + HCl (79.7%)

◼️ অ্যাজিওট্রোপিক মিশ্রণ কে আদর্শ দ্রবন রূপে গণ্য করা যায় না।

11. সংখ্যাগত ধর্ম বা সমাবর্তী বা কলিগেটিভ ধর্ম কাকে বলে ?

উঃ দ্রবনের যেসব ধর্ম দ্রবনে দ্রবীভূত দ্রাবের প্রকৃতির উপর নির্ভর করে না, কিন্তু দ্রবনে উপস্থিত দ্রাবের কণার সংখ্যার উপর নির্ভর করে, তাদের সমাবর্তী ধর্ম বলে।

লঘু দ্রবনের অভিস্রবণ চাপ একটি সমাবর্তী ধর্ম ।

12. সাধারণ অবস্থায় ইউরিয়াকে জলে দ্রবীভূত করলে বাষ্পচাপের অবনমন ঘটে কেন? [HS-18]

উঃ সাধারণ অবস্থায় ইউরিয়াকে জলে দ্রবীভূত করলে বাষ্পচাপের অবনমন ঘটে। কারন, বাষ্পায়ন একটি পৃষ্ঠতলীয় ঘটনা অর্থাৎ বাষ্পায়ন কোনো তরলের পৃষ্ঠতল থেকে ঘটে। এখন ইউরিয়া অনুদবায়ী হওয়ায় বিশুদ্ধ দ্রাবকের তুলনায় দ্রবনের পৃষ্ঠতলের প্রতি একক ক্ষেত্রফলে দ্রবকের কণার সংখ্যা কম হ্য। ফলে, ইউরিয়ার জলীয় দ্রবনের পৃষ্ঠতল থেকে কম সংখ্যক দ্রাবক বাষ্পায়িত হয়। যার ফলে উক্ত দ্রবনের বাষ্পচাপ বিশুদ্ধ দ্রাবকের তুলনায় কম হয়, অর্থাৎ বাষ্পচাপের অবনমন ঘটে।

আরও দেখুন:  {PDF} উচ্চমাধ্যমিক ২০২৪ পরীক্ষার প্রশ্মপত্র | WB HS Exam 2024 Question Paper pdf

13. বাস্পচাপের আপেক্ষিক অবনমন উষ্ণতার ওপর নির্ভর করে না কেন ?

উঃদ্রবনের বাষ্পচাপের আপেক্ষিক অবনমনের মান দ্রবনে উপস্থিত দ্রাবের মোল ভগ্নাংশের সমান হয়। যেহেতু মোল ভগ্নাংশ উষ্ণতার উপর নির্ভরশীল নয়, সেই কারনে বাস্পচাপের আপেক্ষিক অবনমন উষ্ণতার ওপর নির্ভর করে না ।

14. . বাস্পচাপের আপেক্ষিক অবনমন একটি সংখ্যাগত ধর্ম কেন ?

উঃ দুটি পৃথক পাত্রে সমপরিমাণ জল নিয়ে সম মোল পরিমানে ইউরিয়া ও গ্লূকোজ পাত্র দুটিতে পৃথকভাবে দ্রবীভূত করলে যে দ্রবন তৈরী হয়, দেখা যায় উভয় পাত্রের দ্রবনের ক্ষেত্রে বাষ্পচাপের আপেক্ষিক অবনমনের মান সমান।

কিন্তু পাত্র দুটিতে 0.1 গ্রাম ইউরিয়া ও 0.1 গ্রাম গ্লূকোজ যোগ করলে দেখা যায় দ্রবন দুটির বাষ্পচাপের আপেক্ষিক অবনমনের মান সমান হয় না।

অর্থাৎ বাষ্পচাপের আপেক্ষিক অবনমন একটি সংখ্যাগত ধর্ম।

15. কোনো দ্রাবের এক মোলার এক মোলাল জলীয় দ্রবনের মধ্যে কোনটি বেশি গাড়?

উঃকোনো দ্রাবের এক মোলার জলীয় দ্রবন বেশি গাড়।

16. দ্রবণের স্ফটনাঙ্কের উন্নয়ন সংক্রান্ত রাউল্ট এর সূত্রগুলি লেখো।

উঃপ্রথম সূত্রকোনো দ্রাবকে একটি কঠিন, অনুদবায়ী ও তড়িৎ – অবিশ্লেষ্য দ্রাব দ্রবীভূত করলে উৎপন্ন দ্রবনের স্ফুটনাঙ্কের যে উন্নয়ন হয়, তা উক্ত দ্রবনের মোলাল গাড়ত্বের সমানুপাতিক।

দ্রবনের স্ফুটনাঙ্কের উন্নয়ন (T’b – Tb) = △Tb

দ্রবনের মোলাল গাড়ত্ব= m হলে,

△Tb ∝ m ,

△Tb = kb . m

দ্বিতীয় সূত্রকোনো নির্দিষ্ট পরিমান দ্রাবকে বিভিন্ন অনুদবায়ী ও তড়িৎ – অবিশ্লেষ্য কঠিন দ্রাবের সমসংখ্যাক গ্রাম-অনু পৃথক পৃথক ভাবে দ্রবীভূত করলে প্রতিক্ষেত্রে একই পরিমান স্ফুটনাঙ্কের উন্নয়ন ঘটে।

17. জলে সামান্য পরিমান নুন দ্রবীভূত করলে স্ফুটনাঙ্ক বেড়ে যায় কেন? [HS-16]

উঃ জলে অনুদবায়ী NaCl যোগ করলে প্রাপ্ত দ্রবনের স্ফুটনাঙ্ক বিশুদ্ধ জল অপেক্ষা বৃদ্ধি পায় কারন বিশুদ্ধ দ্রাবকে অনুদবায়ী দ্রাব যোগ করলে দ্রবনের বাষ্পচাপ সম উষ্ণতায় বিশুদ্ধ দ্রাবকের বাষ্পচাপ অপেক্ষা কম হয়। যেহেতু উষ্ণতা বৃদ্ধিতে তরলের বাষ্পচাপ বৃদ্ধি পায় তাই দ্রবনের বাষ্পচাপকে বাহ্যিক চাপের সমান করার জন্য দ্রবণটিকে স্ফুটনাঙ্কের উপরে উত্তপ্ত করতে হবে।

17. স্ফটনাঙ্কের উন্নয়ন সংক্রান্ত রাউল্ট এর সূত্রের প্রযোজ্যতা লেখো।

উঃসূত্রটি ,কঠিন, অনুদবায়ী ও তড়িৎ – অবিশ্লেষ্য দ্রাবের লঘু দ্রবনের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য।

18. জলের স্ফুটনাঙ্কের মোলাল উন্নয়ন এর মান 0.515 K.Kg/Mol এর অর্থ কী?

উঃ1000 গ্রাম বিশুদ্ধ জলে কোনো অনুদবায়ী, তড়িৎ- অবিশ্লেষ্য কঠিন দ্রাবের এক গ্রাম অনু পরিমান দ্রবীভূত করলে, উৎপন্ন দ্রবনের স্ফুটনাঙ্কের বৃদ্ধি হয় 0.515 K ।

19. স্ফুটনাঙ্কের মোলাল উন্নয়ন ধ্রূবক( kb )এর সংজ্ঞা দাও। এর একক কী ?

উঃ 1000 গ্রাম কোনো দ্রাবকে এক গ্রাম অনু পরিমান কোনো অনুদবায়ী, তড়িৎ- অবিশ্লেষ্য কঠিন দ্রাব দ্রবীভূত করলে দ্রবনের যে পরিমান স্ফুটনাঙ্কের বৃদ্ধি ঘটে, তাকে উক্ত দ্রাবকের স্ফুটনাঙ্কের মোলাল উন্নয়ন ধ্রূবক( kb ) বলে।

kb এর একক কেল্ভিন.কেজি / মোল।

20. পাহাড়ি রাস্তায় বরফ পড়ে থাকলে NaCl বা CaCl2 ছড়িয়ে দেওয়া হয় কেন?

উঃ NaCl বা CaCl2 এর উপস্থিতিতে জলের হিমাঙ্কের মান এতটাই কমে যায় যে জল বরফে পরিণত হতে পারে না। এর ফলে পাহাড়ি রাস্তা বরফ মুক্ত করতে NaCl বা CaCl2 ব্যবহার হয়।

21. হিমাঙ্কের অবনমন সংক্রান্ত রাউল্ট এর সূত্রগুলি লেখো।

উঃপ্রথম সূত্রকোনো দ্রাবকে একটি কঠিন, অনুদবায়ী ও তড়িৎ – অবিশ্লেষ্য দ্রাব দ্রবীভূত করলে উৎপন্ন দ্রবনের হিমাঙ্কের যে অবনমন হয়, তা উক্ত দ্রবনের মোলাল গাড়ত্বের সমানুপাতিক।

দ্রবনের স্ফুটনাঙ্কের উন্নয়ন (Tf – T’f) = △Tf

দ্রবনের মোলাল গাড়ত্ব= m হলে,

△Tf ∝ m ,

△Tf = kf . m

দ্বিতীয় সূত্রকোনো নির্দিষ্ট পরিমান দ্রাবকে বিভিন্ন অনুদবায়ী ও তড়িৎ – অবিশ্লেষ্য কঠিন দ্রাবের সমসংখ্যাক গ্রাম-অনু পৃথক পৃথক ভাবে দ্রবীভূত করলে প্রতিক্ষেত্রে একই পরিমান হিমাঙ্কের অবনমন ঘটে।

22. মোলাল হিমাঙ্ক অবনমন ধ্রূবক ( kf ) কাকে বলে ?

উঃ1000 গ্রাম কোনো দ্রাবকে এক গ্রাম অনু পরিমান কোনো অনুদবায়ী, তড়িৎ- অবিশ্লেষ্য কঠিন দ্রাব দ্রবীভূত করলে দ্রবনের যে পরিমান হিমাঙ্কের অবনমন ঘটে, তাকে উক্ত দ্রাবকের মোলাল হিমাঙ্ক অবনমন ধ্রূবক( kf ) বলে।

23. ইউরিয়া যোগ করলে দ্রবণের হিমাঙ্ক কমে যায় কেন ?

আরও দেখুন:  উচ্চমাধ্যমিক বিগত বছরের প্রশ্মপত্র | WB HS Previous Year Question Paper Class 12 Download

উঃকোনো দ্রাবকের হিমাঙ্ক ওই দ্রাবকের তরল দশা এবং কঠিন দশার মধ্যে সাম্যবস্থা বজায় থাকে এবং এই দুই দশার বাষ্পচাপ সমান হয়। এখন কোনো অনুদবায়ী দ্রাব যোগ করলে যে দ্রবন উৎপন্ন হয় তার বাষ্পচাপ কঠিন দ্রাবকের তুলনায় কম হওয়ায় দ্রবণটি হিমায়িত হতে পারে না। উষ্ণতা হ্রাস করতে থাকলে পুনরায় দ্রবনের বাষ্পচাপ এবং কঠিন দ্রাবকের বাষ্পচাপ সমান হয়ে যায়। এই কারনে দ্রবনের হিমাঙ্ক কমে যায়।

24. অভিস্রবণ চাপ কী ? অর্ধভেদ্য পর্দা কী ?

উঃকোনো দ্রবন ও তার বিশুদ্ধ দ্রাবককে একটি অর্ধভেদ্য পর্দা দ্বারা পৃথক করে রেখে দ্রবনের উপর যে সর্বনিম্ন চাপ প্রয়োগ করলে অভিস্রবণ প্রক্রিয়া সম্পূর্ণরূপে বন্ধ হয়ে যায়, তাকে ওই দ্রবনের অভিস্রবণ চাপ বলে।

যে পর্দার মাধ্যমে দ্রবন ও তার বিশুদ্ধ দ্রাবক পৃথক করে রাখলে শুধুমাত্র দ্রাবক অনুগুলি পর্দার মধ্যে দিয়ে চলাচল করতে পারে কিন্তু দ্রাবের অনুগুলি পারে না, তাকে অর্ধভেদ্য পর্দা বলে।

25. কোনো দ্রবনের অভিস্রবণ চাপ সংক্রান্ত ভ্যান্টহফের ( Vant-haff ) সমীকরণটি লেখো। সব দ্রবণই এই সমীকরণ মেনে চলে কিনা কারনসহ বিবৃত করো। [HS-17]

উঃকোনো দ্রবনের অভিস্রবণ চাপ সংক্রান্ত ভ্যান্ট –হফের ( Vant-haff ) সমীকরণটি হল

π = CRT; যেখানে R = সর্বজনীন গ্যাস ধ্রুবক এবং কোনো অনুদবায়ী, তড়িৎ- অবিশ্লেষ্য কঠিন দ্রাবকের দ্রবনের মোলার গাড়ত্ব, পরম উষ্ণতা ও অভিস্রবণ চাপ যথাক্রমে C, T, π ।

ভ্যান্ট হফের সূত্রগুলি কেবলমাত্র অসংযোজিত, অনুদবায়ী, তড়িৎ- অবিশ্লেষ্য কঠিন দ্রাবের লঘু দ্রবনের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। যেহেতু দ্রবনের অভিস্রবণ চাপ একটি সংখ্যাগত ধর্ম সেই কারনে দ্রাব তড়িদবিশ্লেষ্য অথবা লঘু দ্রবনে সংযোজিত হলে কণার সংখ্যা দ্রবনে বৃদ্ধি পাবে। ফলে অভিস্রবণ চাপের মান পরীক্ষা লব্ধ মানের তুলনায় বৃদ্ধি পাবে।

26. আইসোটোনিক দ্রবন (Isotonic Solution) কাকে বলে ?

উঃঅর্ধভেদ্য পর্দা দ্বারা পৃথকীকৃত দুটি দ্রবনের কোনো একটি থেকে অপরটির দিকে দ্রাবকের প্রবাহ না হয়, তবে ওই দ্রবন দুটিকে আইসোটোনিক দ্রবন বলে।

27. দুটি দ্রবন আইসোটোনিক এই কথাটির অর্থ কী?

উঃ অর্ধভেদ্য পর্দার মাধ্যমে দুটি দ্রবনের একটি থেকে অপ্রটির দিকে দ্রাবকের প্রবাহ হচ্ছে না। প্রথম ও দ্বিতীয় দ্রবনের অভিস্রবণ চাপ যথাক্রমে π(1) ও π(2) হলে, দ্রবন দুটি আইসোটোনিক হলে π(1) = π(2) হবে।

28. উষ্ণতা বৃদ্ধির সঙ্গে তরলে গ্যাসের দ্রাব্যতা অধিকাংশ ক্ষেত্রেই হ্রাস পায় কেন?

উঃ কোনো গ্যাসীয় দ্রাবের তরল দ্রাবকে দ্রবীভূত হওয়ার প্রক্রিয়াটি তাপদায়ী।

গ্যাস + তরল দ্রাবক = দ্রবীভূত গ্যাসের সম্পৃক্ত দ্রবন; ΔH < 0

যদি উপরোক্ত সাম্যবস্থায় সিস্টেমের উষ্ণতা বৃদ্ধি করা করা হয় , তবে লা-শাতেলিয়ারের নীতি অনুসারে বিপরীত প্রক্রিয়াটি সম্মুখ প্রক্রিয়ার তুলনায় বেশিমাত্রায় সংঘটিত হবে, কারন এই প্রক্রিয়ায় তাপের শোষন ঘটে। এর ফলে তরলে দ্রবীভূত গ্যাসের গারত্ব তথা দ্রাব্যতা হ্রাস পায়।

29. দেখাও যে দুটি আইসোটোনিক দ্রবণের মোলার গাঢ়ত্ব সমান।

উঃনির্দিষ্ট উষ্ণতায় একটি দ্রবনের অভিস্রবণ চাপ ও মোলার গাড়ত্ব যথাক্রমে π(1) ও C(1) । অপর একটি দ্রবনের অভিস্রবণ চাপ ও মোলার গাড়ত্ব যথাক্রমে π(2) ও C(2) হলে,

প্রথম দ্রবনের ক্ষেত্রে Vant-Hoff এর সূত্র থেকে, π(1) = C(1).R.T

দ্বিতীয় দ্রবনের ক্ষেত্রে Vant-Hoff এর সূত্র থেকে, π(2) = C(2).R.T

আইসোটোনিক দ্রবণের ক্ষেত্রে, π(1) = π(2)

অতএব, C(1).R.T = C(2).R.T

বা C(1) = C(2)

30. Vant-haff গুণক কী ? হাইপোটোনিক (Hypotonic Solution) হাইপারটোনিক (Hypertonic Solution) দ্রবন কাকে বলে ?

উঃ ◼️ কোনো তড়িদবিশ্লেষ্য পদার্থের লঘু দ্রবনের পরীক্ষালব্ধ সংখ্যাগত ধর্মের মান ও তাত্বিক সংখ্যাগত ধর্মের মানের অনুপাতকে ভ্যাণ্ট হফ গুণক বলে।

ভ্যাণ্ট হফ গুণক (i) = পরীক্ষালব্ধ সংখ্যাগত ধর্মের মান / তাত্বিক সংখ্যাগত ধর্মের মান

◼️ হাইপোটোনিক দ্রবনঅর্ধভেদ্য পর্দা দ্বারা পৃথকীকৃত দুটি দ্রবনের মধ্যে যার অভিস্রবণ চাপ কম সেটিকে অপরটির সাপেক্ষে হাইপারটোনিক দ্রবন বলে।

◼️ হাইপারটোনিক দ্রবনঅর্ধভেদ্য পর্দা দ্বারা পৃথকীকৃত দুটি দ্রবনের মধ্যে যার অভিস্রবণ চাপ বেশি সেটিকে অপরটির সাপেক্ষে হাইপারটোনিক দ্রবন বলে।

31. Vant-haff গুণকের সঙ্গে তড়িৎ বিশ্লেষ্য দ্রাবের সংযোজন (x ) এবং বিয়োজন মাত্রার ( ) সম্পর্ক দুটি লেখো।

উঃদ্রাবের সংযোজন (x ) = (i – 1) / (1/n -1)

দ্রাবের বিয়োজন মাত্রার ( ∝) = (i – 1) / (n -1)

32. বিপরীত অভিস্রবণ চাপ বলতে কি বোঝ। এর একটি প্রয়োগ উল্লেখ করো।

উঃদ্রবন থেকে অভিস্রবণ চাপ অপেক্ষা অধিক চাপ প্রয়োগ করে অভিস্রবণজনিত প্রবাহের বিপরীত অভিমুখে দ্রাবক অনুর, বিশুদ্ধ দ্রাবকের দিকে প্রবাহকে বিপরীত অভিস্রবণ বলে।

আরও দেখুন:  উচ্চমাধ্যমিক বাংলা সিলেবাস ২০২৪-২০২৫ | WBCHSE Bengali Syllabus 2024-2025 pdf Download

খরজল বা লবণাক্ত জলের বিশুদ্ধিকরণে এই বিপরীত অভিস্রবণ প্রয়োগ করা হয়।

33. 1% C6H12O6 দ্রবন অপেক্ষা 2% NaCl দ্রবণের অভিস্রবণ চাপ চার গুণ কেন ?

উঃগ্লূকোজ ও NaCl দ্রবনের আয়তন সমান। গ্লূকোজ জৈব যৌগ হওয়ায় জলীয় দ্রবনে কোনো আয়ন উৎপন্ন করে না। কিন্তু NaCl তড়িৎযোজী যৌগ হওয়ায় জলীয় দ্রবনে আয়নীত হয়ে Na(+) ও Cl(-) আয়ন উৎপন্ন করে। দুটি NaCl বিয়োজিত হয়ে মোট চারটি আয়ন উৎপন্ন করে। কণার সংখ্যা গ্লূকোজ অপেক্ষা চার গুণ বেড়ে যাওয়ায় অভিস্রবণ চাপও চার গুণ বেড়ে যায়।

34. মোলালিটি উষ্ণতার ওপর নির্ভর করে না কিন্তু মোলারিটি উষ্ণতার ওপর নির্ভর করে কেন ?

উঃ মোলালিটি উষ্ণতার ওপর নির্ভর করে না কারন উষ্ণতার পরিবর্তনে দ্রাবকের ওজন ও দ্রাবের মোল সংখ্যা অপরিবর্তিত থাকে।

35.দ্রাবের সংযোজন বিয়োজনের ক্ষেত্রে বিভিন্ন সংখ্যাগত ধর্মের সমীকরণ লেখো।

উঃবাষ্পচাপের আপেক্ষিক অবনমন = (p0 – p) / p0 = i. x2

স্ফুটনাঙ্কের উন্নয়ন (△Tb) = i kb m

হিমাঙ্কের অবনমন (△Tf) = i kf m

অভিস্রবন চাপ (π) = i. C.R.T

36. NaCl এর 0.84% দ্রবনকে নরম্যাল স্যালাইন রূপে ব্যবহার করা হয় কেন ?

উঃ 0.84% NaCl দ্রবন লোহিত কনিকার কোশীয় তরলের সাপেক্ষে আইসোটনিক, তাই লোহিত কনিকাকে এরূপ দ্রবনে রাখলে এর কোনো সংকোচন বা প্রসারন হয় না। এজন্য, চিকিৎসা বিজ্ঞানে 0.84% NaCl এর জলীয় দ্রবনকে নরম্যাল স্যালাইন দ্রবন রূপে ব্যবহার করা হয়।

37. ডাক্তাররা উচ্চ রক্তচাপ যুক্ত রোগীদের কম নুন খাওয়ার পরামর্শ দেন কেন ?

উঃমানুষের দেহ তরলে Na(+) ও Cl(-) আয়ন উপস্থিত থাকে। খাদ্যের মাধ্যমে অতিরিক্ত NaCl গ্রহণ করলে রক্তে Na(+) ও Cl(-) আয়নের গাড়ত্ব বৃদ্ধি পায়। যেহেতু অভিস্রবনীয় চাপ π = CRT, যেখানে C = দ্রবনের গাড়ত্ব (মোল/লিটার) । এর ফলে Na(+) ও Cl(-) আয়নের গাড়ত্ব বৃদ্ধি পায় এবং অভিস্রবনীয় চাপ বৃদ্ধি পায় । উচ্চ অভিস্রবনীয় চাপে রক্ত কোশ ফেটে যায়।

38. ইঞ্জেকশন দেওয়ার সময় শিরাতে যে দ্রবন প্রবেশ করানো হয়, তার গাঢ়ত্ব রক্তের গাঢ়ত্বের সমান হওয়া উচিত কেন ?

উঃদ্রবনের গাড়ত্ব কম হলে দ্রবণটি লোহিত কনিকার কোশীয় তরলের সাপেক্ষে হাইপোটোনিক হবে। ফলে দ্রবন থেকে জল অভিস্রবনের মাধ্যমে লোহিত রক্ত কনিকায় প্রবেশ করে। ফলে লোহিত কনিকা ফুলে ওঠে এবং এক সময় ফেটে যায়।

দ্রবনের গাড়ত্ব বেশি হলে দ্রবণটি লোহিত কনিকার কোশীয় তরলের সাপেক্ষে হাইপারটোনিক হয়। এক্ষেত্রে লোহিত কনিকা থেকে অভিস্রবনের মাধ্যনে জল বেরিয়ে যায়। ফলে কনাটি সংকুচিত হয় এবং এর কার্যকারীতা বিনষ্ট হয়।

দ্রবনের গাড়ত্ব রক্তরসের সমান হলে দ্রবণটি রক্তের সাপেক্ষে আইসোটোনিক হয়। ফলে এক্ষেত্রে অভিস্রবণ চাপ সমান হয়।

39. সামুদ্রিক মাছকে পুকুরে বা নদীতে স্থানান্তরিত করলে মাছটি মারা যায় কেন ?

উঃনদী বা পুকুরের জল সমুদ্রের জল অপেক্ষা হাইপোটোনিক কারন নদীর জলে লবণ প্রায় নেই সেখানে সমুদ্রের জলে লবণের পরিমান অনেক বেশি। সামুদ্রিক মাছের দেহস্থ তরলের গাড়ত্ব সমুদ্রের জলের গাড়ত্বের প্রায় সমান। ফলে সামুদ্রিক মাছকে যখন নদীর জলে রাখা হয় মাছের ফুলকার মাধ্যমে অভিস্রবণ প্রক্রিয়ায় নদীর জল মাছের দেহকোশে প্রবেশ করে কোশস্ফীত ঘটে ফেটে যায়, ফলে মাছ মারা যায়।

40. দ্রাবকের হিমাঙ্ক অবনমন দ্রবনে দ্রবীভূত দ্রাবের ………… গাঢ়ত্বের সঙ্গে সমানুপাতিক

উঃ- মোলাল গাঢ়ত্বের সঙ্গে সমানুপাতিক ।

☑️ Also read :- দ্বাদশ শ্রেণীর প্রথম অধ্যায় পদার্থের কঠিন অবস্থা |

☑️ Also read :- দ্বাদশ শ্রেণীর রসায়ন বিষয়ের দ্বিতীয় অধ্যায়- দ্রবন |

☑️ Also read :- দ্বাদশ শ্রেণীর প্রত্যহিক জীবনে রসায়ন অধ্যায়ের প্রশ্ম-উত্তর│

☑️ Also read :- পৃষ্ঠতলীয় রসায়ন অধ্যায়ের কিছু গুরুত্বপূর্ণ M. C. Q. এবং তার উত্তর

☑️ Also read :- তড়িৎ রসায়ন অধ্যায়ের M.C.Q. এবং তার উত্তর

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top