class 7 poribesh bigyan chapter 1 magnet

চুম্বক-সপ্তম শ্রেণীর পরিবেশ বিজ্ঞান প্রশ্মউত্তর | Class 7 Poribesh Bigyan Chapter 1 Magnet

Blinking Buttons WhatsApp Telegram

পশ্চিমবঙ্গ মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সপ্তম শ্রেণীর পরিবেশ বিজ্ঞান বিষয়ের প্রথম অধ্যায়ের (class 7 poribesh bigyan chapter 1 magnet) ” চুম্বক (magnet)” থেকে সমস্ত রকম গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্মউত্তর করে দেওয়া হলো। সপ্তম শ্রেণীতে পাঠরত ছাত্রছাত্রীরা এই গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্মউত্তর গুলি প্র্যাকটিস করে নিতে পারে। বিভিন্ন প্রশ্ম বিচিত্রা থেকে এই গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ম গুলি সংগ্রহ করা হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সপ্তম শ্রেণীতে (WBBSE class 7 poribesh bigyan chapter 1 magnet) পাঠরত ছাত্রছাত্রীরা এই প্রশ্ম উত্তর গুলি দেখে নিতে পারো।

চুম্বক আধ্যায়ের সঠিক উত্তর বেছে নিয়ে লেখ।

(1) চুম্বকের আকর্ষণের পূর্বে যে ঘটনাটি ঘটে, সেটি হল- বিকর্ষণ / আবেশ / আকর্ষণ / আকর্ষণ- বিকর্ষণ।

উঃ – আবেশ।

External Post List Link

আরও দেখুন>>

(2) একটি দন্ড চুম্বকের দুটি মেরু থাকে। তাহলে একটি তড়িৎ চুম্বকের মেরু থাকবে- একটি / দুটি / তিনটি / থাকবে না।

উঃ – দুটি।

(3) একটি ধাতবদণ্ড একটি চুম্বক শলাকার উত্তর মেরুকে বিকর্ষণ করে, এতে প্রমাণিত হয় দন্ডটি- লোহার / তামার / চুম্বক / কোনোটিই নয়।

উঃ- চুম্বক।

(4) নিম্নলিখিত কোনটি চৌম্বক পদার্থের উদাহরণ- নিকেল / তামা / রুপো / প্লাটিনাম।

উঃ – নিকেল।

(5) নিচের কোনটি অচৌম্বক পদার্থ- কোবাল্ট / নিকেল / ক্রোমিয়াম / কাঠ।

উঃ – কাঠ।

চুম্বক অধ্যায়ের শূন্যস্থান পূরণ করো‌। (class 7 poribesh bigyan chapter 1 magnet)

(1) চুম্বকের মাঝ বরাবর অঞ্চলকে ____  অঞ্চল বলা হয়।

উঃ – উদাসীন।

(2) চৌম্বক দৈর্ঘ্য= চুম্বক্তির জ্যামিতিক দৈর্ঘ্য × _____।

উঃ – 0.86

(3) চুম্বকের বিপরীত মেরু পরস্পরকে____  করে।

উঃ – আকর্ষণ।

(4) পৃথিবী নিজেই একটি ____।

উঃ – চুম্বক।

নিচের প্রশ্নগুলির অতি সংক্ষিপ্ত উত্তর দাও।

(1) চুম্বকের চৌম্বক দৈর্ঘ্য তার জ্যামিতিক দৈর্ঘ্যের কত গুণ?

উঃ – 0.86 গুণ।

(2) চুম্বক শলাকা কি?

উঃ – চুম্বক সংক্রান্ত নানা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার জন্য এক ধরনের খুব দরকারী চুম্বক পাওয়া যায়। এ ধরনের চুম্বককে চুম্বক শলাকা বলে।

আরও দেখুন:  তড়িৎ- সপ্তম শ্রেণীর পরিবেশ বিজ্ঞান প্রশ্নউত্তর | Class 7 Poribesh Bigyan chapter 1 Electric Question Answer

(3) একটি মেরুযুক্ত চৌম্বক হওয়া কি সম্ভব?

উঃ – না। চুম্বকের অবশ্যই দুটি মেরু থাকবে।

(4) একটি অস্থায়ী চুম্বকের নাম লেখ।

উঃ – তড়িৎ চুম্বক।

(5) ATM এর পুরো নাম কি?

উঃ – Automated Teller Machine

আরও দেখুনঃ পরিবেশের সজীব উপাদানের গঠনগত বৈচিত্র্য ও কার্যগত প্রক্রিয়া- সপ্তম শ্রেণী | Class 7 Poribesh Bigyan Chapter 6 Question Answer

সপ্তম শ্রেণীর পরিবেশ বিজ্ঞান – চুম্বক আধ্যায়ের সংক্ষিপ্ত উত্তর দাও।

(1) তড়িৎ চুম্বকের দুটি ব্যবহার লেখ।

উঃ – ইলেকট্রিক কলিংবেলে তড়িৎচুম্বক ব্যবহৃত হয়। ইলেকট্রিক মোটরে তড়িৎচুম্বক ব্যবহৃত হয়।

(2) চুম্বকের যেকোনো দুটি ধর্ম লেখ।

উঃ – (১) চুম্বকের সমমেরু পরস্পরকে বিকর্ষণ ও বিপরীত মেরু পরস্পরকে আকর্ষণ করে। (২) চুম্বকের আকর্ষণ ধর্ম এবং দিকনির্দেশক ধর্ম অবস্থিত।

(3) কিভাবে বোঝা যাবে চুম্বকের দিকদর্শী ধর্ম আছে?

উঃ – একটি চুম্বকের মাঝখানে সুতো বেঁধে স্বাধীনভাবে ঝুলিয়ে রাখলে চুম্বকটি কিছুক্ষণ পর উত্তর দক্ষিণ দিকে মুখ করে স্থির হয়। এর থেকে বোঝা যায় চুম্বকের দিকদর্শী ধর্ম আছে।

(4) চৌম্বকদৈর্ঘ্য এবং জ্যামিতিক দৈর্ঘ্যের মধ্যে সম্পর্কটি লেখ। কোন একটি দন্ড চুম্বকের জ্যামিতিক দৈর্ঘ্য 9 সেন্টিমিটার হলে চুম্বকটির চৌম্বক দৈর্ঘ্য নির্ণয় কর।

উঃ – চৌম্বকদৈর্ঘ্য = জ্যামিতিক দৈর্ঘ্য × 0.86

একটি দন্ড চুম্বকের জ্যামিতিক দৈর্ঘ্য 9 সেন্টিমিটার হলে চুম্বকটির চৌম্বক দৈর্ঘ্য হবে = 9 × 0.86 = 7.74 সেমি।

(5) তড়িৎ চুম্বক কাকে বলে? তড়িৎ চুম্বকের শক্তি কি কি উপায়ে বৃদ্ধি করা যায়?

উঃ- কোন চৌম্বক পদার্থের (লোহা, নিকেল, কোবাল্ট ইত্যাদি) ওপর তার জড়িয়ে ওই তারের মধ্যে দিয়ে তড়িৎ পাঠালে ওই চৌম্বক পদার্থ চুম্বকে পরিণত হয়। এই ধরনের চুম্বককে তড়িৎ চুম্বক বলে।

তড়িৎ চুম্বকের শক্তি বৃদ্ধি করা যায় সাধারণত দুটি উপায়ে-

(১) চৌম্বক পদার্থের ওপর জড়ানো তারের পাক সংখ্যা বাড়িয়ে।

(২) প্রবাহিত তড়িৎ এর মাত্রা বাড়িয়ে।

(6) চুম্বকের মেরু ও উদাসীন অঞ্চল কাকে বলে?

উঃ – চুম্বকের মেরু: চুম্বকের দুই প্রান্তে যে দুই অঞ্চলে চুম্বকের আকর্ষণ ক্ষমতা সবচেয়ে বেশি, সেই দুই অঞ্চলকে চুম্বকের মেরু বলে।

আরও দেখুন:  পরিবেশবান্ধব শক্তি- সপ্তম শ্রেণীর পরিবেশ বিজ্ঞান অধ্যায় ১.৫ | Class 7 Poribesh Bigyan chapter 1.5

উদাসীন অঞ্চল: চুম্বকের ঠিক মাঝখানে চুম্বকের আকর্ষণ ক্ষমতা প্রায় নেই বললেই চলে। ওই অঞ্চলকে চুম্বকের উদাসীন অঞ্চল বলে।

(7) মেরু জ্যোতি বা অরোরা কী?

উঃ – মহাবিশ্ব থেকে এক ধরনের রশ্মি -মহাজাগতিক রশ্মি ক্রমাগত পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসে। এদের অধিকাংশই হলো তড়িৎ যুক্ত কণিকা। ভূ চৌম্বক ক্ষেত্রের সঙ্গে এদের ক্রিয়া প্রতিক্রিয়া ঘটে। হলে মেরু অঞ্চল ঘিরে দুটি বিকিরণ বলয় তৈরি হয়। একেই বলা হয় মেরুজ্যোতি বা অরোরা।

(8) প্রাকৃতিক চুম্বক ও কৃত্রিম চুম্বকের মধ্যে দুটি পার্থক্য লেখ।

উঃ – প্রাকৃতিক চুম্বক: (১) প্রকৃতি থেকে যে চুম্বক পাওয়া যায় তাদের প্রাকৃতিক চুম্বক বলে। (২) প্রাকৃতিক চুম্বক স্থায়ী। (৩) প্রাকৃতিক চুম্বকের শক্তি তুলনামূলকভাবে কম। (৪) প্রাকৃতিক চুম্বকের শক্তি বাড়ানো বা কমানো যায় না।

কৃত্রিম চুম্বক: (১)  কৃত্রিম উপায়ে যে চুম্বক তৈরি করা হয় তাদের কৃত্রিম চুম্বক বলে। (২) কৃত্রিম চুম্বক অস্থায়ী। (৩) কৃত্রিম চুম্বকের শক্তি তুলনামূলকভাবে অনেক বেশি। (৪) কৃত্রিম চুম্বকের শক্তি ইচ্ছেমতো বাড়ানো বা কমানো যায়।

(9) চৌম্বক অক্ষ কাকে বলে?

উঃ – চুম্বকের উত্তর ও দক্ষিণ মেরু যোগ করলে যে সরলরেখাংশ পাওয়া যায় তাকে চৌম্বক অক্ষ বলে।

(10) আকর্ষণ অপেক্ষা বিকর্ষণই চুম্বকত্বের নিশ্চিত প্রমাণ-  ব্যাখ্যা কর।

উঃ – চুম্বক তার বিপরীত মেরুকে আকর্ষণ করে, আবার যে কোনো চৌম্বক পদার্থকেও আকর্ষণ করে। তাই আকর্ষণ ধর্ম দেখে বোঝা যাবে না যে সেটি চুম্বক। কিন্তু চুম্বক শুধুমাত্র তার সমমেরুকেই বিকর্ষণ করে। কোন চৌম্বক পদার্থকে বিকর্ষণ করে না। অর্থাৎ বলা যায় আকর্ষণ অপেক্ষা বিকর্ষণই চুম্বকত্বের নিশ্চিত প্রমাণ।

(11) একটি চুম্বক সব সময় উত্তর দক্ষিণে মুখ করে থাকে কেন?

উঃ – পৃথিবী নিজেই একটি বিরাট চুম্বক। ফলে একটি চুম্বককে ঝুলিয়ে রাখলে পৃথিবীর উত্তর মেরু চুম্বকের উত্তর মেরুকে আকর্ষণ করে। আর পৃথিবীর দক্ষিণ মেরু চুম্বকের দক্ষিণ মেরুকে আকর্ষণ করে। তাই একটি চুম্বককে ঝুলিয়ে রাখলে চুম্বকটি সবসময় উত্তর দক্ষিণে মুখ করে থাকে।

আরও দেখুন:  পরিবেশের সজীব উপাদানের গঠনগত বৈচিত্র্য ও কার্যগত প্রক্রিয়া- সপ্তম শ্রেণী | Class 7 Poribesh Bigyan Chapter 6 Question Answer

(12) চুম্বকের মেরু ও উদাসীন অঞ্চলের মধ্যে দুটি পার্থক্য লেখ?

উঃ – চুম্বকের মেরু: (১) চুম্বকের সাধারণত দুটি মেরু থাকে। (২) চুম্বকের মেরুতে আকর্ষণ ক্ষমতা সবচেয়ে বেশি হয়।

উদাসীন অঞ্চল: (১) চুম্বকের মাঝখানে একটি উদাসীন অঞ্চল থাকে। (২) উদাসীন অঞ্চলে চুম্বকের আকর্ষণ ক্ষমতা নেই বলেই চলে।

(13) চৌম্বক পদার্থ ও অচৌম্বক পদার্থ কাকে বলে? প্রত্যেকটির একটি করে উদাহরণ দাও।

উঃ – চুম্বক যে যে পদার্থকে আকর্ষণ করে তাদের চৌম্বক পদার্থ বলে যেমন লোহার, নিকেল, কোবাল্ট ইত্যাদি।

যে যে পদার্থকে চুম্বক আকর্ষণ করতে পারেনা তাদের ও চৌম্বক পদার্থ বলে। যেমন প্লাস্টিক, রবার, কাঠ ইত্যাদি।

(14) পৃথিবী নিজেই একটি চুম্বক- ব্যাখ্যা কর।

উঃ – আমরা জানি চুম্বকের বিপরীত মেরু পরস্পরকে আকর্ষণ করে। একটি চুম্বকের মাঝখানে সুতো দিয়ে বেঁধে স্বাধীনভাবে ঝুলিয়ে দিলে চুম্বকটি উত্তর দক্ষিণ দিক বরাবর মুখ করে স্থির হয়। অর্থাৎ চুম্বকের উত্তর মেরুকে পৃথিবীর উত্তর মেরু আকর্ষণ করে। আর চুম্বকের দক্ষিণ মেরুকে পৃথিবীর দক্ষিণ মেরু আকর্ষণ করে। অর্থাৎ বলা যায় যে পৃথিবী নিজেই একটি চুম্বক।

nath আমাদের পোস্টের গুরুত্বপূর্ণ আপডেট পেতে আমাদের Facebook Page ফলো করুন এবং Telegram ChannelWhatsapp Channel জয়েন করুন

Latest Posts:

WhatsApp Channel Follow
Telegram Channel Join Now
Facebook Page Follow

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

WhatsApp Telegram
Home
শিক্ষার খবর
ক্লাস নোটস
মক টেস্ট
Scroll to Top