class 7 poribesh bigyan chapter 6

পরিবেশের সজীব উপাদানের গঠনগত বৈচিত্র্য ও কার্যগত প্রক্রিয়া- সপ্তম শ্রেণী | Class 7 Poribesh Bigyan Chapter 6

Blinking Buttons WhatsApp Telegram

পরিবেশের সজীব উপাদানের গঠনগত বৈচিত্র্য ও কার্যগত প্রক্রিয়া (Class 7 Poribesh Bigyan Chapter 6)

পশ্চিমবঙ্গ মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সপ্তম শ্রেণীর পরিবেশ বিজ্ঞান বিষয়ের ষষ্ঠ অধ্যায়” পরিবেশের সজীব উপাদানের গঠনগত বৈচিত্র্য ও কার্যগত প্রক্রিয়া (Class 7 Poribesh Bigyan Chapter 6)” থেকে সমস্ত রকম গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন উত্তর দেওয়া হলো।

সঠিক উত্তর নির্বাচন করে লেখ।

(1) কাণ্ডের যে জায়গা থেকে শাখা বা পাতা বেরোয় সেই জায়গাটি হল- পর্ব / কক্ষ / পর্বমধ্য / বিটপ।

উত্তর:- পর্ব (Node) ।

(2) রাস্নায় ( অর্কিড ) মূলের কাজ হল- মাটির উপর থেকে শ্বাস নেওয়া / খাদ্য সঞ্চয় করা / বাতাস থেকে জলীয় বাষ্প নেওয়া / অন্য গাছকে আঁকড়ে ওপরে ওঠা।

উত্তর:- খাদ্য সঞ্চয় করা ।

(3) মটরের পত্রাকর্ষ- খাদ্য সঞ্চয় করে / আরোহনে সাহায্য করে / বংশ বিস্তার করে / অতিরিক্ত বাষ্পমোচনে বাধা সৃষ্টি করে।

উত্তর:- আরোহনে সাহায্য।

(4) রাইজুবিয়াম অনুজীব বাস করে কোন গাছের মূলে- পাইন /  পাথরকুচি / মটর / ধান।

উত্তর:- মটর।

(5) ফুলের যে অংশটি ফলে পরিণত হয় সেটি হল- দলমন্ডল / ডিম্বক / ডিম্বাশয় / বৃতি।

উত্তর:- ডিম্বাশয়।

(6) অঙ্কুরোদগমের জন্য আবশ্যিক হলো- অক্সিজেন / হাইড্রোজেন / নাইট্রোজেন / কার্বন।

উত্তর:- অক্সিজেন।

(7) গাঢ় নুন জল লোহিত রক্ত কণিকার সাপেক্ষে- হাইপারটনিক / হাইপোটনিক / আইসোটনিক / সবকটি।

উত্তর:- হাইপারটনিক।

(8) প্রদত্ত কোনটি পুংকেশর চক্রের অংশ- গর্ভমুন্ড / গর্ভাশয় / ডিম্বক / পরাগরেণু।

উত্তর:- পরাগরেণু।

(9) বীজপত্র দুটি যে বাঁকা দন্ডের সঙ্গে যুক্ত থাকে তাকে বলে- ভ্রুনাক্ষ / পর্বমধ্য / বীজপত্রাবকাণ্ড / বীজপত্রাধিকান্ড।

উত্তর:- ভ্রুনাক্ষ (Tigellum)।

(10) ফুলের যে অংশটি বীজে পরিণত হয় সেটি হল- গর্ভমুন্ড / পরাগধানী / ডিম্বাশয় / ডিম্বক।

উত্তর:- ডিম্বক।

(11) কিসমিসকে জলে ভিজিয়ে রাখলে ফুলে ওঠে এটি এক ধরনের- ব্যাপন / অভিস্রবণ / বাষ্পমোচন / নিঃশ্রাবন।

উত্তর:- অভিস্রবণ।

(12) উদ্ভিদের বংশ বিস্তারে সাহায্য করে- বট গাছের মূল / পাথরকুচির পাতা / রাস্নার মূল / সুন্দরী গাছের মূল।

উত্তর:- পাথরকুচির পাতা।

(13) যৌগিক পত্রের পাতার মতো অংশগুলিকে বলে- পত্রফলক / পত্রক / উপপত্র / পর্ণপত্র।

উত্তর:-

(14) পরিবর্তিত কান্ড হলো- আদা , হলুদ / আলু, পেয়াজ / ওল / সবকটি।

উত্তর:- আলু, পেয়াজ।

(15) আমের যে অংশটি বীজকে ঢেকে রাখে তার নাম হল- ফলত্বক / বহিঃত্বক / মধ্যত্বক / অন্তঃত্বক।

উত্তর:- অন্তঃত্বক।

(16) পলাশ গাছের পরাগযোগ ঘটে- প্রজাপতির দ্বারা / মৌমাছির দ্বারা / বায়ুর দ্বারা / পক্ষির দ্বারা।

উত্তর:- পক্ষির দ্বারা।

(17) আলুর স্ফীতকন্দ হল আসলে- রূপান্তরিত মৃদগতকান্ড / রূপান্তরিত অস্থানিক মূল / রূপান্তরিত প্রধানমূল / রূপান্তরিত বীজপত্র।

উত্তর:- রূপান্তরিত মৃদগতকান্ড।

(18) অস্থানিক মূল দেখা যায়- আম গাছে / ধান গাছে / নয়ন তারা গাছে / বট গাছে।

উত্তর:- ধান গাছে।

(19) জবা ফুলের স্তবকের সংখ্যা- তিনটি / দুটি / চারটি / পাঁচটি।

উত্তর:- চারটি।

(20) বীজ তৈরি হয় ফুলের কোন অংশ থেকে- গর্ভকেশর চক্র / ডিম্বাশয় / ডিম্বক / পরাগধানী।

উত্তর:- ডিম্বক।

(21) আলুর চোখ হলো প্রকৃতপক্ষে আলুর- কাক্ষিক মুকুল / মূলজ মুকুল / পুষ্প মুকুল / বিটপ মুকুল।

উত্তর:- কাক্ষিক মুকুল।

(22) লেবু গাছের পাতা হল- সরল পত্র / এক ফলক যৌগিক পত্র / দ্বিফলক যৌগিক পত্র / ত্রিফলক যৌগিক পত্র।

উত্তর:- এক ফলক যৌগিক পত্র।

(23) অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহারের ফলে ব্যাকটেরিয়ার কোষ প্রাচীর সঠিকভাবে গঠিত হতে পারে না, এই সময় কোষের ভিতর ও বাইরের কোন্ চাপের পার্থক্য দেখা যায় – ব্যাপন চাপ / বাষ্পমোচন চাপ / অভিস্রবণ চাপ /কোনোটিই নয়।

উত্তর:- অভিস্রবণ চাপ।

(24) আপেলের ভোজ্য অংশটি হল- বহিঃত্বক / মধ্যত্বক / অন্তত্বক / পুষ্পাক্ষ।

উত্তর:-

(25) গুচ্ছমূল দেখা যায় – আম গাছে / পাইন গাছে / ধান গাছে / মটর গাছে।

উত্তর:- ধান গাছে।

(26) প্রদত্ত কোনটি দ্বিবীজপত্রী বীজ? – ছোলা / ভূট্টা / গম / ধান।

উত্তর:- ছোলা।

(27) আমের বীজে থাকে- একটি বীজপত্র / দুটি বীজপত্র / বহু বীজপত্র / একটি বীজপত্রও থাকে না।

উত্তর:- দুটি বীজপত্র।

শূন্যস্থান পূরণ করো।

(1) পরাগধানীতে থাকে____।

উত্তর:- পরাগরেণু (Pollen grain)।

(2) পরাগমিলনের পর ফুলের ____ ফলে ও ____ বীজে পরিণত হয়।

উত্তর:- ডিম্বাশয়, ডিম্বক।

(3) মূলের ডগার টুপির মত অংশকে বলে____।

উত্তর:- মূলত্র (Root Cap)।

(4) ORS এর পুরো নাম____।

উত্তর:- ওরাল রিহাইড্রেশন সলিউশন (Oral Rehydration Solution) ।

আরও দেখুন:  Class 7 Poribesh O Bigyan Chapter 3 | সপ্তম শ্রেণীর পরিবেশ ও বিজ্ঞান তৃতীয় অধ্যায় প্রশ্নউত্তর | পরমানু, অণু ও রাসায়নিক বিক্রিয়া

(5) কান্ডের ত্বকে মোম জাতীয় পদার্থের আস্তরণ ____ প্রতিহত করে।

উত্তর:- বাষ্পমোচন।

(6) সেপটিক ট্যাংকের বিষাক্ত গ্যাসটি হল____।

উত্তর:- হাইড্রোজেন সালফাইড (H2S)।

(7) তেতুলের বীজের অঙ্কুরোদগমের সময় বীজপত্র বীজত্বক ফাটিয়ে মাটির উপরে উঠে এলে তাকে ____ অঙ্কুরোদগম বলে।

উত্তর:- মৃদভেদী।

(8) আতা এক ধরনের____ ফল।

উত্তর:- গুচ্ছিত ফল।

(9) চারা গাছের কান্ড তৈরি হয় ভ্রুণের ____ অংশ থেকে।

উত্তর:- ভ্রুণমুকুল।

(10) ____ একটি স্বপরাগী ও ____ একটি ইতরপরাগী ফুল।

উত্তর:- চিনেবাদাম ফুল, কুমড়ো ফুল।

(11) আমের বীজে ____ টি বীজপত্র থাকে।

উত্তর:- দুটি।

(12) অভিস্রবণ এর জন্য ____ পর্দার প্রয়োজন হয়।

উত্তর:- অর্ধভেদ্য।

(13) সমুদ্রের জলের মাছ ____ মূত্র ত্যাগ করে।

উত্তর:- ঘন।

(14) প্রধান মূলকে ____ মূল বলে।

উত্তর:- স্থানিক।

(15) কচুরিপানার খর্বধাবক হল একটি রূপান্তরিত ____ কান্ড ।

উত্তর:- অর্ধবায়বীয় ।

(16) পাইন গাছের মূলে ____ নামক গঠন তৈরি করে ছত্রাক বাস করে।

উত্তর:- মাইকোরাইজা।

(17) ____জাতীয় উদ্ভিদের পত্রমূল কান্ডকে পুরোপুরি বা আংশিকভাবে বেষ্টন করে থাকে।

উত্তর:- কাণ্ডবেষ্টক ।

(18) একটি কৃত্রিম অর্ধভেদ্য পর্দার নাম হল ____।

উত্তর:- পার্চমেন্ট কাগজ।

(19)একটি সরল ফল হল ____।

উত্তর:- আম।

(20) ____ পত্রবৃন্তকে কান্ডের পর্বের সঙ্গে যুক্ত রাখে।

উত্তর:- পত্রমূল।

(21) দোপাটি হল ____ ফুল।

উত্তর:- বর্ষজীবী।

(22) সমস্থানিক মূল দেখা যায়____।

উত্তর:- পাথরকুচি গাছের।

একটি বাক্যে উত্তর দাও। Class 7 Poribesh Bigyan Chapter 6

(1) মৃদভেদী অঙ্কুরোদগমের দুটি উদাহরণ দাও।

উত্তর:- কুমড়ো ও তেঁতুলের বীজ।

(2) কোন গাছের পাতার রস আমরা ওষুধ হিসেবে ব্যবহার করি?

উত্তর:- বাসক, কালমেঘ।

(3) কাণ্ড ও পাতা যে কোন উৎপন্ন করে তাকে কি বলে?

উত্তর:- কক্ষ বা অ্যাক্সিল বলে।

(4) সেপটিক ট্যাংক থেকে নির্গত বিষাক্ত গ্যাসের নাম কি?

উত্তর:- হাইড্রোজেন সালফাইড।

(5) চিনেবাদাম ফুলে কি ধরনের পরাগযোগ দেখা যায়?

উত্তর:- স্বপরাগযোগ।

(6) জেকবসনস অরগ্যান কোন প্রাণীর দেহে দেখা যায়?

উত্তর:- সাপের দেহে।

(7) মৃদভেদী ও মৃদবর্তী অঙ্কুরোদগমের মধ্যে একটি পার্থক্য লেখ।

উত্তর:- মৃদভেদী অঙ্কুরোদগমে বীজপত্র বীজত্বক ফাটিয়ে মাটির উপরে উঠে আসে। কিন্তু মৃদবর্তী অঙ্কুরোদগমে  বীজত্বকে আবদ্ধ বীজপত্র কখনোই মাটি ছেড়ে উপরে উঠে আসে না।

(8) মূলের কাজ কি?

উত্তর:- গাছকে মাটিতে আঁকড়ে ধরে রাখা ও মাটি থেকে জল শোষণ করা।

(9) পরাগমিলনের একটি সমস্যা উল্লেখ কর।

উত্তর:- অতিরিক্ত পরিমাণ পোকা মারার ওষুধ ব্যবহার।

(10) একক পত্র ও যৌগিক পত্র এর প্রধান পার্থক্যটি কি?

উত্তর:- একক পত্রে একটিমাত্র ফলক থাকে। এতে কোনো খণ্ড থাকে না। যৌগিক পত্রের ফলক আলাদা আলাদা খণ্ডে ভাগ হয়ে থাকে।

(11) রূপান্তরিত কান্ড দেখা যায় কোন উদ্ভিদে?

উত্তর:- আলু গাছে।

(12) ফুলের কোন স্তবক কীটপতঙ্গ কে আকর্ষণ করে?

উত্তর:- দলমন্ডল।

(13) মৃদভেদী অঙ্কুরোদগম কি?

উত্তর:- কুমড়ো, তেতুলের বীজে অঙ্কুরোদগমের সময় বীজপত্র বীজত্বক ফাটিয়ে মাটির উপরে উঠে আছে। একে মৃদভেদী অঙ্কুরোদগম  বলে।

(14) গর্ভকেশরচক্র কি কি অংশ নিয়ে গঠিত?

উত্তর:- গর্ভাশয়, গর্ভদণ্ড, গর্ভমুন্ড।

(15) পরাগমিলনের সাহায্য করে এমন একটি প্রাণীর নাম লেখ।

উত্তর:- মৌমাছি।

(16) ফুলের কোন অংশ ফলে পরিণত হয়?

উত্তর:- ডিম্বাশয়।

(17) বেলের কন্টক কোন অঙ্গের রূপান্তর?

উত্তর:- কাণ্ড।

(18) কলা পাতায় কি ধরনের শিরাবিন্যাস দেখা যায়?

উত্তর:- সমান্তরাল শিরাবিন্যাস।

নিচের প্রশ্নগুলির সংক্ষিপ্ত উত্তর দাও।

(1) অভিস্রবণ বলতে কী বোঝো?

উত্তর:-  অর্ধভেদ্য পর্দার মাধ্যমে কম গাঢ়ত্বের দ্রবণ থেকে বেশি গাঢ়ত্বের দ্রবণে দ্রাবকের অণুদের ছড়িয়ে পড়ার ঘটনায় হলো অভিস্রবণ।

(2) পরাগযোগের দুটি সমস্যা লেখ।

উত্তর:- (১) অতিরিক্ত পরিমাণ পোকামাকড় মারার ঔষধ ব্যবহার। (২) পরিবেশের উষ্ণতার তারতম্যের কারণে।

(3) স্বপরাগযোগ কাকে বলে?

উত্তর:- কোন ফুলের পরাগরেণু যখন ওই ফুলে অথবা একই গাছের অন্য ফুলের গর্ভমুন্ডে পড়ে বা স্থানান্তরিত হয় তখন ওই ঘটনাকে স্বপরাগযোগ বলে।

(4) ছোলা বীজের বীজপত্রের কাজ কি?

আরও দেখুন:  তড়িৎ- সপ্তম শ্রেণীর পরিবেশ বিজ্ঞান প্রশ্নউত্তর | Class 7 Poribesh Bigyan chapter 1

উত্তর:-ভ্রুণসহ বীজের সমস্ত অংশকে রক্ষা করা।

(5) পাকা ফল কাটলে স্ত্রী অ্যানোফিলিস মশা উড়ে না এসে ড্রসোফিলা মাছি উড়ে আসে কেন?

উত্তর:- ফল কাটলে যেসব ছোটো ছোটো মাছি উড়ে আসে তারা হলো ড্রসোফিলা। আবার অ্যানোফিলিস মশকী হলো ম্যালেরিয়ার বাহক। এদের ‘গন্ধ ধরার’ প্রোটিনগুলোয় তফাত আছে ফলের মিষ্টি গন্ধের জন্য যেসব উদ্বায়ী যৌগ দায়ী তাদের অ্যানোফিলিস চিনতে পারে না, ড্রসোফিলা মাছিরা পারে। আবার, মানুষের গায়ে ঘামের গন্ধে যেসব উদ্বায়ী যৌগ থাকে সেগুলোকে অ্যানোফিলিস মশকী চিনে নিতে পারে। তাই সন্ধেবেলায় তারা রক্তপানের উদ্দেশ্যে সেই ধরনের উৎসের দিকে উড়ে আসে।

(6) ব্যবহারিক জীবনে হাইড্রোজেন সালফাইড গ্যাসের অপকারিতা উল্লেখ কর।

উত্তর:- প্রশ্বাসের সঙ্গে হাইড্রোজেন সালফাইড গ্যাসে ফুসফুসে ঢুকলে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।

(7) একটি আদর্শ ফুলের বিভিন্ন অংশ অঙ্কন করে চিহ্নিত কর। জবা ফুলের চিত্র অংকন করে পুংকেশর চক্র ও গর্ভকেশর চক্র চিহ্নিত কর।

উত্তর:-

class 7 poribesh bigyan chapter 6
class 7 poribesh bigyan chapter 6

(8) সমুদ্রের জলের একটি অস্থিযুক্ত মাছকে পুকুরের জলে রাখলে কি পরিবর্তন ঘটবে?

উত্তর:- সমুদ্রের জলের একটি অস্থিযুক্ত মাছকে পুকুরের জলে রাখলে, পুকুরের জলে কম নুন থাকার জন্য অভিস্রবণের সাহায্যে পুকুরের জল মাছের দেহে প্রবেশ করবে এবং মাছের দেহ কিসমিসের মতো ফুলে উঠবে।

(9) ফুল ফুটলে মৌমাছিরা উড়ে আসে কেন?

উত্তর:- উদ্ভিদ পদার্থ থেকে উধাই যৌগগুলো বাষ্পীভূত হয়। এইসব যৌগের অনুবাদ বাতাসের মধ্যে দিয়ে ছড়িয়ে পড়ে। এই অনুরা খুব কম পড়ে মনে থাকলেও প্রাণীদের ঘ্রাণেন্দ্রিয়ের বিশেষ কিছু প্রোটিনের সঙ্গে যুক্ত হয়। এর ফলে মস্তিষ্কে গন্ধের অনুভূতি জাগে। বাতাস বইলে গন্ধের যৌগের অণুগুলো আরো দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে থাকে। যার ফলে ফুল ফুটলে তার গন্ধ পেয়ে মৌমাছিরা উড়ে আসে।

(10) আমের খোসা ও আমের আটি বলতে কী বোঝো?

উত্তর:- আমের খোসা হল আমের বহিঃত্বক ও আমের আটি হল অন্তঃত্বক।

(11) মধুকে কোনো ব্যাকটেরিয়া সহজে নষ্ট করতে পারে না কেন?

উত্তর:- মধুকে কোনো ব্যাকটেরিয়া সহজে নষ্ট করতে পারে না, কারণ মধুতে চিনির উচ্চ ঘনত্বের কারণে প্লাজমোলাইসিস প্রক্রিয়ায় ব্যাকটেরিয়া মারা যায়। প্রাকৃতিক বায়ুবাহিত ইস্ট মধুতে সক্রিয় হতে পারে না, কারণ মধুতে জলের পরিমাণ খুব অল্প।

(12) গুচ্ছিত ফল কাকে বলে? উদাহরণ দাও ।

উত্তর:- একটা বোঁটা, তার ওপরে অনেকগুলো অংশ, অংশ গুলো আলাদা করা যায়, আর প্রতিটি অংশে একটা করে বীজ থাকে। এই রকম ফলকে গুচ্ছিত ফল বলে। যেমন আতা, কাঁঠাল।

(13) পুকুরের বা নদীর মাছেরা তাদের দেহে জলের পরিমাণ কিভাবে স্বাভাবিক রাখে?

উত্তর:- পুকুর বা নদীর মাছ লঘু মূত্র ত্যাগ করে, ফলে অতিরিক্ত জল বেরিয়ে যায়।

(14) কোন প্রাণীর দেহে জেকবসনস অরগ্যান থাকে? এই বিশেষ অঙ্গটির কাজ কি?

উত্তর:- সাপের দেহে। সাপ যখন জিভটা জেকবসনস অরগ্যানের সাহায্য চারপাশের পরিবেশ সম্বন্ধে জানতে পারে।

(15) মূলরোমের কাজ কি?

উত্তর:- মূলরোম দিয়ে গাছ মাটি থেকে জল ও নানারকম খনিজ পদার্থ শোষণ করে।

(16) ব্যাপন কাকে বলে?

উত্তর:- অণুদের অবিশ্রান্ত গতির জন্য গ্যাসীয় অবস্থায় বা দ্রবণে বেশি গাঢ়ত্বের অংশ থেকে কম গাঢ়ত্বের অংশে পদার্থের অণুদের ছড়িয়ে পড়ার ঘটনাকে বলা হয় ব্যাপন (Diffusion)।

(17) রূপান্তরিত কান্ড কাকে বলে?

উত্তর:- কিছু কিছু গাছ তাদের নিজেদের সুবিধার জন্য কান্ডগুলোকে পাল্টে ফেলেছে। এরকম পাল্টে যাওয়া কান্ডগুলোকে রূপান্তরিত কান্ড বলে। যেমন আলু হলো আলুগাছের পাল্টে যাওয়া কান্ড।

(18) মৃদভেদী অঙ্কুরোদগম কি? কাদের দেখা যায়?

উত্তর:- বীজের অঙ্কুরোদগমের সময় যদি বীজপত্র বীজত্বক ফাটিয়ে মাটির উপরে উঠে আসে। তখন তাকে মৃদভেদী অঙ্কুরোদগম (Epigeal Germination) বলে। কুমড়ো, তেতুল প্রভৃতি বীজে এই ধরনের অঙ্কুরোদগম দেখা যায়।

(19) মৃদবর্তী অঙ্কুরোদগম কী? কাদের দেখা যায়?

উত্তর:- বীজের অঙ্কুরোদগমের সময় যদি বীজত্বকে আবদ্ধ বীজপত্র কখনোই মাটি ছেড়ে উপরে উঠে না আসে। তখন তাকে মৃদবর্তী অঙ্কুরোদগম (Hypogeal Germination) বলে। মটর, ছোলা বা আমের বীজে এই ধরনের অঙ্কুরোদগম দেখা যায়।

(20) পরাগমিলনের সমস্যা গুলি উল্লেখ করো।

আরও দেখুন:  মানুষের খাদ্য (পঞ্চম অধ্যায়): সপ্তম শ্রেণীর পরিবেশ ও বিজ্ঞান প্রশ্ম উত্তর | Class 7 Poribesh O Bigyan Chapter 5

উত্তর:- পরাগমিলনের বিভিন্ন সমস্যাগুলি নিচে দেওয়া হল (১) বেশি পোকা মারার ওষুধ ব্যবহারের ফলে মৌমাছির মতো পতঙ্গের অভাবে পরাগযোগ ব্যাহত হচ্ছে।

(২) উষ্ণতার তারতম্যের জন্য ফুল ফোটার সময় পরিবর্তিত হচ্ছে। এর জন্যেও পরাগযোগ ব্যাহত হচ্ছে।

(৩) শিমুল জাতীয় গাছ কেটে ফেলার ফলে বাদুড়ের মতো পরাগযোগের বাহকের বাসস্থান নষ্ট হচ্ছে। এর জন্যও পরাগযোগ ব্যাহত হতে পারে।

(21) যৌগিক পত্র কাকে বলে?

উত্তর:- তেতুল পাতার ফলক মাঝখানের শিরা পর্যন্ত কতগুলি আলাদা আলাদা খণ্ডে ভাগ হয়ে যায়, এই ধরনের পাতাকে যৌগিক পত্র বলে।

(22) স্বপরাগযোগ ও ইতরপরাগযোগ কাকে বলে?

উত্তর:- কোনো ফুলের পরাগরেণু যখন ওই ফুলে অথবা একই গাছের অন্য ফুলের গর্ভমুন্ডে পড়ে বা স্থানান্তরিত হয় তখন ওই ঘটনাকে স্বপরাগযোগ (Self pollination) বলে।

কোনো ফুলের পরাগরেণু যখন একই রকম অন্য উদ্ভিদের ফুলের গর্ভমুন্ডে পড়ে বা স্থানান্তরিত হয় তখন ওই ঘটনাকে ইতরপরাগযোগ (Cross pollination) বলে।

(23) অক্সিজেন ও জল অঙ্কুরোদগমে কীভাবে ভূমিকা পালন করে লেখো।

উত্তর:- অক্সিজেন খাদ্যবস্তু থেকে শক্ত মুক্ত করতে সাহায্য করে। আর জল খাদ্যবস্তুকে এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় নিয়ে যায়।

(24) শ্বাসমূল কাকে বলে? কোন উদ্ভিদে শ্বাসমূল দেখা যায়?

উত্তর:- শ্বাসমূল হল এক বিশেষ ধরনের মূল যা কিছু উদ্ভিদে দেখা যায়। এই মূলগুলি মাটির উপরে উঠে এসে বাতাস থেকে অক্সিজেন গ্রহণ করে এবং উদ্ভিদের শ্বাসপ্রশ্বাস প্রক্রিয়ায় সাহায্য করে। শ্বাসমূল সাধারণত ম্যানগ্রোভ উদ্ভিদে দেখা যায়, যা লবণাক্ত বা জলমগ্ন পরিবেশে জন্মায়।

(25) একটি একক পত্র ও একটি যৌগিক পত্রের উদাহরণ দাও।

উত্তর:- একক পত্র- অশ্বত্থ পাতা, যৌগিক পত্র- তেঁতুল পাতা।

(26) সালোকসংশ্লেষের সময় গাছের পাতা কোন গ্যাস ছাড়ে ও কোন গ্যাস গ্রহণ করে?

উত্তর:- সালোকসংশ্লেষের সময় গাছের পাতা অক্সিজেন গ্যাস ছাড়ে ও কার্বন ডাই অক্সাইড গ্যাস গ্রহণ করে।

(27) স্বপরাগযোগ কাকে বলে? স্বপরাগযোগের সুবিধা ও অসুবিধা গুলি লেখ।

উত্তর:- কোন ফুলের পরাগরেণু যখন ওই ফুলে অথবা একই গাছের অন্য ফুলের গর্ভমুন্ডে পড়ে বা স্থানান্তরিত হয়, তখন ওই ঘটনাকে স্বপরাগযোগ বলে।

স্বপরাগযোগের সুবিধা হলো এটি সহজে সম্পন্ন হয় এবং পরাগায়নের নিশ্চয়তা থাকে। তবে, এর অসুবিধা হলো জিনগত বৈচিত্র্য হ্রাস পায়, যা উদ্ভিদের অভিযোজন ক্ষমতা কমিয়ে দেয়।

(28) অভিস্রবণ বা অসমোসিস (Osmosis) কাকে বলে? জীবজগতে অভিস্রবণ এর দুটি গুরুত্ব লেখো।

উত্তর:- অর্ধভেদ্য পর্দার মাধ্যমে কম গাঢ়ত্বের দ্রবণ থেকে বেশি গাঢ়ত্বের দ্রবণে দ্রাবকের অণুদের ছড়িয়ে পড়ার ঘটনায় হলো অভিস্রবণ।

জীবজগতে অভিস্রবণ এর দুটি গুরুত্ব:- (১) অভিস্রবণের সাহায্যে গাছ মূলরোমের মাধ্যমে মাটি থেকে জল শোষণ করে। (২) অ্যান্টিবায়োটিক জাতীয় ওষুধের অণুরা ব্যাকটেরিয়ার কোষপ্রাচীর তৈরিতে বাধা দেয়। এর ফলে ব্যাকটেরিয়ার কোষ প্রাচীর সঠিকভাবে তৈরি হতে পারে না। তখন ভিতরের অভিস্রবণ চাপে কষ্টের ফেটে কোষ মারা যায়।

nath আমাদের পোস্টের গুরুত্বপূর্ণ আপডেট পেতে আমাদের Facebook Page ফলো করুন এবং Telegram ChannelWhatsapp Channel জয়েন করুন

WhatsApp Channel Follow
Telegram Channel Join Now
Facebook Page Follow

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

WhatsApp Telegram
Scroll to Top