Last Updated on November 30, 2022 by Science Master
Model Activity Compilation
Environmental Science
Class 8 , Full Marks 50
১. ঠিক উত্তর নির্বাচন করোঃ ১ x ৬ = ৬
১.১ চাপের S.I. একক হলো –
ক) নিউটন খ) নিউটন বর্গমিটার গ) নিউটন / বর্গমিটার ঘ) নিউটন / বর্গমিটার।
উঃ- নিউটন / বর্গমিটার।
১.২ আইসোবারদের ক্ষেত্রে নিচের যে কথাটি ঠিক তা হল এদের –
ক) ভর সমান খ) প্রোটন সংখ্যা সমান গ) নিউট্রন সংখ্যা সমান ঘ) ভরসংখ্যা সমান।
উঃ- ভরসংখ্যা সমান।
১.৩ যে কোশীয় অঙ্গানুর মধ্যে পুরোনো জীর্ণ কোশকে ধ্বংস করার জন্য নানা ধরনের উৎসেচক থাকে তা হল –
ক) মাইটোকন্ড্রিয়া খ) রাইবোজোম গ) নিউক্লিয়াস ঘ) লাইসোজোম।
উঃ- লাইসোজোম।
১.৪ যেটি তড়িৎ বিশ্লেষ্য নয় সেটি হলো-
(ক) সোডিয়াম ক্লোরাইড (খ) অ্যামোনিয়াম সালফেট (গ) গ্লূকোজ (ঘ) অ্যাসিটিক অ্যাসিড
উঃ- গ্লূকোজ ।
১.৫ ডিম পোনা প্রতিপালন করা হয় যেখানে সেটি হল-
(ক) সঞ্চয়ী পুকুর (খ) হ্যাচারি (গ) পালন পুকুর (ঘ) আঁতুর পুকুর
উঃ- আঁতুর পুকুর।
১.৬ মৌমাছিদের জীবনে চারটি দশার সঠিক ক্রম হলো-
(ক) ডিম –> পিউপা –> লার্ভা –> পূর্ণাঙ্গ
(খ) ডিম –> লার্ভা –> পূর্ণাঙ্গ –> পিউপা
(গ) ডিম –> লার্ভা –> পিউপা –> পূর্ণাঙ্গ
(ঘ) ডিম –> পূর্ণাঙ্গ –> লার্ভা –> পিউপা
উঃ- ডিম –> লার্ভা –> পিউপা –> পূর্ণাঙ্গ ।
২. শূন্যস্থান পূরণ করোঃ ১ x ৩ = ৩
২.১ কোনো কঠিন অনুঘটককে গুড়ো করা হলে তার পৃষ্ঠতলের ক্ষেত্রফল …………যায়।
উঃ- বেড়ে।
২.২ ………. কম্পনই বজ্রপাতের সময় শব্দ উৎপন্ন করে।
উঃ- বায়ুর।
২.৩ …….. উপস্থিতির জন্য চা পানে শরীরে উদ্দীপনা আসে।
উঃ- ক্যাফিনের।
৩. ঠিক বাক্যের পাশে ‘ √ ‘ আর ভুল বাক্যের পাশে ‘ X ‘ চিহ্ন দাওঃ ১ x ৩ = ৩
৩.১ স্প্রিং তুলার সাহায্যে বস্তুর ওজন মাপা হয়।
উঃ- ঠিক ( √ )।
৩.২ জারণ ও বিজারণ বিক্রিয়া সবসময় একসঙ্গে ঘটে।
উঃ- ঠিক ( √ )।
৩.৩ সবুজ চায়ে ভিটামিন K পাওয়া যায়।
উঃ- ঠিক ( √ )।
৪. সংক্ষিপ্ত উত্তর দাওঃ ১ x ৬ = ৬
৪.১ এক কিলোগ্রাম ভরের বস্তুকে পৃথিবী কত পরিমান বল দিয়ে আকর্ষণ করে ?
উঃ- ধরি, 1 Kg ভরের বস্তুকে পৃথিবী যে বল দিয়ে আকর্ষণ তার মান F নিউটন।
পৃথিবীর ভর =
পৃথিবীর ব্যাসার্ধ = 6370 km = = পৃথিবীপৃষ্ঠে থাকা বস্তু ও পৃথিবীর কেন্দ্রের দূরত্ব
আমরা জানি,
যেখানে G = অভিকর্ষজ ত্বরণ =
M = পৃথিবীর ভর , m = বস্তুর ভর = 1 Kg
R = পৃথিবীপৃষ্ঠে থাকা বস্তু ও পৃথিবীর কেন্দ্রের দূরত্ব
নিউটন।
F = 9.797 নিউটন।
পৃথিবী 9.797 নিউটন বল দিয়ে বস্তুকে আকর্ষণ করবে।
৪.২ লঘু অ্যাসিড থেকে হাইড্রোজেন গ্যাস মুক্ত করার ক্রমহ্রাসমান প্রবণতা অনুসারে কয়েকটি ধাতুকে সাজিয়ে দেওয়া হল – Na, Fe, H, Cu, Au । এই তথ্য থেকে সবচেয়ে তড়িৎ ধনাত্মক ধাতুটিকে চিহ্নিত করো।
উঃ- Na
৪.৩ চোখের রেটিনায় উপস্থিত কোন কোশ মৃদু আলোয় দর্শনে সাহায্য করে।
উঃ- দণ্ডাকার রডকোশ।
৪.৪ আলুর যে এনজাইম হাইড্রোজেন পারক্সাইডকে জল ও অক্সিজেনে ভেঙে ফেলে তার নাম লেখো।
উঃ- ক্যাটালেজ এনজাইম।
৪.৫ বায়ুর মধ্যে দিয়ে তড়িৎ চলাচল ঘটা সম্ভব কীসের জন্য ?
উঃ- বায়ুতে থাকা বিভিন্ন রকম আয়ন, আধানযুক্ত সূক্ষ্ম কণা বায়ুর মধ্যে দিয়ে তড়িৎ চলাচল ঘটায়।
৪.৬ মুরগী পালনের একটি আধুনিক পদ্ধতি হল ‘ ডিপ-লিটার ‘। ‘ লিটার ‘ কী ?
উঃ- ‘ লিটার ‘ হলো, বিচালি (ছোট ছোট করে কাটা খড়), কাঠের গুঁড়ো, শুকনো পাতা, ধান, তুলোবীজ আর যবের তুষ, ভুট্টা, আমের খোসা ইত্যাদি।
৫. একটি বা দুটি বাক্যে উত্তর দাওঃ ২ x ৭ = ১৪
৫.১ কুলম্বের সূত্রের গাণিতিক রূপটি লেখো এবং K রাশিটির S.I. একক উল্লেখ করো।
উঃ- ◼ কুলম্বের সূত্রের গাণিতিক রূপটি হল –
ও তড়িতাহিত বস্তুদুটির আধানের পরিমান
r = তড়িতাহিত বস্তুদুটির মধ্যে দূরত্ব
F = বস্তুদুটির মধ্যে ক্রিয়াশীল আকর্ষণ বা বিকর্ষণ বলের মান।
◼ K রাশিটির S.I. একক = ( নিউটন. মিটার ² / কুলম্ব ² )
৫.২ খুব শুকনো ও ঠাণ্ডা পরিবেশে বসবাসকারী প্রাণীদের দেহে কী কী বিশেষ বৈশিষ্ট্য দেখা যায়।
উঃ- ১.খুব শুকনো ও ঠাণ্ডা পরিবেশে বসবাসকারী প্রাণীদের কোশে অ্যাণ্টিফ্রিজ প্রোটিন থাকে, যা কোশীয় তরলে বরফের কেলাস তৈরীতে বাধা দেয়।
২. তাপ সংরক্ষণের প্রয়োজনে এদের দেহে ফ্যাট সঞ্চয়কারী কোশের প্রাচুর্য থাকে।
৫.৩ উষ্ণতা বৃদ্ধিতে বেশিরভাগ রাসায়নিক বিক্রিয়ার হার বৃদ্ধি পায় কেন ?
উঃ- উষ্ণতা বৃদ্ধিতে অনুদের গতিশক্তি বাড়ে ফলে রাসায়নিক বিক্রিয়ার হার বৃদ্ধি পায়।
৫.৪ ইনফ্লুয়েঞ্জা রোগে কী কী লক্ষণ দেখা যায় ?
উঃ- ভয়াবহ জ্বর, ঘাম, কাঁপুনি, মাথার যন্ত্রনা, গাঁটে গাঁটে ব্যাথা, অত্যধিক দূর্বলতা, বমি, ডায়ারিয়া ইত্যাদি হলো এই রোগের লক্ষণ।
৫.৫ জলে অ্যামোনিয়াম ক্লোরাইডের দ্রবীভূত হওয়া যে তাপগ্রাহী পরিবর্তন তা কী করে বুঝবে?
উঃ- যেসব রাসায়নিক পরিবর্তনে বিক্রিয়া ঘটলে পরিবেশ থেকে তাপ শোষিত হয় তাদের তাপগ্রাহী পরিবর্তন বলে। একটি টেস্ট টিউবে জল নিয়ে তাতে অ্যামোনিয়াম ক্লোরাইডে দ্রবীভূত করলে মিনিট দুয়েকের মধ্যে দেখা যাবে টেস্ট টিউবের বাইরের গায়ে ফোঁটা ফোঁটা জল জমেছে। উৎপন্ন দ্রবনে থার্মোমিটার ডোবালে দেখা যাবে দ্রবনের উষ্ণতা বৃদ্ধি পেয়েছে।
NH4Cl + H2O = NH4OH + HCl
৫.৬ যক্ষ্মা রোগের লক্ষণ কী কী ?
উঃ- যক্ষ্মা একটি বায়ুবাহিত মারনরোগ। এই রোগের জন্য দায়ী ব্যাকটিরিয়ার নাম মাইকোব্যাকটেরিয়াম টিউবারকিউলোসিস। এই ব্যাকটিরিয়া মূলত মানুষের ফুসফুসকে আক্রমণ করে। তাছাড়াও অন্ত্র ও হাড়েও যক্ষ্মা হয়। এই রোগের লক্ষণ গুলি হলো ভয়াবহ কাশি ও তার সঙ্গে রক্ত পড়া। রাতের দিকে কষ্ট বাড়ে। প্রচণ্ড ঘাম হয় ও ওজন ক্রমশ কমতে থাকে।
৫.৭ কোশপর্দার গঠন ব্যাখ্যা করো।
উঃ- কোশের বাইরে যে পাতলা পর্দা দেখা যায় তা হলো প্লাজমা পর্দা বা কোশপর্দা। এটি কোশকে নির্দিষ্ট আকৃতি দেয়। এটি ছিদ্রযুক্ত। এই পর্দা একটি কোশকে পার্শবর্তী অন্য একটি কোশ থেকে আলাদা করে রাখে। ছিদ্র থাকার জন্য কোশের ভেতরে ও বাইরের মধ্যে জল, খনিজ পদার্থ ও অন্যান্য বস্তুর আদান-প্রদানে অংশগ্রহণ করে। তবে ছিদ্রের আকার ও প্রকৃতির ওপর এই দেওয়া নেওয়া প্রক্রিয়া নির্ভর করে। এটি সম্পূর্ণ রূপে ভেদ্য নয়। এটি কোশের ভেতরে এণ্ডোপ্লাজমীয় জালিকা, গলজি বস্তু, নিউক্লিয়াসের পর্দা ও অন্যান্য পর্দাঘেরা কোশীয় অঙ্গানু গঠনেও সাহায্য করে।
৬. তিন-চারটি বাক্যে উত্তর দাওঃ ৩ x ৬ = ১৮
৬.১ সমযোজী বন্ধন দিয়ে গঠিত জল, মিথেন এবং অ্যামোনিয়া অনুর প্রাথমিক গঠন কিরকমের তা এঁকে দেখাও। উঃ- জল, মিথেন এবং অ্যামোনিয়া অনুর প্রাথমিক গঠন-
৬.২ এন্ডোপ্লাজমীয় জালিকার গঠন ও কাজ উল্লেখ করো।
উঃ- এন্ডোপ্লাজমীয় জালিকা প্লাজমা পর্দা থেকে উৎপন্ন হয়ে নিউক্লীয় পর্দা পর্যন্ত বিস্তৃত থাকে। কতকগুলো পর্দাবেষ্টিত নানা আকারের নল নিয়ে এরা গঠিত। এরা সাইটোপ্লাজমকে কতকগুলো অসম্পূর্ণ প্রকোষ্ঠে ভাগ করে। কোনো কোনো পর্দার বাইরে দিকে প্রোটিন সংশ্লেষকারী রাইবোজোম যুক্ত থাকে। তাই এদের অমসৃণ দেখায়। আর কোনো পর্দার বাইরের দিকে রাইবোজোম না থাকায় মসৃণ হয়। এন্ডোপ্লাজমীয় জালিকা বিভিন্ন কোশীয় বস্তু যেমন প্রোটিন , লিপিড সংশ্লেষ, পরিবহণ ও সঞ্চয়ে অংশ গ্রহণ করে।
৬.৩ তামার আপেক্ষিক তাপ 0.09 cal/g℃। 70 গ্রাম ভরের তামার টুকরোর উষ্ণতা 20 ℃ বৃদ্ধি করতে হলে কত পরিমান তাপ লাগবে তা নির্নয় করো।
উঃ- আমরা জানি,
যেখানে Q = গৃতীত তাপ S = আপেক্ষিক তাপ, = উষ্ণতা বৃদ্ধি, m = তামার ভর
ক্যালোরি
Q = 126 ক্যালোরি।
তামার টুকরোর উষ্ণতা 20 ℃ বৃদ্ধি করতে হলে 126 ক্যালোরি পরিমান তাপ লাগবে।
৬.৪ ” জৈব সার অজৈব সারের চেয়ে ভালো ” – বক্তব্যটির যথার্থতা ব্যাখ্যা করো।
উঃ- মাটিতে অত্যধিক ও অনিয়ন্ত্রিত অজৈব সারের ব্যবহার করলে মাটির উর্বরাশক্তি ও উৎপাদন ক্ষমতা কমে যায়। মাটির অম্ল- ক্ষারের ভারসাম্য নষ্ট হয়ে উদ্ভিদের বৃদ্ধি ব্যাহত হয়। অজৈব সার জমিতে ব্যবহার করলে তা জলের সঙ্গে মিশে নদী বা পুকুরের জলের দূষন ঘটায়। অন্যদিকে, জৈব সার ব্যবহার করলে, মাটির জল ধারন ক্ষমতা বাড়ে, উপকারী জীবানুদের সংখ্যা বাড়ে এবং মাটির মধ্যে দিয়ে বিভিন্ন গ্যাসের আদান-প্রদান ভালো হয়, ফলে মাটির উর্বরাশক্তি ও উৎপাদন ক্ষমতা ঠিক থাকে। অর্থাৎ অজৈব সারের থেকে জৈব সার ব্যবহার করা ভালো।
৬.৫ কোনো তরলের বাষ্পায়নের হার কোন কোন বিষয়ের ওপর নির্ভর করে ?
উঃ- যে কোনো উষ্ণতায় কোনো তরলের উপরিতল থেকে বাষ্পে রূপান্তরিত হওয়ার ঘটনাকে তরলের বষ্পায়ন বলে।
তরলের বাষ্পায়ন নিন্মলিখিত বিষয়ের ওপর নির্ভর করে –
১) তরলের উপরিতলের ক্ষেত্রফল বেশি হলে বাষ্পায়নের হার বেশি হয়।
২) তরলের উষ্ণতা বেশি হলে বাষ্পায়ন বেশি হয়।
৩) তরলের ওপর বায়ু চলাচল ব্যবস্থা থাকলে বাষ্পায়ন বেশি হয়।
৪) তরলের প্রকৃতির ওপর বাষ্পায়নের হার নির্ভর করে।
৬.৬ কীভাবে কৃত্রিম পদ্ধতিতে মাছের ডিমপোনা তৈরি করা হয় ?
উঃ- কৃত্রিম পদ্ধতিতে ডিম পোনা তৈরী করার জন্য প্রতিটা সুস্থ, সবল স্ত্রী মাছের জন্য দুটো সুস্থ, সবল পুরুষ মাছ নেওয়া হয়। মাছের মাথায় মানুষের মতো একটা পিটুইট্যারি গ্রন্থি নামে অন্তঃক্ষরা গ্রন্থি থাকে। মাছের পিটুইট্যারি গ্রন্থির নির্যাস নিয়ে ওই বাছাই করা মাছেদের ইঞ্জেকশন দেওয়া হয়। আর পুরুষ ও স্ত্রী মাছের কোনটাকে কতবার কতটা ইঞ্জেকশন দেওয়া হবে তার একটা নির্দিষ্ট নিয়ম আছে।
পিটুইট্যারি ইঞ্জেকশন দেওয়ার ফলে স্ত্রী মাছ ডিম্বানু আর পুরুষ মাছ শুক্রানু নিঃসরণ করে। শুক্রানু আর ডিম্বানুর মিলনে ডিম পোনা তৈরী হয়।