Last Updated on December 9, 2021 by Science Master
Life Science Model Activity Task -1 Answer/জীবন বিজ্ঞান বিষয়ের প্রথম মডেল অ্যাকটিভিটি টাক্সের উত্তর।
COVID-19 এর জন্য সমস্ত বিদ্যালয়ের সমস্ত ক্লাসের ছাত্রছাত্রীদের জন্য বাংলার শিক্ষার উদ্দোগে
অনলাইন ক্লাসের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এই অনলাইন ক্লাসে দশম শ্রেণীর জীবন বিজ্ঞান বিষয়ের ক্লাস হয়েছে। আর এই ক্লাসের উপর ভিত্তি করে ছাত্রছাত্রীদের জন্য জীবন বিজ্ঞান বিষয়ের দুটি মডেল অ্যাকটিভিটি টাক্স (Life Science Model Activity Task) দেওয়া হয়েছে। মূলত এটি প্রথম পরযায়ক্রমিক মূল্যায়নের জন্য নির্ধারিত পাঠ্য সূচিকে ভিত্তি করে তৈরী করা হয়েছে। এই জীবন বিজ্ঞান বিষয়ের মডেল অ্যাকটিভিটি টাক্স (Life Science Model Activity Task) ছাত্রছাত্রীরা বাড়িতে নিজের বিষয় ভিত্তিক খাতায় লিখে বিদ্যালয় খুললে শিক্ষকের কাছে জমা দেবে। এই জীবন বিজ্ঞান বিষয়ের প্রথম মডেল অ্যাকটিভিটি টাক্স (Life Science Model Activity Task-1 ) ছাত্রছাত্রীদের সুবিধার জন্য করে দেওয়া হল। প্রয়োজন হলে ছাত্রছাত্রীরা এটি অনুসরণ করতে পারে।
১. স্নায়ুকোশের একটি পরিচ্ছন্ন চিত্র অঙ্কন করো এবং নিন্মলিখিত অংশগুলি চিহ্নিত করোঃ
ক) ডেনড্রন খ) সোয়ান কোশ গ) প্রান্ত বুরুশ ঘ) অ্যাক্সোলেমা
উঃ-
২. জীবের মধ্যে প্রকরণ সৃষ্টিতে মিয়োসিসের ভূমিকা উল্লেখ করো। মাইটোসিস কোশ বিভাজনের অ্যানাফেজ দশার তিনটি বৈশিষ্ট্য লেখো।
উঃ- জীবের মধ্যে প্রকরণ সৃষ্টিতে মিয়োসিসের ভূমিকা হল-
মিয়োসিস কোশ বিভাজনের সময় ক্রসিং ওভারেরে মাধ্যমে ক্রোমোজোমের মধ্যে জিনের পুনর্বিন্যাস ঘটে যা অপত্য জীবদেহে জিনগত ভেদ সৃস্টির মাধ্যমে প্রকরণের সৃস্টি করে এবং জীবের অভিব্যাক্তিতে মূখ্য ভূমিকা গ্রহণ করে।
মাইটোসিস কোশ বিভাজনের অ্যানাফেজ দশার তিনটি বৈশিষ্ট্য হল-
ক) অ্যানাফেজ দশা হল সবচেয়ে বেশি ক্ষণস্থায়ী ।
খ) ক্রোমোজোমাল তন্তুর সংকোচনের জন্য ক্রোজোরেস্টি সিস্টার ক্রোমাটিড দুটি বিভক্ত হয়ে গিয়ে কোশের বিপরীত মেরুর দিকে অগ্রসর হয়। এই ঘটনাকে অ্যানাফেজীয় চলন বলে।
গ) অপত্য ক্রোমোজোম গঠনের পর বেমতন্তুগুলি পরস্পরের সঙ্গে মিলিত হয়ে কোষের মাঝ বরাবর ইন্টারজোনাল তন্তু গুচ্ছ বা স্টেম বডি গঠন করে।
ঘ) এই দশার শেষের দিকে অপত্য ক্রোমোজোমগুলি বেমের বিপরীত দিকে অবস্থান করে
৩. অগ্রস্থ প্রকটতা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে যে উদ্ভিদ তার তিনটি ভূমিকা লেখো। রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে ইনসুলিন হরমনের ভূমিকা উল্লেখ করো।
উঃ- অগ্রস্থ প্রকটতা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে যে উদ্ভিদ তার নাম অক্সিন।
অক্সিনের ভূমিকা হল-
বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রনঃ- অক্সিন উদ্ভিদদেহের প্রধান বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রক হরমোন। এটি নিম্নলিখিত উপায়ে উদ্ভিদদেহের সামগ্রিক বৃদ্ধিকে ত্বরাম্বিত।
i) কোশে DNA এর সংশ্লেষণ বৃদ্ধি করে কোশবিভাজন (নিউক্লিয়াস বিভাজন) ঘটায়।
ii) কোশপ্রচীরকে নমনীয় করে কোশের আয়তন বৃদ্ধি করে।
iii) কাক্ষিক মূকুলের বৃদ্ধি ব্যাহত করে অগ্রমূকুলের বৃদ্ধি ত্বরাম্বিত করে, ফলে উদ্ভিদের সামগ্রিক বৃদ্ধি ঘটে।
iv) অক্সিন ক্যাম্বিয়ামের সক্রিয়তা বৃদ্ধির মাধ্যমে উদ্ভিদের গৌণ বৃদ্ধিতেও সাহায্য করে।
ট্রপিক চলন নিয়ন্ত্রনঃ- অক্সিন হরমোনের অসম বণ্টনের ফলে কাণ্ড ও মূলের যথাক্রমে ফটোট্রপিক ও জিওট্রপিক চলন নিয়ন্ত্রিত হয়।
অঙ্গ পরিস্ফূরণঃ- লঘু ঘনত্বের অক্সিনের প্রভাবে কাণ্ড , মূল, পাতা ও ফুলেও পরি স্ফুটন বা বিভেদ নিয়ন্ত্রিত হয়। এছাড়াও অঙ্গ মোচন রোধ, ফল সৃষ্টি ও ক্ষত নিরাময়ে ভূমিকা গ্রহণ করে।
রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে ইনসুলিন হরমনের ভূমিকাঃ-
ইনসুলিন কোশপর্দার ভেদ্যতা বৃদ্ধি করে পেশিকোশে গ্লূকোজ বিশোষণের হার বাড়ায় এবং গ্লাইকোলাইসিস প্রক্রিয়ায় গ্লূকোজকে পাইরুভিক অ্যাসিডে পরিণত হতে সাহায্য করে। এছাড়া যকৃত ও পেশিকোশে গ্লাইকোজেনেসিস প্রক্রিয়ায় গ্লূকোজ থেকে গ্লাইকোজেন সংশ্লেষ বৃদ্ধি করে এবং গ্লাইকোজেন থেকে গ্লূকোজ প্রস্তুতি বন্ধ করে। ফলে রক্তে শর্করার মাত্রা হ্রাস পায়।
৪. মাছের সন্তরণে পাখনার গুরুত্ব নির্ণয় করো। হাঁটু ও কাঁধে কোন কোন ধরনের অস্থিসন্ধি দেখা যায়।
উঃ- মাছের সন্তরণে পাখনার গুরুত্বঃ-
মাছকে জলে সাঁতার কাটতে সাহায্য করে। বক্ষ ও শ্রেণীপাখনা জলে ডুবতে ও স্থির ভাবে ভাসতে সাহায্য করে। পুচ্ছ পাখনা মাছের দিক পরিবর্তনে সাহায্য করে। পৃষ্ঠ পাখনা জলের বাধা দূর করতে সাহায্য করে। পৃষ্ঠ পাখনা ও পায়ু পাখনা মাছের গমনের সময় দেহের ভারসাম্য রক্ষায় অর্থাৎ যাতে বাঁদিকে কিংবা ডানদিকে কাত হয়ে না পড়ে সেই কাজে সাহায্য করে।
হাঁটুতে ফিমার, টিবিয়া ও প্যাটেলার অস্থি সন্ধি দেখা যায়। কাঁধে হিউনেরাস অস্থির গোলাকার মস্তক স্ক্যাপুলা অস্থির গ্রিনয়েড গহ্বরে (সকেট) প্রবেশ করে এই অস্থি সন্ধি সৃষ্টি হয়।