মাধ্যমিক ভৌতবিজ্ঞান সাজেশন ২০২৫ঃ জৈব রসায়ন 

Madhyamik Physical Science Suggestion 2025 Chapter 8.3

মাধ্যমিক ভৌতবিজ্ঞান সাজেশন ২০২৫ঃ তড়িৎ প্রবাহ

Structure of Atom Physical Science Class 9

নবম শ্রেণীর ভৌত বিজ্ঞান চতুর্থ অধ্যায়: পরমাণুর গঠন | Structure of Atom Physical Science Class 9

Last Updated on June 5, 2023 by Science Master

পরমাণুর গঠন (Structure of Atom)

পরমাণুর গঠন অধ্যায়ের বহু বিকল্প ভিত্তিক প্রশ্ন উত্তর:

1. আইসোবারদের ক্ষেত্রে যে কথাটি ঠিক তা হল-

(a) ভর সমান

(b) প্রোটন সংখ্যা সমান

(c) নিউট্রন সংখ্যা সমান

(d) ভরসংখ্যা সমান

উঃ- ভরসংখ্যা সমান।

2. 89U238 পরমাণুটিতে তিনটি নিউট্রন কম থাকলে এর সংকেত হতো-

(a) 89U238

(b) 89U235

(c) 92U235

(d) 90U237

উঃ- 89U235

3. 6C137N14 পরমাণু দুটি পরস্পরের –

(a) আইসোটোপ

(b) আইসোবার

(c) আইসোটোন

(d) আইসোমার

উঃ- আইসোটোন ।

4. পরমাণুর সবচেয়ে ভারী কোনটি হল-

(a) প্রোটন

(b) নিউট্রন

(c) ইলেকট্রন

(d) মেশন

উঃ-নিউট্রন ।

5. হাইড্রোজেনের একটি আইসোটোপ হল –

(a) লিথিয়াম

(b) হিলিয়াম

(c) ডয়টেরিয়াম

(d) বেরিলিয়াম

উঃ- ডয়টেরিয়াম ।

6. আলফা কণার বিচ্ছুরণ পরীক্ষার সাহায্যে আবিষ্কৃত হয়-

(a) ইলেকট্রন

(b) প্রোটন

(c) নিউট্রন

(d) নিউক্লিয়াস

উঃ- ইলেকট্রন ।

7. যে বৃত্তাকার পথে নিউক্লিয়াসকে ঘিরে ইলেকট্রন গুলি আবর্তন করে, তাকে বলে-

(a) আহীত কক্ষপথ

(b) স্থায়ী কক্ষপথ

(c) উত্তেজিত স্তর

(d) স্থায়ী অবস্থা

উঃ- স্থায়ী কক্ষপথ ।

8. প্রোটন আবিস্কার করেন-

(a) রাদারফোর্ড

(b) থমসন

(c) গোল্ডস্টাইন

(d) স্যাডউইক

উঃ- গোল্ডস্টাইন।

9. নিউট্রন আবিস্কারের পরীক্ষায় ব্যবহৃত হয়-

(a) ক্যাথোড রশ্মি

(b) এক্স- রশ্মি

(c) আলফা রশ্মি

(d) গামা রশ্মি

উঃ- আলফা রশ্মি ।

10. কোন পরমানুর M কক্ষে 6 টি ইলেকট্রন উপস্থিত-

(a) S

(b) O

(c) N

(d) Ar

উঃ- S ।

11. 15P3116S31 এর মধ্যে সম্পর্ক হল-

(a) আইসোটোপ

(b) আইসোবার

(c) আইসোটোন

(d) কোনটিই নয়।

উঃ- আইসোবার।

12. একটি ইলেকট্রন দ্বিতীয় বোর কক্ষ থেকে তৃতীয় বোর কক্ষে লাফ দিলে-

(a) শক্তির বিকিরন হবে

(b) শক্তির শোষণ হবে

(c) শক্তি অপরিবর্তিত থাকবে

(d) এই ধরনের লাফ দেওয়া সম্ভব নয়

উঃ- শক্তির শোষণ হবে ।

13. কোন ক্ষেত্রে ইলেক্ট্রন বিন্যাস একই-

(a) Na, K

(b) Li+, He+

(c) F , Na+

(d) Ne, Ar

উঃ- F , Na+

[ আরও দেখুনঃ নবম শ্রেণীর ভৌতবিজ্ঞান চতুর্থ অধ্যায়ঃ মোলের ধারণা প্রশ্ম-উত্তর | Class 9 Physical Science Chapter 4 mole concept ]

পরমাণুর গঠন অধ্যায়ের অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন উত্তর:

1. নিউট্রন হল নিস্তড়িৎ কণা, যার ভর ইলেকট্রনের ভরের সমান [সত্য / মিথ্যা লেখ]

উঃ- সত্য।

2. একটি তেজস্ক্রিয় মৌলের নাম লেখ।

উঃ- ইউরেনিয়াম।

3. ক্যাথোড রশ্মি ………… আধানযুক্ত কনা দ্বারা গঠিত।

উঃ- ঋণাত্মক।

4. আইসোটোপের রাসায়নিক ধর্ম অভিন্ন হয় কেন?

উঃ- কারন আইসোটোপ গুলি হল একই মৌলের পরমানু।

5. ভরসংখ্যা ও পারমাণবিক সংখ্যার মধ্যে দুটি পার্থক্য লেখো।

উঃ- ভরসংখ্যাঃ কোনো মৌলের পরমানুর নিউক্লিয়াসে অবস্থিত প্রোটন ও নিউট্রনের মোট সংখ্যাকে ভরসংখ্যা বলে।

পারমাণবিক সংখ্যাঃ কোনো মৌলের পরমানুর নিউক্লিয়াসে অবস্থিত প্রোটনের মোট সংখ্যাকে পারমাণবিক সংখ্যা বলে।

6.অ্যালুমিনিয়ামের ইলেকট্রন বিন্যাস …………….[শূন্যস্থান পূরণ করো]

উঃ- 2, 8, 3

7. অক্সিজেনের তিনটি আইসোটোপ কি কি?

উঃ- 8O16 , 8O17, 8O18

8. কোন নোবেল গ্যাস এবং Mg2+ এর ইলেকট্রন সংখ্যা সমান?

উঃ- নিয়ন।

9. 6C14 একটি তেজস্ক্রিয় আইসোটোপ। [সত্য / মিথ্যা]

উঃ- সত্য।

10. কোন বিজ্ঞানী রাদারফোর্ডের পরমানু মডেলের ত্রুটি সংশোধন করেন?

উঃ- বিজ্ঞানী নিলস বোর।

11. একটি নিউট্রন বিহীন পরমানুর নাম লেখো।

উঃ- সাধারন হাইড্রোজেন বা প্রোটিয়াম।

12. মৌলের রাসায়নিক ধর্ম মৌলের পারমাণবিক সংখ্যার ওপর নির্ভর করে। [সত্য / মিথ্যা]

উঃ- সত্য।

পরমাণুর গঠন (Structure of Atom) অধ্যায়ের সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন উত্তর:

1. রাদারফোর্ডের পরীক্ষার সিদ্ধান্ত গুলি বর্ণনা কর.

উ:- বিজ্ঞানী রাদারফোর্ড সোনার পাতের ওপর ∝- কণার বিচ্ছুরণ পরীক্ষার ওপর ভিত্তি করে পরমাণুর গঠন সম্পর্কে নিম্নলিখিত সিদ্ধান্ত গুলি দেন।

1. সোনার পাক সোনার পরমাণুর সমন্বয়ে গঠিত অধিকাংশ ∝- কণা এই পরমাণু গুলিকে ভেদ করে সোজা বেরিয়ে যায়। সুতরাং পরমাণুর বেশিরভাগ স্থানই ফাঁকা।

2. ধনাত্মক আধানযুক্ত ∝- কণা ধনাত্মক আধানের দ্বারাই বিকর্ষিত হয়। আবার উচ্চ ভরবেগ যুক্ত ∝- কণাকে কোন উচ্চ ভরবেগ বিশিষ্ট বস্তুকণাই প্রত্যাঘাত করতে পারে। সুতরাং, এর দ্বারা এই সিদ্ধান্তে আসা যায় যে পরমাণুর সমগ্র আয়তনের তুলনায় একটি অতি ক্ষুদ্র স্থানে পরমাণুর সমস্ত ধনাত্মক আধান ও সমস্ত ভর কেন্দ্রীভূত থাকে। পরমাণুর এই অংশকে নিউক্লিয়াস বা কেন্দ্রক বলা হয়।

3. অল্প সংখ্যক ∝- কণা নিউক্লিয়াসের খুব কাছে ধারের দিকে আঘাত করে, সেগুলি 90 ডিগ্রী বা তার চেয়ে বেশি কোণে বিক্ষপিত হয়।

4. অতি অল্প সংখ্যক যেসব ∝- কণা নিউক্লিয়াসকে সরাসরি আঘাত করে, সেগুলি 180° কোণে বিক্ষেপিত হয়।

5. ঋনাত্মক আধানযুক্ত ইলেকট্রন গুলি নিউক্লিয়াসের বাইরে থাকে। ∝- কণা ইলেকট্রনের চেয়ে প্রায় 7500 গুন ভারী হওয়ায় পরমাণুর ভেতরে দিয়ে যাওয়ার সময় নগণ্য ভর যুক্ত ইলেকট্রনের দ্বারা ∝- কণার গতিবেগ একেবারেই প্রভাবিত হয় না । এজন্য অধিকাংশ আলফা কণা পরমাণু গুলিকে ভেদ করে সোজা বেরিয়ে যায়।

2. রাদারফোর্ডের পরমাণু মডেল গুলি লেখো।

আলফা কণা বিচ্ছুরণ পরীক্ষার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী রাদারফোর্ড পরমাণুর নিম্নোক্ত নিউক্লিয় মডেলের পরিকল্পনা করেন।

1. পরমাণুর দুটি অংশ নিউক্লিয়াস বা কেন্দ্রক এবং নিউক্লিয়াস বহির্ভূত ইলেকট্রনীয় অঞ্চল।

2) প্রত্যেক পরমাণুর কেন্দ্রে অবস্থিত ধনাত্মক তড়িৎ আধানযুক্ত সবচেয়ে ভারী অংশকে নিউক্লিয়াস বলা হয়। পরমাণুর প্রায় সমগ্র ভর এই অংশে কেন্দ্রীভূত থাকে।

3) নিউক্লিয়াসের চারদিকে অবস্থিত অংশকে নিউক্লিয়াস বহির্ভূত ইলেকট্রনীয় অঞ্চল বলা হয় ।এই অংশে ইলেকট্রন গুলি সমকেন্দ্রিক নির্দিষ্ট বৃত্তাকার পথে তীব্র বেগে নিউক্লিয়াসের চারদিকে আবর্তন করে।

4) ঘূর্ণায়মান ইলেকট্রন গুলির কেন্দ্রাতিগ বল এবং নিউক্লিয়াস ও ইলেকট্রন গুলির ভেতর ক্রিয়াশীল স্থির তড়িৎ আকর্ষণ বল পরস্পর সমান ও বিপরীতমুখী হয়। এর ফলে ইলেকট্রন গুলি নির্দিষ্ট কক্ষপথে ঘুরতে থাকে এবং কখনোই নিউক্লিয়াসের মধ্যে গিয়ে পড়ে না।

5) নিউক্লিয়াস এবং ইলেক্ট্রনীয় অঞ্চলের বিশাল অংশই ফাঁকা । সুতরাং নিউক্লিয়াস পরমাণুর ভরের জন্য এবং নিউক্লিয়াস বহির্ভূত ইলেকট্রনীয় অঞ্চল পরমাণুর আয়তনের জন্য দায়ী।

6) পরমাণুর নিউক্লিয়াসের ব্যাস সমগ্র পরমাণুর ব্যাসের তুলনায় খুব কম। সুতরাং নিউক্লিয়াসের আয়তন সমগ্র পরমাণুর আয়তনের তুলনায় খুবই কম।

3. পরমাণুর গঠন সম্বন্ধীয় বিজ্ঞানী বোরের মডেলের স্বীকার্য গুলি লেখো।

উ:- 1) ইলেকট্রন গুলি নিউক্লিয়াসকে কেন্দ্র করে যে কোন বৃত্তাকার কক্ষপথে পরিভ্রমণ করতে পারে না। কেবলমাত্র কতগুলি নির্দিষ্ট ব্যাসার্ধের বৃত্তাকার অনুমোদনযোগ্য কক্ষে পরিভ্রমণ করতে পারে। এই কক্ষগুলিকে সুস্থিত বা স্থায়ী কক্ষ বলা হয়।

2) যতক্ষণ পর্যন্ত একটি ইলেকট্রন কোন সুস্থিত বৃত্তাকার কক্ষপথে আবর্তন করে, ততক্ষণ এটি কোনো শক্তি বিকিরণও করে না, আবার শক্তি শোষণও করে না।

3) যখন কোন ইলেকট্রন উচ্চতর শক্তির কক্ষপথ থেকে নিম্নতর শক্তির কক্ষপথে ঝাঁপ দেয়, তখনই ইলেকট্রনটি তরঙ্গের আকারে শক্তি বিকিরণ করে এবং যখন কোন ইলেকট্রন নিম্নতর শক্তির কক্ষপথ থেকে উচ্চতর শক্তির কক্ষপথে ঝাঁপ দেয় তখন শক্তি গ্রহণ করে।

4. রাদারফোর্ডের পরমানু মডেলের ত্রুটিগুলি লেখো।

উ:- রাদারফোর্ডের পরমাণু মডেলের প্রধান দুটি দেখা যায়।

তড়িৎচুম্বকীয় তত্ত্ব অনুযায়ী, ধনাত্মক আধানযুক্ত নিউক্লিয়াসের চারদিকে তীব্র গতিবেগে চলমান ঋণাত্মক আধানযুক্ত ইলেকট্রন কণা থেকে নিরবিচ্ছিন্নভাবে তড়িৎচুম্বকীয় তরঙ্গের আকারে শক্তি বিকিরিত হতে থাকবে। এভাবে ক্রমাগত শক্তি ক্ষয়ের ফলে ইলেকট্রনের ঘূর্ণন বেগ ও কক্ষপথের ব্যাসার্ধ ক্রমশ কমে যাবে । এর ফলে ইলেকট্রনটি ক্রমহ্রাসমান ব্যাসার্ধের বৃত্তাকার কুণ্ডলীপথে ঘুরতে ঘুরতে যখন তার সব শক্তি শেষ হয়ে যাবে তখন নিউক্লিয়াসের উপর আছড়ে পড়বে। সুতরাং রাদারফোর্ডের পরমাণু মডেল অনুযায়ী পরমাণুর গঠন কখনো স্থায়ী হবে না।

ইলেকট্রন নিউক্লিয়াসের চারিদিকে বৃত্তাকার কক্ষপথে আবর্তন করার সময় ক্রমাগত শক্তির বিকিরণ করতে থাকলে নিরবিচ্ছিন্ন বর্ণালী পাওয়ার কথা। কিন্তু বর্ণালী পর্যবেক্ষণ করার যন্ত্রের সাহায্যে দেখা গেছে যে নিরবিচ্ছিন্ন বর্ণালীর বদলে রেখা বর্ণালী পাওয়া যায়।

5. উদাহরণসহ আইসোটোপ বা সমস্থানিক কাকে বলে লেখো।

উ:- একই মৌলের বিভিন্ন পরমাণু যাদের পরমাণু ক্রমাঙ্ক একই কিন্তু ভরসংখ্যা বিভিন্ন, সেই পরমাণু গুলিকে আইসোটোপ বা সমস্থানিক বলা হয়। উদাহরণ- 1H1 1H2 1H3 , 6C12 6C13 6C14 , 17Cl35 17Cl37

6. উদাহরণসহ আইসোবার বা সমভর কাকে বলে লেখো।

উ:- বিভিন্ন পরমাণু ক্রমাঙ্ক বিশিষ্ট কিন্তু একই ভরসংখ্যা বিশিষ্ট বিভিন্ন মৌলের পরমাণুগুলোকে পরস্পরের আইসোবার বা সমভর বলা হয়। উদাহরণ- 18Ar40 20Ca40, 6C14 7N14

7. উদাহরণসহ আইসোটোন কাকে বলে লেখো।

উ:- বিভিন্ন পরমাণু ক্রমাঙ্ক কিন্তু সমান নিয়ন্ত্রণ সংখ্যা বিশিষ্ট বিভিন্ন মৌলের পরমাণু গুলিকে পরস্পরের আইসোটোন বলা হয়। উদাহরণ- 6C14 7N15 8O16 , 17Cl37 19K39 20Ca40

8. x, y, z তিনটি পরমাণুর ভর সংখ্যা যথাক্রমে 31, 32 এবং 34 । এদের পরমাণু ক্রমাংক যথাক্রমে 15, 16 এবং 16 । এদের মধ্যে কোন দুটি আইসোটোপ এবং কোন দুটি আইসোটোন?

উঃ- আইসোটোপ- y এবং z, আইসোটোন- x এবং y

9. প্রোটন ও নিউট্রন এর মধ্যে দুটি পার্থক্য লেখ।

উঃ-

প্রোটন নিউট্রন
পরমানুর নিউক্লিয়াসে অবস্থিত ধনাত্মক তড়িৎগ্রস্থ কণা।পরমানুর নিউক্লিয়াসে অবস্থিত নিস্তড়িৎ কণা।
পারমাণবিক সংখ্যা প্রোটনের ওপর নির্ভর করে।পারমাণবিক সংখ্যা নিউট্রনের ওপর নির্ভর করে না।

10. M3+ আয়নে 10 ইলেকট্রন এবং 14 টি নিউট্রন আছে । M মৌলটির ইলেকট্রন বিন্যাস লেখ এবং ভরসংখ্যা নির্ণয় কর।

উঃ- M মৌলটির মোট ইলেকট্রন সংখ্যা = 13

ইলেকট্রন বিন্যাস হবে- 2, 8, 3

M মৌলটির ভরসংখ্যা হবে= (13+14) = 27

11. নিউক্লিয় বল বলতে কী বোঝায়? নিউক্লিয় বলের একটি বৈশিষ্ট্য লেখ।

উঃ- যে বল পরমানুর নিউক্লিয়াসে অবস্থিত নিউক্লিয় কণিকা বা নিউক্লিয়ন অর্থাৎ প্রোটন ও নিউট্রনের মধ্যে ক্রিয়া করে নিউক্লিয়াসের স্থায়িত্ব প্রদান করে, তাকে নিউক্লিয় বল বলে। নিউক্লিয় বল অত্যন্ত শক্তিশালী আকর্ষণ বল যা অল্প পাল্লার মধ্যে কাজ করে।

12. পরমাণু নিউক্লিয়াসে প্রোটন গুলির মধ্যে বিকর্ষণ বল থাকা সত্ত্বেও নিউক্লিয়াস সুস্থিত অবস্থায় থাকে কেন?

উঃ- নিউক্লিয়াসের স্থায়িত্বের জন্য নিউক্লিয় বল নামক এক বিশেষ ধরনের বলকে দ্বায়ী করা হয়। আর এই নিউক্লিয় বলের কারনেই প্রোটন কণাগুলি বিকর্ষণ থাকার সত্বেও নিউক্লিয়াসে সুস্থিত অবস্থায় থাকে। নিউক্লিয়াসে উপস্থিত মেসন নামক একপ্রকার অব-পারমাণবিক কণিকার সাহায্যে প্রোটন ও নিউট্রনের অতিদ্রুত পারস্পরিক রূপান্তরের ফলে এই বলের সৃষ্টি হয়।

13. কোন বিজ্ঞানী কিভাবে তেজস্ক্রিয়তা আবিষ্কার করেন?

উঃ- বিজ্ঞানী হেনরি বেকারেল ইউরেনিয়ামের লবণ পটাশিয়াম ইউরেনাইল সালফেট নিয়ে পরীক্ষা করার সময় লক্ষ করে যে, ইউরেনিয়াম যৌগ স্বতঃস্ফুর্তভাবে সর্বদা একপ্রকার যথেষ্ট ভেদন ক্ষমতাসম্পন্ন বিকিরন নিঃসরন করে এবং এই বিকিরন তার প্রতিপ্রভা ধর্মের ওপর নির্ভর করে না। প্রথমে এই বিকিরনের নামকরণ করা হয় বেকারেল রশ্মি। পরে বিজ্ঞানী ম্যাডাম কুরী এই রশ্মির নাম দেন তেজস্ক্রিয় রশ্মি এবং এই ঘটনার নাম দেন তেজস্ক্রিয়তা।

14. পরমাণু ও আয়নের মধ্যে কোনটি অধিক সুস্থিত ব্যাখ্যা করো।

উঃ- মৌলের পরমানুর থেকে আয়ন অধিক সুস্থিত। আয়ন গঠিত হয় যখন পরমানু তার নিকটতম নিস্ক্রিয় গ্যাসের ইলেকট্রনিক্স কনফিগারেশন লাভ করার জন্য ইলেকট্রন গ্রহণ করে বা ছাড়ে তখন। সুতরাং, আয়নগুলি পরমানুর চেয়ে বেশি সুস্থিত হয়।

15. কোন মৌলের ইলেকট্রন বিন্যাস 2,8,6 হলে পরমাণু ক্রমাঙ্ক কত? একটি মৌলের পরমাণুর M কক্ষে 3 ইলেকট্রন আছে। এর ভরসংখ্যা 27 হলে, পরমাণুতে উপস্থিত ইলেকট্রন, প্রোটন ও নিউট্রন সংখ্যা গণনা কর।

উঃ- মৌলটির পরমানু ক্রমাঙ্ক হবে 16.

কোনো মৌলের পরমানুর M কক্ষে 3 ইলেকট্রন থাকলে মৌলটির পরমানু ক্রমাঙ্ক হবে 13। পরমানুতে উপস্থিত ইলেকট্রন সংখ্যা = 13, প্রোটন সংখ্যা = 13, নিউট্রন সংখ্যা = (27-13) =14

16. একটি প্রোটন কণা এবং একটি H+ আয়নকে অভিন্ন বলা হয় কেন?

উঃ- H পরমানুর মধ্যে একটি প্রোটন ও একটি ইলেকট্রন কণা থাকে। এটি একটি ইলেকট্রন বর্জন করে H+ আয়নে পরিণত হয়। H+ আয়নে শুধুমাত্র একটি প্রোটন কণা থেকে। যার ফলে, H+ আয়নের ভর এবং আধান উভয়ই একটি প্রোটন কণার ভর ও আধানের সমান হয়। তাই কটি প্রোটন কণা এবং একটি H+ আয়নকে অভিন্ন বলা হয়।

17. মৌলের ভরসংখ্যা ও পারমাণবিক সংখ্যার মধ্যে সম্পর্ক স্থাপন করো।

উঃ- ভরসংখ্যা = পারমাণবিক সংখ্যা বা প্রোটন সংখ্যা + নিউট্রন সংখ্যা

18. ক্লোরিন মৌলের ইলেকট্রন বিন্যাস চিত্রসহ দেখাও।

উঃ- ক্লোরিন পরমানুর (17Cl35) ইলেকট্রন সংখ্যা = 17

প্রোটন সংখ্যা = 17

নিউট্রন সংখ্যা = (35-17) = 18

structure of atom

19. রাদারফোর্ডের পরমানু মডেল ও বোরের পরমানু মডেলের মধ্যে দুটি বৈশাদৃশ্য লেখো।

উঃ-

রাদারফোর্ডের পরমানু মডেলবোরের পরমানু মডেল
রাদারফোর্ডের পরমানু মডেলে শক্তিস্তরের আকার ও আকৃতি কোনো ধারনা দেওয়া হয়নি।বোরের পরমানু মডেলে বৃত্তাকার শক্তিস্তরের ধারন দেওয়া হয়েছে।
রাদারফোর্ডের পরমানু মডেলের সাহায্যে বর্ণালী ব্যাখ্যা করা যায় না।বোরের পরমানু মডেলে বর্ণালী সম্বন্ধে ব্যাখ্যা করা হয়েছে।
ইলেকট্রনের কৌণিক ভরবেগ সম্বন্ধে ধারনা দেয় না।ইলেকট্রনের কৌণিক ভরবেগ সম্বন্ধে ধারনা দেওয়া হয়েছে।

20. 92X235 পরমানুটির ভরসংখ্যা ও পারমাণবিক সংখ্যা কত? পরমানুতে যদি 3 টি নিউট্রন বেশি থাকত, তাহলে তার সংকেত কি হতো।

উঃ- পরমানুটির ভরসংখ্যা = 235, পারমাণবিক সংখ্যা = 92

পরমানুতে যদি 3 টি ইলেকট্রন বেশি থাকতো তবে এর সংকেত হতো 92X238

21. ক্যাথোড রশ্মি কাকে বলে? এর দুটি বৈশিষ্ট্য লেখো।

উঃ- মোক্ষণ নলে অল্প চাপে তড়িৎ প্রবাহ চালনা করলে ক্যাথোড থেকে অ্যানোডের দিকে একপ্রকার অদৃশ্য রশ্মি নির্গত হয়। ক্যাথোড থেকে নির্গত এই রশ্মিকেই ক্যাথোড রশ্মি বলে।

ক্যাথোড রশ্মির বৈশিষ্ট্যঃ 1) ক্যাথোড রশ্মি ভরবেগযুক্ত অতি ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র কণার সমন্বয়ে গঠিত। 2) ক্যাথোড রশ্মি ঋণাত্মক আধানযুক্ত কণার সমন্বয়ে গঠিত।

22. পরমানুর নিউক্লিয়াসে নিউট্রনের অস্তিত্ব বিবেচনার প্রয়োজন হয়েছিল কেন?

উঃ- একটি প্রোটনের ভর এক একক এবং একটি ইলেকট্রনের ভর অতি নগণ্য। কাজেই, পরমাণু শুধুমাত্র প্রোটন ও ইলেকট্রন দ্বারা গঠিত হলে পরমাণুর ভর পরমাণুতে অবস্থিত মোট প্রোটনের ভরের প্রায় সমান হওয়া উচিত। 1913 খ্রিস্টাব্দে বিজ্ঞানী মোজলে এক্স-রশ্মি বর্ণালী পরীক্ষার সাহায্যে কোন পরমাণুতে কতগুলি প্রোটন আছে তার নির্ণয় করার পদ্ধতি আবিষ্কার করেন। কার্বনের পরমাণুতে ৬ টি প্রোটনের অস্তিত্ব জানা যায়। 6 টি প্রোটনের ভর 6 একক। 6 টি ইলেকট্রনের ভর নগণ্য। সুতরাং কার্বন পরমাণুর ভর হওয়া উচিত 6 একক। কিন্তু বাস্তবে কার্বন পরমানুর ভর 12 একক। তাহলে বাকি 6 একক কোথা থেকে আসে। তখন রাদারফোর্ড পরমানুর মধ্যে একক ভর ও আধানহীন এক ধরনের কণার অস্তিত্ব কল্পনা করেন এবং এর নাম দেন নিউট্রন।

.

আমাদের পোস্টের গুরুত্বপূর্ণ আপডেট পেতে আমাদের Facebook Page ফলো করুন এবং Telegram চ্যানেল জয়েন করুন।

WhatsApp Channel Follow
Telegram Channel Join Now
Facebook Page Follow

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top