Aldehydes, Ketones, Carboxylic Acids
1.CH3CHO এবং CH3COCH3 যৌগ দুটির কোনটি দ্রুত নিউক্লিওফিলিক যুত বিক্রিয়ায় সাড়া দেয়?
উঃ- কার্বনিল গ্রুপের কার্বন পরমানুর ওপর ইলেকট্রনের ঘাটতির পরিমান যত হ্রাস পায়, নিউক্লিওফিলিক যুত বিক্রিয়া সংঘটনের প্রবণতা তত কমতে থাকে। CH3CHO যৌগে একটিমাত্র -CH3 গ্রুপের +I প্রভাব থাকায় কার্বনিল গ্রুপের কার্বন পরমানুর ওপর ইলেকট্রনের ঘাটতি সর্বাপেক্ষা হয়। অন্যদিকে, CH3COCH3 যৌগে দুটি -CH3 গ্রুপের +I প্রভাবে জন্য কার্বনিল গ্রুপের কার্বন পরমানুর ওপর ইলেকট্রনের ঘাটতি কম হয়। তাই CH3CHO যৌগটি দ্রুত নিউক্লিওফিলিক যুত বিক্রিয়ায় সাড়া দেবে।
2. ফর্মিক অ্যাসিড এবং অ্যাসিটিক অ্যাসিড এর মধ্যে পার্থক্য লেখো।
উঃ-
ফর্মিক অ্যাসিড (HCOOH) | অ্যাসিটিক অ্যাসিড (CH3COOH) |
ফর্মিক অ্যাসিড টোলেন্স বিকারককে বিজারিত করে ধূসর রঙের সিলভার অধঃক্ষিপ্ত করে। HCOOH + Ag2O ⇾ 2Ag↓ | অ্যাসিটিক অ্যাসিড টোলেন্স বিকারককে বিজারিত করতে পারে না। |
ফর্মিক অ্যাসিড ফেলিং দ্রবণকে বিজারিত করে লাল রঙের কিউপ্রাস অক্সাইড অধঃক্ষিপ্ত করে। HCOOH + 2CuO ⇾ Cu2O↓ | অ্যাসিটিক অ্যাসিড ফেলিং দ্রবণকে বিজারিত করতে পারে না। |
3. কোনো বিজারক দ্রব্য ব্যবহার না করে কিভাবে HCHO থেকে CH3OH তৈরি করবে।
উঃ- ফর্মালডিহাইডের (HCHO) সঙ্গে 50% NaOH দ্রবনের বিক্রিয়ায় স্বতঃজারণ-বিজারণ বিক্রিয়ার মাধ্যমে মিথানল ও সোডিয়াম ফর্মেটের মিশ্রণ উৎপন্ন হয়। সুতরাং, বিজারক দ্রব্য ব্যবহার না করে ক্যান্নিজারো বিক্রিয়ার মাধ্যমে ফর্মালডিহাইডকে মিথানলে রূপান্তরিত করা যায়।
HCHO+HCHO\xrightarrow[]{50\% NaOH}CH_3OH+HCOONa
4. রাসায়নিক বিক্রিয়ার সাহায্যে পার্থক্য লেখোঃ অ্যাসিট্যালডিহাইড ও অ্যাসিটোন।
উঃ-
অ্যাসিট্যালডিহাইড (CH3CHO) | অ্যাসিটোন (CH3COCH3) |
অ্যাসিট্যালডিহাইডকে টোলেন্স বিকারক যোগ করে উত্তপ্ত করলে ধাতব সিলভার অধঃক্ষিপ্ত হয়। | টোলেন্স বিকারক যোগ করে উত্তপ্ত করলে ধাতব সিলভার অধঃক্ষিপ্ত হয় না। |
অ্যাসিট্যালডিহাইডকে ফেলিং দ্রবনসহ উত্তপ্ত করা হলে লাল বর্ণের Cu2O অধঃক্ষিপ্ত হয়। | ফেলিং দ্রবনসহ উত্তপ্ত করা হলে লাল বর্ণের Cu2O অধঃক্ষিপ্ত হয় না। |
5. ব্র্যাডির বিকারক কি?
উঃ- 2,4 – ডাইনাইট্রো-ফিনাইলহাইড্রাজিনকে ব্র্যাডির বিকারক বলে।
6. ফেলিং-I এবং ফেলিং-II দ্রবনের রাসায়নিক পরিচয় দাও। উক্ত দ্রবন দ্বয়ের মিশ্রণে কোন ভৌত পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়।
উঃ- ফেলিং-I হলো কপার সালফেটের জলীয় দ্রবন, যার বর্ণ হালকা নীল। ফেলিং-II হলো সোডিয়াম পটাশিয়াম টারট্রেট বা রচেলি সল্টের ক্ষারীয় দ্রবন, যা বর্ণহীন। উক্ত দ্রবন দ্বয়কে সমআয়তনে মেশালে গাঢ় নীল বর্ণের ফেলিং দ্রবন পাওয়া যায়।
7. পার্থক্য লেখো অ্যাসিট্যালডিহাইড ও বেঞ্জালডিহাইড।
উঃ-
অ্যাসিট্যালডিহাইড | বেঞ্জালডিহাইড |
অ্যাসিট্যালডিহাইডকে গাঢ় NaOH দ্রবন ও পটাশিয়াম আয়োডাইডে দ্রবীভূত I2 দ্রবনসহ উত্তপ্ত করলে আয়োডোফর্মের হলুদ কেলাস উৎপন্ন হয়। | আয়োডোফর্ম বিক্রিয়ায় সাড়া দেয় না। |
অ্যাসিট্যালডিহাইডে ফেলিং দ্রবন যোগ করে ফোটালে লাল বর্ণের Cu2O অধঃক্ষিপ্ত হয়। | লাল বর্ণের Cu2O অধঃক্ষিপ্ত হয় না। |
8. কার্বক্সিলিক অ্যাসিডের আম্লিকতা ফেনল অপেক্ষা বেশি কেন?
উঃ- ফেনল থেকে উৎপন্ন ফেনক্সাইড আয়নের রেজোনেন্স হাইব্রিডে ক্যানোনিক্যাল গঠনাকৃতির সংখ্যা অধিক হলেও এর ঋণাত্মক চার্জ তিনটি কার্বন পরমানু ও একটি অক্সিজেন পরমানুতে ছড়িয়ে থাকে। অন্যদিকে, কার্বক্সিলিক অ্যাসিড থেকে উৎপন্ন কার্বক্সিলেট আয়নের রেজোনেন্স হাইব্রিডে ক্যানোনিক্যাল গঠনাকৃতির সংখ্যা মাত্র দুটি হলেও উভয় গঠনাকৃতিতেই আয়নটির ঋণাত্মক চার্জ তীব্র তড়িৎ- ঋণাত্মক O-পরমানুতে ছড়িয়ে থাকে। তাই রেজোনেন্সের মাধ্যমে ফেনক্সাইড আয়ন অপেক্ষা কার্বক্সিলেট আয়ন অধিক স্থিতিশীল হয়। স্বভাবতই ফেনল অপেক্ষা কার্বক্সিলিক অ্যাসিড সহজে প্রোটন বর্জনের মাধ্যমে অনুবন্ধী ক্ষারকে রূপান্তরিত হয়। অর্থাৎ, কার্বক্সিলিক অ্যাসিডের আম্লিকতা ফেনল অপেক্ষা বেশি হয়।
